ভূমিকাদেবীর সর্বনাশ - একটি শিকারের গল্প - অধ্যায় ৩০

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-62215-post-5781064.html#pid5781064

🕰️ Posted on October 18, 2024 by ✍️ Momhunter123 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 2451 words / 11 min read

Parent
ভূমিকাদেবীর সর্বনাশ - একটি শিকারের গল্প (বিশেষ পর্ব-২) "দিদিমণি...ও দিদিমণিইই..." অন্ধকারে দূরে কোথাও থেকে যেন ভেসে আসছে কথাগুলো। ধড়ফড় করে উঠে বসলেন ভূমিকাদেবী। উঠেই ভূমিকাদেবীর চোখ প্রথমেই পরলো তার ওপরে ঝুঁকে থাকা একটা কমবয়সী মেয়ের মুখের দিকে। জ্ঞান ফিরেই প্রথমটায় বুঝে উঠতে কিছুক্ষণ সময় লাগলো ভূমিকাদেবীর। তবে পরক্ষণেই তিনি চিনতে পারলেন মেয়েটিকে.....আরে এ যে পিঙ্কি! কতক্ষণ জ্ঞান ছিলোনা তা জানেননা ভূমিকাদেবী। এবারে দ্রুত আশেপাশে চোখ বুলিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন, বেশ বড় একটা রুমের একটা বড় খাটে সাদা চাদর পাতা নরম গদিতে শুয়ে আছেন তিনি । ঘুমের ঘোরটা কাটছে ধীরে ধীরে...এবারে তার চোখ পড়লো নিজের কাপড়ের দিকে। আঁচল সরে গেছে বুক থেকে, ব্লাউসেরও ওপরে হুকটা খুলে গেছে কখন। ফলে সাদা ধবধবে স্তনদুটোর উপরিভাগের অনেকটাই একটা গভীর খাঁজ তৈরি করে দৃশ্যমান হয়ে আছে বাইরে। এদিকে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত শাড়ি আর পেটিকোট উঠে উন্মুক্ত হয়েছে তার ফর্সা, মসৃন, লোমহীন, ভারী পাদুখানি। ঝট করে নিজের কাপড় টেনে ঠিক করে নিলেন ভূমিকাদেবী। এবারে ভালো করে পিঙ্কির দিকে তাকালেন তিনি। সাধাসিধে গরীব মেয়েটিকে এত সেজেগুজে আগে কখনো দেখেননি তিনি। পিঙ্কি পড়েছে একটা গোলাপি ক্রপ টপ আর একটা জিন্সের ছোট্টশর্ট প্যান্ট। ফলে শ্যামবর্ন মেয়েটার পেট আর রোগা রোগা থাইদুটো বেরিয়ে আছে বিশ্রীভাবে। " পিঙ্কি, আমি কোথায়? এটা কোন জায়গা?",অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন ভূমিকাদেবী, "আর বাবান...বাবান ঠিক আছে?" এতক্ষণে আবছা আবছা ঘটনাগুলো মনে পড়ছে ভূমিকাদেবীর। বাবানের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিলো! তাই প্রায় একনিঃশ্বাসেই এতগুলো প্রশ্ন তিনি ছুঁড়ে দিলেন পিঙ্কির দিকে। পিঙ্কি দাঁড়িয়ে আছে তার ঠিক পাশেই। সে একটু চুপ থাকলো, তারপর একটা গা জ্বালানো নোংরা হাসি হেসে বললো," ঠিক সময়ে সব জানতে পেরে যাবে গো দিদিমণি।"  রাগে সর্বাঙ্গ জ্বলে উঠলো ভূমিকাদেবীর। তীব্রস্বরে খেঁকিয়ে উঠলেন তিনি, " তুই বলবি? নাকি তোকে কাজ থেকে আজকেই ছাড়িয়ে দেবো আমি? কি হচ্ছে এখানে, তাড়াতাড়ি বলে ফ্যাল, আমার কিন্ত একটুও ভালো লাগছে না ব্যাপারটা।" এতদিনে কত শত বার যে পিঙ্কিকে রেগে কটুকথা শুনিয়েছেন ভূমিকাদেবী, তার হিসেব নেই। যখনই ভূমিকাদেবী রেগে কথা শোনাতেন পিঙ্কিকে, পিঙ্কি মাথা নীচু করে কাঁদো কাঁদো মুখ করে শুনে যেত সব কথা । কিন্ত আজ ভূমিকাদেবীকে অবাক করে ফিক করে হেসে উঠলো পিঙ্কি। তারপর বললো, "ওই কাজের দরকার আজকের পরে ফুরিয়ে যাবেগো দিদিমণি" বলেই শর্টপ্যান্টের পকেট থেকে একটা দামি আইফোন বের করে আনলো সে। তারপর ফোনে কি একটা খুঁজে একটা অডিও প্লে করে দিলো ভূমিকাদেবীর সামনে.... ' হ্যালো ম্যাডাম, গুড ইভিনিং, আশা করি ভালো ঘুম হয়েছে। আমি জানি আপনার মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুরছে এখন, ভয় পাবেন না, সঠিক সময়ে সব জানতে পেরে যাবেন। আর হ্যাঁ, আপনার ছেলে আপাতত আমাদের সাথেই আছে। ভালো আছে এখন, ঘুমোচ্ছে কাল রাত থেকে। তবে ও কতক্ষন ভালো থাকবে তা নির্ভর করছে আপনার ওপর। ছেলেকে নিয়ে যদি অক্ষতভাবে বাড়ি ফিরতে চান তবে যা বলছি মন দিয়ে শুনুন। এক ঘন্টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিন। আর একটা কাজ করতে হবে, সেটা পিঙ্কি আপনাকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে। তারপরে তিনঘন্টা বিশ্রাম নিন। ঠিক রাত দশটায় আপনার সাথে দেখা হবে আমাদের। আর হ্যাঁ, অহেতুক বেশি প্রশ্ন করে পিঙ্কির মাথা খাবেন না, তাতে লাভ হবে না। ও টুঁ শব্দটিও করবে না, যা বলার আমরাই বলবো। আমরা জানি আপনি খুবই বুদ্ধিমতী ও স্বনির্ভর মহিলা, সেই জন্যই তো বেছে নেওয়া হয়েছে আপনাকে। তাই চিৎকার চেঁচামেচি করে, প্যানিক করে সময় নষ্ট করবেন না প্লিজ। তাতে আপনার বা আপনার ছেলের  কারোরই ভালো হবেনা। বেস্ট অফ লাক। সি ইউ সুন ম্যাডাম।' শেষ হলো অডিওটা। ফোনটা পকেটে রেখে এবারে অন্য পকেট থেকে একটা ভাঁজ করা কাগজ বের করে আনলো পিঙ্কি। সেটা ভূমিকাদেবীর দিকে এগিয়ে দিয়ে সে বললো, " ভয় পাবে নাকো দিদিমণি, দাদাবাবুরা কয়েকটা প্রশ্ন করবে তোমাকে। এখানে সেইসব প্রশ্ন আর তার উত্তর লেখা আছে। সেগুলোর উত্তর ঠিকঠাক দিয়ে দিলেই হলো। ভালো করে মুখস্ত করে নাও এটা। বাকি কথা দাদাবাবুরা বুঝিয়ে দেবে তোমাকে। " কিছুই মাথায় ঢুকছে না ভূমিকাদেবীর। মাথা নামিয়ে ভাবতে লাগেলেন তিনি একটু আগে অডিও রেকর্ডিং-এ শোনা কথাগুলো। কে এই 'দাদাবাবু'রা? কি চায় তারা তার কাছে? তবে কি তাদের কিডন্যাপ করা হয়েছে? বাবান সুস্থ আছে তো? না না মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। বাবানের কোনো ক্ষতি তিনি হতে দিতে পারেননা। ভূমিকাদেবী কাগজটা নিচ্ছে না দেখে কাগজটা একরকম তারদিকে ছুঁড়ে দিলো পিঙ্কি। তারপর ঘরের একদিকে একটা দরজার দিকে ইশারা করলো পিঙ্কি, বললো, " ঐযে দিদিমণি, ঐটা ওয়াশরুম। ভেতরে তোয়ালে, কাপড় সব রেখে দিয়েছি আমি। তিরিশ মিনিটে সব সেড়ে নাও, ক্যামন? আমি বরং খাবার নিয়ে আসি তোমার জন্য।" কথাগুলো বলেই  একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল পিঙ্কি। দরজা লাগানোর আওয়াজে ভূমিকাদেবী বুঝতে পারলেন বাইরে থেকে দরজা লক করে দিলো সে। হতভম্বের মতো কিছুক্ষণ বিছানায় বসে থাকলেন তিনি। একটু পরেই এদিক ওদিক তাকাতে ঘরের একদিকের দেয়ালে একটা ডিজিটাল ওয়ালক্লকে চোখ পড়লো তার। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা বাজছে। অর্থাৎ প্রায় চব্বিশ ঘন্টা হতে চলেছে। সুনির্মল নিশ্চয়ই পুলিশে খবর দিয়েছে এতক্ষনে। চোখ বন্ধ করে ঠাকুরকে ডাকলেন তিনি....বাঁচাও হে ঠাকুর, এ বিপদ থেকে রক্ষা করো আমাদের।  এভাবে কতক্ষন হয়েছে ভূমিকাদেবী জানেন না, হটাৎ তার খেয়াল হলো পেচ্ছাবের চাপে তার পেটে ব্যথা হতে শুরু করেছে এবারে। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে ভারী শরীরটা নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোলেন তিনি। ------------------- মাথাটা একটু ঝিমঝিম করছে স্নিগ্ধজিতের। কালো কাপড়ে চোখ বাঁধা থাকায় কিছুই দেখতে পাচ্ছে না সে। তবে এটুকু সে বুঝতে পারছে যে কোনো এক ঘরে একটা চেয়ারের সাথে বেঁধে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে ।  মুখেও সেঁটে দেওয়া হয়েছে একটা আঠালো টেপ। মাঝেমধ্যেই একটা কাতর গোঙানির আওয়াজ বেরিয়ে আসছে স্নিগ্ধজিতের মুখ থেকে। গতকাল বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিল স্নিগ্ধজিৎ। রাত তখন প্রায় আটটা... বন্ধুদের সাথে একটা মণ্ডপে হইহুল্লোড় করছে সে সে, ঠিক এই সময়ে একটা অচেনা নাম্বার থেকে একটা কল আসে তার ফোনে। কলটা রিসিভ করতেই ওপার থেকে ভেসে আসে একটা মেয়েলি কন্ঠ।  বারবার জিজ্ঞেস করার পরেও মেয়েটি নিজের পরিচয় দিতে রাজি হয়না স্নিগ্ধজিতকে। মেয়েটি তাকে বলে সে তাকে কিছু বলতে চায়, পাশের ফাঁকা মাঠে মেয়েটি একাই অপেক্ষা করছে তার জন্য, সেও যেন কাউকে কিছু না বলে একাই দেখা করে তার সাথে । এরপরেই ফোনটা কেটে দেয় মেয়েটা। ফোনটা কেটে যেতেই বেজায় কৌতুহল হয় স্নিগ্ধজিতের। কে মেয়েটা? নিশ্চয়ই তাকে প্রপোজ করতে চায় মেয়েটা! মনটা আনচান করে ওঠে তার। দেখতেই হবে মেয়েটা কে! আর একটুও দেরী না করে বন্ধুদের 'একটু আসছি' বলে  মণ্ডপ থেকে হেঁটে বেরিয়ে যায় স্নিগ্ধজিৎ। মিনিট তিনেক হেঁটে  যখন স্নিগ্ধজিৎ কাছের মাঠটায় পৌছালো, তখন হালকা কুয়াশায় ছেয়ে আছে ফাঁকা শুনশান মাঠটা। অবাক হয়ে স্নিগ্ধজিৎ দেখলো  মাঠে একটিও মানুষ নেই!  তবে কি মজা করলো মেয়েটা তার সাথে? ভারী ফাজিল মেয়ে তো! কে হতে পারে মেয়েটা?...মাঠের পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এইসব চিন্তা করে যখন কোনো কুলকিনারা পাচ্ছে না সে, ঠিক সেই মুহূর্তেই রাস্তা দিয়ে যেতে থাকা একটা অ্যাম্বাস্যাডর আচমকাই বিকট আওয়াজ করে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায় তার পেছনে। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কারা যেন পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ওপর, তার মুখে পরিয়ে দেয় একটা কালো কাপড়। আর কিছুই দেখতে পায় নি সে...তারা কারা ছিলো, কতজন ছিলো কিছুই সে জানেনা! ধস্তাধস্তি চলে কিছুক্ষণ... তার মাঝেই বাহুতে সূচজাতীয় কিছু ফুটে যাওয়ার একটা তীব্র যন্ত্রনা অনুভব করে স্নিগ্ধজিৎ। ব্যাস আর কিছু মনে নেই তার।  আজ ঘুম থেকে ওঠা থেকে এখনো পর্যন্ত তার চোখ ও মুখ সম্পুর্ন বেঁধে রেখেছে তারা। শুধু মাঝে একবার কয়েকটি ছেলে খাবার নিয়ে এসে তার হাত ও মুখের বাঁধন খুলে দিয়েছিলো। চোখ বাঁধা থাকায় তখনও কাউকে দেখতে পায়নি সে। খাওয়া শেষ হতেই পুনরায় আবার হাত আর মুখ বেঁধে ফেলা হয়েছে ওর। বাড়ির জন্য মনটা খারাপ করছে স্নিগ্ধজিতের। থেকে থেকেই খুব কান্না পাচ্ছে তার। মা-বাবা নিশ্চয়ই এতক্ষণে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে তাকে। কারা এরা? তার তো কোনো শত্রু নেই এখানে। তবে কি তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে মুক্তিপনের জন্য? আচ্ছা, মুক্তিপণ না পেলে কি ওরা মেরে ফেলবে তাকে? নানান প্রশ্ন ভিড় করে আসতে থাকে তার মাথায়।  হঠাৎই ঘরে একজোড়া জুতোর খটখট শব্দ পেলো স্নিগ্ধজিৎ। গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেলো তার,  শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেলো একটা শীতল স্রোত। একটুও না নড়ে ভয়ে কাঠ হয়ে বসে থাকলো সে।  জুতোর আওয়াজ তার দিকেই এগিয়ে আসছে ক্রমশ। তার চেয়ারের ঠিক পেছনে গিয়ে থেমে গেলো সেই শব্দ। এবারে খট করে একটা শব্দ করে দুলে উঠলো তার চেয়ারটা। স্নিগ্ধজিৎ বুঝতে পারলো চেয়ারশুদ্ধ তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে কেউ। এতোক্ষনে সে বুঝতে পারলো তাকে যে চেয়ারটায় বেঁধে রাখা হয়েছে, সেটার নীচে চাকা লাগানো আছে।  কিন্তু কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা ওকে? ওকে কি এবারে মেরেই ফেলবে কিডন্যাপাররা? কথাটা মাথায় আসতেই একবার চেঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে গুঙিয়ে উঠলো সে। সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় একটা শীতল ধাতব অনুভূতি পেলো সে, আর সেইসাথে কানে এলো একটা কমবয়সী ছেলের আওয়াজ, "চোপ খানকির ছেলে। এরপরে একটা টু শব্দ করলে ঘিলু উড়িয়ে দেবো।" গলা শুকিয়ে গেলো স্নিগ্ধজিতের। তার মাথায় পিস্তল ধরে আছে কেউ! প্রচন্ড ভয়ে চুপ করে গেল সে। মিনিটখানেক পরে দাঁড়িয়ে গেলো তার চেয়ারটা। পায়ের আওয়াজে সে বেশ বুঝতে পারলো এই ঘরে আরো লোকজন আছে।  এবারে কে যেন বললো, " শুরু করা যাক।" কি শুরু হতে চলেছে। বুক ধিপ ঢিপ করছে স্নিগ্ধজিতের , নিজের হৃদস্পন্দন সে নিজেই শুনতে পারছে এখন। এবারে আবার জুতোর আওয়াজ। ঘরে ঢুকছে যেন কারা। তবে এবারে বুটজুতো নয়, মেয়েলি হিলজুতোর শব্দ।  একটা পুরুষকন্ঠ কানে এলো তার, " মনে আছে তো...একটাও বাড়তি কথা যেন নাহয়... যা জিজ্ঞেস করা হবে তার সরাসরি উত্তর দেবেন...আর হ্যাঁ একটু হাসি চাই মুখে, নইলে একেবারেই ফেক দেখাবে ইন্টারভিউটা। রিচার্ড তুই রেডি তো?" এবারে আরেকটা পুরুষকন্ঠ পেলো স্নিগ্ধজিৎ- "একদম, শুরু করে দাও বস।" এবারে আগের সেই পরিচিত পুরুষকন্ঠ আবার বলতে শুরু করে - "হ্যালো এভরিওয়ান। আমি রোহিত। দেশি মিলফ হান্টের উনিশতম পর্ব আজ। আজ আপনাদের জন্য আছে এক বিশেষ আকর্ষণ। পরিচয় করিয়ে দেই ... হ্যালো ম্যাডাম, আমি রোহিত। দর্শকদের হাই বলে দিন একবার।" - " হাই গাইস" ...একটা অতি পরিচিত আড়ষ্ট নারীকন্ঠ ভেসে এলো স্নিগ্ধজিতের কানে। কান খাড়া করে শুনে যেতে থাকলো সে। - " ম্যাডাম আপনার নাম?" - " আমি ভূমিকা, মিসেস ভূমিকা রায়।" মুহূর্তে চমকে উঠলো স্নিগ্ধজিৎ। মা! মা কি করছে এখানে? কি হচ্ছে এসব! এইবারে এক হ্যাঁচকা টানে তার চোখের কাপড়টা খুলে দিলো কেউ। হটাৎ এতক্ষণের অন্ধকার সরে যাওয়ার প্রথমটায় কিছুই দেখতে পেলোনা স্নিগ্ধজিৎ। একটু পরে কিছুটা ধাতস্থ হতে সে দেখতে পেলো, সে এখন রয়েছে একটা বিরাট হলঘরে। ঘরের ঠিক মাঝখানে সিলিং থেকে ঝুলছে একটা আলো। ঘরটা বেশ বড় হওয়ায় সেই সামান্য আলোতে আলোকিত হচ্ছে ঘরের মাঝের খুব সামান্য অংশই, চারিদিকের বাকি অংশ সম্পুর্ন অন্ধকারে ঢাকা। তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে ঘরের একটা অন্ধকার কোনে।  স্নিগ্ধজিৎ দেখলো ঘরের মাঝে আলোর নীচে রাখা আছে একটা সোফা, তার ঠিক সামনেই একটা সেন্টার টেবিল। সেই সোফাতেই এখন বসে আছে তার মা। এতক্ষন পরে মাকে দেখে গলা ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে চাইলো স্নিগ্ধজিতের, কিন্ত পরক্ষণেই একটু আগে ছেলেটার ঘিলু উড়িয়ে দেবার কথাটা মনে করে ভয়ে কান্নাটা চেপে গেলো সে। স্নিগ্ধজিৎ দেখলো মায়ের পরনে এখন একটা পাতলা ফিনফিনে, প্রায় ট্রান্সপ্যারেন্ট, আকাশি রঙের শাড়ি আর একটা সাদা ব্লাউজ। ব্লাউজটা স্লিভলেস ও ডিপনেক। মায়ের ফুলে ওঠা ওই বিশাল দুটি স্তনের পাহাড় উপরিভাগে যে গভীর খাঁজ সৃষ্টি করেছে, তা ট্রান্সপ্যারেন্ট শাড়ির ওপর দিয়ে এতটা দূর থেকেও সহজেই চোখে পড়ছে তার। স্নিগ্ধজিতের মনে হলো, ব্লাউজটা স্লিভলেস হওয়ায়, ঘরের আলো যেন মায়ের ওই নিটোল, ফর্সা, ভরাট উন্মুক্ত বাহুতে পড়ে পিছলে যাচ্ছে। এছাড়াও সবসময়ের মতোই শাখাপলা, মঙ্গলসূত্র আর সিঁদুর-টিপ পরে আছে মা। সব মিলিয়ে এই অসহায় পরিস্থিতিতেও স্নিগ্ধজিতের একবার মনে হলো, তার মাকে অনেকটাই অ্যাপিলিং লাগছে এই সাজে। এবারে স্নিগ্ধজিতের চোখে পড়লো সেন্টারটেবিলের ঠিক সামনে, মায়ের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে আছে রোগা চেহারার আরও দুজন। এদের প্রত্যেকেরই বয়স আন্দাজ কুড়ির কাছাকাছি। এদের মধ্যেই একজন হাতে ধরে রেখেছে একটা ভিডিওক্যামেরা।   ইন্টারভিউ চলতে থাকলো। - "Meet Mrs Vumika Ray..She is an amazing lady....ম্যাডাম আপনার বয়সটা যদি বলতেন? - সাতচল্লিশ। স্নিগ্ধজিৎ লক্ষ্য করলো প্রত্যেকটা প্রশ্নের  উত্তর বেশ হাসিমুখে দিচ্ছে তার মা। মা কি চেনে এদের আগে থেকে? মা কি জানে সে এখানে উপস্থিত? ঘরের একটা অন্ধকার কোনে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে, তার মায়ের পক্ষে তাকে দেখা সম্ভব না। - "Oh my god... Can you imagine...She is 47!" উত্তেজিত কণ্ঠে বলে উঠলো ছেলেটা।  স্নিগ্ধজিৎ লক্ষ্য করলো রিচার্ড নামের যে ছেলেটি ক্যামেরার দায়িত্বে, সে বিভিন্ন দিক থেকে তার মাকে ভিডিওবন্দী করে যাচ্ছে। - " আপনার উচ্চতা?" জিজ্ঞেস করলো রোহিত। - " পাঁচ ফিট পাঁচ ইঞ্চি।" - " ওজন?" - " বিরাশি কেজি।" - "ওয়াও। আপনি তো দেখছি বেশ ভারী। কি করেন আপনি?"  স্নিগ্ধজিৎ দেখলো এভাবে 'ভারী' বলায় একটু যেন অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো তার মা, কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে একটা মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে  বললো, "আমি হাউসওয়াইফ। সেরকম কোনো প্রফেশনের সাথে আমি যুক্ত না।" - "ফাইনালি, গাইজ। টিপিক্যাল বাঙালি গৃহিণী। অনেকদিন ধরেই রিকোয়েস্ট আসছিলো সবার। " স্নিগ্ধজিতের মনে হলো ক্যামেরার ওপারে বসে থাকা দর্শকের উদ্দ্যেশে কথাগুলো বললো ছেলেটা। কিন্ত কিসের রিকোয়েস্টের কথা বলছে সে?  আবার বলতে শুরু করলো রোহিত- " ঘরে কে কে আছে ম্যাডাম?" - " আমার স্বামী, ওনার বয়স ৫৮ আর আমার ছেলে। ও কলেজে পড়ে, বয়স ২৩।" - " বেশ, বেশ। একটা পার্সোনাল প্রশ্ন... আপনি হটাৎ এই বয়সে কেন সিদ্ধান্ত নিলেন এই পথে আসার?" অবাক হলো স্নিগ্ধজিৎ। 'এই পথ' মানে কিসের কথা বলতে চাইছে ছেলেটা! - " অনেকদিন ধরেই একটা সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো আরকি। আর তাছাড়াও ...I need money ....টাকার জন্য আমি সব করতে পারি। " স্নিগ্ধজিৎ দেখলো কথাটা বলেই খিলখিলিয়ে একটু হেসে উঠলো মা।  - " আপনি পর্ন দেখেন?" এবারের ছেলেটার প্রশ্ন শুনে চমকে উঠলো স্নিগ্ধজিৎ। তার রাশভারী, মধ্যবয়স্কা মায়ের দিকে যে এত সফজভাবে এরকম একটা অশালীন প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারে কেউ, তা কখনো স্নিগ্ধজিতের কল্পনাতেও আসেনি। কিন্ত অবাক হয়ে স্নিগ্ধজিৎ দেখলো, তার মা বেশ স্বাভাবিকভাবেই নিলো প্রশ্নটা। একটু লাজুক হেসে মা বললো - " আজ বলতে লজ্জা নেই...I'm addicted to porns..." - " দারুন! অসাধারণ! এই বয়সে একদমই অস্বাভাবিক। জিজ্ঞেস না করে পারছি না ম্যাডাম... আচ্ছা আপনি কি স্বামীর সাথে সেক্সুয়ালি অ্যাকটিভ?"  - " না, প্রায় দশ বছর ধরে আমাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই।" স্নিগ্ধজিৎ দেখলো একটু যেন ইতস্তত করে কথাগুলো বললো তার মা।  - " ওকে। আর ঢুকছি না আপনার পারিবারিক জীবনে। আচ্ছা আপনি যে বললেন আপনি porn addict... কোনো ফেভারিট ক্যাটাগরি আছে? মানে কি ধরনের পর্ন দেখতে পছন্দ করেন আপনি?" - " উমমমম....", একটু ভেবে বললো তার মা, "সেরকম স্পেসিফিক কিছু নেই...তবে আমার একটু hardcore পছন্দ...যেমন ধরুন gangbang, humiliation, bondage, bdsm এইসব।" মায়ের মুখে এইসব শব্দ শুনে শুনে প্রচন্ড অবাক হয়ে গেলো স্নিগ্ধজিৎ...শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে তার। - " তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন ম্যাডাম," একটু হেসে বললো রোহিত, " আচ্ছা , আপনি তো এই লাইনে একেবারেই নতুন, সেরকম কোনো এক্সপিরিয়েন্সও নেই আপনার...আপনি পারবেন তো?" - " নিশ্চয়ই পারবো। আমার নিজের ওপর সম্পুর্ন ভরসা আছে।" স্নিগ্ধজিৎ দেখলো কথাগুলো বলে আবার হেসে উঠলো তার মা। - " আরেকটা প্রশ্ন, আপনার young partner-এ কোনো সমস্যা নেই তো? জিজ্ঞেস করছি , কারণ আপনি যথেষ্ট বয়সে বড় আমাদের থেকে, বলতে গেলে আমাদের মায়ের বয়সী।" - "একদম না। আমার মনে হয় যৌনতার সাথে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। বয়সে ছোট হোক,ওটা বড় হলেই চলবে।" স্নিগ্ধজিৎ দেখলো কথাটা বলেই আবার একটা হাসি দিলো তার মা। - "বেশ তবে আপনার co-actor দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই আপনার" বলেই "Boys" বলে একটা হাঁক দিলো রোহিত।  মুহূর্তেই ঘরের অন্ধকার কোন থেকে আলোয় বেরিয়ে এলো আরো দুটো ছেলে, প্রত্যেকেই খালি গায়ে, তাদের পরনে শুধুই একটা ছোট্ট আন্ডারপ্যান্ট। মায়ের মুখের দিকে তাকালো স্নিগ্ধজিৎ। সে লক্ষ্য করলো, মায়ের মুখে হাসিটা উধাও হয়ে হটাৎ একটা অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। মা কি এই ছেলেগুলোর জন্য প্রস্তুত ছিলোনা?  ছেলেদুটোর মুখ দেখে স্নিগ্ধজিতের দেখে মনে হলো ওরা তার চেয়ে বয়সে ছোটই হবে। এদের মধ্যে একজন ছিপছিপে রোগাটে গোছের, গায়ের রং কালো; অন্যজন শ্যামবর্ণ, লম্বা-চওড়া পেশীবহুল পেটানো শরীর।  প্রত্যেকেই একে একে হ্যান্ডশেক করলো তার মায়ের সাথে। রোগা ছেলেটা ওর নাম বললো করিম, আর তাগড়া ছেলেটা বললো তার নাম জাভেদ। স্নিগ্ধজিৎ দেখলো মাও যেন কি করবে বুঝতে না পেরে মুখে একটা মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে হাত মিলিয়ে নিলো তাদের সাথে।  "Ok viewers, She will be in action in a few minutes", বললো রোহিত। আর তারপরেই  " Cut" বলে চেঁচিয়ে উঠলো সে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা নামিয়ে নিলো রিচার্ড। স্নিগ্ধজিৎ লক্ষ্য করলো এতক্ষনে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো তার মা।
Parent