সমাহার by নীললোহিত - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38509-post-3416680.html#pid3416680

🕰️ Posted on June 21, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 416 words / 2 min read

Parent
একবার মালতির মুখের দিকে তাকিয়ে পাকড়াশি বলল, “তবে টাকাটা আমি দেবো না। তুমি নিজেই সেটা রোজগার করবে।” “কীভাবে?” “বলছি। তার আগে তোমাকে কয়েকটা কথা বলি, কিছু মনে কোরোনা যেন। তোমার বয়স বেশ কম, আর দেখতেও মোটামুটি খারাপ নয়।” মালতি ওর কথা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা। তবুও চুপ করে পাকড়াশির কথা শুনে চলে। ও বলতে থাকে, “আমি আমার অফিসের কয়েকজনকে তোমার কথা, মানে তোমার অবস্থার কথা জানাই। তারা তোমাকে সাহায্য করতে চায়।” আবার কফির কাপে চুমুক দেয় সে। এইটুকুই শুনে মালতির মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। এতদিন পর একটা ব্যবস্থা হল। এবার ও রতনের চিকিৎসা করাতে পারবে। পাকড়াশি আবার বলতে শুরু করল “তবে একটা কথা কি জানো এইসময়ে কেউ কাউকেই এমনি এমনি কিছু দেয়না। সবাই কিছু না কিছু ফেরত চায়। আমার চার বন্ধু এবং আমি তোমাকে ত্রিশ হাজার টাকা করে অর্থাৎ মোট দেড় লাখ টাকা তোমাকে দেব। তার বদলে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।” “কি কাজ?” “আমাকে ভুল ভেবো না। আমরা পাঁচজন একটা পার্টি করব। তোমাকে তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।” “কি করতে হবে আমাকে?” “বেশি কিছু না। পার্টির সমস্ত ব্যবস্থা তোমাকে করে দিতে হবে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই থাকতে হবে।” “কি?” “তুমি।” “মানে?” “তুমি ঐ একটা রাত আমাদের সঙ্গে থাকবে, আনন্দ করবে। সকাল হতেই আমরা তোমরা হাতে দেড়লাখ টাকা দিয়ে দেব।” কথাটা শুনে পায়ের তলা থেকে মাটিটা সরে যায় মালতির। ছিঃ! তার অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছে ঐ নোংরা লোকটা। ইচ্ছে করছে লোকটার গালে ঠাটিয়ে একটা চড় মারতে। কিন্তু সাহস হয় না। পাকড়াশি আবার বলতে শুরু করে, “জানি তুমি আমাকে খারাপ ভাবছো। কিন্তু বিশ্বাস করো, কেউই তোমাকে এমনি এমনি অতগুলো টাকা দিতে রাজি নয়।” চুপ করে থাকে মালতি। কি বা বলার থাকতে পারে ওর? পাকড়াশি আবার বলতে শুরু করে, “আমি তোমাকে কোনোমতেই জোর করব না। তুমি ভাবো। যা ঠিক করবে, আমাকে জানিয়ে দেবে। তোমার কোনো ভয় নেই। এই সিদ্ধান্ত কেবল তোমার।” সেদিন মালতি পাকড়াশিকে কোনো কথা বলেনি। দু’দিন রতনকেও বলতে পারেনি কথাটা। অবশেষে বাধ্য হয়েই কথাটা জানায় ওকে। রতন একেবারেই রাজি হয় না। বলে ওর গায়ে শক্তি থাকলে কুত্তাটাকে বঁটি দিয়ে কুচি কুচি কেটে ফেলত। অনেক কষ্টে ওকে শান্ত করে মালতি। দু’দিন পর নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় ও। সেকথা রতনকে জানিয়ে দেয়। শুনে খেপে যায় ও। “তুই কি পাগল হয়ে গেছিস, মালতি? তোকে এটা আমি করতে দেবনি।” মালতি কেঁদে বলে, “কেন বুঝতে পারছিস নি, এটাই আমার শেষ সুযোগ। নাহলে যে.....” “নাহলে কি? আমি মরে যাব, এই তো? মরে যেতে দে আমাকে। তবু যতক্ষণ বেঁচে আছি, তোকে এই কাজ করতে দেবনি।” “কিন্তু আমি যে তোকে মরে যেতে দেখতে পারবনি। তুই মরে গেলে আমি কি করে থাকব?” “তবু...” রতনকে মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে মালতি বলে, “আর কোনো কথা নয়। আমি এটা করবোই। ব্যাস।”
Parent