বিধবা মায়ের বিপত্নীক ছেলে - অধ্যায় ১৪
আমি- আসছি মা বলে বাইক নিয়ে চলে গেলাম। দোকানদারী করে ইচ্ছে করেই বাড়ি ফিরলাম একটু রাত করে ১০ শটার পড়ে।বের হয় মেয়ের জন্য ক্যাটবেরী আর বড় দেখে কলা কিনলাম এবং দরজার কাছে এসে হর্ন দিতে মা দরজা খুলল মেয়ে বাঃ শাশুড়ি কেউ আসে নাই।
মা- দরজা খুলতে বাইক তুলে রেখে মায়ের কাছে আসতে মা বলল তোমার হর্নে এত শব্দ হয়। সবাই টের পেয়ে যায় তুমি এসেছ দিদিভাই হয়ত জেগে গেছে হর্ন শুনে।
আমি-মাকে বললাম সোনা কই ঘুমিয়েছে নাকি। নাকি দুষ্টুমি করছে এখনো।
মা- বলল ওর দিদা নিয়ে ঘুম পারাচ্ছে আস্তে কথা বল না হলে জেগে যাবে। চলো ভেতরে চল। কিছু এনেছ কি।
আমি- হ্যা বলে ব্যাগ হাতে দিলাম আর বললাম আমার ছোট মেয়ে ক্যাটবেরী খায় তাই এনেছি আর বড় মেয়েরা কলা খাবে তাই বড় কলা এনেছি।
মা- এতদিন পড়ে মনে পড়ল বড় মেয়ের কলার দরকার তাই না, আগে তো কোনদিন আননি আজকে হঠাত। কি ব্যাপার শুনি।
আমি- বললাম আগে বুঝতাম না তাই আনা হয়নি এখন বুঝেছি তাই নিয়ে এলাম।
মা- তা ঠিক মানুষ সমস্যায় না পড়লে চোখ খোলে না, যতদিন বউমা ছিল নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলে এখন বুঝতে পারছ তাইত।
আমি- মা তোমাকে আগেই বলেছি আমি না বুঝলে আমাকে বলবে, আমার দোষ আমি স্বীকার করি। বাবা চলে জাবার পর তোমার দিকে আমার খেয়াল দেওয়া হয়নি, তবে এখন আর ভুল করব না। নিজের মায়ের কষ্ট আমি ছেলে হয়ে একবারের জন্য বুঝিনি। আসলে নিজে না হারালে বোঝা যায়না কি হারালাম। আজ ১৫ দিন হল শ্রেয়া চলে গেছে আমি হারে হারে তের পাচ্ছি আমি কি খুয়েছি ফিরে তো আর পাবনা, এই ১৫ দিনে আমার ভেতর কি হচ্ছে সে আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না, সে হিসেবে আমি বুঝতে পারছি বাবা চলে জাবার পর তোমার কেমন লেগেছিল। যা হক মা আর ভুল করব না। তুমি আমার বিধবা মা আমি তোমার বিপত্নীক ছেলে দুজনের হাল একরকম। একে অপরজঙ্কে হারিয়েছি।
মা- সোনা এগুলো কোন দোষ না আমাদের সমাজ এভাবেই চলে তুমি দুঃখ করনা বাবা চল ঘরে চল। এটাই সমাজের নিয়ম, অনেকেই অনেক কিছু পারেনা আমি তোমাকে কথার কথা বললাম, তোমার কোন দোষ নেই। আমরা বন্ধুর মতন মিশতে শুরু করেছি বলেই না এত কথা হয় না হলে হত, একদম মন খারাপ করবে না। বেশী ভাববে না মন বেশী খারাপ হবে।
আমি- মনে মনে ভাবলাম মা হঠাত কেন এমন উল্টো কথা বলছে, কি হবে কে জানে।
মা- বলতে লাগল বউমার কথা অত ভাববেনা তাকে তো ফিরে পাবেনা নিজের হাতে সতকার করেছ আর কি যা আছে মেয়ে আমি আমাদের নিয়ে তোমাকে থাকতে হবে আসো ঘরে আসো বলে মা পা বাড়াল।
আমি- মনে মনে ভাবলাম একটু আদর করব জরিয়ে ধরব কিন্তু কি হল মায়ের বলে আমিও ঘরের দিকে পা দিলাম। কোনা ঘুরতেই দেখি শাশুড়ি দারিয়ে আছে।
শাশুরি- এসে গেছ বাবা আসো আসো তোমার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমি- হ্যা বলে ঘরের দিকে গেলাম।ঘরে ঢুকে বুজলাম মা কেন পালটি কথা বলেছে উনি এসেছে মা টের পেয়েছিল বলেই। শাশুড়িকে দেখে মনে স্বস্থি এল। জামাকাপড় ছেলে নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে গেলাম। মা শাশুড়ি সবাই মিলে খেতে বসলাম।
খাওয়া শেষ হতে মা বলল দিদি আপনি যান না হলে ঘুরে হাতের কাছে না পেলে জেগে যাবে।
শাশুড়ি- হ্য যা পাতলা ঘুম বাবা হঠাত করে জেগে যায়। আমি যাচ্ছি দিদি আপনি আসেন জামাই বাবাজি তুমি ঘুমতে যাও দুপুরে তোমার ঘুম হয়নি।
আমি- চলেন দেখে আসি বলে ওনার পেছন পেছন গেলাম, লদলদে পাছা দেখার জন্য। ল্কি শেপ আমার শাশুড়ির মেয়ের কপি না ওনার কপি মেয়ে তাই ভাবছি। ঘরে ঢুকতেই দেখি মেয়ে জেগে আছে।
মেয়ে- বাবা এসেছ আসো আমার কাছে আসো।
আমি- মেয়েকে ধরে বুকে নিলাম আর পাশে শুয়ে পড়লাম আর বললাম মা তুমি ঘুমাও নি এখনো।
মেয়ে- না তুমি আসছনা আমার ঘুম আসছিল না।
আমি- মা অনেক রাত হল এবার ঘুমাও দিদা আর ঠাম্মা তোমার কাছে ঘুমাবে।
মেয়ে- বায়না ধল না আমি তোমার কাছে ঘুমাবো।
আমি_ ঠিক আছে তবে আমি তোমার কাছে ঘুমাই বলে পাশে শুয়ে পড়লাম আর মেয়েকে আদর করে ঘুম পারাতে লাগলাম। শাশুড়ি চলে গেল। আমি মেয়েকে ঘুম পারাতে লাগলাম। লক্ষ্মী সোনা মা ঘুমাও তুমি আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। এই বলে ঘুম পারাতে লাগলাম। আস্তে আস্তে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি ওকে রেখে আস্তে আস্তে করে উঠে এলাম। মা আর শাশুড়ি টেবিলের পাশে বসে আছে।
মা- আমাকে দেখে হেঁসে দিল আর বলল এবার বুঝেছ তোমার মেয়ে কেমন বাবা ছাড়া কিছু বোঝেনা তুমি একদম সময় দাওনা। মেয়েরা সব সময় বাবা ভক্ত হয় বুঝলে। আর মায়েরা ছেলে ভক্ত হয় বুঝেছ।