বিধবা মায়ের বিপত্নীক ছেলে - অধ্যায় ১
কি করে কি যে হয়ে গেল, সেটা ভেবেই আমি এখনো নেশায় আছি, দুঃখের পরে এত সুখ পাবো কোনদিন একবারের জন্য ভাবি নাই। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এমন হবে এখনো সত্যি মনে হচ্ছেনা। কিন্তু সব হয়ে গেল আর এমন হল কি করে বলি কাউকে বলা যাবেনা বলেই আমি লিখতে বসলাম।
আমার বয়স এই ২৭ বছর। স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে সুখেই ছিলাম একটা কেন আমার দুটো মেয়ে এক আমার কন্যা আর আমার মা। মা দেখেই আমার বিয়ে দিয়েছিলেন, মায়ের পছন্দে আমি বিয়ে করেছি। সব চাইতে ভালো কি জানেন, আমার মা আর বউর মধ্যে মিল, সব ঘরে শুনেছি শাশুড়ি বউমা ঝগড়া হয় কিন্তু আমার মা আর বউর মধ্যে আমি কোনদিন দেখিনি। দুজনে মিলে আমাকে ঝামেলায় ফেলতেন। মায়ের জন্য আমি বউকে কোনদিন শাসন করতে পারিনি। ৪ বছরের আমাদের বিবাহিত জীবন। আমার মেয়ের বয়স এই আড়াই বছর।
সব ঠিক ঠাক চলছিল, আমি ব্যবসা করতাম, বাড়ি মা আর বউ, আমার খুব দেখভাল করত। বউমা আর শাশুড়ি ছিল গলায় গলায়। আমার মা নাতনি আর বউমা পেয়ে খুব খুশী।
একদিন হঠাত মায়ের ফোন বউমা গেছে সবজি বাজার করতে আর ফেরার সময় একটা দুর্ঘটনা হয়ে তুই তাড়াতাড়ি আয় আমরা হাসপাতালে আছি।
আমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ছূটলাম। গিয়ে দেখি আমার বউ আইসিউতে ভর্তি। নাকে পাইপ দেওয়া।
মা- বলল বউমা আসার সময় পেছন থেকে একটা গারি এসে মেরে দিয়েছে আমার সোনা বউমা টার কি হবে, প্রায় সব ভেঙ্গে গেছে।
আমি- দারাও দেখছি বলে ডাক্তারের কাছে গেলাম সব শুনলাম, শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। ওকে আর সুস্থ করা যাবেনা, কোমরের উপর দিয়ে চাকা চলে গেছে। ডাক্তার বলল বেচে থাকলেও আর কোন দিন উঠে দারাতে পারবেনা। অপেক্ষা করুন আমরা দেখছি কি করা যায়।
মা- কি বলল ডাক্তার।
আমি- বললাম কোমরের উপর দিয়ে গারি চলে গেছে সব গুরো গুরো হয়ে গেছে। আমরা কথা বলছিলাম এঁর মধ্যে আমার শশুর এবং শালা এল। শুনে সবাই কান্না কাটি শুরু করল।
ডাক্তার- বলল একটা অপারেশন লাগবে দেখি টাকা জমা করুন দেখছি আমরা।
আমি- এবং শালা মিলে টাকা জমা করলাম, অপারেশন শুরু হল। দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল তখনো ডাক্তার বের হয়নি।
মা- মেয়েকে নিয়ে বসে আছে মেয়েটা আমার কিছুই বোঝেনা, শুধু মা মা করছে। মা ওকে সান্তনা দিচ্ছে এভাবে রাত ১১ টায় ডাক্তার বের হল আর যা শুনালো আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।
আমরা জিজ্ঞেস করতে উনি বললেন পারলাম না বাঁচাতে। সে কি কান্নার রোল সবার মধ্যে আসলে আমার বউ ছিল দুই পরিবারের মধ্য মনি। যেমন আমার মা তেমন আমার শালা শশুর। আমি তো কাদতেও পারিনি ওকে এত ভালবাসতাম। আমাকে ছেরে চলে গেল।
আর কি করা যাবে সব ফর্মালিটি শেষ করে ওকে শ্মশানে নিয়ে গেলাম শেষ বিদায় দিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। তিন চারদিন শুধু আমার বউ চন্দ্রার কথা ছাড়া আর কিছু না। সশুর শাশুড়ি শালা সবাই পাশেই ছিল। শাশুড়ি তো বলল আমি আবার তোমাকে বিয়ে দেব, আমার আরেক্তা মেয়ে থাকলে তোমাকে দিয়ে দিতাম, আমার এমন জামাইর কি হবে, মেয়েটা ছেরে চলে গেল। এভাবে দেখতে দেখতে বেশ কিছু দিন কেটে গেল।
সবাই চলে গেল বাড়ি ফাঁকা আমিও ব্যবসায় মন দিলাম, কিন্তু মেয়েটা নিয়ে মা থাকলেও আমি কি নিয়ে থাকবো, বাড়ি ফিরে মা যতই যা বলুক আমি ওকে কোনমতে ভুলতে পারবো না। ১০ দিনের কাজ আমিই করলাম। তারপর আবার নিয়মিত দোকানে যেতে লাগলাম। বাড়ি ফিরলে আর ভালো লাগত না।
মা- রান্না বান্না করত আর মেয়েকে নিয়ে সব সময় মা ওকে দেখাশুনা করত। মা কথায় কথায় বলত আমি বাজারে না পাঠালে আমার বউমার কিছু হত না, সব হল আমার জন্য, আমাকে খাওয়াবে বলেই বাজারে গেল আর ফিরে এলনা বাড়ি।