অদ্ভুত আঁধারে - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-25178-post-1845855.html#pid1845855

🕰️ Posted on April 16, 2020 by ✍️ AAAdmin (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1016 words / 5 min read

Parent
প্রথম পার্ট. কোনো ঘটনার সত্যতা নিয়ে কোনো ভাবে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই. পাঠক তার বেক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝিয়ে নিতে পারে ঘটনার বাস্তবতা. ভূত আমরা কেউ দেখি নি. তবু ভূত এর উপস্থিতি নিয়ে নানান বক্তব্য , ঘটনা আমাদের শিহরিত করে. তাই ভূত থাকলেও আছয়ে , না থেকেও আছয়ে. সেই রকম আজকের এই গল্প ; না কি ঘটনা..কি বলবো? সত্তা সত্যের বিচার না করে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখুন , র যেতেই বুঝবেন ইটা কি নেহাতই মনগড়া না কি চরম বাস্তব. লেখক কখনোই দাবি করবে না ইটা সত্যি , কারণ ঘটনার প্রধান চরিত্রগুলো জন সমক্ষে নিন্দিত হোক তা চেয়ে না. তাই জীবনের গল্প নিয়ে লেখা কাহিনী গুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরার আজ্ঞে , বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ উল্লেখ করতে হয়ে. ইংলিশ এ জেক বলে ডিসক্লেইমার . রোজকার মতোই সকালে উঠে সংসারের কাজ কর্ম রান্না বান্না করে আমরা দুই মা বেতায়ে বেরিয়ে পড়লাম শহরের উদ্দেশে. আমার গন্তব্য কলেজ , মা র গন্তব্য তার ছোট্ট সারির ব্যবসা. মহাজনের কাছ থেকে সারি নিয়ে বিক্রি করা. হোটেল করে বাবা মারা যাবার পর পড়ি এই ব্যাবসায়ে নামতে হয়ে মা ক. এটাই আমাদের এক মাত্র সোহায়ে সম্বল. আমি বেরোয় ১০ তার লোকাল এ , র মা ধরে সাড়ে ৯ তার. ভিড় ঠেলে ধাক্কা ধাক্কি করে রোজ চলে জীবন তাকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ. আজ তাই. তবে আজ আমার কাছে শহরে যাবার উদ্দেশ তা একটু আলাদা. না, আজ কলেজ যাবো না. আজ একটু অন্য জায়গায় যাওয়ার আছয়ে. এক নয় সঙ্গে আরও দুজন বন্ধু ও থাকবে. এক জন ২ ইয়ার্স এর সিনিয়র র এক জন আমার ক্লাস মেট. আসলে যে হেতু আমি কলেজ টুর্নামেন্ট খেলি সেই হেতু ১স্ট যার থেকে ফাইনাল যার পর্যন্ত সকলেই আমাকে খুব ভালো করেই চেনে. তাদের সাথেই যাবতীয় আড্ডা , যেকি , ফাজলামি. এইভাবে থার্ড যার এর অভিরূপ দাঁড় সাথে আমার বন্ধুত্ব তা বেশ ঘনিষ্ট হয়ে উঠলো. অভিরূপ দা কে কখনো কখনো অভি দা ও বলেও ডাকি. এর জন্য দেবু , মানে আমার ক্লাস মেট , বহুলাংশে ডাইইই . আমি আধা শহরের ছেলে , হলে স্টেশন সগলগ্ন এলাকায় একটা বোরো বাজার বসছে , র তাকে ঘিরেই কিছু পাকা বাড়ি উঠেছে , দোকান পাট গুলো সেই বাড়ির এক তোলা দখল করে. এতেই নাকি মিউনিসিপালিটি করা হবে সোনা যাচ্ছে. রাস্তার দুপাশে খোলা ড্রেন . তাতে কালো পাঁক . মশারা সেই পাঁকে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সাতপুরুষ ধরে সংসার করে চলেছে . বৃষ্টি পড়লে সেই নর্দমার কালো জল টইটুম্বুর হয়ে ওঠে . তবে গ্রাম্য এলাকা তাই জল দাড়ায়ে না সে ভাবে. এই রকম এক আধা শহুরে ছেলে স্বভাব লাজুক ছেলে এই আমি. সেই কারণে অভিরূপ দাঁড় সাথে খোলামেলা হতে কিছুটা সময় নিলো. এক দিন আমরা ডিস্ট খেলতে অন্য একটা ডিস্ট এ গেছি. তিন জন্যে খেলার পর মাঠে বসে আছি. সবে সন্ধে নেমেছে. দূরের বোরো বোরো বাড়িগুলোতে লাইট জ্বলছে , মাঝ্যে মধ্যে দূর থেকে ভ্যান রিক্সার পান প আওয়াজ. র রেল লাইন দিয়ে মালার মতো ট্রেনগুলো ঝুপ ঝুপ করতে করতে ছুতে বেরিয়ে যাচ্ছে.  “ তুই কেউ ক লাগিয়েছিস রে আপু ?” অভিরূপ দা বললো . “ man ? কি লাগাবো” বিশিষ্ট হয়ে বলি. “ না মানে তোরা গ্রামের ছেলে , গ্রামের মেয়েগুলো শহরের মেয়েদের মতো টেন্ডার না. জোর করে টিপে দিলেও লজ্জায় ভয়ে কেউ ক কিছু বলে না. তাই বলছি তুই কেউ ক করেছিস বা টিপেছিস?” “না , কি জাত বোকো না তুমি. এখানে এ সব হয়ে না. এমনিতেই গ্রামের মেয়েদের কম বয়েসে বিয়ে হয়ে যায়. “ আমি বললাম. “করবি কেউ ক ? ইচ্ছে থাকলে বল. আমি ব্যবস্থা করবো. ফিরে গিয়ে আমরা তিন জন্যে যাবো . আমি জায়গা চিনি. কোনো ভয়ে নেই. আমরা তিন জন্যে বাইরে কেউ ক না বললে , জানবে কোন সালা” এক নিস্বাসে বললো অভিরূপ দা. তারপর খাক খাক করে হেসে উঠলো. আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম. কিছুটা সংকোচ , কিছু তা ভয়ে , কিছু তা গ্রাম্য জীবনের সংস্কারে কোনো উত্তের দিলাম না. “ কি রে বল , আপু…আচ্ছা থাকে , আজ্ঞে তো ফিরি তারপর তোকে নিয়ে যাবো খান. দেখবি আট থেকে আসি , যেমন চাইবি তেমনি পাবি. োর দারুন বেহাভে করে বুঝলি , বুঝতেই পারবি না যে ওদের সাথে তোর প্রথম দেখা. “ “ কিরে পারবি তো?” দেবু বললো , “ অভিরুপদার সাথে আমি দুবার গেছি , মাগী গুলো যা না…উফফফফ.” “ সে কি , তুই কবে গেলি ? বলিস নি তো?” আমি পর্যায়ে ককিয়ে উঠে জিগেশ করলাম. “ ব্যারন ছিল বস . আজ অভিরূপ দা নিজে থেকে বললো তৈরি বললাম. “ তার পর উচ্ছসিত হয়ে বললো ,” অভিরূপ দা ফিরে গিয়েই চলো না , এবারে একটা বৌ দি চাই. পছ ভারী হবে . বুক দুটো ব্লউসে চিরে বেরিয়ে আসবে , থই যেন কলাগাছের কান্ড .” “ কি কান্ড ? “ কথার মাঝ্যে অভিরূপ দা বলে ওঠে .” তুই তো সাহিত্য করে ফেলি যে. শেষ পর্যন্ত কুমারসম্ভব পার্ট যায় লিখবি না কি?” বলেই সেই একই রকম খাক খাক করে হেসে উঠলো. “ না না , এবারে একটা বৌ দি চাইইইই..আঃহ্হ্হঃ. তুমি যাই বোলো না কেন.” “ ঠিক আছয়ে রে বাবা. আজ্ঞে তো কালকের ম্যাচ তা জিৎ. না হলে পেছনে লাঠি খাবি.” তারপর একটু থিম বললো ,” জানিস আমি একটু অন্য কথা ভাবছি.” “ কি কথা?” দেবু জিগেশ করলো.  “ না কিছু না , ভাবছি গ্রুপিং করবো এবার…” দেবু আশ্চর্য হয়ে বললো ,” মানেএএএএএএএ? মানে তা কি?” “ মানে আবার কি…ত্বসমে , থ্রীসামে শুনিস নি? ওই রকম কিছু একটা. তবে একটু খরচ সাপেক্ষ.” “ কত?” দেবু জানতে চাইলো. “ সব চেয়ে বেশি মুশকিল হলো এই রকম করতে রাজি করানো. এখন মাগী গুলো র আগের দিনের মতো না. সব ইউনিয়ন করেছে. অনেক ভাঁটার. দেখি বাড়ির বৌ বা ডিভোর্স এ বা বিধবা এই রকম প্রায়ই কিনা. “ “ তাতে কি হবে?’ দেবু উৎসুক হয়ে জানতে চাইলো. “হবে হবে…না চল ফিরতে হবে. অনেক্ষন আড্ডা হলো.” পুরো কথোপকথনে আমি শুধু নীরব শ্রোতা হয়ে রইলাম. পর পর দুটো ম্যাচ হয় হয় করে জিতে আমরা আমাদের ঘরে ফিরলাম. এরপর সেমিফাইনাল . সেমিফাইনাল এ জিতলেই নিজেদের মাঠে ফাইনাল. দেখতে দেখতে বেশ কত দিন কেটে গেলো. সেদিন কার রাতের আলোচনা মন থেকে হারিয়ে গেলো. র পাঁচ তা সাধারণ কথা যেমন অসংখ ঘটনার নিচে চাপা পরে যায় সেই ভাবে সেদিনের সেই আলোচনা টাইম পাস হয়েই হারিয়ে গেলো. এই ভাবে ১টা মাস কাটলো. ফাইনাল তা আমরা জিততে পারি নি. প্রচুর বৃষ্টির কারণে ম্যাথ খেলার অনুপযুক্ত হওয়ায় উভয়ে দোল কেই যুগ্ম বিজয় ঘোষণা করা হয়ে. এতে আমরা কেউই খুশি হতে পারি নি. কারণ আমাদের এ বিশ্বাস ছিল যে আমরা জিততাম. বেশ ভালো ভাবেই জিততাম. (তো যে কোনত্দ....)
Parent