অদ্ভুত আঁধারে - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-25178-post-1860761.html#pid1860761

🕰️ Posted on April 20, 2020 by ✍️ AAAdmin (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1189 words / 5 min read

Parent
অধ্যায়ে দ্বিতীয়. ফার্স্ট পার্ট ….. দরজার পাল্লা তা খুলে গেলো . নীরবে ঘরে প্রবেশ করলাম. চোখ রইলো মাটিতে. মুখ তুলে সামনের মানুষ টি ক দেখার মতো মনের অবস্থা তখন নেই. সংকোচ , লজ্জা , ভয়ে র অনাগত ভবিষ্যতে কি ঘটে তে চলেছে এই সব মাথার মধ্যে দোলা পাকিয়ে বোন বোন করে ঘুরতে শুরু করেছে. তাই নীরবেই ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলাম. শুধু কানে এলো খুব সন্তর্পনে দরজা বন্ধ করার একটা চাপা আওয়াজ. ছোট্ট শহরের মতোই আমাদের এই ছোট্ট ঘর তা. আজ্ঞে থাকতাম চার জন. এখন দুই. একটা বেডরুম , একটা মাঝারি সিজির পড়ার ঘর , বা বাইরের কোন লোক অথচ ক্লোসে রিলেসন এমন কেউ আসলে ওই ঘরে বসে কথা বলা হতো. সবার ঘরে খুব একটা কেউ যেত না. যদি না বাবার বন্ধুর বৌ রা বা বাছা রা আস্ত. এখন ওই ঘরে মা ই সয়ে . র আমি এই ঘরে . আমার নিজের মতো করে সাজানো গোছানো যা বাইরের লোকের রা দেখে বলবে এক নম্বরের অগোছালো ছেলে. বাইরের দরজা খুলে ফুট চারেক লম্বা একটা প্যাসেজ পেরিয়ে যে ঘরটা সেটাই ekho বাইরের লোকের বসার জায়গা. অবশ্য সে ভাবে এখন র কেউ আসে না. মার পাড়ার কিছু কাস্টমার বৌ , র এদিক সেদিক থেকে দু পাঁচ জন. আন্টিও স্বজন বোল্ট এক মাসি. বুড়নপুরে থাকে . সে আমাদের দুর্দিনে যা উপকার করেছে তা লিখে বোঝানো যাবে না. নিঃসন্তান এই মাসি র মেসো প্রাথমিক ভাবে আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে , আমরা কোথায় হারিয়ে যেতাম ক জানে. পাঠক রা হয়তো ভাববেন e রকম একটা সাহায্যের হাত যখন রয়েছে তাহলে এই পথে নাম কেন? তার উত্তরে বলি , এমনিতেই আমরা ওদের কাছে ভীষণ ভাবে রিনি . আমাদের এক বোরো বোঝা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন , আবার যদি আর্থিক কারণে বার বার হাত পাতি তাহলে ওদের পরিবারেও তো চাপ পর্বে. র যাই হোক , চা পোষা চাকরি জিবি মানুষ. আয়ের একটা লিমিটেশন তো আছয়ে. তাই মা ক কোনো দিন দেখি নি , মাসির কাছে টাকা চাইতে. --“ এতো গুলো কল করলাম , পঃ তা ধরলি না তো” পাখা চালিয়ে চেয়ারে বসেছিলাম এতক্ষন . টেবিলের ওপর কোনোই রেখে মাথার ভাঁড় তারই ওপর ছেড়ে. --“ খেয়েছিস কিছু?” অসম্ভব ঠান্ডা প্রাণহীন ভাসায়ে শব্দগুলো দরজার মুখ থেকে ঘরের ভেতরে ধেয়ে এলো. মাথা তুলে ঘর তাকে সেই দিকে কাট করে দেখি মা দাঁড়িয়ে দরজার গোড়ায়. --“ কিছু তো খেয়ে না. যা ,জামা কাপড় ছেড়ে বাথরুম থেকে গা হাত পা ধুয়ে আয়ে. আমি খাবার গরুম করছি.” ঝপাৎ করে পর্দা তা ফেলে দিয়ে মা রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো . আমি সেই চলে যাওয়া ছায়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম koye মুহূর্তের জন্য. এতো রাতে চান করলে শরীর খারাপ করবে , তাই গায়ে জল ঢেলেই সারা দিনের সব আবর্জনা ধুয়ে মাচ সাফ করতে হবে . Kint সত্যি কি , তাই? পাপ বোলো পাপ , আবর্জনা বোলো আবর্জনা , যাই বোলো এই সাবান জল কি পারবে আমাকে ঠিক কালকের সকালের মতো সূচি করতে? শুধু একটা ঘরের মধ্যে বাথরুম এর জলের তলায় সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম. র সারা শরীর দিয়ে তিব্বর বেগে জল রাশি সব ক্লান্তি , জব যন্ত্রনা , সব দুঃখ , সব অনুভূতি গুলো ক ধুইয়ে নিয়ে নর্দমা দিয়ে বয়ে যেতে লাগলো. খিদে পেয়েছিলো ঠিকই , কিন্তু খাওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় না থাকায় গলা দিয়ে রুটি নামছিলো না. আমার সব চেয়ে প্রিয় খাবার আলুর ডোম . সেটাই মা রাতে ফিরে এসে রেঁধে chil. ভেবেছিলো , হয়তো অনাগত ঝড় ক যদি এই ভাবে সামাল দেওয়া যায়. কিন্তু আমার মনের ভেতরের সেই ঝড় আমার মন তাকে যে ভাবে ভেতরে ভেতরে বিদ্ধস্ত করে তুলেছিল , তার দশমিক এক অংশও বাইরে বোঝা গেলো না. মনের অনুভূতি জাগানো মুখের দোষ দোস্তি মাংসপেশি অদ্ভুত ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে রইলো se রাতে. --“ আলুর ডোম তা ভালো হয়েছে.” আন্তবিশ্বাস হীন গলায় মা জানতে চাইলো. আমি থালা থেকে চোখ তুললাম . ---“ ভেবেছিলাম কত লুচি করে দেব. ময়দা মেখেই রেখেছিলাম … এতো দেরি করলি ….তাই রুটি করলাম….পরোটা ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যেত.” থালা থেকে চোখ তুললাম . সামনে বসে মা . চোখে চোখ পড়তে ই আলতো করে চোখ তা নামিয়ে নিলো. মাথা হেট্ করে খাবার টেবিল এর ওপর চেয়ে রইলো. আমি কোনো দিন মা ক এভাবে দেখি নি. কাকে দেখছি , কি দেখছি …কি মেলাতে চাইছি …এই সব ভাবতে ভাবতে এক দৃষ্টি তে চেয়ে রইলাম মার টেবিলের ওপর ঝুকে পড়া মুখের দিকে. কয়েক গোছা চুল ও সামনের দিকে দোল খেতে লাগলো. কোনো রকমে ৩ তে রুটি খেয়ে উঠে পড়লাম. ঘরে এসে শরীর তা কে বিছানায় এলিয়ে পড়লাম. একটু বাদে বাইরের বসা চুঁ খাওয়ার ঘরের আলো নিভে গেলো. পাশের ঘরে র দরজার একটা শব্দ কানে এলো. সারা দিন অনেক ধকল গেছে. শুধু শারীরিক না মানসিক ও. কিন্তু এরপর কি …. এই ভাবনা ভাববার মতো পরিস্থিতি বা ফুরসৎ কোনো তাই এতক্ষন আমার ছিল না. পাশে মার ঘরের ভেতরের আলো তা তেরছা ভাবে বারান্দায় পড়েছে. সেই দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে একটা বিষয়ে ক বিশ্বাস করতে লাগলাম যে আজ সারা দিন যা ghotech সেটা নিছক স্বপ্ন নয়… বা কল্পনা নয়…যা ঘটেছে…কি তার অনুভূতি …কি তার ফলাফল এর পর কি এই সব ভাবতে ভাবতে কখন দুচোখে অন্ধকার নেমে এলো তা জানতে পারি নি. এ যেন এক অন্য অন্ধকার . রোজ রাতের মতো না. আরও বেশি কালো , আরও বেশি নিকেশ …এক অদ্ভুত আঁধার…অন্ধকার. এইভাবে দু পাঁচেক কেটে গেলো. আমরা কেউ কারোর সাথে প্রয়োজন টুকু ছাড়া কথা বলতাম না. চোখে চোখ পড়তে দুজনেই সেই দৃষ্টি লুকানোর চেষ্টা করতাম. কলেজ না গিয়ে বাড়িতেই থাকলাম এ ক ‘দিন. বেশির ভাগ সময় তা ঘুমিয়ে কাটানোর চেষ্টা করতাম. কিন্তু হটাৎ করে তৃতীয় দিন রাতে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলো . হটাৎ মাঝ রাতে মাথায় কারো হাতের পরশে ঘুমটা bheng গেলো. কিছু তা আতংকিত হয়ে চাপা গলায় চেঁচিয়ে উঠলাম ক , ক বলে. অন্ধকারে কেউ ক দেখাও যায় না কিন্তু পশে যে কেউ আছয়ে তার অস্তিত্ব ঠিক ঠাহর করা যায় . - ‘ আমি রে…এতো রাতে , র ক আসবে?” - “ ও তুমিই…হটাৎ এখন? আলো জ্বালাও নি কেন? “ - “ আলো জলাশ না. তোর সাথে কিছু কথা আযাচিয়ে.” - “ কি কথা?” টানা ৩/৪ তে সংলাপের পর আবার এক দীর্ঘ নিরাবতা. ভূতের মতো বসে আছি. অস্পষ্ট অবয়বের সামনে . শুধু দীর্ঘ স্বাস প্রশ্বাসের শব্দ জানান দিচ্ছে এই ঘরে আমি ছাড়া আরও কেউ আছয়ে. - “ তুই বিশ্বাস করবি কিনা জানি না . এক প্রকার বদ্ধ হয়ে এই কাজ করতে হ হয়েছে আমাকে.” - “ থাকে না. কি হবে শুনে?” - “ যদি না বলি সারা জীবন তোর কাছে আমি ছোট হয়ে যাবো.” - “ শুনেও তো আমি এই মুহূর্তে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন করতে পারবো না , তাই না? - “ তবু তোর সোনা দরকার. এটাক যদি তুই এক্সকিউসে ভাবিস তাই ভেবে না.” মার কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে যে টানা পড়েন তা পুরোটা সেদিন প্রথম জানলাম. এর আজিয়েও টাকার টান পড়াতে মহাজনের সজ্জা সঙ্গিনী হতে হয়েছে কয়েকবার. এবার র মহাজনের এক মেয়েমানুষ আর ভালো লাগে নি . তাই টাকা জোগাড়ের জন্য এই পথ তাই বাতলে দায়ে . ঘটনা চক্রে অভি দাও প্রথম কাস্টমার হিসাবে সামনে এসে পরে. র যার ফল আমাদের জীবনে এই দুর্ঘত না. - “ তুমি মাসি মুনি ক তো ধার চাইতে পড়তে.” - “ হয়তো পারতাম . কিন্তু তুই বল , তোর বাবা মারা যাবার পর যে ভাবে তোর মাসি মেসো আমাদের পশে দাঁড়িয়েছে এরপর র তাদের কাছে কিছু চাও তা কি সমীচীন হতো? এই আর্থিক পরিস্থিতি তে তিন্নি যদি থাকতো. পারতাম কি এই ব্যবসা তে তিন তে প্রাণীর মুখে অন্য জোগাতে? পারতাম , তোকে কলেজ পড়াতে?” অন্ধকার ঘরের নিরাবতা ছিন্ন করে চাপা কান্নার আওয়াজ গোটা ঘরে প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো.
Parent