সম্পর্কের মায়াজাল --- ami_keu_noi - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-50870-post-5011718.html#pid5011718

🕰️ Posted on November 2, 2022 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 608 words / 3 min read

Parent
সম্পর্কের মায়াজাল পর্ব ০১ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আমার চারপাশে করার মত কাজ আমি খুঁজে পাইনা ইদানীং। পড়াশোনায় মেধাবী শুধু ঐ সারাজীবন মা-খালার মুখেই ছিলাম, যদিও খাতা-কলমে সেই প্রমাণ কখনোই মেলেনি। আর যে কাজে আমি ভালো নই সেটা শুধু গায়ের জোড়েই করে যাচ্ছি বলা চলে। বাবা-মা চান, তাই আমি পড়ি! সেটা নিজের ভবিষ্যতের জন্য কতটা কাজে লাগবে সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান, তবে সেই সন্দেহও প্রকাশ করতে হয় নিজের মনেই! পাছে বাবা-মা না আবার কি বুঝতে কি বুঝে হুলস্থূল কান্ড বাজিয়ে ফেলেন! একমাত্র সন্তান হবার এই এক যন্ত্রণা। আদর-যত্নের পাশাপাশি সব কিছুই বেশিই হয়ে থাকে এক্ষেত্রে। তবে আমি এখন অবশ্য সব কিছুই মেনে নেয়ার চেষ্টা করি! তবে কিছুদিন হল আমার মনে আমার ভবিষ্যতের চিন্তার চাইতে পকেট মানি নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে। ভার্সিটির ছুটি চলছে, তাই ভার্সিটি বন্ধ! প্রতিদিনের হাত খরচটা পাচ্ছিনা। যদি আবার বেশি হাতখরচ এবং অযথাই হাত খরচ কোন খারাপ নেশার কারণ হয় - এই ভয়ে মা-বাবাও যেন এই বিষয়ে পাই-টু-পাই হিসেব রাখছেন। তাই, সারাটা দিন প্যান্টের পকেট এক প্রকার খালিই থাকে বলা চলে। মাঝে মধ্যে প্রয়োজন হলে অবশ্য মা সেই প্রয়োজন মিটিয়ে দেন বা যা টাকা লাগে সেই টাকাটা দেন তবে তা পকেটে ওঠার আগেই দোকানদারের হাতে বা ফ্লেক্সিলোড ওয়ালার হাতে চলে যায় আরকি! যাই হোক, এভাবেই যখন দিন কাটছিল কোন রকম তখন একদিন এক বন্ধুর ফোন পেলাম... রাসেল, আমার ছোট বেলার বন্ধু, বেশ কাছের। রাসেল - মামা, তুই কি ইদানীং ফ্রি আছিস? আমি - কেন? কোন ট্রিপ প্ল্যান করছিস? রাসেল - না রে! আমাকে একটু অন্য ব্যাপারে সাহায্য করতে হবে! আমি - শুনছি... রাসেল এক নাগাড়ে বলতেই থাকে - আমি আসলে নানুর চিকিৎসার জন্য ওনার সাথে দেশের বাইরে যাচ্ছি। সব ঝামেলা মিলিয়ে এক মাসের মত আমি ব্যস্ত থাকব আর সে সময়টায় আমার টিউশন মিস যাবে। যদি আমি এক মাস টানা কামাই দেই তবে সবগুলো ছাত্রই আমার হাত থেকে ছুটে যাবে! আর এখন টিউশনির বাজার যা মন্দা মামা... কি বলব। আমি - আমাকে কি করতে হবে? কয়টা পড়াস? রাসেল - তিনটা পড়াই, দুইটা বাচ্চা, একজন ক্লাস ফাইভ আর একজন এইটে পড়ে। আর আরেকটা হচ্ছে তনিমা, ওকে শুধু ম্যাথটা দেখিয়ে দেই। সামনে ওর এসএসসি পরীক্ষা... এই এক মাসে ওর বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে গাইড লাইন না পেলে... এখানে বলে রাখা ভালো, তনিমা রাসেলের প্রেমিকা, অবশ্য এখন প্রেমিকার চাইতে 'গার্ল-ফ্রেন্ড' শব্দটাই ব্যবহার করা হচ্ছে যদিও আমি তাতে মাঝে মধ্যে এর ফলে 'ভালো মেয়ে বন্ধু' আর 'প্রেমিকার' মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলি। তনিমা আর রাসেলের সম্পর্ক প্রায় দুই বছর হতে চলল, ওরা ঘটা করে সেলিব্রেট করে ওদের অ্যানিভার্সারি (!) আর তাই এভাবে মনে রাখা আর কি...! আমি - বাচ্চাগুলোকে না হয় বুঝলাম, কিন্তু আমিতো ম্যাথে বরাবরই কাঁচা রে... রাসেল - ফাইজলামি বন্ধ কর! এসএসসিতে ম্যাথে প্লাস পেয়েছিলি তুই, আমি প্রায় ডাব্বা মারতে মারতে বেঁচে গিয়েছিলাম, মনে নেই? আর সত্যি কথা বলতে অন্য কারও হাতে ছাড়তে আমি রাজী নই! তুই ওকে গাইড দেয়া আর আমি ওকে গাইড দেয়া সমান কথা... তাই এই একটা মাস মামা... প্লিজ? বেটা, তিনটা টিউশনির টাকাইতো পাবি! তখন দেখবি মজা লাগবে... জানি লোভ দেখিয়ে আমাকে বাগে আনার চেষ্টা করছে ও তবে মনে মনে আমি তখন খুশী! যাক মাস শেষে চমৎকার অংকের টাকা আমার মানিব্যাগের শোভা বৃদ্ধি করবে! আর পড়াতে যাবার জন্য কিছু বেশ কিছু যাতায়াত ভাড়াও নেয়া যাবে আম্মুর কাছ থেকে। আমি - আচ্ছা ঠিক আছে, তুই ঠিকানা গুলো টেক্সট করিস আর বাকীটা আমি সামলে নিচ্ছি... চিন্তার কারণ নেই! রাসেল - আরে বেটা চিন্তা আমি আগেও করিনাই, আমি আন্টির কাছে তোর ভার্সিটি ছুটির খোঁজ নিয়েই তোকে কল করেছি! তুই মিথ্যা বললেও পার পেতি না বাছাধন... এভাবে ফোনে আরও কিছুক্ষণ কথা হল রাসেলের সাথে। বাচ্চাগুলোর সিলেবাস কতদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, কোন পর্যায়ে আছে - এমন কিছু তথ্যাদি নিয়ে রেখে দিলাম ফোন। স্কুলের লাইব্রেরীতে যেতে হবে। কিছু বই ধার করে আনা যাক, জীবনের প্রথম টিউশনি। বাচ্চাগুলো যেমন তেমন, তবে বন্ধুর প্রেমিকার কাছে লজ্জা পেতে রাজী নই আমি!!  
Parent