অরুনিমা এবং তানিয়া ম্যাডামের মহারাণীর জীবনযাপন (ফেমডম -মিস্ট্রেস গল্প) 18+ - অধ্যায় ২২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-16936-post-1283360.html#pid1283360

🕰️ Posted on December 21, 2019 by ✍️ pagi chele 69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1123 words / 5 min read

Parent
পর্ব 22 রাত তিনটার সময় আধুনিক সার্ভাররুমের সামনে দিয়ে গুপ্তচর অভিষেক প্রবেশ করে তার বসের ঘরে. আধুনিক বিলাসবহুল ভিক্টোরিয়ান মেহগনি কাঠের আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো অফিসরুমে বসে ছিলেন বয়স প্রায় 60 ছুঁইছুঁই এক বৃদ্ধ- গুপ্তচর সংস্থার প্রধান, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত. “ স্যার আসবো”, অভিষেক. “ এস এস অভিষেক, তোমার অপেক্ষাই করছিলাম.”, অনিরুদ্ধ স্যার. ভেতরে প্রবেশ করে বসের টেবিলের সামনে একটি দামি লেদারের চেয়ারে বসে অভিষেক; টেবিলে নামিয়ে রাখে তার জোগাড় করে নিয়ে আসা বিভিন্ন তথ্য এবং প্রমাণ. “ কি নেবে বল? স্কচ না রাম?” অনিরুদ্ধ স্যার. পাশের টেবিলে রাখা মদের বোতলগুলির দিকে দ্রুত একবার চোখ বুলায় অভিষেক; প্রচন্ড অভিজাত এবং রুচিশীল তার মন পছন্দ করে নেয় সবচেয়ে দামী এবং পুরনো স্কচ হুইস্কিকে; বলে ওঠে, “ মেকাল্যান 21 বছর, স্যার”. কে বলবে এই লোকটি কিছুক্ষণ আগে রাস্তায় ভিক্ষা করছিল! মুচকি হেসে অনিরুদ্ধ স্যার নিজের চেয়ার থেকে উঠে বারোশো ডলারের দামি বোতল খোলেন; সিক্সটি এর দুটো পেগ বানিয়ে অভিষেকের হাতে একটা গ্লাস ধরিয়ে নিজের চেয়ারে এসে বসেন; স্কচ খেতে খেতে আলোচনা চলতে থাকে তাদের. “ স্যার, টিনা মন্ডল মেয়েটা দুদিন আগে এটিএম থেকে বেরিয়ে টাকা গোনার সময় হাত থেকে রুমাল পড়ে যাওয়ার আছিলায় ফুটপাতে সামনের ল্যাম্পপোস্টে একটি কাগজ গুঁজে দেয়; সেই কাগজটি নিতে আজ একটা লোক আসে যার মৃতদেহ আপনারা এতক্ষণে উদ্ধার করেছেন. জুতা বাধার আছিলায় লোকটা ল্যাম্পপোস্ট থেকে সেই কাগজটি তুলে নেয়.” অভিষেক. “ মানে আমাদের ভেতরের খবর একদম সঠিক ছিল. মেয়েটার উপর আমাদের সন্দেহ করাটা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে. আমার মনে হচ্ছে মেয়েটা কোন বড় মাফিয়া দলের সাথে যুক্ত. এত অল্প সময়ে এত টাকা করেছে. অভিষেক, তুমি খুবই ভালো কাজ করেছো. এটা তোমার সুবর্ণসুযোগ মাফিয়া দলের ভেতরে ঢুকে সবকিছু জেনে নেওয়ার, লোকগুলো কি করে তার কিছুই আমরা জানি না; শুধু জানি, কিছু লোকের হাতে প্রচুর টাকা. ওদের মূল পান্ডাকে ধরাই তোমার মূল উদ্দেশ্য” অনিরুদ্ধ স্যার. প্রমাণগুলো ঘাটতে থাকে দুজনেই; অভিষেক লক্ষ্য করে উদ্ধার করা সোনার সিগারেট কেস এর উপর অদ্ভুত ধরনের বড় মাকড়সার একটি ছবি. টাকার সাথে মানিব্যাগ থেকে বেরোয় লোকটার পরিচয়পত্র- পার্থ রায় বয়স 26 শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রফেশনাল পাইলট. গুঁজে দেওয়া কাগজ যেটা লোকটা নিতে এসেছিল, তাতে লেখা- ফ্ল্যাট নম্বর 77 ব্লক-ডি টিনা মন্ডল পাসওয়ার্ড পুঞ্জাক্ষি. “ স্যার, এদের কাজের গতিপ্রকৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছে এরা রিলে রেস এর মত কাজ করে, একটা কাজ বিভিন্ন জনকে দিয়ে চেনের মত ভেঙে ভেঙে করে; যাতে একে অপরকে চিনতে না পারে. উপরের মাথার সাথে নিচের লোকের কোনদিনও দেখা-সাক্ষাৎ হয় না. এরা খুবই সতর্ক; মনে হচ্ছে আমরা কোন বড় রাঘব বোয়ালের পেছনে ছুটছি” অভিষেক জানায়. “ একদম ঠিক ধরেছ অভিষেক, আমারও তাই মনে হচ্ছে. এখন এটাই দেখার এই টিনা মেয়েটা আমাদের কতটা মূল পান্ডা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে. অভিষেক, আমরা তোমাকে কাল সকালের মধ্যেই পার্থ ছেলেটার জাল পরিচয় পত্র তৈরি করে দেব; পার্থর ছবির জায়গায় তোমার ছবি থাকবে. তোমার প্লেন উড়ানো মনে আছে তো?” অনিরুদ্ধ স্যার. অভিষেক মুচকি হাসে, মনে পড়ে তার এলিট কমান্ডো হিসেবে কঠোর ট্রেনিং এর কথা. পাঁচ বছর কঠোর কমান্ডো ট্রেনিং করেছে; আর্মিদের সেরা অফিসার ছিল. হঠাৎ তাকে প্রমোশন করানো হয় গোয়েন্দা সিক্রেট সার্ভিস এ- জল স্থল অন্তরীক্ষ যে কোন স্থানে যুদ্ধ করতে পারদর্শী সে. “ ঠিক আছে অভিষেক, কাল থেকে তাহলে তোমার নতুন মিশন শুরু হচ্ছে. সাবধানে থেকো আর সফল হয়ে এস” অনিরুদ্ধ স্যার. করমর্দন করে বসের অফিস থেকে বেরিয়ে আসে অভিষেক; নিজের রুমে এসে কিছুক্ষণ ফাইলপত্র নাড়াচাড়া করে, তারপর চলে যায় অফিসের শুটিং প্যাকটিস রুমে- বিভিন্ন ধরনের বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো প্র্যাকটিস করতে থাকে. ভোরবেলা নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে আসে অভিষেক; আধুনিক লিফটে করে সর্বোচ্চতলায় পৌঁছায়, লিফটের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এর দোতালায়. জায়গাটি সম্পূর্ণভাবে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ, বাইরে বেরিয়ে এক দ্বাররক্ষক এর সাথে অভিষেকের চোখাচোখি হয়. দ্বাররক্ষকটিও সিক্রেট সার্ভিসের একজন গোয়েন্দা, সে অভিষেককে তার গাড়ির চাবিটা দেয়. বিশাল বড় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে আসে অভিষেক- তখন সকাল হয়ে গেছে, চারপাশে লোক প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়েছে. সন্ধ্যাবেলা অভিষেক চলে আসে অভিজাত সেই আবাসনে; বিপরীত দিকের রাস্তাতেই কিছুদিন ধরে সে ভিক্ষা করেছে, এখন তার পোশাক যথেষ্ট ভদ্র এবং মার্জিত. আবাসনে বেশ কয়েকটি ব্লক; বড় বড় ফ্লাটগুলি একেকটি 50-60 তলা লম্বা- আবাসনের সুইমিংপুল এবং বাগানের ভেতর দিয়ে অভিষেক প্রবেশ করে ব্লক-ডি ফ্ল্যাট বাড়িতে. লিফটে করে সাত নম্বর তলায় উঠে যায় 77 নম্বর ফ্ল্যাটের জন্য. 77 নম্বর ফ্ল্যাটের ভেতর টিনা তখন চান করছে শাওয়ারের নিচে; সম্পূর্ণ ন্যাংটো সুন্দরী নারীদেহে শাওয়ারের শীতল জল আছড়ে পড়ে শরীরকে শীতল এবং পরিষ্কার চকচকে করে তুলছে. লম্বা ছিপছিপে শরীরের টিনা দেখতে বেশ চটকদার; তার চেহারা এবং মুখে বিশাল আভিজাত্যের সৌন্দর্য না থাকলেও একটা চটকদার কামিনী রূপ রয়েছে যা পুরুষকে আকৃষ্ট করে, নির্বোধ পতঙ্গের মত পুরুষকে ডেকে নেয় নরকের আগুনের দিকে. নিটোল গোলাকার বড় বড় স্তন, গুরুভার নিতম্ব এবং কোমল শ্রোণীদেশ ভালোভাবে সুগন্ধি সাবান লাগিয়ে পরিস্কার করছিল মেয়েটা; তখনই দরজার ঘন্টি বেজে ওঠে- চমকে ওঠে সুন্দরী নগ্ন মেয়েটা. সম্পূর্ণ ন্যাংটো অবস্থায় বাথরুমে চান করবার সময়ও শাওয়ারের পাশেই রাখা ছিল মেয়েটার বন্দুক, আশেপাশে গোটা বাথরুমে কোন জামাকাপড় নেই, কিন্তু বন্দুক মেয়েটার ঠিক সাথে রয়েছে. বন্দুক হাতে নিয়ে ন্যাংটো অবস্থায় শাওয়ার থেকে বেরিয়ে আসে মেয়েটা, এগিয়ে যায় সদর দরজার দিকে. “কে?” ইন্টারকমে প্রশ্ন করে মেয়েটা; বাইরে থেকে জবাব আসে, “আমি পার্থ রায়”. ফ্ল্যাটের বাইরে ইন্টারকম এবং সিসিটিভি লাগানো রয়েছে, মেয়েটা দেখে একজন সুশ্রী পুরুষমানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে বাইরে. টিনার ভেজা চুল এবং ন্যাংটো শরীর থেকে জল ঝরছিল, “একটু অপেক্ষা করো, এখনই দরজা খুলছি” বলে সে বেডরুমে গিয়ে উরু পর্যন্ত লম্বা একটি ছোট্ট বাথরোব পোশাক পড়ে নেয়. বন্দুক হাতে দরজাটা অল্প ফাঁক করে টিনা, “কি চাই, বলো?” অভিষেক শুধু মেয়েটার মুখ দেখতে পায় দরজার আড়াল থেকে- সেই মেয়েটা যে গাড়ি করে এটিএম থেকে টাকা তুলেছিল- গম্ভীর গলায় উত্তর দেয় অভিষেক, “ পুঞ্জাক্ষি”. সাথে সাথে দরজা খুলে দেয় মেয়েটা, “ভেতরে আসুন”; ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে অভিষেক, দেখে মেয়েটা ছোট একটা বাথরোব পড়ে আছে. বোঝাই যাচ্ছে, ভেতরে মেয়েটা সম্পূর্ণ ন্যাংটো- তার স্তনের খাঁজ দেখা যাচ্ছে, স্তনের বোটা বাইরে থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে- উরুর উপরে এসে শেষ হয়েছে পোশাকটি, নগ্ন সুন্দর পা দুটি থাই পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, তার ভেজা চুল এবং শরীর থেকে জল গড়াচ্ছে. কিন্তু সেই সুন্দরীর হাতে রয়েছে বন্দুক, চোখে এক শয়তানি কুটিলতা ঝিলিক মারছে. “ চান করছিলেন বোধহয়! বিরক্ত করলাম.” “ না না. ঠিক আছে, চান প্রায় শেষের পথেই ছিল. আপনি এখানে সোফায় বসুন ” লিভিং রুমে দামি একটা সোফাতে বসে অভিষেক. “ তোমার নাম পার্থ তাহলে!” জিজ্ঞাসা করে টিনা মেয়েটা. “ হ্যাঁ, আমি পার্থ” উত্তর দেয় অভিষেক. “ ঠিক আছে, তুমি একটু বসো. আমি গা মুছে কিছু পড়ে আসি. তুমি ততক্ষণে বার কেবিনেটে নিজের জন্য ড্রিংকস বানাও, এখনই আসছি আমি” বলে মেয়েটা ভেতরে চলে যায়. মেয়েটা ভিতরে চলে যেতেই দ্রুত সারা ঘরে চোখ বোলায় অভিষেক; ঘরে সিসিটিভি লাগানো আছে কিছু করা যাবে না বুঝতে পেরে সোফা থেকে উঠে পাশের মদের কেবিনেটের সামনে গিয়ে দুটো স্কচ হুইস্কির পেগ বানায়- ফিরে আসে নিজের সোফায় গ্লাস দুটি নিয়ে. বড় হলঘরটি আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং করা; আধুনিক আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো ভালোভাবে. ফ্ল্যাট বাড়িটির আয়তন দেখেই অভিষেক আন্দাজ করতে পারে দাম কমপক্ষে 10-15 কোটি টাকা, তার উপর ইন্টেরিয়র এবং জিনিসপত্র দিয়ে সাজাতে আরো কয়েক কোটি টাকা লেগেছে. কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েটা ফিরে আসে; অভিষেক দেখে মেয়েটা শুধু একটা বিকিনি পরে এসেছে- হলুদ রঙের লাল লাল ফুলের ছবি আঁকা বিকিনি. বিকিনি পরিহিত টিনা অভিষেক এর বিপরীত দিকে সোফাতে গিয়ে বসে.
Parent