সংগৃহিত গল্পসমগ্র --- XOSSIP web archive - অধ্যায় ৩০৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-50991-post-5151434.html#pid5151434

🕰️ Posted on February 28, 2023 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 480 words / 2 min read

Parent
Heartful X! হৃদয় ভরা কামনা রাখাল হাকিম কতদিন পর পর ছোট খালাকে দেখবো। মনের মাঝে আলাদা একটা রোমাঞ্চতাই কাজ করছিলো আমার। যেমনি সুন্দর মিষ্টি চেহারা, ঠিক তেমনি মিষ্টি গেঁজো দাঁতগুলো আমাকে প্রচণ্ড পাগল করতো। তেমন খানিক স্বাস্থ্যবতী দেহটাও যেনো রসালো, আগুনে ভরা। সম্পর্কে ছোট খালা হলেও, আমার সম বয়েসী। মাত্র এক মাস এর বড়। সেই ছোট খালার সাথে আমার কত যে স্মৃতি! সেবার ছোট খালার স্বামী দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থেকে মৃত্যুবরণ করার পরই বুঝি ছোট খালাকে শেষ বার এর মতো দেখেছিলাম। তারপর কত বারই দেখতে যেতে চেয়েছিলাম। সময় করে নিতে পারিনি। একি, ছোট খালার এ কি চেহারা হয়েছে? দেহটা যেমনি শুকিয়ে পাট খড়ির মতো হয়ে গেছে, মুখটাও শুকিয়ে শুকনো খেজুর এর মতোই লাগে। বয়স তেত্রিশ হবে কি হবে না, অথচ হঠাৎ দেখলে মনে হয় চল্লিশোর্ধ কোন নারী। যে চেহারাটাতে শুধু মাধুর্য্যতাতে ভরা ছিলো, সেই চেহারায় খনিক বার্ধক্যের ছাপ। যে দেহটা ভরা যৌবন টই টম্বুর করতো, সেখানে যেনো চৈত্রের শুকনো মাটির মতোই খা খা করছে। নিজের চোখকেই আমি বিশ্বাস করাতে পারলাম না। এ কি সত্যিই আমার ছোট খালা? যাকে একটিবার দেখার জন্যে আমি পাগল হয়ে ছিলাম। ছোট খালা আমাকে তার শোবার ঘরেই নিয়ে গেলো। বিছানায় উবু হয়ে ঘাড়টাআমার দিকে ঘুরিয়ে বললো, খোকা, ওসমানও মারা গেলো দীর্ঘদিন। মেয়েরাও বড় হয়েছে। একটা মিথ্যে পরিচয়ে মেয়েরা আর কত বড় হবে। আমার মনে হয় সত্যিটা এখন ওদের বলা উচিৎ। আমি অপ্রস্তত হয়েই বললাম, না মানে, এতটা বছর পর, ওদের বললেই ওরা মেনে নেবে? তা ছাড়া ছোট কাল থেকেই জানে তুমি আমার খালা, আর আমি ওদের খালাতো ভাই। ছোট খালা বললো, কিন্তু আমার মনে যে সব সময়ই একটা অপরাধ বোধ কাজ করে। ওসমানকেও সারা জীবন শুধু ঠকিয়ে গেলাম। আর কত? তোমারও কি নিজ সন্তান বলে নদী আর বর্ষাকে বুকে টেনে নিতে ইচ্ছে করে না? আমি নিজেও জানি, ছোট খালার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের গোপন সম্পর্ক। তারই ফসল হলো বড় মেয়ে নদী, আর ছোট মেয়ে বর্ষা। অথচ, পৃথিবীর সবাই জানে, ওরা আমার খালাতো বোন। নদী আর বর্ষাও আমাকে ভাইয়া ডেকে ডেকে যান দিয়ে দেয়। অথচ, মুখ ফুটিয়ে কিছুতেই বলা সম্ভব হয় না, আমি ওদের বাবা। আমি বললাম, করবে না কেনো? কিন্তু, সামাজিক সংস্কার এর কারনে তো, অনেক কিছু করাই সম্ভব না। ছোট খালা উঠে বসলো। বললো, সমাজ এর দোহাই দিয়ে কি নিজ সন্তানদের মেনে নেবে না। মেয়েরা সত্যিকার এর বাবার আদর থেকে বঞ্চিত থাকবে? আমি বললাম, তা কেনো থাকবে? সব কিছুই তো মনের উপরই নির্ভর করে। নদী আর বর্ষার প্রতি তো আমার মমতার কমতি নেই। কোথায় ওরা। ছোট খালা বললো, নদী এখনো কলেজ থেকে ফেরেনি। বর্ষা তো স্কুল থেকে ফিরেছিলো। চঞ্চল একটা মেয়ে। আবার কোথায় খেলতে বেড়িয়েছে কে জানে?   আমি উঠানে এসেই দাঁড়ালাম। দেখলাম বর্ষা আপন মনে দোলনা চরছে। আমি পেছন থেকেই ডাকলাম, বর্ষা? বর্ষা দোলনাটা থামিয়ে অবাক হয়েই পেছন ফিরে তাঁকালো। মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিয়েই বললো, ভাইয়া! কখন এলে? বর্ষার ডাক শুনে আমার বুকটা হু হু করে উঠে। এ কেমন জীবন আমার। নিজ মেয়ের কাছে বাবা বলে পরিচয় দিতে পারি না। বুকে টেনে নিয়ে আদর করতে পারি না। আমি বললাম, এই তো, একটু আগে।
Parent