অপরচিতা - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-11767-post-619825.html#pid619825

🕰️ Posted on July 6, 2019 by ✍️ udas (Profile)

🏷️ Tags:
📖 403 words / 2 min read

Parent
ধুপধাপ দরজায় ধাক্কার আওয়াজ, কলিংবেলের কর্কশ ধ্বনি আর দুলির মায়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গল পুলকের। আবারও সেই একই শব্দ আর চিৎকার চেঁচামেচি।   পুলকরে ও পুলক দরজা খোল দুলির মায়ের বাজখাঁই গলা সাথে আবারও দরজায় ধাক্কার শব্দ, কলিংবেলের আর্তনাদ।  এক বিরক্তিকর অবস্থা কিন্তু একটুও বিরক্ত হলোনা পুলক। ঘড়িতে দেখল বেলা দশটার উপরে বেজে গেছে। এটাই দুলির মার চিৎকারের কারণ। আস্তে আস্তে বিছানা ছাড়ল পুলক। আবারও দরজায় ধাক্কা, এবারের ধাক্কাটা দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা বলে মনে হলো। পুলক বুঝতে পারল এত বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকায় দুলির মা রাগ হয়েছে।  আবারও চিৎকার ও পপুলকরে - নাঃ এত চিৎকার না এটাতো আর্তনাদ !  পুলক দৌড়ে গিয়ে দরজাটা খুলেই যা দেখল তাতে পুলকের মুখ হাতে হয়ে গেল। আশে পাশের ছোট বড়ো জনা ত্রিশেক প্রতিবেশি সাথে নীচের উপরের পাঁচ তালার ভাড়াটিয়ারাও দরজার সামনে, বারন্দায় দাড়িয়ে পুলকের দিকে তাকিয়ে হই হই করে উঠল ভাবটা এমন যে পুলক মরে নাই বেঁচে আছে। দুলির মা হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে পুলককে   জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠল।   হতভম্ব বোবা হয়ে গেছে পুলক মুখের ভাষা হাড়িয়ে গেছে। আজ দশটা বছর পরে কেউ তাকে এভাবে জড়িয়ে ধরল। ললিত কাকুর কথায় পুলকের মোহ কাটল।  আমরাতো ভেবেছিলাম তোমার কোন বিপদ আপদ হলো নাকি? এভাবে মরার মতো কেউ ঘুমায়? এতে বড় বাসায় একা ঘুমাও কেন?  ইত্যাদি ইত্যাদি সেই সাথে কতটা জনের কত প্রশ্ন কত কথা সবই মনে যাচ্ছে পুলক। নীচ তালার কাজের মাসী রেখাও কম যায়না।  আগে তো দুলির মা এ-ই বাসাতেই থাকতো তারপর সেদিন হঠাৎ করে কোত্থেকে এতো বছর পরে এসে হুট করে হাজির হল দুলির বাপ। এসেই বেটা বলে কিনা কোথাকার কোন কারখানায় কাজ নিয়েছে এখন আর কোথাও যাবে না মেয়ে বড় হয়েছে। আর দুলির মাকেও কোথাও কাজ করতে দিবেনা। অনেক বলে কয়ে পুলক তাদের সংসারের সমস্ত খরচ দিবে এমন চুক্তিতে রাজি হয়ে কেবল দিনের বেলায় পুলকের দেখভাল করতে পারবে বলে দুলির বাপ মতো দেয়। আসলে বেটার চোখ পড়েছে মেয়েটার উপর, শুনেছি ঘণা ঠাকুরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে মেয়েকে ঘণার সাথে বিয়ে দিবে বলে। কিন্তু ঘণা কি বিয়ে করে? ওযে বিয়ের নামে কি করে এটা কারও অজানা নাই। আরও কত কথা। সব কথার ইতি টানল পুলক, সবার কাছে বিনয়ের সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করে বললো গত রাতে তার একটুও ঘুম হয়নি, ভোরের দিকে চোখটা লেগেছিল তাই কোন কিছুই টের পায়নি। সকলেই বিভিন্নধরনের পরামর্শ দিয়ে বিদায় নিতে লাগল। এদিকে দুলির মা পুলককে জড়িয়ে ধরে কুঁই কুঁই করে কেঁদেই চলছে। দুলির মায়ের এ-ই জড়িয়ে ধরাটা বেশ উপভোগ করছে পুলক। তাই সেও দুলির মাকে জড়িয়ে ধরে ঘরের দরজাটা বন্ধ করল। আজ দুলির মা পুলককে দশ বছরের পিছনের কথা মনে করিয়ে দিল।
Parent