আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69273-post-5970091.html#pid5970091

🕰️ Posted on June 23, 2025 by ✍️ familymember321 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 901 words / 4 min read

Parent
আমি হ্যা ওই দেখ আঙ্কেল দাড়িয়ে আছে বাইরে, চলো আসছি আমি। আঙ্কেল আরে আসেন আসেন আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি আমি। আমরা সবাই যেতে আমাদের নিয়ে ঘরে ঢুকল। মা তনুজা এই তো তোর আঙ্কেল আন্টি এসেছে নে ভেতরে নিয়ে বসতে দে। আমি তাকিয়ে দেখি তনুজা দিদি ও সেই লেজ্ঞিন্স আর কুর্তি পড়েছে একদম দিদির মতন দেখতে দুজনে মনে হয় দুই বোন। আমাদের রং কারো খারাপ না। তনুজা দি দিদির হাত ধরে আয় ভাই বলে ভেতরে নিয়ে গেল আর বাবা মাকে বসতে বলল সোফায়।আমাকে বলল যাও বন্ধু ঘরে আছে। এই ভাই তোর বন্ধু এসেছে ভেতরে নিয়ে যা কোন দায়িত্ব নেই ছেলেটার।  আমি এই তপন কই তুই। তপন বেড়িয়ে এসে এই যে ভাই আয় আয় বলে কাছে এল। এরমধ্যে আন্টীও বেড়িয়ে এল আসেন দাদা বসেছেন বসেন এই রমা আয় এদিকে আয় বাবা কতদিন পরে বাড়িতে সেই কলেজের পরে এই জানো তোমাকে বলেছিনা রমা আমার ক্লাসমেট ছিল। আয় রমা এদিকে আয় রান্না ঘরে আয়। আমি খাবার রেডি করছি মা তনু আয় তো মা বলে ডাক দিল। সাথে সাথে দিদি আর তনুজা দি চলে গেল। আঙ্কেল দাদা দুপুর বেলা আগে খেয়ে নেই তারপর কথা বলা যাবে চলেন বলে সবাই গিয়ে বসলাম। মা বলল আমি সম্পার সাথে পরে খাবো তোমরা ৬ জন বস। যাও মা তনুজা গিয়ে বসো সুলাতাকে নিয়ে।   আমরা বসলাম মা আর আন্টি আমাদের খেতে দিচ্ছে। অনেক পদ রান্না করেছে একে একে বসে সবাই খেতে লাগলাম। আঙ্কেল দাদা আমাদের ছেলে মেয়ে তো বড় হয়েছে ছেলেরা চাকরিও পেয়েছে এবার যে ওদের বিয়ে দিতে হবে কি বলেন। বাবা খেতে খেতে হ্যা তা তো দিতেই হবে এখনকার বাজারে ভালো ছেলে মেয়ে পাওয়া কষ্ট আমাদের গুলো ভালো হলেও আজকাল ভালো ছেলে বাঃ মেয়ে পাওয়া খুব ভাগ্যের জানেন তো। বেশির ভাগ মদ মাতাল লোফার লাফাঙ্গা রাস্তায় দেখি তো, কোন সম্মান করেনা আমরা সিনিয়র ব্যাক্তি সে হিসেবে। চলা ফেরা করা দুস্কর। কি যে করি মেয়েকে যে পাত্রস্ত করা প্রয়োজন বুঝলেন।   আঙ্কেল সেইজন্যই আপনাকে ডাকা দাদা মেয়ে বড় হয়ে গেছে বয়স ২৫ পার করে ফেলেছে তাইনা এবার যে বিয়ে না দিলে নয়। এদিকে আমি তেমন চিনিনা আপনার উপর আমার ভরসা দেখেন দুটো ছেলে পান নাকি তবে ওদের বিয়ে দিয়ে দেই, আমার একটাই চিন্তা মেয়েটাকে পাত্রস্ত করা বুঝলেন।   আমি হ্যা হ্যা আগে দিদিদের বিয়ে দাও ভালো ছেলে দেখে কি বলিস তপন দিদিদের বিয়েতে অনেক মজা হবে। দিদি বলল না না আঙ্কেল ওরা চাকরি পেয়েছে ওদের আগে বিয়ে দিন আমরা তো চেষ্টা করছি আমি আর তনু আমাদের চাকরি হোক পরীক্ষা তো দিয়েছি দেখা যাক তারপরে। তপন না না আগে দিদির বিয়ে বাবা আঙ্কেল দুজনকেই বললাম। আপনারা ভালো ছেলে দেখে ওদের বিয়ে ঠিক করুন তারপর আমাদের ব্যাপার দিদিরা বড় না। তনুজা বলল কেন তোমরা কি ছোট আছ আমরা বড় বলে আমাদের বিয়ে হবে তোমাদের হবেনা এখন আর সে দিন নেই। বাবা বলল ঠিক আছে ঠিক আছে আমরা দেখছি দরকার হলে সবাইকে একসাথে বিয়ে দিয়ে দেবো কি বলেন দাদা। আঙ্কেল হ্যা তাই করতে হবে দাদা। বার বার ঝামেলা করা যাবেনা একবারে মেয়ে দিয়ে বউমা নিয়ে আসবো। ঘর ফাঁকা হবেনা। তপন বলল গাছে কাঁঠাল গোপে তেল কোথায় পাবে এত পাত্র পাত্রি একসাথে। বাবা বলল আরে পাওয়া যাবে বাবা ভেবনা তুমি আমরা ঠিক খুঁজে বের করব। আঙ্কেল ঠিক তাই করব আমরা কয়দিন পরে রিটায়ার করব ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারলাম না এখনও, চিন্তা বিষয়। আমি আর কিছু বললাম না সবার আগে আমার খাওয়া শেষ হল।    খেয়ে উঠে আমি আর তপন ওর রুমে গেলাম। বাবা আর আঙ্কেল সোফায় বসে কথা বলছে দিদি আর তনু দি ওদের রুমে গেল। বাইরে কি হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের খেয়ালা নেই আমরা দুই বন্ধু কথা বলছিলাম। ফাকে একবার উকি মেরে দেখলাম বাবা মা আর আঙ্কেল আন্টি সবাই সোফায় বসা। তারমানে মা এবং আন্টির খাওয়া হয়ে গেছে তাই বসে কথা বলছে।   আমাকে দেখে আন্টি বলল কি বাবা লাগবে কিছু তোমার, জল খাবে নাকি। এই তনু বাবুকে একটু জল দে তো। আমি কিছু আর বললাম না। কিছুখন পরে দিদি আর তনু দি এল আমাদের কাছে। তনুজা দি এই জাল খাবে কে নাও জল। আমি উঠে দাও আমি খাবো বলে হাত থেকে গ্লাস নিয়ে জলে চুমুক দিলাম। কেমন রান্না হয়েছে কেমন খেলে কিছু তো বললে না দুই বন্ধু। আমি বললাম না দিদি খুব ভালো রান্না করেছে আন্টি। তনুদি মা একা নাকি আমিও সাথে ছিলাম বুঝলে ভাই। তপন নারে ভাই ওই একটু কেটে কুটে দিয়েছি দিদি আর কি তাইনা। তোর শাশুড়ি তোকে দেবে দিদি রান্না বান্না করিস না আগে তাও যেত এখন আর রান্না ঘরে যায়না আমার দিদি, সারাদিন শুধু মোবাইল আর মোবাইল ঘাটে বুঝলে সুলতা দি কি বলব তুমিও কি তাই নাকি।   তনুদি ইস প্রায় সব করলাম আমি বলে কিনা কেটে কুটে দিয়েছি। মা কেতেকুটে দিয়েছে আমি সব করলাম আর ও বলে ঠিক আছে তোকে সে নিয়ে ভাবতে হবেনা। তোর বউর শাশুড়ি তো ভালো হবে তাইনা।   আমি না দিদি ভালই রান্না হয়েছে ওর কথা বাদ দাও তো তুমি। সামনের রবিবার আমার দিদি কি করে দেখবো এমনিতে তো রান্না ঘরে যায়না খালি মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। দিদি কি বললি আমি কি রান্না করিনা ভাই ওদের সামনে এমন কথা বলতে পারলি তুই। তোর টিফিন কে করে দেয় সকাল বেলা অফিস যাওয়ার আগে এই আমি করে দেই। জানিস তনু সব ভাই গুলো মনে হয় এমন আমরা দিদিরা যতই করিনা কেন এরা সব মা ভক্ত হয় বুঝলি।   আমি না আমার দিদি ভালো রান্না করে বুঝলে তনু দি। ওই দিদিকে একটু খেপালাম আর কি। আমার দিদির শাশুড়ি ওকে খুব ভালবাসবে রান্না ভালো করে তো। তবে দিদি এখন একটু কম কম খা আমাদের বাড়িতে মায়ের পরে তুই ওজনে কিন্তু। দেখ বাবা আমি কত হালকা আর তুই আর মা দুজনেই ভারী। তপন আরে ভাই তুই দেখতে পাচ্ছিস না আমাদের বাড়ি যেমন মা তেমন দিদি দুজনে ওই একই রকম। মা দিদি একই ওজনের তাইনা দিদি।
Parent