প্রবাসে দৈবের বশে (সংগ্রহীত) - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-21263-post-1507945.html#pid1507945

🕰️ Posted on January 21, 2020 by ✍️ stallionblack7 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 409 words / 2 min read

Parent
নীতার বিয়ের দিনকেও ওকে সাজাতে এসেছিল রিনাবৌদি। দারুন লাগছিল নীতাকে কনের সাজে। সাজাচ্ছিল আর সবাই চলে গেলেই ইয়ার্কি বাড়ছিল, সঞ্জয়ের সঙ্গে শারীরিক মিলনের কথা বলতে বলতে। সঞ্জয় কি করে করবে নীতাকে এই নিয়ে ইয়ার্কি মারছিল বৌদি। বিয়ের দুদিন পরে যখন সঞ্জয় আমেরিকা চলে যায় তারপরে বৌদি ডাকে নীতাকে ওদের বাড়িতে। নীতা তো ভালো করেই জানে কেন ডেকেছে বৌদি। একলা ঘরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করে নীতার প্রথম রাতের কথা। নীতা প্রথমে ভেবেছিল বানিয়ে বানিয়ে বলবে কিন্তু পরে সত্যি কথাটাই বলে দেয়। বৌদি তো অবাক হয়ে ভাবতে থাকে নীতা এখনো কুমারী। ইস এই সুন্দরী নারী পেলনা প্রথম রাতের মিলনের সুখ? জিজ্ঞেস করে ওকে কি করে থাকবে এই কয় মাস। নীতা হাসে। কিছু বলে না। বৌদির মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসে। সুরজিতকে দেখেছিল বৌদি। বলে তোর সেই গানের স্কুলের বন্ধুকে বলনা বরের প্রক্সি দিতে এই ক’দিন। অবাক হয়ে নীতা বলে ও আবার কি দেবে। ও তো আমার বন্ধু। বৌদি হাসে বলে প্রথমে সবাই বন্ধুই থাকে। ছেলেটার কি চেহারা দেখেছিস, পুরো পেটানো। ওর হাতে পড়লে তোর কি অবস্থা হবে নিজেই জানিস না। নীতা আরো হাসে বলে তোমার দরকার নাকি? আমাকে বল তোমার কাছে পাঠিয়ে দেব। তবে ও যা লাজুক কিছুই করতে পারবে না। আমার দিকে তাকাতেই লজ্জা পেত। বৌদি বলে আমার জন্য তোকে ভাবতে হবে না। নিজের কথা ভাব। ফুলশয্যা হয়ে গেল, পুরুষের সঙ্গে শোবার সুখ পেলি না। তোর ওই বিদেশী বর তো চলে গেছে ছয় মাসের জন্য। আমার কথা শোন, ওই ছেলেটাকে ডেকে নে। যা মরদের মত চেহারা, বিছানায় পেলে তোকে পাগল করে দেবে। শুনে হাসে নীতা বলে তুমি যাও সুমন্তদার কাছে আগে, তারপরে আমাকে বল এসব কথা। সঞ্জয়ের ফ্লাইট যাবার সময় দমদম এয়ারপোর্টে এসেছিল নীতা। খুব সুন্দর একটা শাড়ি পরে। সারা এয়ারপোর্ট তাকিয়ে দেখছিল নীতাকে। দেখে সঞ্জয়ের গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছিল। সেই নারী আর মাত্র কযেক মাস পরে হবে ওর পুরো একার। নীতার শরীর নিয়ে উফ। ভাবতেই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছিল সঞ্জয়ের। মনে হচ্ছিল ওকে জড়িয়ে একটা চুমু খায়। কিন্তু এ তো ভারতবর্ষ। যেখানে প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া যায় চুমু চলবে না। ভাবছিল সারা প্লেন ধরে নীতার নগ্ন বুকের কথা ভাববে যে নীতা শুধু ওকেই দেখিয়েছে। প্লেন ছেড়ে যাবার পরে সঞ্জয়ের ও নিজের বাবা-মার সঙ্গে বাড়ি ফিরে এলো নীতা। অভিবাসনের কাজকর্ম তো শুরু হয়েই গেছে, কোনো সমস্যাও আর নেই। কযেক মাস পরেই মিসেস নীতা রায়চৌধুরী, সঞ্জয় রায়চৌধুরীর স্ত্রী পা ফেলবে আমেরিকার মাটিতে। যার স্বপ্ন সারা জীবন ধরে ভেবেছে নীতা। বিদেশী সিনেমার নায়ক নায়িকারা যেসব বাড়িতে থাকে, গাড়িতে চড়ে, নীতাও পাবে সব। আর তার চাবিকাঠি ওর স্বামী, ওর সুইটি পাই সঞ্জয়। ওকে ছেড়ে নাকি সুরজিত – ইস রিনাবৌদির মিডল ক্লাস মেন্টালিটি। ওসব চলবেনা নীতার।
Parent