ST Sex (এস টি সেক্স) - কামদেব ২০১৬ রচিত - অধ্যায় ৩৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-41356-post-3818090.html#pid3818090

🕰️ Posted on October 12, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 333 words / 2 min read

Parent
প্রায় দেড় বছর ঘরে বসে মাইনে পেয়ে যখন অধৈর্য্য হয়ে উঠছিলেন ওহিদুল, খবর পেলেন যে সব নেতার নিকটাত্মীয়দের ধরেছিলেন, তাদের সবাই সাক্ষী এবং প্রমাণাভাবে বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছে। সেইসব কেস যে সকল অফিসার তদন্ত করেছিলেন, তাদের পদোন্নতি অথবা বাড়ীর কাছে মালাইদার পোস্টিং হয়। ওহিদুল বুঝতে পারলেন জলে বাস করে কুমীরের সঙ্গে ঝগড়া করা যায় না। অবশেষে তিনি এক বন্ধুর সাহায্যে নিজের জেলা মুর্শিদাবাদের, এক বিরোধী দলের নেতাকে গিয়ে ধরলেন। বিরোধী দলের হলেও শাষক দলের সঙ্গে ভালই সখ্যতা আছে তার। শুধু তারই নয়, বিরোধী দলের অনেক নেতাই শাষক দলের সঙ্গে বোঝাপড়া রেখে চলতেন, এটা সমর্থকরা বুঝতে পারে না। নীচুতলার সমর্থকদের মধ্যেই মারামারি-কাটাকাটি হয়, নেতাদের মধ্যে কিন্তু গলাগলির সম্পর্কই থাকে। যাই হোক, সেই নেতাকে ধরে, একরকম মুচলেকা দিয়ে, অবশেষে ওহিদুল পোস্টিং পেলেন; নিজের জেলায় নয়, কলকাতা শহরতলীর মাধবপুর থানায়। শিক্ষিত মধ্যবিও এলাকা, পকেটমারি, ছিনতাই, ইভ-টিজিং-এর মতো পেটি কেস ছাড়া কিছুই নেই। এলাকায় একটি এলিট বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানে ড্রাগ পেডেলিং হয়; এছাড়া কয়েকটি বস্তি এলাকায় অবৈধ চোলাই-বাংলা মদের ঠেক এবং সাট্টার ঠেক আছে। ড্রাগ পেডেলিং-এর সঙ্গে জড়িত আছে অনেক রাঘব-বোয়াল এবং চোলাই-বাংলা এবং সাট্টার ঠেক থেকে পুলিশ-পার্টি-লোকাল ক্লাবগুলো প্রসাদ পায়, তাই জয়েনিং-এর সময়ই ওহিদুলকে স্ট্রিক্টলি বারণ করে দেওয়া হয়ছিলো, ওই ব্যাপারে না চুলকাতে, না হলে বড়ো ঘা হয়ে যাবে। সে চোখ বুঁজে থাকতো। ঠেকগুলো থেকে যা আমদানি হয়, তার অধঃস্তন কর্মচারীরা ভাগাভাগি করে নেয়, সে নিজে ছুঁয়েও দেখে না। তারা ওহিদুলকে পেছনে গান্ডু বলে ডাকে। চরম হতাশচোদা অবস্থায় ওহিদুল চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করলেন। এই রকম সময়ে এলাকার মুকুটহীন সম্রাট লাল্টু চৌধুরির ফোন পেয়ে খুবই অবাক হলেন ওহিদুল। লালটু তাকে জানালেন একদল উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক মত্ত অবস্থায় ইউনিভার্সিটির একজন স্বনামধন্য প্রফেসরের বাড়ীতে চড়াও হয়ে লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এর পিছনে রাষ্ট্রবিরোধী অতিবাম একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদত আছে। ডান-বাম- অতিবাম কোনো রাজনীতিই ওহিদুল বোঝে না। কিন্তু সে এটুকু বুঝলো এক বৃদ্ধ শিক্ষিত ভদ্রলোক আক্রান্ত, তাকে বাঁচাতে হবে। এটাই একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে তার কর্তব্য। এক বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিলেন। যেতে যেতে তিনি ভাবছিলেন, পার্টির লোকাল কমিটির নেতা কেনো তাকে সরাসরি ফোন করলেন? সাধারনত এনারা তার মতো ছোটখাটো অফিসারকে পাত্তাই দেন না। তাহলে কি …………..
Parent