অবৈধ সম্পর্ক - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-6293-post-271074.html#pid271074

🕰️ Posted on March 20, 2019 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 539 words / 2 min read

Parent
৬.৭ —পিপলু , বড় কাজের সময় এসে গিয়েছে, খেলাটা আমাদের মতো করে খেলবো ৷ —দোস্ত,তুই বললে চোখ বুজে নেমে যাবো, যেকোনো খেলায় ৷ —ইসলামী ফ্রন্টের ইসহাক মাওলানাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে এলিমেনেট করতে হবে, না হলে, রেজাউল চাচার নির্বাচনে জয়ী হওয়া আর হবে না ৷ —তা কইথেকা সরাবি,  নির্বাচনথেকে? —সময়ই বলেদিবে, নির্বাচন থেকে না নাকি দুনিয়া থেকে, রাতুল শয়তানী হাসি দিয়ে বললো, রুমেলের কথা শুনে মাঝেমাঝে পিপলুও ঘাবড়ে যায় কিন্তু সে জানে রুমেল সব সময় ঠিক চালটায় চালে ৷ —শুন পিপলু, তোর মনে আছে ইন্টারে থাকতে কলেজে একবার আমরা নাটকে অংশ নিছিলাম,  —হুম,যেটাতে আমি রাজাকার সাজছিলাম আর তোরা কয়েকজনে মুক্তিযোদ্ধা, পিপলু হেসে উঠলো পুরোনো কথা মনে করে ৷ —ঠিক, আমাদের আরেকটা নাটক করতে হবে ৷ পিপলু বুঝে গেলো, তারা আরেকটা বড় খেলার অংশ হতে যাচ্ছে ৷  কিছুক্ষণ পর তাদের আড্ডায়, রন্টু আর জাবেদও যোগ দিলো, —জাবেদ বয় বয়,তোর তো আমাগো সবাইরে খায়ানো লাগবো, —কোন খুশিতে, —তোর লাইব্রেরীতে দুজন শেয়ারদার বাড়লো,রাতে টাকা নিয়া যাইছ, দুলাখ ৷ জাবেদ তো উঠে দাড়িয়ে গেলো, বেচারার নতুন লাইব্রেরীতে মাল উঠাতে পারছিলো না, অনেকদিন আগেই তার জিগরি দোস্ত রুমেলকে বিষয় টা জানিয়েছিলো, কিন্তু রুমেলের হাতেও কিছু ছিলোনা ৷ থাকলে দিতো বেচারা, কিন্তু ইদানিং নির্বাচন নিয়ে মার্কেট চাঙ্গা তাই হয়তো হাতে মাল পাইছে ৷ এমনিতে রুমেলের মন বড় কাউরে করলে মন থেকেই করে ৷ জাবেদ নিজের পকেট থেকে সবগুলারে মাল খাওয়াবে বলে কথাদিলো ৷ এরমাঝেই রন্টুর প্রেমিকার কল আসলো, রন্টু ফোননিয়ে উঠে যেতেই, পিপলু বলে উঠলো, রন্টু শালা কই যাছ বয় বলতাছি, লাউডে দিয়া কথা বলবি, সারাদিন কি বালের কথা কস? —যাক না, প্রেমই তো করতাছে, করতে দে শান্তিমতন, পরে বলবে, বন্ধুদের জ্বালায় প্রেমও করতে পারলাম না ৷ রন্টু গাছের চিপায় গিয়ে কথা বলতে লাগলো, সন্ধ্যে প্রায় ঘনিয়ে, এসেছে ৬.৮ রমিজ মির্জা অনেক আগেই বাড়ি ফিরেছে মাদ্রাসা থেকে, রোমানা তাকে ভাত বেড়ে দিলো, পান খেয়ে খেয়ে রমিজের জিহ্বা পুরোটাই গেছে, কোনো কিছুতেই স্বাদ পান না ৷ খাওয়া শেষে, রমিজ নিজেদের রুমে গিয়ে খাটে বসতেই, মোবাইলসেট দেখে অবাক, কার এটা? টেবিল থেকে সব কিছু গুজগাছ করে, রোমানা রুমে আসতেই, রমিজ তাকে জিগাসা করে বসলো, —এই শয়তানী জিনিসটা কার! —আপনার ছেলে, কিনছে আমার জন্যে ৷ সে নাকি বাজারে একটা লাইব্রেরী দিছে ঐখান থেকেই লাভের টাকায় আমার জন্যে, মোবাইলটা নিলো ৷ —দেইখ, আবার এসব শয়তানী জিনিস পত্র, আর তোমার ছেলে কোন হারামের টাকায় এসব কিনছে কে জানে,তারে তো আর বিশ্বাস করা যায় না ৷ রোমানা জোরদিয়ে বললো, আমারে কখনোই রুমেল মিথ্যা বলেনা ৷ রমিজ রাগে গজগজ করতে থাকলো, এসবের পর রমিজকে সোমার স্কুলের খেলার কথা আর বলার ইচ্ছে হয়নি রোমামার ৷ রমিজের ধারনা, তার ছেলে রুমেল বখে গিয়েছে ৷ যাকে আর ফেরানোও সম্ভব নয়, সে চেয়েছিলো ছেলে হাফেজ হবে নামাজ পড়াবে ৷ছেলের হাত ধরে সে বেহেস্তে যাবে, কিন্তু মাদ্রাসায় ছেলে সুবিধা করতে পারলো না, তারপর তার ভাইয়ের কথা ধরে হাইস্কুলে ভর্তি করেছিলো, রমিজের ভাই এর মতে স্কুলে পড়েও ভালো মানুষ হওয়া যায়, যেহেতু তিনিও স্কুলেই পড়েছেন ৷ কিন্তু ছেলে সুধু মারামারি করতো, একসময় এই ছেলের উপর থেকে তিনি আশা হারিয়ে ফেলেন, সুধু মাত্র তার ঔরসে জন্ম বলেই পিতার দ্বায়িত্ব পালন করতে লেখাপড়ার খরচ দিয়ে গেছেন ৷ রমিজ মির্জা চেষ্টা কম করেনি, তিনি তার বৌয়ের কেনো জন্মনিয়ন্ত্রণ করান নি এমন কি বড়িও খেতে দেননি, আরেকটা ছেলের আশায় আশায় তার দুটো মেয়ে হয়েছে কিন্তু ছেলে আর হয়নি, এখনো রমিজ আশা হারায়নি, কিন্তু নিজের দূর্বলতা সম্পর্কে সে ভালো করেই জানে,তারপরেও অনিয়মিত ভাবে বৌয়ের সাথে সহবাস করছেন, যদি খোদা কখনো মুখতুলে তার দিকে  চান!
Parent