আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ২৬
আমি বাঃ মা এবার তো অনেক চাষ করেছ তাই না। ভেন্ডি, বেগুন, করলা, একি মা তরমুজের গাছ আর ফুলের তো অভাব নেই দেখছি। পুড়ো ছাদ ভরে ফেলেছ তুমি।
মা ওই ঝুরিটা নিয়ে আয় বেগুন তুলি।
আমি হাতে করে নিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে দাড়াতে মা একে একে বেগুন তুলে দিতে লাগল। বেশ লম্বা লম্বা বেগুন। আমি মনে মনে বললাম আমার থেকে মোটা সব কয়টা আর লম্বাও। আবার ভাবলাম বাবা পারে না হলে তো মায়ের এই বেগুন লাগত। এইভেবে মনে মনে হেঁসে দিলাম।
মা বলল কিরে কি হল।
আমি মা এর জন্য জ্যান্ত ছোট মাছ দরকার লঙ্কার ঝোল করতে হবে।
মা কালেক তবে বাজারে জাস নিয়ে আসবি আমি রান্না করে দেবো, ওদের বাড়ি কয়েকটা দিয়ে আসবি নাকি। অনেক তুলেফেলেছি। যা দেখাও করে আয় আর দিয়ে আয়।
আমি না দরকার নেই থাকতো এখনই এত ভালনা।
মা কেন লজ্জা করে নাকি বউমা তো তোর পথা চেয়ে বসে থাকবে যা না দেখা করে আয় আর দিয়ে আয়। আগে তো দিনে দুইবার যাওয়া আসাছিল কিরে তখন বউমার সাথে তোর কথা হত।
আমি না ওকে দেখলেই আমার কেমন ভয় লাগত কথা বলি নাই কোনদিন এমনি হয়ত জিজ্ঞেস করতাম তপন আছে নাকি তার বেশী না।
মা কেন মেয়ে তো ভালো কত ভদ্র আর সভ্য, তোর দিদির থেকে ভালো আমার তো মনে হয় এই কয়দিনে কি বুঝলি।
আমি জানিনা তবে তোমার দোশর হবে বলেছে এসে মায়ের কাছ থেকে সব শিখে নেব।
মা আমি জানি তো আম্র বউমা ভালো হবে মেয়ের মতন না কাজে আসবে।
আমি কি যে বলো মা দিদি খারাপ কিসে কি কাজ তোমাকে করে দেয়নি এই দুইদিন বরের সাথে কথা বলছে বলে অমন কেন করছ। দিদি ছেরে চলে যাবে আমার না ভালো লাগছেনা।
মা আমি জানি তোদের ভাইবোনের একটা ভালো সম্পর্ক আছে তোর দিদি তোর বাবা কিছু বললে তোর পক্ষ হয়ে সব সময় দারাতো। তবে আমার জামাই কেমন হবে রে তোর বন্ধু তুই ভালো জানিস।
আমি কেন তুমি জানোনা তোমার এক নম্বর জামাই হবে দেখবে দিদিকে অনেক সুখে রাখবে। ওদের কিসের অভাব তুমি বল আমাদের মতন অরাও সছল্ল তাইনা। আর তোমার বান্ধবী মানে আমার শাশুড়ি কম কিসে তুমি বল। তোমার মেয়েকে ভালই রাখবে আর তোমার বেয়াই সেও ভালো মানুষ।
মা সে জন্যই তো আমি তোর বাবাকে বললাম এই সম্পর্কের কথা তোরা দুজনেই ভালো থাকবি, কাছাকাছি আসা যাওয়া হবে। তোরা সুখে থাকলেই হবে। বউমা আর তুই ভালো থাকলেই আমাদের ভালো আর ওদিকে তোর দিদি আর জামাইবাবু ভালো থাকলে আমাদের চিন্তা কিসের বয়স হয়ে গেছে তাইনা।
আমি কি যে বলমা আমার শ্বশুর মশাই এখনও জেবানে তোমার দিকে তাকায় দেখলাম তো তার মনে হয় বেয়াইন খুব পছন্দ।
মা সে হবেনা আমি তার নতুন বেয়াইন হবো তার তাকানোর অধিকার আছে তোর রাগ হচ্ছে নাকি।
আমি না বলতে চাইছি তবে বাবা তাকালে যেন আবার হাঙ্গামা করবেনা। কারন বাবার বেয়াইন তো দেখতে তেমন, কি তাইনা আমার হবু শাশুড়িও তো দারুন দেখতে। ও তোমরা তো আবার দুই বান্ধবী।
মা হয়েছে হয়েছে এবার চল আর মাকে পরীক্ষা করতে হবেনা, পাজি হয়ে গেছ খুব মায়ের সাথে ইয়ার্কি হচ্ছে তাইনা। বেয়াই বেয়ানের সাথে ইরাকি করতেই পারি তারজন্য তোর বাবা কি বলবে। আর সে করলে আমি বাঃ কি বলব। নে চল এবার জাবিনা।
আমি দেখি চলো নিচে চলো তারপর না হয় যাচ্ছি।
মা দেখ আমি তোর মা ছেলে কি চায় আমি বুঝি যা দেখাও হবে আর দিয়েও আসতে পারবি।
আমি মনে মনে বললাম উঃ মা তোমাকে আগে যে কেন এই চোখে দেখিনি তবেঁ তোমার উপর ট্রাই করতাম। যত তোমাকে দেখছি ততই উতলা হয়ে যাচ্ছে, তুমি যে আমার তনুর থেকেও অনেক বেশী সেক্সি মা।
মা কি হল চুপ করে গেলি জাবিনা নিয়ে যা দিয়ে আয়, আমার বউমার সাথে তো দেখা হবে না হয় আমি ফোন করে বলে দিচ্ছি তোর শাশুড়িকে।
আমি তাই দাও তবে যেতে পারি।
মা উঃ আমার ছেলের কি লজ্জা ঠিকা আছে চল নিচে গিয়ে ফোন করে দিচ্ছি।
আমরা নিচে নামতেই দেখি ফ্রেস হয়ে সন্ধ্যে দিয়ে ধুপ জেলে দিয়েছে।
মা যাক আমার মেয়েটা আজকে অনেকদিন পরে সন্ধ্যে বাতি দিল। এই তোর ভাইকে পাঠাচ্ছি ওই বাড়ি কয়টা বেগুন দিয়ে আসুক খেতের বলে কথা। কালকে থেকে তো আবার আত্বীয় স্বজন আসবে আজকেই দিয়ে আসুক।
দিদি হ্যা ফাকে তোমার বউমার সাথে দেখাও করে আসবে। যা ভাই যা দেখা করে আয়।
আমি হ্যা দেখা করব না তো কি না দেখা করে চলে আসবো।
মা নে রেডি হয়ে নে আমি প্যাকেট করে দিচ্ছি।
আমি রেডি হয়ে প্যাকেট নিয়ে বের হব মা ফোন করে বলে দিল আমার শাশুড়িকে আপনার হবু জামাই যাচ্ছে একটা ব্যাগ দিলাম রেখে দিয়েন।
শম্পা দেবী আমার শাশুড়ি আচ্ছা আসুক আমরা ঘরেই আছি ওর বাবা আর বেয়াই তো এখনও আসেনি তাই না।
মা না না আসলে তো ওনার কাছে দিয়ে দিতাম।
শাশুড়ি না ভালো হয়েছে আসুক না তনুর সাথে দেখা করে যাবে।
মা যা তুই তবে রাত করিস না তোর বাবা আসলে তোকে খুজবে বুঝলি কোথায় কি করল তোরা দুই বন্ধু বাবাদের একটু সাহজ্য করিস।
আমি হ্যা এখন তো আমাদের দুটো বাবা তাইনা তুমি আগে বাবারা বললে রেগে যেতে আর আজকে তাই নিজেই বলে দিলে।
মা হেঁসে দিয়ে তাইত তুমি বাবা না ডাকলে তপন ডাকবে তোর বাবাকে বাবা তাই না এই সুলো মানে দিদির ডাক নাম সুলো। এই যা দাড়িয়ে থেকে লাভ নেই রাতে আবার খেয়ে এসোনা শাশুড়ির হাতে আমি রান্না করব কেমন।
আমি না তারাতারি চলে আসবো। বলে বেড়িয়ে গেলাম। বেশী দূর তো না অল্প দূর ৫ মিনিটে চলে গেলাম, বেল বাজাতেই আমার উনি এলেন আসুন আসুন নিজে তো আসবেনা মা পাঠালো বলে এলে তাইনা। বলে আমি ওর সাথে ভেতরে গেলাম দেখি শাশুড়ি মা আর শালা বসে আছে। গিয়ে ব্যাগটা দিয়ে বললাম আমাদের ছাদের গাছের মা আর আমি তুলেছি একটু আগে।
শাশুড়ি হাতে নিয়ে রান্না ঘরে গেল যেতে যেতে বলল এই তনু যা বাবাকে ভেতরে নিয়ে যা।
তপন সাথে সাথে বেড়িয়ে কিরে শালা কখন এলিরে।
আমি এইত জামাইবাবু সবে মাত্র এলাম বলেন কেমন আছেন। আসলাম একটু হবউঃ শাশুড়ি এবং বউর সাথে দেখা করতে।
তপন যাও যাও তোমার বউ ঐযে দাড়িয়ে আছে যাও ঘরে যাও একটু সুখ দুঃখের কথা বল গিয়ে। তবে বেড়িয়ে আমার সাথে দেখা না করে যেওনা যেন। আমি তো এখন কিছু না বউ সব তাইনা।
তনু ভাই মারবো একটা আমার বরকে উল্টি সিধা বলা হচ্ছে তাইনা। এই তুমি এস তো আমার ঘরে এই বলে হাত ধরে নিয়ে গেল।
তপন উঃ কত প্রেম হবু স্বামীকে পেয়ে যান জামাইবাবু দিদির সাথে কথা বলুন।
আমি এইত শালা যাচ্ছি তা তুই কি দিদির সাথে কথা বলছিস না কানে তো মোবাইল।
তপ হ্যা উনি লাইনে আছেন এখন, তারপর কাছে এসে যাও তুমি আমার দিদির সাথে লাইন মারো আমিও তোমার দিদির সাথে লাইন মারি তাইনা ভাই।
তনু ওর ভাইয়ের কান ধরে খুব পাকামো হচ্ছে আমার বন্ধবিকে পেয়ে তাইনা পাজি একটা এই তুমি আসো বলে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল।
আমি খেয়ালা করলাম আমার শাশুড়ি মা রান্না ঘর থেকে মিটি মিটি হাসছে। দরজায় পর্দা দেওয়া ঘরে ঢুকেই সোজা তনুকে বুকের সাথে জরিয়ে ধরলাম আর ঠোটে চুমু দিলাম।
তনু একটা পাল্টা চুমু দিয়ে উঃ না সোনা দরজা খোলা তুমি বোঝ না মা এসে যেতে পারে এস বসো। বলে নিজে খাটে উঠে বসে পড়ল পা গুটিয়ে।