বাধনবিহীন সেই যে বাধন - অধ্যায় ১৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-68103-post-5974234.html#pid5974234

🕰️ Posted on June 29, 2025 by ✍️ সাদা শয়তান (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 450 words / 2 min read

Parent
"রোজ যদি হতো রবিবার। কি মজাটাই হতো যে আমার।" কবি যে সময়ে রোজ রবিবার হওয়া চেয়েছিলেন, তখনকার দিনে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকতো৷ কলেজ থাকতো বন্ধ। এখনকার মত রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হলে, কবি হয়তো বলতেন, "ধুর ছাতা রবিবার ফিরে আসে বারবার।" অবাক বিষয় হয়তো, আজ রবিবার। দুইদিন ছুটির পর আজ কলেজ খোলা। মজাও হচ্ছে। মহুয়া চৌধুরীর হাতে ছাতাও আছে। রোদ ছাতা। ছেলেরা মাঠে হাই জাম্প লং জাম্প প্রাকটিস করছে। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন ছাতা হাতে। প্রাকটিস হচ্ছে বালাই ষাট। লাফালাফিই সর্বস্ব। তবুও সেই এক সিলেবাসের ইংরেজি সাহিত্য থেকে ভালো৷ তবে আকাশ নেই মাঠে। মহুয়া চৌধুরী টের পেয়েছেন, আকাশ ঘুরে বেছে বেছে সেই প্রোগ্রামগুলির প্রাকটিস সেশনেই গিয়ে বসে, যেখানে আশালতা নামের মেয়েটি থাকে। তা সে নাচ হোক, বা কবিতা আবৃত্তি। মহুয়া চৌধুরীর কি হিংসে লাগে? তা খানিক লাগে বটে। আবার ভালোও লাগে। আকাশ তার নিজের হলেও সে আকাশ। আকাশকে বন্দী করে ব্যাগে পুরে রাখার কোন ইচ্ছে তার হয় না। শুধু কোন ভুল করে না বসলেই হয়৷ তাছাড়া মেয়েটিকে তার নিজেরও পছন্দ। কি মিষ্টি মুখ! সারাক্ষণ মুখ টিপে টিপে হাসছে। আকাশের সাথে মানাচ্ছেও বেশ। আকাশও পছন্দ করে এই মেয়ের আসে পাশে থাকতে, বোঝেন তিনি। লাগাই স্বাভাবিক, যা উঠতি বয়স! এই বয়সের ছেলেমেয়ে মোম আর আগুনের মত। একটু কাছাকাছি গেলেই সব এলোমেলো। আচ্ছা! আকাশ কি কামনা করে মেয়েটিকে? হয়তো করে। না করার কোন কারন নেই। অথবা হয়তো এসব কিছুই না। তিনি নিজেই বেশি বেশি ভাবছেন। তিনি ছাতা গুটিয়ে রাখেন। রোদ নেই। বরং বেশ মেঘলা করেছে আকাশ। বৃষ্টি হবে হয়তো৷ বছরের শেষের দিকের শীতের বৃষ্টি গায়ে কাপুনী ধরিয়ে দেবে। তবুও ভালো লাগে মহুয়া চৌধুরীর। জমুক মেঘ আকাশ কালো করে। আসুক বৃষ্টি। চারিদিক ভিজিয়ে স্নিগ্ধ করে দিয়ে যাক। রাঙিয়ে দিয়ে যাক বর্নহীন স্থীর সময়কে। দুপুরের আগেই কলেজ অর্ধেক ছুটি হয়ে যায়। খেলাধুলার অংশ শেষ। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চলে, যতটা খুশি। মহুয়া চৌধুরীর ডিউটি শেষ। তিনি আকাশকে খুজে বের করেন। বাসায় চলে যাবেন। খুজে পান। যেমন ভেবেছিলেন, আশালতার পাশে, কবিতার সেশনে। ইশারায় ডাকেন। আকাশ ছুটে আসে সত্য, তবে তিনি বোঝেন, আকাশ এখনই চলে যেতে চাইছে না। কারনটাও বোঝেন। তবু বলেন, চল বাবা, আজ আর থাকার দরকার নেই। আচ্ছা। একটু অবাক হন মহুয়া চৌধুরী। তিনি ভেবেছিলেন, আকাশ আরেকটু থাকার বায়না করবে৷ তিনি জিজ্ঞাস করলেন, কি হয়েছে? আকাশ মাথা নিচু করে থাকে৷ কথা বলে না। তিনি আবার জিজ্ঞাস করেন, কোন সমস্যা, বাবা? বাসায় চলো, পড়ে বলছি। টেনশন বোধ করেন মহুয়া চৌধুরী। আকাশের মুখ দেখে অবশ্য বিপদজনক কিছু মনে হচ্ছে না। তিনি বললেন, চলো। রহস্যের খোলাসা হলো রিক্সায় বসেই। আশালতা দুষ্ট কথা বলেছে আকাশকে। মহুয়া চৌধুরী আবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন, মানে? উত্তরে আকাশ যা বললো, আশালতা প্রথমে জানতে চেয়েছে, আকাশের ফোনে দুষ্ট সিনেমা আছে কি না। সেখান থেকেই শুরু। সুযোগ ছারে নি আকাশ। প্রশ্রয় দিয়েছে। জেনেছে, আশালতার ফোনে একটা আছে সেই সিনেমা। আশালতা দেখে মাঝে মাঝেই। জানতে চেয়েছে, দেখে কি করে। আর বাস্তবে কখনো? জানতে চেয়েছে, নিজেও জানিয়েছে অনেক কিছু। চলবে।
Parent