আম্মুর আস্তাবল - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-11617-post-623764.html#pid623764

🕰️ Posted on July 7, 2019 by ✍️ I am here (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1855 words / 8 min read

Parent
সকালে উঠে দেখি আম্মু বাসায় নেই , খুব সকালে নাকি বেরিয়ে গেছে চলে আসবে দুপুরের মধ্যে । জিনাত খালা বাসায় ছিলেন উনি নাস্তা করে দিলেন । আমি নাস্তা করে কার্টুন দেখা শুরু করলাম । কিন্তু একটু পর মনে হলো  এ আমি কি করছি , বসে বসে কার্টুন দেখছি । আগামি কাল রাতের আম্মু কোথায় ঘোড়া চড়বে সেটা খুজে বের করতে হবে । আমি বাসায় আছি বলে আম্মু যেহেতু ঘোড়া গুলো কে আনতে চাইছিলো না সেহেতু এমন কোন যায়গায় ঘোড়ায় চড়বে যেখানটা খোলা মেলা না । আমি বাড়ি ময় ঘুরে বেরাচ্ছি কিন্তু তেমন কোন জায়গা খুজে পেলাম না । একবার মনে হলো উঠানে চড়বে আম্মু ঘোড়ায় , ঘোড়া কি ঘরে আনার জিনিস । কিন্তু সেই চিন্তা ও বাদ দিলাম উঠান ভর্তি গাছ পালা এর আমার কাছ থেকে যেহেতু লুকাতে চাইছে আর রাতে কাজটা করতে চাইছে মনে হয় না উঠানে করবে । সাড়া বাড়ি ময় খুজে ও এমন জায়গা পেলাম না । বসে বসে চিন্তা করছি আর নখ খাচ্ছি ।চিন্তা করার সময় নখ খাওয়া আমার বদ অভ্যাস আম্মু কত বার না করেছে কিন্তু আমি অভ্যাস  বদলাতে পারি না । একবার জিনাত খালা বলে গেলো বাবা নখ খেয়ো না মা বোকা দিবে । আমি জী আচ্ছা বলে আবার নখ খেতে লাগলাম । কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি মনে নেই । ঘুম ভাংলো আম্মুর ডাকে এই জিতু এভাবে শুয়ে আছিস কেন সোফায় । আহা রে আমার সোনা ছেলে বাসায় একা একা বোর হচ্ছিলি খুব তাইনা । না আম্মু কোন সমস্যা নেই আমি কার্টুন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেছি । যা  গোসল করে আয় আমি ও গোসল করে আসি তার পর মা ব্যাটায় মিলে লাঞ্চ করবো । আজ জিনাত কে বিরিয়ানি আর চিকেন ফ্রাই করতে বলেগেছি আর সাথে মাংসের চপ । খাবার এর কোথায় আমি লাফিয়ে উঠলাম তারা তারি গোসল করে ফিরে এলাম । আম্মু এখনো আসেনি আম্মুর গোসল করতে একটু সময় বেশি লাগে । মিনিট পনেরো পরে আম্মু একটা ট শার্ট আর লেগিন্স পরে বের হয়ে এলো । আমরা খেতে বসলাম । আম্মু রান্না করলে যেমন মজা হয় আজকের বিরিয়ানি তেমন মজা হয় নি তাতে অবশ্য আমার খাওয়া আটকাচ্ছে না আমি খেয়ে যাচ্ছি একে একে ৬ টা চপ সাবার করে দিলাম । কিরে সোনা বিরিয়ানি ভালো হয়েছে , একটা কাজ পরে যাওয়ায় আমার যেতে হল তাই রাধতে পারিনি । আমি মুখ ভর্তি বিরিয়ানি নিয়ে বললাম কোন সমস্যা নেই আম্মু ভালো হয়েছে । আম্মু আমার প্লেটে আর একটু বিরিয়ানি দিয়ে বলল নে খা ।   বিকেলে আমি আর আম্মু বের হলাম আমার গাড়ি করে সুমি আপু গাড়ি চলালাচ্ছে । আমরা একটা মলে এসে ননামলাম এই মলে একটা সিনে প্লেক্স আছে সেখানে আমি আম্মু আর সুমি আপু সিনেমা দেখে রাতে খেয়ে বাসায় ফিরলাম ।  রাতে আবার আম্মুর সাথে শুয়ে অনেক্ষন গল্প করে ঘুমিয়ে গেলাম । সকালে অনেক উত্তেজনায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার আজকেই সেই দিন ইস এখনো জায়গা খুজে বের করতে পারলাম না । আমি তারাতারি উঠে গেলাম । নাস্তার টেবিলে দেখি আম্মু জিনাত খালার সাথে কথা বলছে । আম্মমু জিনাত খালা কে বলছে জিনাত ঐ দক্ষিন এর ঘরটা আজ পরিষ্কার করে রাখিস তো । জিনাত খালা বলল জী আপা আমি পরিষ্কার করে রাখবো । আম্মু আর জিনাত খালার কথা শুনে আমার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেলো । আরে তাইতো নিচ তলার দক্ষিন দিকে একটা ঘর আছে বিশাল বড় বছর খানেক ধরে আমি সেটাকে তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখে আসছি । আম্মু আজ সেই ঘরেই ঘোড়ায় চড়বে । আম্মুর ঘোড়া গুলর জন্য বেশ বড় জায়গা আছে সেখানে । এখন আমার খুজে বের করতে হবে কি ভাবে লুকিয়ে থেকে ঐ ঘরের ভিতর সব কিছু দেখা যায় । মাথা আমার বণ বণ করে ঘুরছে কিন্তু কোন বুদ্ধি আসছে না । নাস্তা করার সময় আম্মু বলল কিরে বাবু ঠিক মতো খাচ্ছিস না কেনো । কই আম্মু খাচ্ছি তো । না তুই খাচ্চিস না একদম কি চিন্তা করছিস এমন করে । এখন আমাকে মিথ্যা বলতে হবে , আর মাঝে মাঝে আমি মিথ্যা বল্লেও আম্মুর সাথে একদম বলতে পারি না । কিন্তু আজ আমাকে বলতেই হবে মিথ্যা । আর সেই মিথ্যা খুজতে গিয়েই আমি পেয়ে গেলাম কি করে আজ রাতে আম্মুর ঘোড়া গুলো কে দেখা যায় । আমি বললাম আম্মু আমার গত বছর এর সাইন্স প্রোজেক্ট এর কথা তোমার মনে আছে না । হ্যাঁ মনে আছে সোনা তুই ফার্স্ট হয়েছিলি । ঐ সাইন্স প্রজেক্ট এর আবার কি হোলো । আমি সেটা বাসায় রেখে এসেছি ইশকুল থেকে বলেছিলো ইশকুল খুললে জেনো আমি ওদের কে সেটা একটু দেই প্রদর্শনীর জন্য । এখন ওটায় কিছু কাজ বাকি আমার একদম মনে ছিলো না এখন আমি কি করবো । আম্মু হেঁসে বলল এই কথা জামাল মিয়া কে দিয়ে আনিয়ে দিচ্ছি ।   না আম্মু জামাল কাকু ওটা আনতে পারবে না আমাকে যেতে হবে । সেটাও কোন সমস্যা না তুই সুমি কে নিয়ে চলে যা আর ওটা নিয়ে চলে আয় ২ ঘণ্টার ব্যাপার । ওকে আম্মু , আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম কি সুন্দর মিথ্যা কথা আমি বলতে পারি তাও আম্মুর সাথে । কিন্তু আম্মুর সাথে মিথ্যা বলেও কেমন জেনো খারাপ লাগছে । আম্মুও তো আমার সাথে মিথ্যা বলেছে , না ওটা ঠিক মিথ্যা না গোপন করা । নিজের ঘোড়া সম্পর্কে আম্মু আমাকে কিছুই বলেনি । এই মিথ্যাটা আমি সেটার সাথে কাটা কাটি করে নিলাম । আর ঠিক করলাম আর কোন দিন আম্মুর সাথে মিথ্যা বলবনা ।   নাস্তা খেয়ে আমি সুমি আপু কে নিয়ে আমার গাড়িতে করে আমার আব্বুর বাসার দিকে চললাম । সুমি আপু যদিও জামাল কাকুর বোন তবুও সুমি আপুকে আমার খালা বা আনটি বলতে ইচ্ছে করেনি তাই আপু বলি । সুমি আপু গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি ওর পাশে বসে আছি । সুমি আপু প্রতিদিন সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে আসে সাথে হিল যুক্ত কালো সু । আজ ও তেমন পরে এসেছে শার্ট টা খুব টাইট আমি বার বার সুমি আপুর পেট এর দিকে তাকাচ্ছি । উনি একবার দেখে ফেললেন আর একটু মুচকি হাসলেন । আচ্ছা আপু তোমার পেট এমন সমান কি করে হলো আমার টা দেখেছো বলে আমি আমার পেটের চর্বি ধরে দেখালাম । সুমি আপু আমার কথা শুনে হেঁসে ফেললেন । এই জন্য তুমি বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছো । বারে আর কিসের জন্য তাকাবো তোমার দিকে আমি অবাক হয়ে বললাম । না আমি অন্য কিছু মনে করেছিলাম । সুমি আপু হেঁসে বলল । আমি আবার বললাম বোলো না তোমার পেট এমন সমান কি করে । আমার আম্মুর পেট ও তোমার টার মতো সমান না । আর আমারটা তো ইয়া বড় । তুমি এখনো ছোট তো তাই ওরকম একটু বড় হও জিমে ভর্তি করে দিবো তোমায় তখন তোমার পেট ও কমে যাবে তবে খাওয়া দাওয়া একটু কন্ট্রোল করতে হবে । তাহলে আমার বড় পেট ই ভালো আমি খাওয়া কন্ট্রোল করতে একদম পারি না আর যদি সেটা আম্মুর রান্না হয়। আর খাওয়ার কথা মনে করলে যখন একটু থামাবে আমি আইস ক্রিম খাবো । সিওর বলে সুমি আপু একটা দোকান দেখে গাড়ি থামালো । তারপর আমার জন্য একটা আইসক্রিম এনে দিলো। আইসক্রিম খেতে খেতে আমার মনে একটা কথা আসলো এই কথা টা বললে সুমি আপু লজ্জা পাবে তাই বললাম না সুমি আপু ব্যায়াম করে যতই পেট কমাক না কেন ওর পাছাটা কিন্তু বেশ মোটা আমারটার চেয়ে ও । মনে মনে আমি একটু হাসলাম জিম করে কচু হয়েছে পাছা মোটা ( মনে পরলে আমার এখনো হাসি আসে আমি কত বোকা ছিলাম )   আমাকে বাসায় আসতে দেখে দিনা মানে আমার সৎ মা হেঁসে বলল কি জিতু মায়ের কাছ থেকে এত তারাতারি চলে এলে যে মা কি ঠিক মতো আদর করেনি । আমি বললাম চলে আসিনি আমার একটা জিনিস নিতে এসেছি , আর বারান্দায় গিয়ে দেখে এসো তোমার চোখ কপালে উঠে যাবে । এই জিতু এই জিতু বারান্দায় কি আছে সৎ মা দিনা আমাকে পেছন থেকে ডাকতে লাগলো আমি কোন পাত্তা দিলাম না । ঘরে ঢুকে আমি আমার সাইন্স এর বাক্স বের করলাম গেলো বছরের প্রজেক্ট টা নিলাম একটা রোবট যেটা নাচতে জানে । কিন্তু এই রোবট টা তো সুধু বাহানা আমি নিতে এসেছি আমার সেই প্রজাপতি গুলো যেগুলো আমি সাইন্স প্রোজেক্ট এর জন্য বানিয়েছিলাম ঠিক কিন্তু জমা দেইনি মনে করেছিলাম এগুলো কোন পাত্তা পাবে না । মোট তিনটে প্রজাপতি একেকটা মাত্র দের ইঞ্চি করে এতে লাগানো আছে  ছোট্ট কিন্তু পাওওারফুল কেমেরা যাতে ২০ গুন অপ্টিকাল জুম । অনেক দূর থেকে ভিডিও করতে পারে । আর এটি রেডিও ফ্রিকন্সি রিমোট কন্ট্রোল দাড়া পরিচালিত যা প্রায় ১৫০ ফুট দূর থেকে । প্রজাপতি গুলতে একটা করে ছোট এন্টিনা আছে আর আমার রিমোটে ও একটা আছে । এই এন্টেনা দাড়া পরজাপতি তে ফিট করা কেমেরা যা দেখে টা একটা স্টেশনএর মনিটরে দেখা যায় । স্টেশন হিসাবে আমি আমার ল্যাপটপ ব্যাবহার করি । জিনিস গুলি একটা বেগে ভরে আমি যখন বের হয়ে আসছিলাম । আবার আমার সৎ মা দিনার সাথে দেখা । এই জিতু তোর মা নতুন গাড়ি কিনলো বুঝি । সৎ মা আমাকে প্রশ্ন করলো । না ওটা আমার গাড়ি , সৎ মার মুখটা হা হয়ে গেলো । এত বড় গাড়ি তোকে দিয়ে দিয়েছে , সুধু গাড়ি না আম্মুর ঘোড়া ও আছে আমাকেও একটা ঘোড়া দিবে । শেষের অংসটা বানিয়ে বললাম আমি আর দেরি না করে চলে এলাম । নিচে আসতেই সুমি আপু আমাকে জিজ্ঞাস করলো সব নেয়া হয়েছে তো ? হ্যাঁ সব নিয়ে নিয়েছি আমি বললাম । আমরা গাড়িতে উঠে চলে এলাম আম্মুর বাড়িতে আম্মু বাইরে গেছে জিনাত খালাকে বলে গেছে দুপুরের খাবার নিয়ে আসবে । এখন বাজে ১১ টা এর মানে আম্মুর আসতে এখনো ঘণ্টা তিনেক বাকি । আমি নিজের ঘরে চলে গেলাম । আম্মু আসার আগেই আমাকে সব কিছু ঠিক ঠাক করে নিতে হবে । আমি যখন আমার প্রজাপতি গুলো ঠিক মতো কাজ করছে কিনা দেখছিলাম আম্মু তখন আমাকে কল করলো। আমি রিসিভ করতেই আম্মু অন্য পাশ থেকে বলল বাবাই সোনা কি করছো ? বাসায় চলে এসেছো ? হ্যাঁ আম্মু আমি বাসায় চলে এসেছি তুমি কোথায়? আমি একটু তোর শিলা আনটির সাথে পার্লার এ এসেছি সোনা । বুড়ি হয়ে যাচ্ছি তো তোর বউ এসে জেনো আমাকে বুড়ি না ভাবে তাই নিজেকে ঠিক রাখছি । বলে আম্মু হাসতে লাগলো সাথে শিলা আনটির হাসির আওয়াজ ও পেলাম । ধুত আম্মু তুমি না আমার লজ্জা লাগে আমি লাইন কেটে দিলাম । ওপাশ থেকে আম্মু বলল এই জিতু রাখিস না বাবা শোন দুপুরে কি নিয়ে আসবো তোর জন্য সেটা তো বল । খাবার এর নাম শুনলে আমি একটু গলে যাই আমি বললাম , দুইটা বার্গার আর চাওমিন সাথে চিকেন ফ্রাই । আচ্ছা আচ্ছা আমার পেটুক ছেলে নিয়ে আসবো । আমি কল কেটে মনে মনে হাসলাম আম্মুটা না খুব দুষ্ট পার্লার ভর্তি এত গুলো মানুষ এর সামনে কেমন আমার বিয়ে নিয়ে কথা বলল ।   ঘণ্টা দুয়েক পর আম্মু চলে এলো আমার ও সব কিছু ফিট করা হয়ে গেছে । কইরে জিতু নিচে চলে আয় আমার পেটে তো ছুঁচো লাফা লাফি করছে । আম্মুর ডাক শুনে আমি সব কিছু গুছিয়ে রেখে নিচে নেমে এলাম ।   আমি পেটুক না কি তুমি বাইরে থেকে এসেই খেতে বসে যাচ্ছ । আমি আম্মুর উপর পার্লারে বসে আমাকে পেটুক বলার প্রতিশোধ নিলাম । আম্মু হেঁসে আমার মাথার চুল গুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলল খাওয়ার জন্য তো পাগল হবোই আমি যে পেটুক এর মা । নাহ আম্মুর সাথে কথায় পাড়া যাবে না আমি আম্মুর সাথে খেতে বসলাম । বার্গার এ একটা বড় সড় কামর দিয়ে মনের সুখে চিবুতে লাগলাম । আহ অমৃত সকালে ভালো করে খেতে পারিনি । এখন আমি নিশ্চিন্ত রাতের সব বেবস্থা করে ফেলেছি ।   খাওয়ার পর কি করবি আম্মু আমাকে জিজ্ঞাস করলো । তুমি কি করতে চাও আমি উলটো প্রশ্ন করলাম । আমার তো ইচ্ছা তোকে বুকে নিয়ে ঘুমুতে যাই অনেক দিন দুপুরে ঘুমাই না । আমি মনে মনে ভাবলাম ভালই হলো রাতে জেগে থাকতে সাহায্য করবে আমি রাজি হয়ে গেলাম । খাওয়া দাওয়া শেষে আমি আর আম্মু পর্দা টেনে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে পড়লাম ।                                            ***********
Parent