সংগৃহিত গল্পসমগ্র --- XOSSIP web archive - অধ্যায় ৩০৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-50991-post-5151485.html#pid5151485

🕰️ Posted on February 28, 2023 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 610 words / 3 min read

Parent
বর্ষা দোলনাটা থেকে আমার দিকে চষ্ণলা পায়ে ছুটতে ছুটতেই এগিয়ে আসতে থাকলো। বর্ষাও অনেক বড় হয়েছে। এবার বুঝি ক্লাশ নাইনে উঠেছে। বুকটা অসম্ভব উঁচু হয়ে উঠেছে। নিমাটার ভেতর থেকে চমৎকার করে দোলছিলো। চেহারাটাও পেয়েছে ঠিক ছোট খালারই মতো। হাসলে চক চক করা দাঁত গুলো দেখলে ঠিক ছোট খালার মতোই মনে হয়। দাঁতগুলোর দু পাশে ছোট খালার মতোই গেঁজো। খুবই ইচ্ছে করে, নিজ মেয়ে হিসেবে বুকে জড়িয়ে ধরি। অথচ, বর্ষা আমার কাছাকাছি এসে মেটালিক পোলটা ধরে দাঁড়িয়ে, আহলাদ করেই বললো, এক সংগে খেলবে, ভাইয়া? বর্ষার মুখে ভাইয়া ডাকটা খুব কষ্টই দেয় আমাকে। তারপরও আমি নিজেকে স্বাভাবিক করে নেবারই চেষ্টা করি। বললাম, ঠিক আছে, চলো। কি খেলবে? বর্ষা ভাবতে থাকে। তারপর বলে, লুকুচুরি খেলা। আমি কোথাও লুকাবো, তুমি আমাকে খোঁজে বেড় করবে। আবার তুমি লুকাবে, আমি তোমাকে খোঁজে বেড় করবো। বর্ষার কথায় হঠাৎই আমি বোকা বনে গেলাম। বর্ষার মতো এমন একটা বয়সে, বন্ধুদের সাথে আমিও কত লুকুচুরি খেলা খেলেছি। অথচ, সময়ের ব্যবধানে সেসব দিনগুলোরকথা অনেক আগেই ভুলে গেছি।পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্যেইতো মানুষ। খুব স্বাভাবিক নিয়মেই বোধ হয়মানুষের মন বদলে যায়, পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নেবার জন্যে। বর্ষার সাথে কথা বলতে গিয়ে, আমার মনটাও কেমন যেনো তারুণ্যেইফিরে যেতে থাকলো। আমি খুব আগ্রহ করেই বললাম, ঠিক আছে, চলো।বর্ষাওখুব খুশী হয়ে বললো, ঠিক আছে, তাহলে আমি প্রথমে লুকাই। মানুষ যে কোন পরিবেশের সাথেই খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে ঠিকই। তবে, মানুষের পক্ষেসবকিছুই পারা বোধ হয় খুব সহজ না। বর্ষার সাথে থেকে থেকে, আমিও নিজের বয়সটাকে, তারবয়সের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাইলাম ঠিকই, অথচ খুব সহজে তা পারছিলাম না। মানুষ ইচ্ছেকরলে অনেক কিছুই করতে পারে। তাই বলে তো আর নিজের বয়সটাকে কমিয়ে ফেলতে পারেনা। ছোট খালার বাসাটাই বা কত বড়, সামনে পেছনমিলিয়ে উঠানটাই বা কতটুকুই আর! মোহনা আমাকে চোখ বন্ধ করতে বললো। আমি চোখ বন্ধকরতেইছুটে গিয়ে কোথায় পালালো, আর কোথায় লুকালো, কিছুই অনুমান করতে পারলাম না। তাই, প্রথমে তাদের বাসার ভেতর গিয়েই ঢুকলাম। তারপর, প্রথমেই ঢুকলাম বসারঘরে। বসার ঘরটাও খুব বেশী বড় নয়। আসবাব পত্রবলতে, সোফা খাট টেবিল, আর শোকেইস। মিছে মিছিই সোফার নীচটা আর খাট টেবিলে নীচে খোঁজলাম। ওপাশের নদী আর বর্ষার শোবার ঘরটাতেও খোঁজলাম। তারপর, এগিয়ে গেলাম ছোট খালার শোবার ঘরেও। ছোট খালা অবাক হয়েই বললো, কি খোকা, এমন করে কি খোঁজছো? আমি বললাম, না মানে বর্ষা লুকালো। কিন্তু কোথায় লুকালো, খোঁজেই তো পাচ্ছি না। ছোট খালা মুচকি হেসেই বললো, আসতে না আসতেই মেয়ের সাথে ভাব জমিয়ে ফেললে? তারপর, জানালা দিয়ে তাঁকিয়ে বললো, বর্ষাকে খোঁজছো এখানে? তাহলে ওটা কে? আমিও জানালা দিয়ে বাইরে তাঁকালাম। বুকটা ফুলিয়ে উঁচু করে জয় এর একটা গর্বিত মন নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে বর্ষা। খিল খিল হাসিতেই বলতে থাকলো, পারলে না, পারলে না। আমি আবারো বেড়িয়ে আসি উঠানে। বর্ষার কাছাকাছি এসে বলি, দুষ্টু মেয়ে, কোথায় লুকিয়েছিলে? বর্ষা আহলাদী গলাতেই বললো, না, বলবো না। আবারো যদি ওখানে লুকাই, তাহলে তুমি খোঁজে বেড় করে ফেলবে। এবার তোমার পালা। এই বলে, বর্ষা চোখ বন্ধ করে, এক থেকে একশ গুনতে থাকলো। আমি কোথায় লুকাবো, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাড়ীর পেছনে, নাকি গাছটার উপরে? না, না, গাছে উঠলে তো বর্ষা চোখ উপরে তুললেই দেখে ফেলবে। আমি পেছনের উঠানে নীচু মাচাটার নীচে গাছ গাছালীর আড়ালেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রইলাম। দূর থেকেই শুনলাম, বর্ষার গুনা শেষ। বলছে, গুনা কিন্তু শেষ। এখন খোঁজতে শুরু করবো। আমি মাচাটার তলা থেকে, গাছের পাতার আড়াল থেকেই দেখছিলাম। বর্ষা হন্যে হয়ে এদিক সেদিক আমাকে খোঁজে বেড়াচ্ছে। সামনের উঠান থেকে এ পাশটা দিয়ে, পেছনের উঠানেই আসছে। চোখ দুটি উপরে তুলে তুলে, গাছের ডাল গুলোও ভালো করে দেখছে। যখন ছুটছিলো, তখন অবাক হয়েই দেখলাম, নিমাটার ভেতর থেকে বর্ষার সু উন্নত হয়ে উঠা দুধগুলোও চমৎকার করে দোল খাচ্ছিলো। এই কয়দিনে অনেক বড় হয়ে গেছে বর্ষা। দুধগুলোও অসম্ভব রকমেই বড় হয়ে উঠেছে। খুব চমৎকার লাগছিলো তাকে, যখন দুধগুলো দোলছিলো। আমি যেনো বর্ষার চমৎকার চেহারা, সুন্দর ঠোট আর সুদৃশ্য সুডৌল বক্ষই শুধু উপভোগ করছিলাম লুকুচুরি করে! হঠাৎই আমার সম্ভিত হলো, এ কি দেখছি আমি? বর্ষা তো আমার নিজের কন্যা।
Parent