আব্বার তালাক দেওয়া বউকে বিয়ে করলাম। - অধ্যায় ৪৮
ফুফু- একটু রাগী গলায় বলল ঠিক আছে ভাবী আসলে তুমি তোমার কাছে রেখ আর দুধ খাইও কেমন বাচ্চা ছেলে বলে কথা। ও তোমার একার তো আমার কেউ না তাইনা। তুমি খুব স্বার্থপর ভাবী, মনে পরে কিছুদিনের আগের কথা, কে তোমার এই সংসার করে দিয়েছি এই আমি বুঝিয়ে সুঝিয়ে ছেলেকে তোমার কাছে রেখে গেছিলাম আমি। আর আজকে তুমি আমাকে বিশ্বাস করনা।
আম্মু- সে বিশ্বাস আছে বলে তোমার সাথে পাঠাচ্ছি, কিন্তু ওর বাপ তো ভালনা সেই ভয় আমার কোথায় আবার ছেলেকে আটকে দেয়।
ফুফু- ভেবনা ভাবী তোমার ছেলে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব আমি।
আম্মু- ঠিক আছে উঠে এবার যাও তোমরা, কতকিছু ভেবেছিলাম ছেলে আসবে দুজনে খাবো গল্প করব তারপর ঘুমাবো, আমার জীবনে সুখ নেই আর ছেলেটারো নেই, যা বাজান যা তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস তোমার মা তোর জন্য বসে থাকবে।
আমি- আচ্ছা মা তুমি বিছানা রেডি করে রাখবে আমি চলে আসবো তাড়াতাড়ি, আর যদি দেরী হয় চিন্তা করবা না। চলো ফুফু আমরা যাই বলে দুজনে বের হলাম একদম অন্ধকার মাঠের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। দুজনে হাটা শুরু করলাম।
ফুফু- হাটতে হাটতে বলল তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে তারজন্য তোকে নিয়ে এলাম, তোর আব্বা নালিশ করেছে আমাকে।
আমি- কি কথা কি নালিশ করেছে আব্বা।
ফুফু- আমাকে বলেছে তোর আম্মাকে টাইট তাইট পোশাক পড়িয়ে নিয়ে ঘুরে বেরাস লোকে নালিশ করেছে এ দেখতে ভালো দেখায় না, আগে নিয়ে গেছিস আবার আজকে নিয়ে গেছিস ওইরকম পোশাক পড়িয়ে এ কি ঠিক তোর আম্মু না।
আমি- বললাম আমার আম্মু ওনার তো এখন কিছুনা তালাক দিয়ে দিয়েছে তো ওনার চোখে লাগছে কেন তুমি বলত ফুফু, আম্মা তো আমার। আমার আম্মুকে আমি কেমন পোশাক পরাবো সেটা আমার ব্যাপার। তোমাদের জ্বলছে কেন, আমার তো আম্মুর সখ পুরান করার ইচ্ছে আম্মু চেয়েছে আমি কিনে দিয়েছি নিজে কামাই করে। এতে তোমাদের সমস্যা কেন হচ্ছে আম্মু তো আমার, দেখি তাকে আমি আর কেউ তো দেখে না।
ফুফু- তোর আম্মুকে তুই ওইভাবে দেখবি, চাপা প্যান্ট মানে ওই যে কি পড়েছিল যেন লেজ্ঞিন্স না কি আর টাইট কুর্তি, তোর আব্বা বলছিল সব দেখিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তুই এইসব দেখতে ভালোবাসিস নাকি আম্মুর।
আমি- না ভালো লাগার কি আছে আমার আম্মু কম কিসে, আব্বার পছন্দ হয়নি বলে তো তালাক দিয়েছে তাই না। এখন দেখে ছট ফট করছে তাইনা। পুরানো বউকে এখন ভালো লাগছে তাই না ওইভাবে দেখার পর। কি একথা বলেনি তোমাকে।
ফুফু- কি বলব আমি তোর আব্বা তো আবার ফিরিয়ে নিতে চায় তোর মাকে। এখন তারকাছে তার আগের বউ ভালো।
আমি- সে আর কোনদিন হবেনা, তোমরা আবার আমার মায়ের হালালা করতে চাও তাইনা। সে সুযোগ আর কোনদিন তোমাদের দেব না আব্বা আর কোনদিন আম্মাকে পাবেনা, আম্মা আমার আমার কাছে থাকবে।
ফুফু- আমি বুঝি তোর রাগ বাইরের কাজ ছেরে চলে এসেছিস যা জমানো ছিল সব শেষ হয়ে গেছে আর কম টাকা তো তোর আব্বাকে দিস নি, তবে ভাবীকে তুই ভাল রেখেছিস দেখে আমার খুব ভাল লাগছে কিন্তু উনি তোর আব্বা তো, একটা ভুল করেছে কি করবি দেখ। তাছাড়া ভাবীকে অমন ভাবে নিয়ে ঘুরে বেরাস ওনার পছন্দ না ওনার।
আমি_ অনাকে দেখতে কে বলে আম্মা তো আর ওনার বউনা এখন তো এত জ্বালা কেন ওনার। আম্মা ওগুলো পড়লে খুব খুশী হয় তাই তো আমি কিনে দিয়েছে, যদিও আম্মা চায় নাই তবুও আমি এনে দিয়েছি বলে পরে আর দেখছ আম্মাকে কেমন লাগে আম্মাকে নিয়ে বের হলে অনেকেই তাকিয়ে থাকে আমি দেখেছি।
ফুফু- আমিও তাই বলতে চাইছি, তোর মায়ের দিকে লোকে তাকায় তোর খারাপ লাগেনা।
আমি- না কেন লাগবে আমার আম্মা দেখার মতন বলেই তো লোকে দেখে কেউ তো ধরতে তো পারছেনা আর কিছু বলতেও পারবেনা।
ফুফু- সামনে না বললেও পেছনে বলে।
আমি- বলে বলুক আমার আম্মা যাতে খুশী আমিও তাতে খুশী। আমাকে এই নিয়ে কথা বলে লাভ নেই।
ফুফু- শুধু তো মাকে কিনে দিসা আমরা কি তোর কেউ না আমাদের কবে কিনে দিবি বল। আমার ও তো ইচ্ছে করে অমন কিছু পড়তে তা আমাকে কিনে দিবি না, আমি কি তোর আম্মা থেকে কম আপন ফুফু আবার তোর আব্বার বোন আমি। আমার ফিগার তোর আম্মুর থেকে খারাপ নাকি তুই বল। তোর ফুফা মারা গেছে অনেকদিন হল। তোর আম্মা আর আমি একরকম অভাগী, তাকে তালাক দিয়েছে আর আমাকে ফেলে রেখে পরপারে চলে গেছে।
আমি- আচ্ছা ফুফু তো আবার কাছে জাবোনা কিসের জন্য আমাকে নিয়ে এলে, এত আস্তে হাটলে কখন পোউছাবো আমরা আমাকে ফিরতে হবেনা।
ফুফু- কি হয়েছে জাইনা গল্প করতে করতে তোকে তো কোনদিন কাছে পাইনি আজকে একা পেলাম তাই আস্তে আস্তে জাইনা কি হয়েছে আমার সাথে চলতে তোর অসবিধা আছে নাকি।
আমি- আরে না আম্মা একা একা বসে থাকবে দেখলে না বলল তাড়াতাড়ি যেতে এত দেরী হলে আম্মা তো ঘুমিয়ে পরবে।
ফুফু শুধু আম্মাকে ভালবাসিস আমাদের একদম ভালবাসিস না তুই কেমন হয়ে গেছিস, আগে বাড়ি আস্লেই আমার বাড়ি জেতি কিন্তু এইবারে একবারের জন্য গেলি না। তোর আব্বা তবুও খোজ নেয় কিন্তু তুই একদম খোজ নিস না।
আমি- আরে না দেখলে তো কেমন ধকল গেল আমার সব তুমি জানো তবুও তুমি এমন কথা বলছ।
ফুফু- হুম সে তো বুঝি কিন্তু আম্মাকে তো সাজিয়ে রেখেছ সেসময় তো কিছুর কম থাকেনা আমাদের বেলায় কিছু না। বল্লিনাত আমাকে কিনে দিবি কিনা। তোর আম্মাকে কি কি কিনে দিয়েছিস আমি তো দেখি নাই শুনেছি তাও আবার তোর আব্বার কাছ থেকে। কি কি কিনে দিয়েছিস বলনা আমাকে।
আমি- কি আবার ওই একটা কুর্তি আর লেজ্ঞিন্স তাছাড়া কি দেব।
ফুফু- আমাকে বলছিস না তোর মা তো আজকে ভালই ব্লাউজ শাড়ি পরে ছিল তচারা ভেতরেও তো পড়া ছিল সে গুলো কে কিনে দিয়েছে।
আমি- সবই আমি কিইনে দিয়েছি আম্মুকে আর কে কিনে দেবে আব্বা তো আগেও দিত না বলে আম্মা কত আখেপ করেছে তাই আমি কিনে দিয়েছি ইদের সময়।
ফুফু- ও তাই বল তা তুই মাপ জানতি তোর মায়ের যে কিনে আনলি।
আমি- হুম আমি আম্মুর ব্লাউজ দেখে গেছিলাম লেখা ছিল পাশে।
ফুফু- বাজে কথা ব্লাউজে মাপ লেখা থাকেনা থাকে তো ভেতরের টায় তোর আম্মু আগে পরত ভেতরে। এখন তো পড়া দেখলাম কতসুন্দর সেজে গুজে বসে ছিল আমি এসে দেখেছিলাম।
আমি- আরে আমি ব্লাউজ তেপ দিয়ে মেপে নিয়ে গেছিলাম না না আম্মুর একটা পুরানো ব্লাউজ নিয়ে গেছিলাম আম্মুকে না বলে।
ফুফু- তাই বল না হলে মাপের হয় কি করে, কত্রে তোর আম্মুর মাপ।
আমি- ৩৮ সাইজের এনেছিলাম আম্মুর লেগে গেছে একবারেই।
ফুফু- তোর আম্মুর আর আমার মাপ একই বুঝলি। তো আমাকে কিনে দিবি তো।
আমি- আচ্ছা দেব এবার চল বাড়ির দিকে যাই আর দারিয়ে কথা বলা ঠিক হবেনা এই মাঠের মধ্যে কেউ দেখলে কি ভাববে।
ফুফু- এদিক দিয়ে জল কাদা হতে পারে চল পুকুর পার দিয়ে যাই, যদিও অন্ধকার তবুও। পুকুর পার দিয়ে যাই আর এ রাস্তায় রাতে কেউ আসেনা অন্ধকার বলে।
আমি- আচ্ছা চল বলে পুকুর পার দিয়ে গেলাম আমাদের পুরানো বাড়ি। গিয়ে দেখি আব্বার বাড়ি নেই। কোথায় গেছে কেউ বলতেও পারল না।
ফুফু- বলল তবে আর কি চল আমারা বেড়িয়ে পরি ভাইজান যখন বাড়ি নেই। কালকে দেখা যাবে রাতে বসা ঠিক হবেনা। তোর ছোট মা তো চলে গেছে আজ কয়দিন হল। তার চিন্তায় তোর আব্বা পাগল হয়ে গেছে কোথাও গেছে মনে হয়। কখন আসবে তার ঠিক নেই তার থেকে চল আমাদের বাড়ি মাঠ দিয়েই যাবো একটু সময় লাগবে তো কি হয়েছে।
আমি- চল তাহলে বলে দুজনে বেরিয়ে পড়লাম আর হাটতে শুরু করলাম। আর বললাম আব্বা আবার আমাদের ওখানে যায়নি তো, আম্মুকে কালকে ফোন করেছিল আম্মু বলেছিল।
ফুফু- বলল যেতে পারে বউর জন্য এখন পাগল উনি। তালাক দিলেও তুই তো পরনা ওনার আপন ছেলে তুই, তোর কাছে জেতেও পারে।
আমি- না ফুফু আমিও বুঝি আম্মকে অনেক কিছু বলেছে আম্মু তো ওনাকে দেখতে পারেনা, কি আবার করে বসে ঠিক আছে আমি বাড়ি নেই। না আমি যাই তুমি যাও একা একা।
ফুফু- আরে না কিছুই হবেনা তোর বাপ তো ভয় করছিস কেন আর আমাকে ফেলে যাবি এভাবে, আমার ভয় করে যদি রাস্তায় কেউ থাকে আমাকে একা পেয়ে না না তুই আমাকে দিয়ে তারপর যাবি। আর যদি যায় তো তার বউর কাছে গেছে তোর ভয় কিসের।
আমি- না তালাক দেওয়া বউর কাছে কেন যাবে, উনি যেতে পারবেনা, এখন আম্মু শুধু আমার ওনার কেউ না।
ফুফু- বলল পাগল ছেলে তালাক দিয়েছে অনেকদিন হল, তোর আম্মু তো একা তাইনা, ওর ও তো কষ্ট হয় একা একা থাকে, আমাদের ওদের নিয়ে ভেবে লাভ নেই, তোর আব্বা তালাক দিলেও তুই তো আম্মুকে কাছে রেখেছিস তাইনা। তোর মা মানে তার বউ ভাবিস না তো। আয় বলে আমার হাত ধরে বলল চল আস্তে আস্তে যাই রাস্তা তো ভালনা দেখিস আমরা পরে না যাই।
আমি- মনে মনে ভাবলাম ভাইবোনের প্লান নয় তো আবার। তাই বলেই ফেললাম ফুফু তোমরা ভাইবোনে আবার প্লান করে আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসনিতো।
ফুফু- যা কি বলে আমার বড় ভাইজান অইসব কথা হয় নাকি তুই জানিস না।
আমি- তুমি যা বল ফুফু আম্মমার কাছে থেকে শুনেছি তো আমার আব্বা কেমন তাই ভয় হয়।
ফুফু- আরে না না তোর মা রাগে হয়ত বলেছে। ওসব কিছু না। এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে বল আমাকে কবে কিনে দিবি তোর মায়ের মতন পোশাক, তুই কিনে দিলে তোকে পরে দেখাবো আমি। দিবি তো বাজান আমাকে। তোর ফুফা নেই আজ কতদিন তোর আম্মমা আব্বা তালাকের অনেক আগে সে মারা গেছে। আমার কষ্ট তোদের চোখে পরেনা তাই না।
আমি- ফুফু কেমন কথা বল তুমি আমার অবস্থা তো তুমি সব জানো, আমিও চাই তুমি ভাল থাক ফুফু আর কিছু না। তোমাকে আমি কিনে দেব লেজ্ঞিন্স আর কুর্তি তুমি পড়লে দারুন লাগবে তোমার ফিগার তো আম্মুর মতনই তাই না। আম্মু ওই পোশাক পড়লে আম্মুকে খুব সুন্দর লাগে আমার দেখতে ইচ্ছে করে আম্মুকে, আম্মুর বয়স মনে হয় অনেক কমে যায় লেজ্ঞিন্স আর কুর্তি পড়লে।
ফুফু- কি ভালো লাগে তোর আম্মু ওই পড়লে আমাকে বলতে পারিস কেউ তো নেই এখন আমরা দুজনে। সত্যি করে বলবি কিন্তু। খুব সেক্সি লাগে তাই না।
আমি- হুম একদম সত্যি বলেছ তুমি। আম্মু হলেও দারুন লাগে দেখতে, রাস্তায় যখন কাউঃকে দেখি আম্মুর কথা মনে পরে।
ফুফু- শুধু আম্মুকে সেক্সি দেখতে ইচ্ছে করে ফুফুকে দেখতে ইচ্ছে করেনা। এই আয় এবার পুকুর পার দিয়ে যাবো। দে আমার হাতে হাত দে তুই তো রাস্তা চিনিস না আমি চিনি এইপথ। এক কাজ কর আমার ঘারে হাত দিয়ে চল দুজনে চলি।
আমি- কি বলছ কেউ যদি এসে যায় কি ভাববে।
ফুফু- আরে না কেউ আসবে না এখন রাত হয়ে গেছে না।
আমি- বললাম ফুফু তুমি অনেক ভালো বলে ঘারে হাত দিয়ে বাহু ধরলাম, তোমাকে একটা লেজ্ঞিন্স কাল্কেই কিনে দেব। ফুফা নেই কে দেবে তোমাকে আমি না দিলে। তোমার যা লাগবে আমাকে বলবে আমি কিনে দেব আমি যে কাজটা করছি অনেক লাভ হবে বুঝলে।
ফুফু- সত্যি তো বাজান দিবি আমাকে, কত অভাবে আছি জানিস না তুই। তোর ফুফা নেই কত কষ্ট করি একটু সুখ নেই আমার জীবনে। ভাইজান নতুন বিয়ে করার আগে কিছু দিত এখন তো অনারো নেই কোথা থেকে দেবে। প্রাই আসত আমার কাছে কিনেও দিত, কিন্তু এখন আর পারেনা কি বলব তোকে।
আমি- ঠিক আছে ফুফু আমি তোমাকে দেব, তোমার যা লাগবে আমাকে বলবে বল আর কি লাগবে তুমি বল আস্তে আস্তে দেব তোমাকে।
ফুফু- কি বলব আমার কষ্টের কথা তোমার ফুফা এভাবে ফেলে চলে গেছে দিন যে কাটেনা বাজান কোথায় যাবো আমি। কি করব আমি বুঝতে পারিনা একটা অবলম্বন দরকার আমার। শুধু তো পেটের খিদে না বাজান, তারসাথে আরো অনেক কিছু দরকার।