ST Sex (এস টি সেক্স) - কামদেব ২০১৬ রচিত - অধ্যায় ৩১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-41356-post-3812211.html#pid3812211

🕰️ Posted on October 11, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 357 words / 2 min read

Parent
ফলতঃ প্রাণকৃষ্ণবাবু তার বাড়ি এবং জমির খদ্দের পেলেন না। অবশেষে তিনি শরণাপন্ন হলেন অগতির গতি লাল্টু চৌধুরির। ঠিক এটাই লাল্টু চাইছিলো। অনেকদিন তেল মেরেছিলেন বুড়োটাকে, জেদ ধরে বসেছিলো মালটা। বলে কি না পৈত্রিক ভিটে, এখন দে বোকাচোদা, পৈত্রিক ভিটে লাল্টুর ভোগে। লাল্টু একটু লেজে খেলালেন বুড়োটাকে, যেন তার কোনো আগ্রহই নেই জমিটার সম্পর্কে। অবাক হলেন প্রাণকৃষ্ণ, এই সেদিনও তো লাল্টু তার কাছে ধর্ণা দিয়ে পড়ে থাকতো। কি আর করা যাবে। ঝোপ বুঝে কোপ মারছে সবাই। বিক্রী না করে ফেলে রাখলে এমনিতেই ধ্বংসস্তুপে পরিনত হবে, জবরদখল হয়ে যাবে, তখন আর কিছুই পাওয়া যাবে না। শেষকালে লাল্টুর হাতে পায়ে ধরে, জলের দরে জমি-বাড়ি বিক্রি করে হাঁপ এবং পাড়া ছেড়ে বাঁচলেন। এক ঢিলে প্রথম পাখী মারা হলো লাল্টুর, কিন্তু দ্বিতীয় পাখিটা মারতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক আছে, অপেক্ষা করবে লাল্টু। সুচরিতার ডাঁশা যৌবনটার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করা যায়। প্রাণকৃষ্ণর জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের দিনই ভিতপূজো করালেন সেখানে। তৈরী হবে দক্ষিণ শহরতলীর প্রথম শপিং মল, “হাটে-বাজারে”। নিমন্ত্রন করেছিলেন পার্টির অনেকে নেতাকেই, পুজোপাঠের সময় যদিও তারা অনুপস্থিত ছিলেন, কিন্তু দুপুরের পেটপুজো এবং রাতের চ্যাটপুজোর মহফিলে কেউই আসতে ভুললেন না। প্রাণকৃষ্ণর বাড়ীর একতলায় দুটো দোকানঘর এবং একটা এককামরার ফ্ল্যাটে সুচরিতারা ভাড়া থাকতো। দোকানদার দুজনকে বাসস্ট্যান্ডের কাছে হকার স্টল পাইয়ে দিলেন এবং সুচরিতাকে আশ্রয় দিলেন তারই প্রমোটিং করা বিল্ডিং-এ ছাদের উপরের একটি ফ্ল্যাটে। স্যাংসন্ড প্ল্যান-বহির্ভূত বেআইনিভাবে বানানো এই ফ্ল্যাটটি বিক্রী করা যাচ্ছিলো না। ফলে লাল্টুর কোনো ক্ষতি হলো না; দয়াকে দয়াও দেখানো হলো আবার পকেট থেকেও কিছু খসলো না। সদ্য বাস্তুহারা সুচরিতা মাথার উপর ছাদ পেয়ে লাল্টুর উপর দারুন কৃতজ্ঞ হয়ে পড়লো। কিন্তু সুচরিতার কৃতজ্ঞতার জন্য আরো কিছু বাকি ছিলো। শৌভিক সরকারের পত্রিকা গোষ্ঠীর সাথে পার্টির সম্পর্ক কখনোই মধুর ছিলো না। বর্তমানে তা চরম সংঘাতের রাস্তা নিয়েছে, কারন তার পত্রিকা গোষ্ঠী খুব খোলাখুলি বিরোধী দলের যুবনেত্রীকে সমর্থন জানানোয়। সম্প্রতি যুবনেত্রী মায়া চ্যাটার্জির এক আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুবকর্মীর হত্যা নিয়ে বিরাট তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে শৌভিক বাবুর পত্রিকাগোষ্ঠী। এমতাবস্থায় পার্টির এক রাজ্যস্তরের নেতার চিঠি যোগাড় করে লাল্টু প্রফেসর রতিকান্তকে নিয়ে হাজির হলেন স্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক সমুদ্র বোসের কাছে। কথাবার্তা যা বলার রতিকান্তই বললেন। কারণ এসব স্স্সংস্স্স্কৃতি জগতের লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে লাল্টুর জিভকে সাড়ে তিন বছর ধনুরাসন করতে হবে। রতিকান্ত সমুদ্র বোসকে অনুরোধ করলেন শান্তনুর বিরুদ্ধে কেস তুলে নিতে।
Parent