। রক্ত গোলাপ। by chakraabhijit - অধ্যায় ২১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38991-post-3651920.html#pid3651920

🕰️ Posted on August 31, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 501 words / 2 min read

Parent
ভুতোর অট্টহাসি এখনো কানে বাজছে। আর যত রাগ গিয়ে পরছে গাড়ির ওপড়। দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে বিদেশি সেডান টা। সূর্য মিলিয়ে মিলিয়ে দেখে যে ওর জীবনের সাথে বৃষ্টির এক অদ্ভুত সম্পর্ক. জীবনের জটিল মুহূর্ত গুলোতে বৃষ্টিই যেন ওর একমাত্র সঙ্গী হয়. আজও বৃষ্টি পড়ছে. কতটা সেটা গাড়ির ভেতর থেকে বুঝতে পারছেনা. কিন্তু ফিকে স্ট্রিট লাইট গুলোতে বৃষ্টির ধারা দেখে মনে হচ্ছে যে খুব খারাপ হচ্ছেনা. ধীরে ধীরে ধারাপাত বাড়তে থাকলো. আর জোরে গাড়ি চালাতে পারছেনা পুরো রাস্তা ঝাপসা হয়ে গেছে, গাড়ির ওয়্পারও ঠিক কোনো কাজে লাগছে না. হালকা আলোতে দেখতে পারছে যে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা গাড়ির বনেটে পরে এক দেড় ফুট করে ছিটকে যাচ্ছে. মাথা ঠান্ডা করে গাড়িটা একটা ফাকা জায়গা দেখে দাড় করিয়ে দিল সূর্য. গাড়ির সিটে মাথা হেলিয়ে দিয়ে চিন্তা করতে থাকলো কি করবে. ভুতোর সেই হাসি এখনো কানে বাজছে কানে নয় মাথায় বাজছে. ও রেগে যাচ্ছে কেন? সিমরনের ভালবাসা না ভুতোর প্রপোজাল? কোনটা? সিমরনকে কি ও সত্যি ভালবাসে? নিজের রাজনৈতিক জমি শক্ত পোক্ত করতে গ্রামের মেয়েটাকে বিয়ে করে এনেছিলো. শরীরের প্রয়োজনে সিমরনকে কে সব সময়ই পেয়েছে. কিন্তু কথাও কি একটু আধটু মায়া জমেনি ওর ওপর. নিরপেক্ষ ভাবে সূর্য চিন্তা করে দেখলো, না সিমরনকে অতটা গুরুত্ব না দিলেও কোথাও যেন একটু আধটু দুর্বলতা তৈরী হয়েছে ওর ওপর. আর রাজ গুটি গুটি পায়ে পাপা পাপা বলে যখন এগিয়ে আসে. বাচ্চাটাকে একটুও সময় দেয়না ও. আত্মপক্ষ সমর্থনের মত নিজেই ভাবলো সময় আর কোথায় যে দেব? দেশের কাজ করতে করতে যদি পরিবারকেও সমান সময় দিতে পারত কেউ তাহলে এত মন্ত্রী সান্ত্রীর পদই থাকত না. কি করবে সূর্য সিমরনের মত নিষ্পাপ একটা মেয়েকে ওই নারী মাংস লোভি পশুটার হাতে তুলে দেবে? আজ সেই লোকটা সূর্যর অনেক দুর্বলতা ধরে ফেলেছে, তাই এর সুযোগ সম্পূর্ণ ভাবে নিতে চাইছে. সূর্যর মনে পরে কলেজ দিন গুলো. মেস এ বিরাট কেলেঙ্কারী ধরা পড়ল, একমাত্র ভূতই এতে জড়িত. ভূত ওকে সরানো টাকার ভাগ দেওয়ার অফার দিয়েছিলো, কিন্তু তত্কালীন সৎ এক হোস্টেল মনিটরের পক্ষে সেটা গ্রহণ করা সম্ভব ছিলো না. সবার সামনে অপদস্থ হওয়াটা ও ভালো ভাবে নেইনি পরবর্তীকালে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায়. আজ যেন এই কুপ্রস্তাব দিয়ে ভালো রকম শোধ নিতে চলেছে. মানুষের শরীর, তাই ক্রমাগত অনিদ্রা আর চিন্তার চাপে আসতে আসতে সূর্য ঘুমের দিকে ঢলে পরলো. দুর্যোগের এক রাতে প্রচন্ড ঝড় জলকে বিদেশী গাড়ির বাইরে বেধে রেখে, এক রাস্তার ধারে গাড়ির নরম গদিতে নিজেকে এলিয়ে দিলো. প্রচন্ড আওয়াজ আর ঝাকুনিতে সূর্যর ঘুম ভেঙ্গে গেল, বাইরে এত আলো যে চোখ ধান্দিয়ে যাচ্ছে, আর সাথে তের পেল যে বৃষ্টি আরো জোরে পড়ছে, মাথার কাছটা খুব যন্ত্রণা হচ্ছে, হাত দিয়ে কপালের ওপর থেকে জলের মত কি একটা মুছতে গিয়ে টের পেল রক্ত বেরোচ্ছে. ভালো করে খেয়াল করে দেখল একটা ট্রাক ওর গাড়িতে ধাক্কা মেরে অর্ধেক ঢুকে গেছে বিদেশী গাড়িটা চুরমার হয়ে গেছে আর দানবের মত একটা টায়ার ওর গায়ের ওপর অর্ধেক উঠে গেছে. অনেক চেষ্টা করেও ও নড়তে চড়তে পারছেনা. গাড়ির লুকিং গ্লাসটাতে একবার নিজের মুখ দেখতে পেল. পরিপাটি করা চুলের দুটো গোছা কপালের দুধার থেকে অর্ধচন্দ্রের মতো ওর রক্তাক্ত কপালটা ঢেকে রেখেছে. ভীষণ ঘুম পাচ্ছে ওর ভিষণ. আসতে আসতে ঘুমের কলে ঢলে পড়তে পড়তে দেখতে পেল নীলিমা ভবনের বিশাল বাগানে একটা পরী আর একটা দেবশিশু আপন মনে বিহার করছে.
Parent