বন্ধু বন্ধুর মায়ের নাগর। - অধ্যায় ২১
চাচী হ্যা টিকিটের কপি রফিক আমাকে দেখিয়েছে রফিকের মায়ের পাশে তুমি বসবে আর তোমার মায়ের কাছে রফিক বসবে তাইতো, দুই বন্ধুর বুদ্ধির তুলনা হয় না কেউ বোরিং হবেনা। মা ফোন করেনি তোমাকে সন্ধ্যে তো হয়ে গেল তাইনা।
আমি হ্যা ফোন করেছে বাড়ি যেতে বলেছে এইত আমি যাচ্ছি তোমার সাথে কথা বলছিলাম বলে দেরী হচ্ছে না হলে এতখনে পৌছে যেতাম।
চাচী হ্যা বাড়ি যাও সকালে আমাদের জন্য রেডি থেকো, আমরা মা ছেলে চলে আসবো সাইকেলে চেপে তোমাদের ঘরে সাইকেল রেখে চলে যাবো।
আমি তবে রাখি এবার কেমন বাড়ি যাই মা অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
চাচী ও বললাম বলে সাথে সাথে রেখে দেবে রাগ করলে তুমি আমার উপর।
আমি আরে না বাড়ি যাবনা জানো তো তুমি মা সারাদিনে কিছু না বললেও সন্ধ্যের মধ্যে আমাকে বাড়ি ঢুকতে বলে।
চাচী রাতে ফোন করবে না আমাকে।
আমি করতে বলছ আসলে আমি মেয়েদের থেকে দূরে থাকি এই একটা কারনে, অনেক কিছুই বুঝি না।
চাচী অত শত বুঝি তুমি কিন্তু রাতে ফোন করবে তোমার ফোনের অপেখায় থাকবো কি করবে তো ফোন।
আমি আচ্ছা করব।
চাচী কি করবে।
আমি বললাম না ফোন করবো তোমাকে।
চাচী হুম এবার যাও রফিক এখনও এলনা। দেখি তো একটু বেড়িয়ে বলে কেটে দিল।
আমি যাক বাবা মহিলাদের বোঝা বড় দায় বলে সাইকেলে উঠে সোজা বাড়ির দিকে চলালাতে লাগলাম। ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে বাড়ির সামনে হাজির হয়ে গেলাম। মাকে ডাক দিতে মা মোবাইল কানে নিয়ে দরজায় এল আর দরজা খুলল। আমি কার আথে কথা বলছ মা।
মা রফিকের সাথে আয় ভেতরে আয় নে কথা বল। বলে মোবাইল আমাকে দিল।
রফিক কিরে সব কিনেছিস তাহলে, আমি তাকা পেয়েগেছি ভাই আগেই গেলাম তাই দিয়েও দিল এবার আর সমস্যা হবেনা। কাকিকে তাই জানালাম। আমি বাড়ি যাচ্ছি নে সব গুছগাছ করে নে। আমিও ঘরে যাচ্ছি আম্মমা ফোন করছে আমাকে রাখলাম ভাই।
আমি রফিকের সাথে কথা বলতে বলতে সাইকেল তুলে রেখে দিয়েছি। ফোন কাটতে দেখলাম ৩২ মিনিট মায়ের সাথে রফিক কথা বলেছে। আমি জাগ গে বলে ঘরে গেলাম। মায়ের হাতে ব্যাগ দিলাম। দেখ তো কেমন হল।
মা হাতে নিয়ে বের করে বলল তোর কত খরচা হয়ে গেল তাই না। তারপরে ওখানে হোটেল ভাড়া খাওয়া দাওয়া কত খরচা হবে। তোর কেন তোদের দুজনার হবে আবেগে বলে দিলাম আর কত টাকা নষ্ট। এই বলে মা ওড়না বের করে বাঃ সাদা ওড়না পিঙ্কের উপরে মানাবে ঠিক এনেছিস। আর এইদুটো ও স্নান করার সময় পড়তে হবে তাইনা। প্যান্ট ঠিক আছে কিন্তু বাবা এই গেঞ্জি কি ঢুকবে আমাদের মনে তোঁ হয়না।
আমি আরে হ্যা ঢুকবে গেঞ্জি না দেখি বলে মায়ের গায়ের উপর ফেললাম সামনে দিয়ে আর বললাম হবে একবার নাইটীর উপর দিয়ে গলিয়ে দেখনা।
মা দেখ বলে দেখছি হাতে নিয়ে মাথা দিয়ে গলাতে লাগল। যে টেনে নামালো একদম ফিট তবে টাইট লাগছে।
আমি ওই গেঞ্জি তো আর পড়বে তো একদিন কি দুইদিন। তারপর বাদের খাতায় তাইনা। কি বলো মা চল্বেনা।
মা হ্যা আমার যখন হয়েছে খাদিজারও হবে। এই এক কাজ বাবাকে একটা ফোন কর তোর সাথে কথা বলবে বলেছিল।
আমি আচ্ছা তবে আমি ফোন করছি বাবাকে বলে মোবাইল নিয়ে বাবাকে ফোন করলাম। কিন্তু বাবা ধরল না।
মা বলল আবার পড়ে করিস কাজে আছে মনে হয় আয় দেখি কি কি নেব ব্যাগটা ঘুছিয়ে ফেলি।
আমি বললাম মা বেশী কিছু নিতে হবেনা। এই দুই সেট যা নতুন এনেছি একটা পড়ে যাবে আর নাইটি নাও রাতে ঘুমানোর জন্য।
মা বলল তাই বললে হয় শাড়ি নেব না।
আমি তবে আর কি শাড়ি একটা নাও আমার কলেজ ব্যাগে ধরে যাবে। আর তোমার ভ্যানিটি ব্যাগ নেবে সাজুগুজুর জিনিস।
মা হ্যা সেও এনেছ দেখলাম তোরা দুই বন্ধু মায়েদের জন্য এত ভাবিস যাওয়ার কথা না হলে বুঝতেই পারতাম না। কার বুদ্ধি এটা লিপ্সটিক সেন্ট আইভুরু ফেস ওয়াস কিনলি। তোর না রফিকের।
আমি মানে আমি বলেছিলাম লিপ্সটিক আর সেন্ট এর কথা রফিক বলল আইভুরু আর ফেস ওয়াশ এর কথা। এতে হবেনা আর কিছু আনা লাগত।
মা না না সব ঠিক আছে সেজে গুজে কাকে দেখাবো, দেখার লোকের খবোর নেই ৬ মাস হয়ে গেল। লোকটা এখনও কাজ করছে আর আমরা ঘুরতে যাবো বলে কত আনন্দে আছি তাই না।