প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সংগৃহীত গল্পসমগ্র (completed) - অধ্যায় ১৩২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-49655-post-5158816.html#pid5158816

🕰️ Posted on March 7, 2023 by ✍️ Sanjay Sen (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 513 words / 2 min read

Parent
মা মাথা নিচু করেই থাকলো……আমার খাওয়া হয়ে গেলো ছুট মেরে পুকুর থেকে হাত ধুয়ে , বারনদায় বসলাম. বুড়ি-“সারা দুনিয়ায় আর মেয়ে পেলি না , দুটো বাচ্চা ওয়িলা বর ছেড়ে চলে যাওয়া মেয়েকেই বিয়ে করতে হলো তোকে?” বেশ রাগী গলাই বলল. নরেনদা-“আ মা আজকাল কার যুগে ওইসব কেউ ভাবে না, সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটা প্রয়োজন , ওই যে পুচকে টাকে দেখতে পাচ্ছ (সুশীলের দিকে পয়েন্ট আউট করে) ওটা আমার ই সন্তান তোমার নাতি” বুড়ি এবার মার দিকে তাকলো, মা নিচু স্বরে এ বল্লো- “হা মা ওটা নরেনেরই বাচ্চা.” আর এই কথায় বুড়ির মন লবনের মতো গোলে গেলো, দৌড়ে উঠে সুশীল কে কোলে তুলে বুড়ি গিলে চোখে মুখে চুমু খেতে লাগলো. নরেনদা আর মা বাকি ভাত টুকু সারা করে ফেলল. বুড়ি-“যাও তোমরা দুজনে হাত ধুয়ে আসো, তোমাদের সাথে কথা আছে” মা আর নরেনদা পুকুর থেকে হাত মুখ ধুয়ে এসে দেখে বুড়ি বারনদই বসে আছে সুশীল তার কোলে বুড়ির সামনে বসলো দুজন এসে ,আমি এসব কিছু দেখছি খাটিয়াই বসে. নরেনদা-“হ্যাঁ মা বলো?” বুড়ি-“তা কতদিন হলো তোদের বিয়ে? করেছিলি কোথাই?” সাত পাঁচ না ভেবে নরেনদা বলে দিলো -“দু বছর হতে চল্লো…বাড়ির থেকে একটু দূরে ম্যারেজ রিজিস্ট্রী অফীস আছে ওখানে” বুড়ি-“ওটাকে আবার বিয়ে বলে নাকি পাড়া পরসির লোক জানলো না বিয়ে হয়ে গেলো, তোদের আবার আমি বিয়ে দেবো. গোটা গ্রামের লোককে খাওয়াবো.” মা খুব ভয় পেয়ে গেলো, ভাবতেও পারে নি একটা ছোট্ট মিথ্যে কথা এতদূর গরাবে, গ্রাম এ বিয়ে যদি হয় আর, সে খবর যদি বাবার কানে পৌওছায় তাহলে আর র্‌ক্ষে নেই. তাই মা নরেনদাকে একটা জোরে চিমটি কাটলো, নরেনদাও ব্যাপারটা ধরতে পড়লো তাই বললে উঠলো -“কোনো মানেই হয় না আজ-কাল কার বিয়ে তো বেশির ভাগ কোর্ট-অফিষেই হয়, কজন ঘটা করে বিয়ে করে, আর গ্রাম সুদ্ধ সবাই কে খাওয়াতে গেলে তো প্রচুর টাকা লাগবে, মেমসাব এরও টাকা নেই খুব একটা সাহেব বিছ্ছেদের আগেই সব টাকা যেগুলো মেমসাবের নামে ব্যান্কে জমানো ছিলো তুলে নিয়েছে” বুড়ি-“না তা বললে কী হবে ছেলের বিয়ে ধুম ধাম করে দেবো আমি……আর সেকিড়ে নরেন!!!!! মেমসাব মেমসাব কী, নিজের বৌকে মেমসাব বলে ডাকিস কেনো? আর শোন বৌমা এটা তো শহর না তাই তোমাকে একটু সুধ্রাতে হবে, এই সব পোসাক আশাক না পরে শাড়ি পরবে, মাথায় সিঁদুর কই?” হু মা ধীর গোলাই আওয়াজ দিলো. নরেনদা-“না মা গ্রামের লোককে জানাবার দরকার নেই, কী দরকার জানাবার গ্রামের লোকেরা একে অন্যের কথা লাগিয়ে বেড়াই, যখন জানতে পারবে বিয়ের আগের স্বামীর থেকে দুটো বাচ্চা আছে তখন অনেক টিটকারী করবে তাতে কী বাড়ির মান সম্মান থাকবে?” বুড়ি ভাবলো যে নরেনের কথাতে যুক্তি আছে…..তাই খনিকখন থেমে বলে উঠলো. বুড়ি-“ঠিক আছে গ্রামের লোকেদের জানাবো না কিন্তু, কালী মন্দিরে গিয়ে কিন্তু তোকে বিয়ে করতে হবে,বৌমাকে সিঁদুর-দান করতে হবে, সাঁখা সিঁদুর পড়তে হবে.” নরেনদা কী করবে বুঝতে পড়লো না, শেষে মার দিকে তাকলো, কোনো উপায় না থাকাই মাও চোখের ইসরাই রাজী বলে দিলো.নরেনদা-“ঠিক আছে মা রাজী, তবে একটা শর্ত” বুড়ি-“কী বল?” নরেনদা-“বিয়ে কাল সকালেই করবো তার পর আবার কলকাতাই ফিরে যাবো, ওখানে খুব চুরি ডাকাতি হয় আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো ২-৩ দিন থাকবো, তার বেশি নয়” আমি মনে মনে ভাবলাম হা ভালই হলো গ্রামের খাবার খেতে আমার বিরক্তি ধরে গেছে, মনে হচ্ছে কখন বাড়ি গিয়ে ভালো মন্দ খাই. বুড়ি-“মাত্রো কাল-ই, এই তো এলি, আচ্ছা বিয়ের পর অন্তত একটা রাত কাটা বৌমকে নিয়ে এই বাড়িতে. || সমাপ্ত ||
Parent