সমাহার by নীললোহিত - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38509-post-3416681.html#pid3416681

🕰️ Posted on June 21, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 296 words / 1 min read

Parent
এর পরেরদিনই পাকড়াশিকে মালতি জানিয়ে দেয় যে, ও রাজি। গতকাল পাকড়াশি ওকে বলেছে, আজকে রাতে হবে ওদের পার্টি। ওকে ঠিক দশটার সময় তৈরী হয়ে পাকড়াশির বাড়িতে যেতে হবে। তবে তৈরী হয়ে। বস্তিতে যখন পৌঁছাল ততক্ষণে মেয়েটা কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। পাশের বাড়ি দিদি ওকে জোর করে একটু খাইয়ে দিয়েছে। ঘরে ঢুকে দেখল রতন বিছানায় শুয়ে আছে। ওকে দেখে উঠে বসল। “এত দেরী হল যে?” খাবারের প্যাকেটটা রেখে মালতি বলল, “আজ নমিতা বৌদির মেয়ের দেখাশোনা ছিল। তাই দেরী হয়ে গেল।” রতন কিছু বলল না। মালতি তাড়াতাড়ি দুজনের খাবার বেড়ে নিল। দেরি করা ঠিক হবেনা। খাওয়া শেষ হতে রতন শুয়ে পড়ল। মালতি গেল তৈরী হতে। প্রথমে গা ধুয়ে এল। বাক্স থেকে একটা নতুন শাড়ি বের করে পরল। শাড়িটা রতন ওকে গত বছর কিনে দিয়েছিল। পরা হয়নি। আজ পরল। কি মনে হতে সিঁথিতে সিঁদুরটা একটু গাঢ় করেই লাগাল। এবার সে তৈরী। তবে মনে সাহস পাচ্ছে না। ভয়টা যেন ওকে আরো বেশী করে আঁকড়ে ধরছে। মনে মনে সাহস আনল। দেখল রতন ওর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। মালতি বলল, “কি হল?” “তোকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।” একটু চুপ করে থেকে রতন বলল, “যদি যেতে ইচ্ছে না হয়, ছেড়ে দে। যা হওয়ার হবে।” মৃদু হেসে মালতি বলল, “যেতে তো আমাকে হবেই। এছাড়া কোনো উপায় নেই।” ভিজে আসা চোখের কোলদুটোকে আলগোছে মুছে নিয়ে বলল, “শুধু একটাই চিন্তা।” “কি?” “কাল থেকে আমি আর তোর সেই আগের মালতি থাকবনি। আমি যে অসতি হয়ে যাব।” কান্নায় ভেঙ্গে পড়া মালতির চোখদুটোকে মুছিয়ে দিয়ে রতন বলল, “একটা কথা মনে রাখবি। ওরা শুধু তোর শরীরটাকেই ছোঁবে। তোর মনটাকে নয়। তোর মনটা আজকে যেমন পবিত্র আছে, কাল সকালেও ঠিক তেমনটাই থাকবে। আর তুই যদি অসতী হোস, তাহলে পৃথিবীর সমস্ত মেয়েই অসতী।” মালতি কোন কথা বলে না। কেবল রতনকে একবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। অন্ধকারের মধ্যে একজন নারী, একজন স্ত্রী হাঁটতে শুরু করে। নতুন আলোর সন্ধানে।
Parent