আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ৩৮
তনু রেখে দিয়েই আবার আমরা খেলা শুরু করলাম। তনু বলল বাবা মা ঘুমাতে পাঠালো আর তুমি না এখন আবার বলে আমাকে জরিয়ে ধরে আদর করে বলল দাও সোনা আবার দাও তুমি।
আমি এই তোমাদের লজ্জা করল না এইভাবে কথা বলতে নিজের ভাইয়ের কথা এভাবে শুনলে আর দিদিও আমার কথা কত মন দিয়ে শুনলো দেখ আর না দিয়ে থাকা যায়। আমার এত সুন্দর বউ এস সোনা বলে সব খুলে আবার শুরু করলাম।
খেলা শেষ করে দুজনে আবার ঘুমালাম। মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল উঠে দেখি বেলা ১২ টা বাজে। বের হতে মামা মামী ভাই বোন পিসি সব খাচ্ছে। ওরা বলল এই আমাদের বাড়ি কবে যাবি নাকি আবার হানিমুনে যাবি তোদের কি প্লান আগে মামা বাড়ি না পিসি বাড়ি।
মামী না আগে মামা বাড়ি জোর ভাঙ্গার আগে মামা বাড়ি যেতে হয়।
পিসি না আমার একমাত্র ভাইপো আর ভাইজি তোরা চারজনে যাবি আমাদের বাড়ি।
মা বলল না না সে এখন হবেনা ওরা হানিমুনে যাবে তারপর ফিরতেই অফিস পরে যাবে ছুটি পেলে এখন যেতে পারবেনা। কিরে তোর বাবা বলল কালকে সকালে বাসের টিকিট তোদের তাইন।
আমি হুম কালকে সকালের বাস ধরব।
মামী তবে কি বাবা যাও তোমরা চারজনে হানিমুন করে এস তারপর মামা বাড়ি একবার অনতত যেও। চাকরি পাওয়ার পরে একবার গিয়েছিলে তাই না।
পিসি হ্যা পিসি বাড়িও একবার মাত্র মিষ্টি নিয়ে গেছিল তাও কিছু সম্যের জন্য মাত্র, বউমা জানো রান্না করতে দেয়নি ওই খেয়েই চলে এসেছিল।
ত্নু ঠিক আছে মামী পিসি আমি আপনাদের ছেলেকে নিয়ে যাবো কথা দিলাম।
মা যাও এবার স্নান করে আসো দুজনে তোমাদের বাবা গেছে সব ঠিক করতে সাথে বেয়াইও গেছে তোমাদের আর কি বিয়ে করলে টের পেলে না দুই বাবা সব করল।
তনু শুধু বাবা কেন মায়ের কম করেছে আমাদের বাবা মা খুব ভালো। বলে বলল এই আমি গেলাম ভেতরের বাথরুমে তুমি না হয় দিদির বাথরুমে যাও।
মা বলল হ্যা তাই কর আয় তোদের খেতে দেই আমিও খাবো তোদের বাবা খেয়ে চলে গেছে ওদের সাথে কথা হয়েছে তোদের। কি করছে ওরা।
তনু মা সকালে কথা হয়েছে পরে তো আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম আপনি একবার ফোন করেন না আমার মায়ের কাছে।
মা হ্যা তোমরা যাও স্নান করে আসো দেখি কি করছে ওরা।
আমি আর তনু স্নান করতে গেলাম। আমি যদিও তাড়াতাড়ি বের হয়েছি তনুর দেখা নেই। পিসি মামী মামা সবাই খেয়ে রেডি হচ্ছে চলে যাবে। কিছু সময় পরে তনু বের হল।
ওরা সবাই এসে বলল না আমারা এবার চলি।
তনু আমাকে ঘরে ডাকল এই এদিকে এসো তো।
আমি যেতে বলল আমার দুটো দেওর আর ননদ কিছু টাকা দাও ওদের হাতে দেই কালকেও তুমি দিয়েছ আজকেও তুমি দাও। আমি টাকা দিলাম তনু গিয়ে ভাইয়ের হাতে এক হাজার আর বোনের হাতে এক হাজার টাকা দিল। সবাই খুব খুশী হল। তনু বলল দেখ ভাই তোমার দাদার থেকে নিয়ে দিলাম আমি তো চাকরি করিনা তোমার দাদা করে। ওরা এবার খুসী হয়ে বেড়িয়ে গেল আমরা এগিয়ে দিয়ে এলাম। তারপর মা আমি আর তনু খেতে বসলাম।
খাওয়া শেষ হতে আমাদের বাবারা এলেন। ঘরে ঢুকেই যাক ভাই সব ভালই মিটে গেছে। তনু দুই বাবাকে প্রনাম করল। আমিও প্রনাম করলাম বাবা মা সবাইকে।
শ্বশুর মশাই আবেগে কেঁদে দিয়ে বলল যাক মা তুই আমার কাছেই আছিস আর ওদিকে সুলতা মা আমাদের যে কি সৌভাগ্য বলে আমাদের দুজনকে বুকে টেনে জরিয়ে ধরে বলল সবাই মিলেমিশে থাকবে এটা আমারা চাই। তুই যেমন আমার মেয়ে তেমন সুলতাও আমার মেয়ে আমাদের এখন চারজন ছেলে মেয়ে কি বলে দাদা।
তনু একটু ফুপিয়ে কেঁদে দিল।
মা বলল এই মেয়ে কাদবে না বিকেলে ওকে নিয়ে যাবে আর পরে ওদের নিয়ে আসবে কেমন।
শ্বশুর হাঁয় তাই করিস তোরা। আমি এখন আসি বেয়ান।
মা হেঁসে দিয়ে ঠিক আছে দাদা আসেন বিকেলে ওরা যাবে কেমন। কালকে তো ওরা যাচ্ছে হানিমুনে। ঘর বাড়ি ফাঁকা হয়ে যাবে আপনি আর সম্পা আসবেন এখানে আবার আমরা যাবো। কি গো যাবে তো।
বাবা হ্যা যাবনা বেয়ানের সাথে দেখা করতে হবেনা। তুমি একা যাবে কেন আমিও যাবো। আবার ওনারা এখানে আসবে। আগে ছিল বন্ধু এখন হল আত্মার আত্মীয় তাইনা।
শ্বশুর মশাই আসি দাদা বাবা তুমি তনুকে নিয়ে যেও কেমন।
আমি আচ্ছা যাবো
তনু ওর বাবাকে পোছে দিয়ে এল। তারপর তনু বাবাকে খেতে দিল আমি বসা একদম আপন ছেলের মতন বাবাকে খাওয়ালো মা আর আমি বসে আছি। দুইজনে কথা বলছে আর বাবা খাচ্ছে।
মা দেখেছিস মা ছেলে কেমন গল্প করছে। তোর বাবা সত্যি একটা মা পেয়েছে। আমার সুলোতা যেন এইরকম ওর শশুরকে জত্ন করে।
আমি ওমা দিদির সাথে কথা হয়েছে কি করছে ওরা।
মা সম্পা তো খুব খুশী সুলতার অনেক প্রশংসা করল বুঝলি। তিঞ্জনে মিলে খাচ্ছিল।
বাবা খেয়ে উঠে না এবার একটু ঘুমাতে হবে খুব ধকল গেছে এই কয়দিন। সব মিটিয়ে দিয়ে এসেছি।
মা হ্যা যাও ঘুমাতে যাও আমি আসছি যা তোরা গিয়ে না হয় আবার একটা ঘুম দিয়ে নে। আমি যাচ্ছি দরজা বন্ধ করে।
আমরা দুজনে ঘরে গিয়ে আমি তপনকে ফোন করলাম ধরতেই বললাম কিরে শালা কেমন আছিস। বউ পেয়ে বন্ধুকে ভুলে গেলি।
তপন কেন শালা তুমি কি ফোন করেছ তুমিও তো বউ পেয়ে বন্ধুকে ভুলে গেছ। এই দিদি তোর পাশে।
আমি হ্যা কেন থাকবেনা আমার বউ আমার পাশেই আছে তোর বউ।