আমার বউ বাবার বউ, বাবার বউ আমার বউ - অধ্যায় ২
আমি- হ্যা মা ওকে আগেই খেতে হবে না হলে ওর গ্যাস হয়।
মা- একটু রাগের সাথে বলল ও তাই বুঝি, এতদিন মায়ের বেলায় তো মনে ছিলনা। আমার বুঝি গ্যাস হত না।
বাবা- নারে তোর মায়ের এখন গ্যাস নেই আমাদের বিয়ের প্রথম প্রথম তোর মায়ের গ্যাস হত তাড়াতাড়ি না ঘুমালে। এই বলে বাবা মুস্কি হাসল। বুঝিস না প্রথম প্রথম তাড়াতাড়ি না ঘুমালে হয় কত কথা কত প্লানিং করতে হত তখন।
মা- তুমি না নতুন বউমার সামনে যতসব ওরা কি ভাবে।
বাবা- ওরা বুঝি কচি খোকা দুজনে ওদের বিয়ে হয়েছে সব বোঝে কি বৌমা না মা বলনা তোমরা কি এখন অবুজ।
কামনা- না বাবা সব বুঝি আমরা মা আসলে লজ্জা পাচ্ছে আর কিছুই না।
মা- পাকা বউরি একটা একদম আমার শাশুড়ির মতন কথা, উনিই ফিরে এসেছে নাকি কি গো।
বাবা- হ্যা তাও আমার মায়ের মুখ পাতলা ছিল কত কিছু বলত আমাদের তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেল।
কামনা- কি বলত বাবা বলেন না মায়ের লজ্জা ভাঙ্গুগ মা এখনো লজ্জা পায় আর দেখেন আপনার ছেলেও কোন কথা বলছেনা, খুব লাজুক।
বাবা- খেতে খেতে একটা গ্যাস ছারল আর বলল এইটা দিলাম মা তোমার শাশুড়িকে, আগে গ্যাস হত তো তাই এখন আর হয় না।
কামনা- না বাবা এইতা ঠিক আমার দাদুর মতন দিলেন দাদু খেতে বসে এমন করত আর বলল এইটা দিলাম বৌমাকে মানে আমার মাকে আর মা কি রেগে যেত।
মা- হ্যা তোমার দাদু তোমার মাকে দিত আর তোমার শশুর তোমাকে দিল তাইত।
বাবা- আসছে পাদ দিছি পাদ, পাদ কি কারো খাবার প্রসাদ।
কামনা- খিল খিল করে হেঁসে দিল আর বলল বাবা ভালই তো মিলিয়ে দিলেন।
বাবা- কি গো রাগ করলে তোমরা মায়ে পুতে কি ভাবছ।
আমি- বাবা তুমি না খেতে বসে যত সব আর কি আছে কি করেছ।
মা আর বউ দুজনে এক সাথে তরকারির বাটি ধরতে গেল।
বাবা- সাথে সাথে সবাই কচির দিকে নজর দেয় এই বয়স্ক্ লোকটার দিকে কেউ তাকায় না। আমার পাত যে খালি সে কেউ দেখেনা।
কামনা- কি দেব বাবা।
বাবা- ছেলে তো মায়ের কাছে দুধ চায় মা কি দেবে দুধ। কতদিন দুধ খাইনা মা।
মা- এ বার বোঝ দাও তোমার ছেলেকে দুধ, কোথায় পাবে দুধ গরু বাচ্চা দিক তারপর দুধ খাবে, বুঝলে বৌমা এই কচির দুধ চাই। দুধ না খেলে পেট ভরেনা।
কামনা- হ্যা মা সে আমি বুঝি এত দুধ খাইয়েছেন আরো চাই হবে সোনা হবে গরু বাচ্চা দিক তারপর। এখন তো নাই।
বাবা- ইস আজকে ইচ্ছে করছে সে কবে হবে একটু দুধের ব্যবস্থা করতে পারলেনা। তুমি কেমন মা আমার ছেলের কথা একবার ভাবলে না।
মা- একবার আমার দিকে একবার বাবার দিকে তাকিয়ে খাও তো এখন হেয়ালীর আর শেষ নেই।
কামনা- মা আজকে আপনি ব্যাবস্থা করেন পরে আমি দেখি আপনার ছেলেকে বলে দুধের ব্যাবস্থা করব। ছেলেটা দুধ খাইতে চাইছে হবেনা তাই হয়। এই বলে মুস্কি হেঁসে দিল।
বাবা- হ্যা মা বলে দাও তোমার পুত্র বধুকে আমাকে যেন দুধ দেয় আজকে।
কামনা- দেবে দেবে ভাবতে হবেনা
আমি- বাবা আর কামনার কথা শুনে মুস্কি হাতে লাগলাম কি সব বলে ওরা।
মা- আমার দিকে তাকিয়ে বলল দেখলি ওই লোকটার মুখে কিছু আটকায় না নতুন বৌমা আগে যা ইয়ার্কি করত করত এখন ওর সামনে কি যে করি এই লোকটাকে নিয়ে।
আমি- মা জানত বাবা কেমন হাল্কা ভাবে নিলেই পারো, ইয়ার্কি করছে করুক না।
কামনা- সোনা মা আমার রাগ করেনা বাবা যে জলি সে আমি বুঝে গেছি আপনি হাল্কা ভাবে নিন আমি যেমন নিলাম।
মা- হ্যা বুঝেছি তোমরা মা ছেলে যা শুরু করেছ আরো কত কিছু শুনতে হবে কে জানে। নাও এবার খেয়ে ওঠ সবাই আমরা সিরিয়াল দেখবো না।
আমি- হ্যা অইসব দেখবে একজনের তিন বউ দুটো জারস সন্তান কি দেখ তোমরা সিরিয়ালের।
মা- কি যে বলিস একটা মজা আছে নতুন নতুন সব চরিত্র যুক্ত হচ্ছে ও তুই বুঝবি না কি বল বৌমা।
কামনা- হ্যা তাই ওরা কি বোঝে সিরিয়ালের বাদ দিনতো মা আমরা দেখবো খেয়ে উঠে সময় হয়ে গেছে।
বাবা- বুঝলে মা তোমার শাশুড়ির জন্য আমি খব্বর দেখতে পারি না তুমি আবার যুক্ত হলে আমাদের বাপ বেটার কি হবে।
কামনা- বাবা আমাদের সাথে দেখবেন বিজ্ঞাপনের সময় খবর দেখবেন।
আমি- সবার আগে খেয়ে উঠলাম বেসিনে গেলাম মুখ ধুতে তখন বাবার কথা শুনতে পেলাম।
বাবা- মাকে বলছে কি গো বৌমাকে জিজ্ঞেস করেছ আমাদের ছেলে ভালোবাসে তো ওকে।
মা- বলল তুমি বোঝ না ওদের কত প্রেম, কত তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করে আর বলতে লাগে বা জিজ্ঞেস করা লাগে।
আমি- আমার পাশে দাঁড়ানো শুনলে তোমার ছেলের তাঁর মায়ের জন্য কত চিন্তা।
কামনা- হুম আমার ছেলে ভালো, এমন বাবা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তুমি হাত ধুয়ে নাও আমি মায়ের সাথে সব ধুয়ে আসছি তারপর।
আমি- হুম দেখ কেমন দাড়িয়ে আছে ঢোকার জন্য।