আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ৫
তনুদি ভাই খাওয়ার খোটা দিচ্ছিস দেখ এখনও বাবার খাই তোর না।
তপন বুঝলি ভাই এটা হচ্ছে মেয়েদের দোষ বললাম কি আর বুঝল কি। এই আমি সে কথা বলেছি। বাবা কি তোর একার আমিও তো বাবার খাই তাইনা, ওজন বেশী কমের কথা বলছি একটু ব্যায়াম কর ভারী হয়ে যাচ্ছিস তাই বলছি।
তনুদি এখন কথা ঘোরাচ্ছ তাই না ঠিক আছে যদি বাবা মা বিয়ে দেয় তোদের ছেরে চলে যাবো আর আসবোনা।
তপন দিদি কোল্ড ড্রিঙ্কস এনেছিলাম না দিলি নাতো। আর তুই না আসলে কি হবে আমি গিয়ে নিয়ে আসবো একটা মাত্র দিদি আসবেনা মানে।
দিদি বলল হয়েছে হয়েছে ঠিক আছে আগে বউ আনো দেখবো তারপর তোমরা দিদিদের কেমন ভালবাসো বউ পেয়ে দিদিদের ভুলে যাবে একদম দুজনেই। মিলিয়ে নিস তনু তুই।
তনুদি একদম ঠিক বলেছিস ভাইরা এমনই হবে। ও তাইত দাঁরা নিয়ে আসছি বলে বেড়িয়ে গিয়ে গ্লাস আর বোতল নিয়ে এল আর সবাইকে দিল। আমরা চারজনে বসে খেলাম তারপর দিদি বাবা মাকেও দিয়ে এল। তারপর দিদির হাত ধরে ওই ঘরে নিয়ে গেল কেমন যেন একটা ভাব করল।
তপন কি হলরে ভাই দিদি অমন করে চলে গেল কেন। বাবা মা কি কিছু বলল দিদিকে।
আমি কি জানি ওদিক থেকে এসেই চলে গেল। কি ব্যাপার যা তো গিয়ে দেখনা তুই রেগে গেল নাকি। কিছু বলল নাকি বাবা মা।
তপন চলে গেল ওর দিদির ঘরে আমি একা শুয়ে আছি। কিছুখন পরে তপন এসে ভাই সর্বনাশ। দিদির কাছে যাবো কি যা শুনলাম মাথা খারাপ হয়ে যাবে আমাদের।
আমি কেন কি হয়েছে ভাই।
তপন আর বলিস না ভাই ওদিকে কি হচ্ছে জানিস আমার বাবা মা আর তোর বাবা মা আমাদের বিয়ের কথা বলছে।
আমি ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে বিয়ে তো দেবে তারজন্য সর্বনাশ কেন।
তপন আরে ভাই কি ব্যাপার জানিস মেয়ে দিয়ে মেয়ে নেবে এই কথা বলছে। তোর বাবা আমার বাবাকে বলল আপনার মেয়েটা আমাদের দিন আর আপনি আমার মেয়েকে নিন। আপনি ডাকলেন আই এলাম এই কথা বলতে ভেবে দেখতে পারেন বলে আমার দিকে তাকাল বাবা।
আমি তারমানে। কি বলতে চাইছিস তুই। কাদের বিয়ের কথা বলছে ভাই। ওরে বাবা এ কি সর্বনেশে কথা রে ভাই।
তপন বুঝিস নি তুই। এইসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আমি ধুর কি বলছিস তুই সত্যি বলছিস তো। তুই পারবি এসব।
তপন আমিও তাই ভাবছি আমাদের বাবা কি সব বলছে রে। মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
এরমধ্যে আঙ্কেল এসে আমাদের ডাকদিল এদিকে তোমরা এস। বলে চলে গিয়ে আবার দিদিদের ডাকল তোমরাও এদিকে এস।
আমি আর তপন গেলাম দেখি দিদি আর তনু দিও এসেছে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওদের দুজনার চোখ মুখ কেমন যেন মানে আগেই শুনেছে বোঝা যাচ্ছে।
আঙ্কেল বলল বস তোমরা আমরা একটা কথা ভেবেছি তোমাদের তাই জানবো এটা একটা প্রস্তাব বুঝলে ভাবার সময় পাবে তোমরা।
তপন বলল কি বাবা।
আঙ্কেল বলল তোমরা দুই বন্ধু চাকরি যখন পেয়েছে আমরা আমাদের কাজ এবার করব। ঠিক করেছি তোমাদের বিয়ে দেবো। তনু এবং তপন আর ওদিকে সুজন এবং সুলাতা এই চারজনের বিয়ে দেবো ঠিক করেছি তাই নিয়ে কথা হচ্ছিল আর কি।
বাবা বলল তোমরা দুজনে আগে বন্ধু তাই পরে আমরাও বন্ধু হয়ে গেছি আমরা ঠিক করেছি তনু মাকে আমার বউমা করে নেবো আর সুলাতাকে এই বাড়ির বউ করে পাঠাবো। এবার তোমরা তোমাদের মতামত জানাবে। সে এখন জানাও বাঃ পরে জানাও।
আঙ্কেল বলল হ্যা এটা আমারও আর তোমার মায়ের মত তনু এবং তপন ভেবে দেখ তোমরা। কিরে মা কি বলছিস তুই।
দিদি আর তনু দি এক দৌড়ে চলে গেল ওখান থেকে।
বাবা বলল মেয়েদের বাদ দাও তোমরা দুই বন্ধু ভেবে বলবে আমাদের এক সপ্তাহ সময় তোমাদের আগামী সপ্তাহে আমাদের বাড়ি যাবে ওরা তখন বাকি কথা বলব।
আঙ্কেল বাবা সুজন তুমি না হয় তনুর সাথে কথা বলে দেখবে আর তপন তুমি সুলাতার সাথে কথা বলে দেখবে তোমরা না চাইলে আমরা জোর করব না। তবে এটা আমাদের ইচ্ছে।
বাবা বলল তোমরা বয়স নিয়ে কথা বলবে হয়ত আজকাল এ কোন ব্যাপার না, নামী লোকেরা সব বেশী বয়সী মেয়ে বিয়ে করে যেমন শচীন, আরো অনেকে তাই ও নিয়ে ভেবে লাভ নেই।
আমি তপনের হাত ধরে চলে এলাম ওখান থেকে। ওর রুমে ঢুকে ভাই এই ছিল ওদের অভিসন্ধি আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি। কি করে আমরা দিদিদের সাথে এই নিয়ে কথা বলব বলতো তুই।
তপন আমি কি বুঝেছি নাকি ভেবেছি হয়ত মেয়েদের আগে বিয়ে দেবে সে কথা বলছিল। কিন্তু এইভাবে করবে কে জানত। তোর দিদিকে দিদি বলে ডাকি উঃ কি করে হবে ভাই। সত্যি কি করে সামনে গিয়ে দাঁড়াবো না বাবা আঙ্কেল এমন একটা বিপদে ফেলল আমাদের।
আমি তুই তো তবুও দিদির সাথে কথা বলিস আমি তো তোর দিদির সাথে কথাও বলিনি আজকে ছাড়া। আমার কথা একবার ভাবতো আঙ্কেল বলল তোর দিদির সাথে কথা বলতে আমি তো ভাই পারবোনা বলে দিলাম আগে থেকেই।
তপন ভাই সত্যি একটা বিড়ম্বনায় পরে গেলাম আমরা। আর তোদের বাড়ি যাওয়া যাবেনা। সবাই কি ভাববে।
আমি তুই একবার ভাব আমি কি আর আসবো, আমাদের বাবা মা আমাদের কিছু না বলে নিজেরা সব ঠিক করে ফেললো। তোর কি ইচ্ছা রে ভাই।
তপন জানিনা সর তুই এখন জিজ্ঞেস করছে তোর কি ইচ্ছে সেটা তুই বল তোর কি ইচ্ছে। আমাকে জিজ্ঞেস করছে কোনদিন ভেবেছি আমরা তুই বল এমন কিছু হবে। গেলেই দিদি কেমন আছে এই সব বলতাম আর এখন বলব তোমাকে বিয়ে করব ধ্যাত সব তাল্গোল পাকিয়ে যাচ্ছে আমার।
আমি নারে ভাই তোর দিদিকে আমি এমনিতেই ভয় পাই তাকাতেই ভয় লাগে তাও তুই দিদির সাথে কথা বলতি আর আমি আসলে তো না তাকিয়ে পাড়লে তাকাতাম না আর এখন তো সে সুযোগ নেই। কি বলব কিছু বলতে গেলে হয়ত থাপ্পড় মেরে দেবে আমাকে যা রাগি দেখলেই বোঝা যায়।