অনিন্দিতার অভিলাষ - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-63918-post-5679357.html#pid5679357

🕰️ Posted on July 31, 2024 by ✍️ Himani_Milflove (Profile)

🏷️ Tags:
📖 482 words / 2 min read

Parent
জানালা দিয়ে আলো আসছে ঘরে। কিং সাইজ খাটে দুটো অসম বয়সী শরীর। একটা শরীরের কোমর অব্দি চাদরে ঢাকা আরেকটার পায়ের কাছে চাদর। দুটো শরীরে কোনটাতেই আর কোন কাপড় নেই। উপুর হয়ে শুয়ে থাকা আধা চাদরে ঢাকা শরীরটাকে পুরোপুরি ঢেকে দিলেন অনিন্দিতা দত্ত। কপালে আলতো করে একটা চুমু এঁকে দিয়ে উঠে পড়লেন কিং সাইজ খাট থেকে। নিজেকে একবার ঘরের বড় আয়নায় দেখে নিলেন এক ঝলক। আয়না দিয়েই ঘুমিয়ে থাকা নির্লিপ্ত মুখটা দেখতে পেলেন, যেন কি প্রশান্তির ঘুম ! কাল রাতের কথা মনে করে ঠোঁটের কোনে হাসি চলে এলো অনিন্দিতার। অনিন্দিতার ডাকনাম তুলি। বয়স এখন আটচল্লিশ। তার তেতাল্লিশতম জন্মদিনের রাত তাঁর জীবনে নতুন মোড় এনে দিয়েছিল। সেই রাতের পর থেকে তুলি তার উদ্দাম যৌবনকে ফিরে পায় একেবারে নতুন করে। এ পাঁচ বছরে তাঁর জীবন হয়ে গেছে রং রসে ভরপুর প্রেমময়। এটাস্ট বাথরুমে গিয়ে বাথটাবে শুয়ে পড়লেন আলতো করে। কুসুম গরম পানিতে এলিয়ে দিলেন নিজেকে। গুনগুন করে গাইতে গাইতে ভাবতে থাকলেন কিসব স্মৃতি।।   বিয়ের পর স্বামী শ্যামল দত্তের সাথে এসেছিলেন এই ডুপ্লেক্স বাড়িটায়। সে আজ সাতাশ বছর হতে চললো। স্বামী শ্যামল দত্ত বড় বিজনেস ম্যান। সুখের কোন কমতি রাখেন নি। বিয়ের প্রথম তিন বছর বিভিন্ন দেশে ট্যুর করে কাটিয়েছে দুজনে। প্রথমেই বাচ্চা নেয়নি তারা। নিজেদের জম্পেশ ইনজয় করেছে এদেশ ওদেশ ঘুরে। শেষে তিন বছরের মাথায় অনিন্দিতার সুখবর আসে। এরপর বছর ঘুরতেই ঘর আলো করে আসে তাদের বড় ছেলে তুষার দত্ত। তুষারের যখন চার বছর বয়স তখন তার নংকুর আগায় একটা ঘা হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তার ঐ সময়েই চিকিৎসার খাতিয়ে সামনের চামড়া কেটে ফেলে। ফলে হিমদু পরিবারে জন্ম নেয়া তুষারের নংকু হয়ে যায় মুসমমানি করা নংকু। তুলি আর শ্যামলের তাতে কোন সমস্যা ছিল না। ছেলে যে সুস্থ হয়েছিল তাই অনেক। এরপর তুষারকে একদম কাছছাড়া করেন নি তুলি। শ্যামল দত্ত ব্যবসার কাজে দেশের বাইরে গেলেও ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকতেন তুলি। ছেলেকে শহরের নামী ইংরেজী মাধ্যম কলেজে পড়িয়েছেন। ক্লাস নাইন অব্দি তুষারকে কলেজে নিয়ে যেতেন, নিয়ে আসতেন তুলি। ছেলেকে যেন একটু বেশিই আগলে রাখতেন তুলি। তুষারের যখন দু বছর বয়স তখন আবার প্রেগ্নেন্ট হন তুলি, এবারে কোলে আসে মেয়ে শুভ্রা দত্ত। মেয়ের জন্ম আর তার দেখাশোনা করতে গিয়ে ছেলের প্রতি খেয়াল রাখতে না পারার কারণে ছেলে চার বছর বয়সে অমন কঠিন অসুখে পড়ে বলে মনে করে অনিন্দিতা। সেই ভুল শুধরাতে মেয়ের চেয়ে ছেলেকেই যেন একটু বেশি আগলে রাখতো অনিন্দিতা তুলি। বুকের দুধ ছাড়লে শুভ্রাকে নিয়ে যায় অপর্ণা দেবী ।অপর্ণা শ্যামলের বড়দিভাই, বিয়ের পর স্বামীর ঘরে থাকলেও তার কোন সন্তান হয়নি, তাই শুভ্রাকে একেবারে ছোট থেকে নিজের ভাইঝি কম, মেয়ের মত করে মানুষ করেছেন। তাই শুভ্রা পিশিমনিকে মামনি ডাকে আর মাকে ডাকে মাম্মাম। তুষার তুলিকে মামনি বলে, আর অপর্নাকে পিশিমনি। অপর্না দেবীর আদরে বড় হতে থাকে শুভ্রা। শুভ্রা মায়ের সাথে না থাকলেও দু ভাইবোনের মিল কম ছিল না। ভাইফোঁটা জন্মদিন সব উৎসব খুব ঘটা করেই পালন করতো দত্ত পরিবার। দুই বাড়ির মধ্যে দুরত্ব গাড়িতে তিন ঘন্টার পথ। সহসাই আসা যাওয়া হতো দুই পরিবারের মাঝে। পুজো এলে তো কথাই নেই। ষষ্ঠী থেকে দশমী দত্ত বাড়িতে উৎসবের ঘটা। জয়েন করুন টেলিগ্রাম পাবলিক গ্রুপেঃ @maeradorerpacha আর গল্প নিয়ে জানাতে পারেন আপনার মতামত।
Parent