অরুনিমা এবং তানিয়া ম্যাডামের মহারাণীর জীবনযাপন (ফেমডম -মিস্ট্রেস গল্প) 18+ - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-16936-post-1155639.html#pid1155639

🕰️ Posted on December 3, 2019 by ✍️ pagi chele 69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1134 words / 5 min read

Parent
পর্ব 14 চট্টগ্রাম পোর্ট, বাংলাদেশ.সন্ধ্যা থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছিল,মধ্যরাত পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে; শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া প্রচন্ড গতিতে ছুটে আসে,উত্তাল সমুদ্র আছড়ে পড়ে সমুদ্রবন্দরের বাঁধানো দেয়ালে. বিশাল বড় বন্দরের বাঁধানো প্ল্যাটফর্ম; সেখানে সারি সারি বড় বড় লোহার বাক্স রাখা রয়েছে, পাশে প্রচুর হলুদ রঙের বড় বড় যান্ত্রিক ক্রেন. এই ক্রেনগুলি দিয়ে জাহাজে মাল তোলা এবং খালাস করা হয়;লোহার বাক্সগুলি করে বিভিন্ন ধরনের মাল আমদানি এবং রপ্তানি করা হয় সারা পৃথিবীতে.প্রচন্ড কর্মব্যস্ত চট্টগ্রাম বন্দরটি খারাপ আবহাওয়ার জন্য আজ জনশূন্য; কর্মরত কিছু কর্মী ছাড়া আর কেউই নেই. আজ সারাদিনে নতুন কোন জাহাজ বন্দরে ঢোকেনি, কিছু জাহাজ দূরে বন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে. আবহাওয়া পরিষ্কার হলে জাহাজগুলি পোর্টে মাল খালাস করবে. বন্দরে কর্মরত এক পুলিশকর্মী রাতের বেলায় ডিউটিতে ছিল, শুতে যাবার আগে সে ভাবল একবার বন্দরটা রাউন্ড মেরে আসা যাক. বর্ষাতি পরে লোকটা বন্দরের ধরে হাঁটতে থাকে-অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে-লোকটা দূরবীন লাগিয়ে দূরে সমুদ্রে জাহাজগুলিকে দেখে. লোকটার মনে হয় দূরে একটা জাহাজ থেকে কেউ যেন সবুজ রঙের একটা লেজার লাইট মারছে বন্দরের দিকে.কর্তব্যরত লোকটার সন্দেহ হয়, নিজের বন্দরের দিকেও দূরবীন তাক করে সে. প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভালোভাবে বুঝতে না পারলেও মনে হয় বন্দরের এক কোনায় একটা বিশাল লম্বা মানুষের মতো ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে. “কে? কে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে?” চিৎকার করে ওঠে কর্তব্যরত পুলিশটা; দৌড়ে এগিয়ে যায় সেদিকে. বৃষ্টিতে চারদিক ধোঁয়া ধোঁয়া লাগছিল, দুই হাত দূরের জিনিসও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না. শক্তিশালী টর্চের আলো জ্বালে পুলিশটা-বন্দরের পাটাতন এর ধার ভালোভাবে খোঁজে; কেউ নেই! সে কি তাহলে ভুল দেখলো! জায়গাটার পাশে রাখা রয়েছে বড় বড় লোহার বাক্স-প্রচুর পরিমাণে- পাশাপাশি এবং একে অপরের উপরে.বাক্সগুলির মাঝের ফাঁকা জায়গা খোঁজা শুরু করে পুলিশটা; প্রবেশ করে বাক্সগুলির মাঝের ফাঁকা জায়গাতে.আস্তে আস্তে এগোতে থাকে সেই গোলকধাঁধার ভেতর ;চারপাশে শুধুই বড় বড় লোহার বাক্স.হঠাৎ অন্ধকার থেকে সুযোগ বুঝে প্রচন্ড শক্তিশালী একটা লোক ঝাঁপিয়ে পুলিশকর্মীটার পড়ে.প্রচন্ড জোরে নাকে ঘুসি খায় পুলিশটা; অকস্মাৎ এই আক্রমণে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে সে. তাড়াতাড়ি নিজের হাতের টর্চ দিয়ে শক্তিশালী লোকটার মাথায় আঘাত করে পুলিশটা; আঘাত খেয়ে ছিটকে পিছনের দিকে পড়ে যায় সে. পুলিশটা লাফিয়ে লোকটাকে বাগে আনবার চেষ্টা করে; কোমর থেকে বের করে লাঠি.কিন্তু লোকটা প্রচন্ড শক্তিশালী এবং মারামারিতে ওস্তাদ; সামলে নিয়ে ঘুরে গিয়ে পুলিশটার পেটে প্রচন্ড জোরে লাথি মারে, মার খেয়ে হাত থেকে লাঠিটা পড়ে যায় পুলিশটার.শক্তিশালী লোকটা দ্রুত পকেট থেকে ধাতব পাতলা দড়ির মতো অস্ত্র বের করে পুলিশের গলাটা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে; কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুলিশটাকে. চিৎকার করবার ও সুযোগ পায় না পুলিশটা.অন্ধকারে শক্তিশালী লোকটার চোখ তখন নরকের শয়তানের মতো জ্বলজ্বল করছিল; মাটিতে পড়ে থাকা পুলিশের টর্চটা নিজের পকেটএ রেখে দেয় সে; তারপর মৃতদেহটা কাঁধে তুলে ফেলে দেয় উত্তাল সমুদ্রে. মৃতদেহটা সাথে সাথেই তলিয়ে যায় সমুদ্রের অতল গভীরে. জ্বলজ্বলে চোখে চারদিকটা লক্ষ্য করে লোকটা; কেউ নেই নিশ্চিন্ত হবার পর পকেট থেকে বের করে একটি লেজার লাইট.তিনবার সমুদ্রের জাহাজগুলির দিকে সবুজ লাইট জ্বালায় নিভায় সে. সাথে সাথে সমুদ্রে একটি জাহাজ থেকে উত্তর আসে ;তিনবার সবুজ লেজার লাইট জ্বলে উঠে নিভে যায়.বন্দর থেকে দুটি বড় বড় নৌকো কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যায় জাহাজটির সামনে, জাহাজ থেকে কিছু বড় বড় কাঠের বাক্স লোহার শিকল এর মাধ্যমে নেমে আসে নৌকাদুটিতে. দুটি নৌকা কাঠের বাক্স গুলিতে ভরে গেলে নৌকাদুটি আবার ফিরে আসে বন্দরে.বন্দরে রাতের অন্ধকারে একটি ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করছিল শক্তিশালী সেই লোকটা,নৌকাদুটো তীরে ফিরতেই কাঠের বাক্সগুলিকে ট্রাকে তোলার কাজে হাত লাগায় সে. ঝটপট কাজ শেষ করে ট্রাক চালিয়ে দেয় বন্দর থেকে বের হবার জন্য; অপরদিকে বাকি লোকগুলি নৌকা নিয়ে ততক্ষণে সরে পড়েছে-বেরোবার মুখে প্রবেশদ্বার এর সামনে কর্তব্যরত দ্বাররক্ষক এর সাথে চোখাচোখি হয় শক্তিশালী লোকটার,চোখে চোখেই যেন তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়ে যায়-লোহার বড় দরজাটি খুলে দেয় দ্বাররক্ষক.বাইরে বেরিয়ে প্রচন্ড গতিতে ট্রাকটা ছুটে চলে; মুহুর্তের মধ্যে রাতের ঘন কালো অন্ধকারে হারিয়ে যায়. ঢাকা, বাংলাদেশ. 22 বছর বয়সী জেসমিন খানের বাড়ি পুরনো ঢাকার একটি বনেদি এলাকায়; জেসমিন সবে স্নাতক পাস করেছে সমাজবিদ্যা এবং ক্রিমিনাল সাইকোলজি নিয়ে;পড়াশোনায় খুবই মেধাবী এবং দেখতে অপূর্ব সুন্দরী জেসমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে. পড়াশোনার শেষ বছর কাটিয়েছে আমেরিকাতে, সেখানে ক্রিমিনাল সাইকোলজি নিয়ে ফিল্ডওয়ার্ক করেছে সে.আমেরিকায় থাকবার সময় তাকে বিভিন্ন প্যাকটিকাল ওয়ার্ক করতে হয় সেখানকার বিভিন্ন কয়েদখানাতে গিয়ে, কয়েদিদের দেখে; আমেরিকা থেকে বিভিন্ন আদব-কায়দা এবং তাদের জেলের নিয়ম কানুন শিখে এসেছে সে.স্নাতক পাস করতে না করতেই চাকরির বিজ্ঞাপন বেরোয় সংশোধনাগারের পুলিশ জেলারের জন্য, বেশি কিছু না ভেবেই চাকরির পরীক্ষায় বসে জেসমিন. আজ চাকরির পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে; পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জেসমিন- তাকে ডাকা হয়েছে চাকরিতে যোগদান করবার জন্য.স্কুলে পড়ার সময় জেসমিন রোগা-পাতলা থাকলেও কলেজে পড়বার সময় থেকে তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে; তার শরীরটা ফুলের মতো সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে-উন্নতবক্ষ, ক্ষীণ কটিদেশ, তানপুরার ন্যায় নিতম্ব, মাংসল থাই, দুধেরমতো ফর্সা চকচকে ত্বক, ঘনকালো লম্বা চুল, সুন্দর রূপসী বনেদি মুখমন্ডল, লম্বা লম্বা পটলচেরা চোখ, টিকালো নাক-প্রকৃতি প্রচন্ড সুন্দরী নারীরূপে সাজিয়ে তোলে জেসমিনকে. জেসমিন তার আব্বু আম্মি এবং তার বড় ভাইয়ের সাথে থাকে.তার আব্বু একজন রিটায়ার্ড সরকারি বড় অফিসার, মা একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং তার দাদা একটি কর্পোরেট সংস্থার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার. জেলে চাকরির কথা শুনেই বেঁকে বসেন আব্বু, “না না মেয়ে মানুষ. আবার জেলে কি চাকরি করবে! এসব আমার একদম পছন্দ না. জেলে কত ভয়ানক কয়েদীরা থাকে.আমার ফুলের মত মেয়েটাকে এসব বাজে চাকরি আমি করতেই দেবো না.”- সকালের খাবার টেবিলে বসে বাড়ির চারজনের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল. “আব্বু আমি চাকরি করতে জেলে যাচ্ছি, আমি কয়েদি হিসেবে জেলে যাচ্ছি না”-জেসমিন চোখ উল্টে হাসতে হাসতে জানায়. আম্মি তাও ভয় পায়, বলে, “কি দরকার এসব চাকরি করার জন্য? তুইতো অন্য চাকরিও করতে পারিস?” “ আম্মি, আমি যে বিষয় নিয়ে পড়েছি সে বিষয়েই তো চাকরি পাব”-জেসমিন বলে. “এই দাদা তুই চুপ করে আছিস কেন, বল না কিছু”-জেসমিন পাশে বসে থাকা দাদাকে হাত দিয়ে খোঁচা মারে. “হ্যাঁ, Dad Mom! তোমরা খুব ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছ. মেয়েরা আজকাল সব কাজ করছে. আজকালকার যুগে আর এসব বললে হবে? ভালো একটা সরকারি চাকরি পেয়েছে, ছেড়ে দেবে কেন? এখন জয়েন করুক; পড়ে ভালো না লাগলে বা আরো better কোন job পেলে ছেড়ে দেবে”-দাদা খুবই আধুনিক স্বভাবের. “দেখো দেখো! দুটো ছেলেমেয়ে অসভ্য হয়েছে, একটা বাংলাকথা বলতে দশটা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করছে. আর এই মেয়েটার ও ঝামেলার চাকরি করতে চাইছে,সুখে থাকা আর পোষাচ্ছে না.”-আব্বু জানায়. দাদা স্মার্টলি হাত তুলে বলে, “Oh ! dad mom cool cool.” আব্বু আরো রাগ করে বলে, “ আরে তোদের কুলকুল শুনে শুনে আমি একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছি” বিস্তর বাক-বিতণ্ডার পর জেসমিন অনুমতি পায় চাকরিতে যোগদান করার; ঢাকার পুলিশ সুপার জেসমিনের আব্বুর চেনা ছিল-আব্বু আগেই ফোন করে জানিয়ে দেয় মেয়ের কথা. চাকরিতে জয়েন করে জেসমিন; তাকে পোস্টিং দেওয়া হয় চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা নতুন একটি সংশোধনাগারে. সংশোধনাগারটি সবে এক বছর হল তৈরি হয়েছে, মূল সংশোধনাগারে বন্দির সংখ্যা প্রচন্ড বেড়ে যাওয়াতে একটু দূরে নতুন একটি সংশোধনাগার তৈরি করা হয়েছিল.ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বেশ দূর, চট্টগ্রাম সরকারি আবাসনে থাকতে হবে জেসমিনকে, একমাত্র শনি-রোববার করে ঢাকাতে ফিরতে পারবে সে- সে সময় অন্য একজন জেলারের দায়িত্ব পালন করবে. চাকরির পোস্টিং দেওয়ার সময় পুলিশ সুপার মিস্টার রহমান জেসমিনকে জানিয়ে দেন “ওখানে ড্রাগ মাফিয়াদের খুব রাজত্ব, প্রচুর বন্দী আসবে যারা ড্রাগ এর সাথে যুক্ত, ড্রাগ ডিলার.তুমি কঠোর হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে. শুনতে পাই জেলের ভেতর প্রচুর অনিয়ম হয়; তুমি একটু চোখ কান খোলা রেখো.আর হ্যাঁ,তুমি মেয়েমানুষ তাই আমি জেলে আরো কিছু মহিলা সেক্রেটারিকে ট্রান্সফার করছি যাতে তোমাকে শুধু পুরুষদের সাথে কাজ করতে না হয়”.দুদিন বাদেই চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জেসমিন,জেলার হিসাবে সে থাকবে একটি অভিজাত সরকারি বাংলাতে.
Parent