বিধবা মায়ের বিপত্নীক ছেলে - অধ্যায় ৬
মা- আমাকে ইশারা করে ডাকল এদিকে আসো।
আমি- উঠে মায়ের পেছন পেছন গেলাম।
মা- বলল একদম ঠিক আছে মাপের হয়েছে এইজে পড়েছি দেখ। বাব্বা দুই ইঞ্ছি মোটা হয়ে গেছি আমি। এই বলে আঁচল ফেলে বলল রঙ্গীন এনেছ কেমন লাগে আমার।
আমি- কেন কি হয়েছে ভালই লাগছে তোমাকে। সাদা [পড়লে বয়স্ক বেশী লাগে এবার ঠিক আছে দারুন লাগছে তোমাকে। মা তুমি আর তোমার বউমা কেউ নাইটি পরনি এটা আমার খুব ভালো লাগত শারিতেই নারী মনে হয় ওইগুলো যারা পড়ে আমার ভালো লাগেনা। পুরানো শাড়ির উপর পড়লে নতুন শাড়িটা পড়তে পারতে।
মা- ঠিক আছে তো, এগুলো পড়ে বাইরে যাবনা আমি ঘরেই পড়ব। রঙ্গিন না হলে একটু বের হওয়া যেত। কে কি বলবে তার ঠিক আছে।
আমি- কে কি বলবে ইচ্ছে ছিল লাল আনতে কিন্তু তুমি সাদা বলেছ বলে লাল আনিনি একটা ব্লাউজ খুব সুন্দর লাগছিল আমার কিনতে গিয়েও কিনিনি সেটা পড়লে তোমাকে আরো সুন্দরী লাগত মা।
মা- বলল আমিও লাল পছন্দ করতাম কিন্তু এখন তো পরিনা আর ছোট হয়ে গেছে সব। ইচ্ছে করলেও পড়া যাবেনা।
আমি- মা আমি এনে দিলে তুমি পরবে কিচ্ছু হবেনা। আমার মাকে আমি পরাবো তাতে কার কি বলার আছে।
আমি- তুমি বললে আমি পড়ব ছেলের মন রাখবো না তাই হয়, এখন আমার ছেলে সব আর কে আছে আমার জীবনে তুমি ছাড়া। তোমার ভালো লেগেছে তো আমাকে এই পড়ে।
আমি- দারুন মা খুব সুন্দরী আর কি বলব, এখন মনে আমার মা না বান্ধবী হলে ভালো হত।
মা- তুমি না ভাবলে আমার বউমা ভাবত আমাকে তার বান্ধবী, কত যে কথা বলতাম আমরা, সব খুটি নাটি সে আমার বিয়ের প্রথম দিন থেকে ও চলে জাবার আগে অব্দি সব জিজ্ঞেস করত, আর আমি জিজ্ঞেস করলেও ও বলত। তোদের দুজনার মধ্যে কি হত সব বলত আমাকে।
আমি- মা ঠিক আছে তোমার বান্ধবী নেই তো কি হয়েছে আজ থেকে না হয় আমি তোমার বন্ধু হলাম।
মা- সত্যি বলছ বাবা মাকে তুমি তেমন ভাবে দেখতে পারবাঃ তো নাকি আবার লজ্জা করবে, মায়ের সাথে কথা বলতে। শোনো বাবা আমাদের আমাদের মতন থাকতে হবে বাইরে নিয়ে ভেবে লাভ নেই , আমাদের সুখ আমরা খুজে নেব কেমন। আমরা কষ্টে থাকলে কেউ খোজ নেবেনা, কোন সাহায্য করবেনা কিন্তু সুযোগ পেলে বলতে ছাড়বে না। আমি তোমার মা তুমি আমার ছেলে আমরা আমাদের মতন সুখ খুজে নেব। দুজনের সুখ দুঃখ দুজনে দেখবো। বউমা চলে জাবার পর আজকে তোমার সাথে একটু মন খুলে কথা বলতে পারলাম, তোমার কেমন লাগছে জানিনা তবে আমি অনেক হাল্কা হয়েছি। তোমার বাবা চলে জাবার পর তোমার আর বউমার দিকে তাকিয়ে আমি আর কিছু ভাবি নাই কিন্তু আজকে যে আমার সে প্রানের প্রিয় বউমা সেও নেই। অনেক কষ্ট অনেক দুঃখ আমার তবুও সব ছেরে ওকে নিয়ে ভালই ছিলাম। সে যে নেই আর। তার জন্য আমার মন কেমন করে আর সে নেই বলে তুমিও ভালো নেই আমিজানি বাবা। তোমার সংসার নিয়ে ভাবতে হবেনা আমি সব সামলে নেব, তুমি তোমার ব্যবসা কর, আমি আছি তোমার জন্য বাবা।
আমি- মা তুমি আমার সাথে থাকলে আমি সব সামলে উঠতে পারবো। আমার আর কাউকে চাইনা আমার মা আমার সাথে থাকলেই হবে, বাবা নেই তোমাকে আমি যেমন দেখবো তুমিও আমাকে সেভাবেই দেখবে, আর আমরা তো আজকে থেকে বন্ধু আর বান্ধবী হলাম। বাইরে সবাই আমাদের মা ছেলে জানলেও আমরা থাকবো বন্ধু আর বান্ধবীর মতন।
মা- আমিও চাই আমরা দুজনে মন খুলে কথা বলি, যেমন আমার বউমা ছিল, তেমন আমিও হতে চাই। একটু সময় লাগবে আমাদের সব দিক সামলে নিতে তবুও আশাকরি আমরা পারবো কি বল তুমি পারবে তো মাকে নিয়ে থাকতে।
আমি- মা অমন করে কেন বলছ আমি কি তোমাকে ছাড়া কোনদিন থেকেছি, বাবা ছিল তারপর তোমার বউমা এল কিন্তু আমি কি তোমাকে ছাড়া থেকেছি তুমি বল, তুমি আমার মা তোমার সাথে আমি ভালোভাবে থাকতে চাই, তোমার আমার মধ্যে এতদিন তোমার বউমা ছিল আজকে সে নেই তাইত আমরা মা ছেলে এখন আরো কাছাকাছি থাকবো, আমার কে আছে তুমি ছাড়া ঠিক তেমন তোমারও আমি ছাড়া কে আছে, এখন যদি আমরা বন্ধুর মতন কাছাকাছি থাকি তো ভালই হবে। এতদিন সেভাবে না মিশলেও এখন আমরা মিলে মিশে থাকবো মা। আমি তো সব বুঝিনা তুমি আমাকে সব বুঝিয়ে বলবে তবেই না আমি বুঝবো। তুমি আমার থেকে সব দিক দিয়ে অভিজ্ঞ বেশী সে সংসার জীবনে এবং বৈবাহিক জীবনে তাইনা মা।
মা- সে ঠিক কিন্তু মেয়েরা অনেক কিছু বলতে পারেনা যেটা ছেলেরা পারে সে বুঝে তোমাকেও এগুতে হবে তাইনা। দুজন দুজনকে সাথ দিলেই সব সম্ভব। তবেই না সংসার সুখের হবে।
আমি- হুম মা তোমার সাথে এঁর আগে এমন করে কোনদিন কথা বলিনি, আমার আগেই বঝা উচিৎ ছিল কিন্তু আগে না বুঝলেও এখন তোমার বউমা নেই বলে আমি বুঝতে পারছি জীবন কত কষ্টের, ছোট বেলা থেকে আমাকে তোমরা কষ্ট বুঝতে দাও নি, কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারছি একজন চলে গেলে কত কষ্ট হয়। সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেছে এই কয়দিনে। আজকে মাত্র ১৩ দিন সে নেই তাতেই আমি ভেঙ্গে পড়েছি।
মা- তাহলে একবার বোঝ আমি এতদিন কত কষ্ট করে বেচে আছি, তবে ওই পাগ্লিটা আমার কষ্ট বুঝতে দিত না আমাকে সব সময় হাসি খুশী রাখত, সে চলে যাওয়া যে কতবর ক্ষতি আমার হল, আমার বুক্টাও ফাঁকা হয়ে গেছে। এইটুকু মেয়ে ফেলে চলে গেল, তো এখনো বুঝতে পারছেনা মা নেই। তুমি চিন্তা করনা সোনা দিদি ভাইকে আমি মানুষ করব একদম মায়ের মতন করে, ওকে মায়ের অভাব আমি বুঝতে দেব না।
এইযা আমার সোনা দিদিভাই কেদে উঠল কেন। এই আমি যাচ্ছি তুমি এবার গিয়ে শুয়ে পর কেমন আমরা না হয় কালকে থেকে বন্ধু বান্ধবী হব। কাছে না থাকলে রেগে যাবে আমি গেলাম তুমি যাও ঘুমিয়ে পর।
আমি- আচ্ছা মা তুমি যাও আমিও ঘুমাতে যাচ্ছি এখন।
মা- চলে গেল দেখলাম গিয়ে দরজা ভেজিয়ে দিয়ে গেল।