আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ১২
তপন ওহ আমার বন্ধু একটু একান্তে কথা বলবে সেটায় ব্যাঘাত হল তাইনা না বন্ধু। এই শোন আমরা গিয়ে ওদের থেকে দূরে বসব ওদের সুযোগ দেওয়া উচিৎ কি বলো।
দিদি বলল হ্যা হ্যা তাই করতে হবে।
আমি না তা নয় আসলে তোমরা দূরে গিয়ে রোমান্স করবে তার জন্য আমাদের থেকে দূরে যেতে চাইছ কি ঠিক বলেছি।
তনুজা এইত এবার বোঝ ভাবো কথা জানেনা তাইনা আমাদের উপর দিয়ে নিজেরা রোমান্স করবে সেটা বল।
আমি এই তপন তোদের কি আগে থেকেই কোন যোগাযোগ ছিল নাকি। তুমি জানো বলে তনুজার দিকে তাকালাম।
তনুজা আমার দিকে তাকিয়ে না আমি জানিনা তবে ওদের কথা হত, এই ব্যাপারে নাকি জানিনা।
দিদি না না এইসব কোনদিন ভেবেছি নাকি তোর বন্ধু ছোট ভাই হিসেবে কথা বলেছি আর কিছুনা।
এরপর টোটো থেকে নেমে পারকের দিকে যাচ্ছি এমন সময় মায়ের ফোন কোথায় তোরা নেমেছিস নাকি।
আমি হ্যা নেমেছি দিদি তপন এবং ওর দিদি আছি আমরা একসাথে।
মা বলল বাইরে ঘোরার দরকার নেই ওদের নিয়ে বাড়ি এস কই তোর দিদি কই দে তো।
আমি এই দিদি এই নে মা কথা বলবে। বলে দিদির হাতে মোবাইল দিলাম।
দিদি বলল আসছি তো ওরা সবে নামল আসছি আমরা এত তারা কিসের। মা কি বলল শুনলাম না তবে দিদি বলল কি বলছ তুমি ওনারা গেছে আমাদের বাড়ি। ঠিক আছে রাখো তুমি আসছি আমরা। বলে মোবাইল আমার হাতে দিয়ে বলল এই চল সবাই বাড়ি চল, আমরা এইদিকে দুই জোড়া আবার ওদিকে দুই জোড়া এক হয়েছে বুঝলি তনু।
তনুজা মানে।
দিদি বলল আমার শ্বশুর শাশুড়ি বেয়াই বাড়ি গেছে বুঝতে পেড়েছ। চলো বাড়ি যাই। কি তারা ওদের কালকে বলেই আজকে আবার এক সপ্তাহ সময় দিয়ে আজকেই।
তপন তবে চলো যাই কি আর করা যাবে। তবে হেটে যাবো এখন। এস বলে দিদির হাত ধরল। এই দিদি আয় বলে হাটা শুরু করল।
আমি হাত বাড়াতে তনুজা আমার হাত ধরল। আমি বললাম কি পারবে তো এই হাবাগোবাকে নিয়ে চলতে। দেখ আমি বুঝি কম তোমাকে আমাকে চালিয়ে নিতে হবে।
তনুজা এত তাড়াতাড়ি বাবা মা ডিসিশন নিল কি বলব তোমাকে। জানো তোমার বাবা আর আমার বাবা মাঝে মাঝে অনেক কথা বলত আবার মাও তোমার মায়ের সাথে কথা বলত। আমার বাবা এমনিতে পঞ্জিকা কেনেনি কোনদিন কিন্তু সেদিন যখন কিনে নিয়ে এসেছিল আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম বাবা পঞ্জিকা কেন আগে তো কোনদিন কেননি। বাবা বলেছিল দরকার আছে তাই।
দিদি কাছে এসে বলল আমিও কম বেশী শুনেছি বাবা মায়ের কথা জানো বলত এটা হলে সবচাইতে ভালো হবে। আমি জিজ্ঞেস করতে চেপে গেল সেদিন আমাকে বলল না শুধু এইটুকু বলল সময় হলে জানতে পারবি। আমাদের বলেছে কালকে কিন্তু ওনারা অনেক আগেই প্লান করে বসে আছে।
তনু হ্যা হ্যা বাবা মা কয়দিন আগে দুজনে বেড়িয়ে ছিল কি সব কিনেও এনেছে আমাকে দেখায়নি।
দিদি হ্যা সে তো বাবা মাও বেড়িয়ে ছিল একদিন বিকেলে অনেক পরে বাড়ি ফিরেছে কিরে ভাই মনে নেই তুই অফিস থেকে এসে বাবা মাকে না দেখে জিজ্ঞেস করেছিলি কোথায় গেছে। সেদিন মা ব্যাগ ভরে কি যেন এনেছিলো আর ঘরে গিয়ে আলমারিতে রেখে দিয়েছিল।
হঠাত ফিরে তপন বলল ভাইরে কি হচ্ছে এসব আমাদের যা প্লান পরিকল্পনা ছিল সব ভেস্তে যেতে বসেছে তাইনা।
দিদি বলল কি প্লান ছিল তোমাদের আমরা শুনি।
তপন আর কি দুই বন্ধু এক সাথে যদি জমজ মেয়ে পাই বিয়ে করব কিন্তু এসব কি হয়ে গেল।
দিদি এই তনু শুনলি তোর ভাইয়ের আর আমার ভাইয়ের প্লান শখ কত ওনাদের।আর কি প্লান আরো কিছু ছিল কি।
তপন না আর কি ভেবেছিলাম দিদিদের বিয়ে হয়ে গেলে আমাদের পালা আসবে কিন্তু সব উল্টো হয়ে গেল।
তনুজা আমার হাতে ঝাকি দিয়ে কি এইসব প্লান করতে দুই বন্ধু মিলে তাইনা। গেল সব প্লান গেল।
দিদি এই তনু আমাদেরও তো কথা ছিল মনে পরে এবার কি হবে।
তনু বাদ দে তো জতসব বাজে ভাবনা। আমার ভাইয়ের বউ হয়ে আসবি ভালো শাশুড়ি পাবি এটা বলতে পারি।
দিদি কেন তোর শাশুড়ি ভালো হবেনা, তোর শাশুড়িও অনেক ভালরে আবার তো আমাদের শাশুড়ি দুই বান্ধবী ছিল তাইনা। এই চলো এসে গেছি ঘরে ঢুকে দেখি ওঁরা কি প্লান করছে। বলে আমার হাত ছেরে দিয়ে দিদির কাছে গেল। আর বলল তোমরা আগে যাও দুই বন্ধু।
আমি আর তপন দরজার সামনে গিয়ে বেল বাজাতেই মা এসে দরজা খুলল আর বলল ও এসে গেছ তোমরা আসো। উপরে যেতে দেখি বাবা আঙ্কেল আন্টি সবাই বসা। আমি তপনকে বললাম আয় আমার রুমে আয় ফ্রেস হয়ে নিবি বলে দুজনে ঘরে গেলাম। দিদি আর তনুজা ওর ঘরে গেল। আমরা দুজনে ফ্রেস হয়ে আস্তে আস্তে বের হলাম।
তপন কি ব্যাপার বাবা মা তোমরা এখানে আজকেই। আজ আবার কি করতে চাও তোমরা।
আঙ্কেল হ্যা দাদা ডাকল চলে এলাম তোমরা আসো বসো সবাই এই মা তনুজা আয় সুলাতাকে নিয়ে এদিকে।
একটু পরে দিদি আর তনুজা বেড়িয়ে এল দিদি এসেই কি ।
মা বলল আমরা পঞ্জিকা দেখেছি সামনে ভালো লগ্ন আছে তাই ভাবছি এই লগ্নে তোমাদের বিয়ে আমরা দেবো।