সীমন্তিনী BY SS_SEXY - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-22390-post-1641753.html#pid1641753

🕰️ Posted on February 22, 2020 by ✍️ riank55 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 457 words / 2 min read

Parent
(Update No. 6) উত্তরবঙ্গের প্রমুখ শহর শিলিগুড়ি থেকে প্রায় বাইশ কিলো মিটার দক্ষিন পূর্বে রতিকান্ত বাবুদের সুবিশাল পৈত্রিক বাড়ি। সম্ভ্রান্ত এবং সম্পন্ন পরিবার বলতে যা বোঝায়, এ ভট্টাচার্যি পরিবার ঠিক তাই। ২০১৫ সালের পর থেকে এ শহরের প্রতিটা মানুষ এই পরিবারের এবং পরিবারের সদস্যদের পরম শ্রদ্ধার চোখে দেখলেও, অনেক আগে থেকেই এ তল্লাটের প্রায় সকলেই ভট্টাচার্যি পরিবারকে এক ডাকে চেনে এবং সম্মান করে। রতিকান্ত ভট্টাচার্যি সেই ছোট শহরের সবচেয়ে বড়সড় মুদি এবং প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানটির মালিক। তাদের একান্নবর্তী পরিবারে তিনিই বয়োজ্যেষ্ঠ। তারা তিন ভাই। মেজভাই শশীকান্তবাবু আর ছোটভাই চন্দ্রকান্তবাবু। বড়ভাই রতিকান্তবাবু আর তার স্ত্রী সরলাদেবীর দুটি ছেলে। বড়টির নাম রতীশ আর ছোটটির সতীশ। মেজভাই শশীকান্তবাবু আর তার স্ত্রী সীমাদেবীর এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়েটি বড়। সীমন্তিনী। আর ছেলের নাম সূর্য। চন্দ্রাদেবী এ বাড়ির ছোটবউ, মানে ছোটভাই চন্দ্রকান্ত ভট্টাচার্যির স্ত্রী। তাদের ঘরেও একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। ছেলেটি বড়। তার নাম চঞ্চল। আর তাদের মেয়ে চন্দ্রিকা হচ্ছে এ পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যা। সব মিলিয়ে এ ভট্টাচার্যি বাড়িতে পরিবারের বারোজন সদস্য সদস্যা ছাড়াও আছে দুটো কাজের আয়া আর একজন চাকর আর দুটো মালী। মেজভাই শশীকান্তের অলঙ্কার ও মনোহারী দোকানটিও এ জায়গার সবচেয়ে বড়। আর ছোটভাই চন্দ্রকান্ত তার পুরোনো ওষুধের দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি বছর দশেক যাবত একটা পিসিও ফটোস্ট্যাটের দোকান এবং মাঝারী সাইজের একটি কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সামগ্রীর দোকানও চালু করেছেন। রতিকান্তবাবু আর শশীকান্তবাবুর দোকানে দু’জন করে কর্মচারী। আর চন্দ্রকান্তবাবুর তিনটে দোকানে তিনজন। প্রত্যেকের দোকানের সব কর্মচারীরাই মালিকের পরিবারেই দুপুরে ও রাতে খাওয়া দাওয়া করে থাকে। তাই সব মিলিয়ে প্রায় চব্বিশ পঁচিশ জনের রান্না বাড়ির একটিমাত্র হেঁসেলেই হয়ে থাকে। রান্নার লোক থাকলেও বাড়ির তিন বৌ বলতে গেলে সারাক্ষণই ঘরকন্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাদের তিন বৌয়ের ভেতরেই ভাব ভালবাসা প্রচুর। দেখে মনে হয় যেন তারা তিন জা নয়, এক মায়ের পেট থেকে জন্মানো তিন বোন। আর ছেলেমেয়ে গুলোকে দেখে তো বোঝাই দায় যে কে কোন ঘরের। তবে কাহিনীর মূল চরিত্রদের মধ্যে একজন এ কাহিনীর শুরু থেকেই এ পরিবারের সদস্যা নয়। এ পরিবারে তার আগমন হবে কাহিনীর মাঝেই। ২০০৬ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি একটা দিন। বেলা তখন সাড়ে এগারটা। স্কুলের প্রিন্সিপালের রুম থেকে খুশী মনে বেরিয়ে এল রতীশ। প্রথমটায় সে আসতেই চাইছিল না। প্রিন্সিপ্যাল সুকোমল স্যার বাড়িতে ফোন করে তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মন্তির কথাতেই সে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছিল স্কুলে। বছর পাঁচেক আগে সে আর মন্তি এ স্কুল থেকেই একসাথে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। তারপর তার ভাই সতীশও এখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য ছোট ভাই বোনেরাও এখন এ স্কুলেই পড়ছে। কি ব্যাপারে স্যার ডেকেছিলেন তার বিন্দুমাত্র আন্দাজও রতীশের ছিল না। কিন্তু মন্তির বারংবার অনুরোধে সে আসতে বাধ্য হয়েছিল। একটা সময় ছিল, যখন সে মন্তিকে ছাড়া কিছু বুঝত না। রতীশের খুড়তুতো ভাই বোনেরাও সবাই সে স্কুলেই পড়ছিল তখন। তাদের ব্যাপারেই যদি অভিভাবকদের সাথে কিছু বার্তালাপের প্রয়োজন হয়ে থাকে, তাহলে তাকে না ডেকে তার বাবা বা কাকাদের কাউকেই ডাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু স্যার তাকেই যে কেন ডেকেছিলেন! __________________________________________________ ss_sexy
Parent