আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ৩৩
এরমধ্যে বাবা কাছে এসে ও মা তুমি বেরিয়েছ ভালই করেছ তবে আজকে বেশী সময় বাইরে থেকোনা। তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও তোমরা। কালকে বিয়ে না। যা বাবা ঘরে যা বউমাকে বাড়ি দিয়ে। লোকে দেখলে কি বলবে দরকার নেই।
তনু হ্যা বাবা আমরা যাচ্ছি বলে দুজনে হেটে বাড়ি চলে এলাম। ওকে দিয়ে আমিও বাড়ি এলাম। সারাদিন টুকটাক কথা হল তেমন কিছু না কি করছি এইসব আর রাতে তো সুযোগ হলনা এত লোকজন সবাই এসে গেছে বাকি আত্মীয়রা। রাতে কেটে গেল সকাল হলে আবার তাড়াহুড়া বিয়ের আগের কত কাজ সব করে নিয়ে দুপুরের পরে সাজুগুর মহিলা এল দিদিকে সাজাতে আর ওদিকে গেল আরেকজন। দেখতে দেখতে স্নান হলুদ এসেছে ও বাড়ি থেকে আবার এ বাড়ি থেকে গেছে।
গোধুলি লগ্নে বিয়ে তাই আগেই সবাই রেডি হয়ে নিল। দিদিকে নিয়ে বিয়ে বাড়ি চলে গেল বাড়িতে আমি আর মা। ওদিকে তনুও চলে গেছে আর বাড়িতে তপন। দুটো গাড়ি এনেছে একটায় আমাকে নিতে অন্যটায় তপনকে নিয়ে গেল। যথা সময়ে বিয়ে শুরু হল। দুই জোড়া বিয়ে হতে লাগলাম। মা বাবা আমার শ্বশুর শাশুড়ি সবাই একজাগায় থেকে আমাদের বিয়ে দিল যজ্ঞ হলো সিঁদুর দান হল এবার তনু আমার হ্যে গেল আর দিদি তপনের হয়ে গেল। বিয়ে শেষ হতে হতে রাত ১১ টা বেজে গেল। লোকজন সবাই খাওয়া দাওয়া করছে, আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা হল সারাদিন উপোষ ছিলাম। বিয়ে শেষ হতে আমাদের সে একঘরে দিল চারজনকে বসতে কারন ঘর একটাই। দেখতে দেখতে রাত ২ টো বেজে গেল সবাই চলে গেছে। আমার ভাই আর বোন মানে পিশাত ভাই আর মামাতো বোন রইল ওদিকে ওর মামাতো বোন রইল। সারারাত জেগেই কাটিয়ে দিলাম। সবাই একজায়গায় কি আর কথা হবে ভোর রাতে পাশাপাশি ঘুমালাম। কিছুই হলনা। সকাল ১০শ টায় বাবা এসে আমাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলল একটা অনুষ্ঠান হল তারপর খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ্যেতে তনুকে ওর মা বিদায় করল আর দিদিকে মা বিদায় করল।
আমি আর তনু সাথে ভাইবোন সবাই বাড়ি এলাম ঘরে ঢুকতে সন্ধ্যে ঘোর হয়ে গেল। মাও এল আমাদের আগেই। ঘরে ঢুকে ভাত কাপড়ের একটা পর্ব হয়ে যেতে মা তনুকে নিয়ে চলে গেল আর বলল আজকে রাতে আর দেখা হবেনা তোমাদের। পরের দিন বউভাত আবার ওই বাড়িতে।
সব মিটিয়ে বাড়ি এলাম রাত ১ টা বেজে গেল। আমাদের ফুলশয্যা ঘর ঢুকে অবাক এতসুন্দর করে কে ঘর সাজালো।
মা আমাকে ডেকে বলল এই তুই এদিকে এসে বস যাও বউমা তুমি গিয়ে ঘরে বসো। মা পিসি এবং মামিদের ডাকল। সবাই মিলে আমাকে নিয়ে ঘর গেল।
আমি মাকে বললাম কে ঘর সাজালো মা।
মা কেন তোর ভাই আর বোন দুজনকে বলে দিয়েছিলাম ভালো করে সাজিয়ে দিলে গিফট পাবি দাদার থেকে। ভাই আর বোন একটা মামাতো আরেকটা পিসাতো দুইজনে মিলে গিয়ে বউদির কাছে হাত পাতল দাও আমাদের গিফট দাও। মা বলল দাও বউমা ওদের খুশী কর।
তনু আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
আমি বললাম ও টাকা পাবে কোথায় এই আমি দিচ্ছি।
পিসি আর মামী একসাথে দেখছ দিদি এখনই ছেলের কত দরদ বউমার প্রতি বলে তনুকে জরিয়ে ধরে বলল একটা ভালো ছেলে পেয়েছিস মা জত্ন করে রাখিস এই দে ওদের দে পাওয়ান মিটিয়ে দে।
আমি হুম দিচ্ছি বলে ওদের হাতে টাকা দিলাম ৪ তে ৫০০ নোট। পেয়ে খুব খুশী না দাদাভাই লোক ভালো পুশিয়ে দিয়েছে।
মা এই না চলো রাত প্রায় শেষ হতে চল্ল এবার ওদের থাকতে দাও আমরা চলো। আবার বলল বউমা একটা ফোন করনা ওরা কি করছে।
তনু হ্যা মা করছি বলে বের করে দিদিকে ফোন করল
দিদি হ্যা বল তনু ঘরে এসেছিস তোরা।
তনু হ্যা এই নাও মায়ের সাথে কথা বল।
দিদি ধরে মা বলে কেঁদে দিল।
মা বলল এই পাগল কাদছিস কেন আজকে তোদের সুখের দিন কাদেনা মা এবার তোরা ঘুমিয়ে পর জামাই বাবাজি কাছে আছে তো।
দিদি হ্যা মা সবে আমরা রুমে এলাম মা আর ভাইবোনেরা কাছে আছে এখন।
মা বলল ভগবানের কাছে প্রাথরনা করি তোমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক মা এবার রেখে দিয়ে আমাদের নাতি পুতির ব্যাবস্থা কর আর এদিকে তোমার ভাইর বউকে তাই বললাম। রাখলাম মা। তারপর মা বলল এই চল চল আর না এবার আমরা গিয়ে ঘুমাই। বলে সবাইকে নিয়ে বের হতে হতে বলল দাও এবার তোমরা দরজা বন্ধ করে দাও।