সংগৃহিত গল্পসমগ্র --- XOSSIP web archive - অধ্যায় ৫১৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-50991-post-5194781.html#pid5194781

🕰️ Posted on April 6, 2023 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 448 words / 2 min read

Parent
এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব টেলিফোনটা হাতে নিয়ে কাকে যেন কল করল, ওই প্রান্তে রিসিভ করলে এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব বলতে লাগল, আর ডি সি সাহেব আজকে বদলীর যে ফাইল টা রেডি করছ তাতে আরো দুজনের নাম লেখে নাও, তাদের দুজনকে সন্ধীপ পোষ্টিং করে দাও। এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম বদলীর অফিস গুলোর নাম আরডিসি কে বলে দিল। এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব এই রেজিষ্টার সেই রেজিষ্টার দেখে প্রায় দেড় ঘন্টা পর অফিস ত্যাগ করল। এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব চলে গেলে তহসিলদার সাহেব নাহিদাকে বকাবকি শুরু করল, দশটা পর্যন্ত আসনাই যখন আজকে আর না আসতে। আমিতবলেই দিয়েছিলাম তুমি আমার কাছে ছুটি নিয়েছ,ছুটির কথা শুনে এ ডি সি (রেভিনিউ) স্যার কিছুই বলেনি। যদি না আসতে তুমিও বাচতে আমিও বাচতাম। এসেইত বিপদে ফেলে দিলে। এখন তোমার ঠেলা তুমি সামলও , আমি আমারটা সামলাতে পারব। নাহিদা তহসিলদারের কথা শুনে কেদে ফেলল, বকাবকির কারনে নয়, সন্ধীপ বদলীর সম্ভবনার কারনে। ভীষন দুশ্চিন্তা তাকে আকড়ে ধরল। সারাদিন কারো সাথে কোন কথা বললনা। কিভাবে যাবে সন্ধীপ, কোথায় থাকবে, একেত মহিলা মানুষ, তাছাড়া মেয়ে দুটিকে কোথায় রেখে যাবে? নাহিদা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেল। বাসায় গিয়ে মেয়ে দুটিকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেলল, মেয়েরা কিছুই বুঝতে পারলনা। নাহিদার মা জানতে চাইল, কি হয়েছে। নাহিদা সব খুলে বললে মাও ভীষন চিন্তায় পরে গেল। তবুও মা আশ্বাস দিয়ে বলল, বদলীটা ঠেকাতে পারিস কিনা চেষ্টা করে দেখ, না পারলেত যেতেই হবে, চাকরোত করতেই হবে। তোর মামাকে বলে দেখিস সে কিছু করতে পারে কিনা। মামা নাহিদার কথা শুনে এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম এর সাথে যোগাযোগ করল, কিন্তু এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব্ তার সিন্ধান্তে অটল। মামা ব্যর্থ মনোরথ হয়ে নাহিদাকে তার ব্যর্থতার কথা জানিয়ে দিলে নাহিদা আবার চরম কান্নায় ভেংগে পরল। মামা শেষ পর্যন্ত তহসিলদারের মাধ্যমে কিছু করার পরামর্শ দিল। নাহিদা পরের দিন অফিসে এসে তহসিলদারের সরানাপন্ন হল, এবং মামার ব্যর্থতা জানাল। তহসিলদার সাহেব জানালেন আমি গতকাল সন্ধ্যায় স্যারের সাথে দেখা করেছি, এবং বিশ হাজার টাকা এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব হাতে হাতে পে করেছি, আমার ট্রন্সফার হবেনা, তুমিও দেখা করে কিছু করতে পার কিনা দেখ। আমি কিভাবে দেখা করব, তা ছাড়া এত বড় অফিসারের সাথে দেখা করতে আমার ভয় করে। তোমার ভয় করেলে আগামী কাল অফিস শেষে আমার সাথে যেতে পার। নাহিদা পরেরদিন অফিস শেষে তহসিলদারের সাথে যাওয়ার সম্মতি জানাল। নাহিদা যখন এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম এর অফিসে পৌছল তখন বিকেল সাড়ে পাচটা, এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব যথারীতি অফিসে একটা ফাইলের উপর গভীর মনোযোগের সাথে চোখ দৌড়াচ্ছে। সামনে একটা লোক বসা, সম্ভবত ফাইল্টা ঐ লোক্টারই। লোক্টা এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব কে একটা পেকেট দিলে এ ডি সি (রেভিনিউ) জাফর আলম সাহেব খুশিতে গদগদ হয়ে লোক্টাকে একটা ধন্যবাদ জানাল, আর বলল, চলে যান আপনার ফাইল কালকেই চলে যাবে।
Parent