আমাদের দুই পরিবারের এক হওয়ার গল্প - অধ্যায় ৯
আমি হ্যলো।
তনু কি কালকে মোবাইল বন্ধ ছিল কেন।
আমি না মানে।
তনু না মানে ফাঁকা হলে আমাকে ফোন করবে মনে থাকবে তো। অফিস পৌছে আমাকে ফোন করবে মনে থাকবে তো।
আমি হুম ঠিক আছে ফোন করব।
তনু নাম্বারটা আমাকে পাঠিয়ে দাও সেভ করে নিয়ে। ও না না আছে তো কালকে সুলতা দিয়েছে আমাকে তুমি আমারটা সেভ করে নাও।
আমি আচ্ছা বলে রেখে দিলাম আর ওর নাম্বার সেভ করে আমি আমার নাম্বার পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমিও টিফিন বক্স বের করে দিলাম এই নে তোর টিফিন দিদি দিয়েছে তারমানে দুইজনে কথা হয়ে গেছে কি বলিস।
তপন হ্যা বলেছে আমাকে টিফিন পাঠিয়ে দেবে নিয়ে নিতে তুই তো শালা দিচ্ছিলি না আমি দিলাম বলে দিলি। হবু বউর হাতের তৈরি প্রথম টিফিন।
আমি এইত দিলাম সময় তো দিবি নাকি। শালা কোথাকার।
তপন হ্যা তা ঠিক আমি তো শালা আর তুইও আমার শালা।
এরপর দুজনে অনেক কথা বলতে বলতে অফিসে গেলাম। অফিসে ঢুকেই ফোন করলাম
তনু ধরে কি পোউছে গেছ অফিসে কাজ নাকি খুব।
আমি হ্যা সব লাইনে দাড়িয়ে আছে এবার বসব চেয়ারে।
তনু তবে ফিরি হলে ফোন করবে কেমন রাখলাম।
আমি হুম বলে আমিও রেখে দিলাম।
কাজের খুব চাপ সময় পেলাম কই। টিফিনে ফাঁকা হলে ফোন করলাম। সাথে সাথে ধরল।
তনু এতখনে সময়ে সময় হল। ফোন করার।
আমি সোমবার না কাজের চাপ খুব বেশী থাকে সময় পাইনাই।
তনুদি ঠিক আছে টিফিন খেয়েছ।
আমি এইত খাচ্ছি নিজের হাতে করেছ তুমি। খুব টেস্টি হয়েছে।
তনুদি আমি না করলে কে করে দেবে সত্যি ভালো হয়েছে তাড়াহুড়া করে করেছিলাম।
আমি হুম সব খেয়ে নিলাম।
তনুদি কেন ভাইকে দাওনি। সব খেয়ে নিলে।
আমি বারে তপন এসে আমাকে দিয়ে বলল দিদি তোর জন্য পাঠিয়েছে বলে আমার ব্যাগে দিল।
তনুদি তারজন্য আমার ভাইকে দেবেনা। একা খেয়ে নিলে।
আমি আরে ওর জন্য দিদি করে পাঠিয়েছে দিয়ে দিয়েছি তো। আমি কিন্তু ক্যানটিনে বসে খাচ্ছি অনেক কলিগ রয়েছে বুঝেছ।
তনুদি তাই বলো তা কখন আসবে বাড়ি।
আমি ওইত আমরা ৪.৪০ এর ট্রেন ধরব নামতে সারে ৫ টা বাজবে এই ট্রেনে তো ফিরি আমরা। কেন কোন দরকার আছে।
তনুদি রেগে গিয়ে না তোমাকে একটু দেখবো তারজন্য। এক জুগ হয়ে গেল দেখিনা তো।
আমি দেখ তনুদি এইজন্য তোমাকে আমি এরিয়ে চলি তোমার রাগ বড় ভয়ঙ্কর, তপন বলে তো দিদি রেগে গেল রুদ্ররুপ ধারন করে।
তনুদি মারবো গালে কষিয়ে একখানা আবার তনুদি বলা হচ্ছে, আমি আর তোমার দিদি স্টেশনে থাকবো দুজনে একসাথে আসবে মনে থাকে যেন।
আমি ওরে বাবা কি বিচার করবে নাকি আমার কালকে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছি বলে তবে কিন্তু যাবনা আমি।
তনুদি এই বোকাটাকে আমার ভালো লাগে আসবে হ্যা আমরা থাকবো, তুমি কি পাগল কিছু বোঝনা নাকি। আসো কথা আছে ভালো করে মুখ ধোবে তারপর কাজে বসবে আর হ্যা জল খেয়ে নিও। শুনেছি তুমি জল কম খাও একদম না পরিমাপ মতন জল খাবে কম খেলে অনেক রোগ হয়। খাওয়া হয়েছে তোমার। পেট ভরেছে তো কম হয়নি তো।
আমি না না অনেক দিয়েছ এত দুপুরে খাওয়া যায় নাকি তপন বলল দিদি করে দিয়েছে তাই সবা খেয়ে নিলাম।
তনুদি ভালো ছেলে দুপুরে পেট ভরে খেতে হয় ভালো করেছ। শেষ হয়েছে খাওয়া।
আমি হ্যা এইত শেষ করলাম এবার বাটি ধুয়ে রেখে আবার গিয়ে চেয়ারে বসব, অনেক ফাইল জমে আছে।
তনুদি আর ধুতে হবেনা আমি ধুয়ে নেব তুমি এমনি রেখে দাও আর তারতারি বের হবার চেষ্টা করবে বেড়িয়ে আমাকে ফোন করবে মনে থাকবে তো।
আমি আচ্ছা তনুদি তাই হবে। এই বলে এক বোতল জল খেয়ে নিলাম একদম পেট ভরে গেল।
তনুদি আবার তনুদি আসো তোমার হবে তোমাকে কাছে পেলে যে কি করব সে মনে মনে রইল।
আমি এই মন দিয়ে দেবে না হাত দিয়ে দেবে আমাকে।
তনু আসো তারপর দেখবে কি দেই সাবধানে আসবে তাড়াহুড়া করবেনা একদম। এবার রেখে দাও কাজ করে নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হবার চেষ্টা করবে।
আমি বাই বলে রেখে দিলাম। সত্যি মনটা আমার ভালো হয়ে গেল আমার এইভাবে কেয়ার নিলেই হল। এইসব ভেবে কাজে বসলাম। শেষ করতে করতে সত্যি ৪ টা বেজে গেল এবার বের হতে হবে সব গুছিয়ে নিয়ে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তপন কে ফোন করলাম কিরে ভাই বেড়িয়েছি।
তপন হ্যা এইত সবে বের হলাম তোর কি খবর।
আমি এইত আমিও বের হচ্ছি আগেরটা পেয়ে যাবো মনে হয় ৪.২০ কিরে পাবোনা।
তপন হ্যা আয় আমি যাচ্ছি সামনের দিকে উঠবো কেমন। চলে আয় তুই।
আমি হুম বলে লাইন কেটে দিয়ে সোজা তনুকে ফোন করলাম রিং হতেই
তনু ধরে বলল কি বেরিয়েছ তুমি।
আমি হ্যা ৪.২০ পেয়ে যাবো।
তনু কি অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়েছ নাকি রাস্তায় মনে হয় গাড়ির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
আমি হ্যা হেটে যাচ্ছি ষ্টেশনে তোমরা ৫ টায় আসলে হবে বুঝলে।
তনু দেখে হাটবে কিন্তু অনেক গাড়ি চলে সাবধানে আসবে তুমি আমরা অনেখা করব তোমাদের জন্য।