বন্ধু বন্ধুর মায়ের নাগর। - অধ্যায় ২৫
রফিক হয় রাখলাম আমিও একটু ঘুমাই ভাই তু ঊঠলে ড্ডেকে দিস। কেমন।
আমি আচ্ছা বলে কেটে দিয়েভাবতে লাগলাম বাঃ আমার বন্ধু কাজের কাজ করে ফেলেছে। এবার তো অনেক কিছু ভাবার আছে কি করে কি করা যায়। এই বলে মোবাইল মাথার কাছে চার্জে দিলাম আর ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। মিনিট দুইয়েকের মধ্যে একটা মেসেজ এল। ভাবলাম আবার কি কিছু রফিক পাঠালো। হাতে নিয়ে দেখতেই দেখি সেম লিংক আমার খাদিজা সোনা পাঠিয়েছে। তারমানে মা ওনাকে পাঠিয়েছে আর উনি আমাকে পাঠালেন। কি করব ভাবছি। ফোন করব নাকি না দেখার ভান করে শুয়ে থাকবো। ভাবছি। এরমধ্যে আবার মেসেজ কি ঘুমিয়েছ নাকি না জেগে আছো, কল করনা।
আমি ফোন করলাম আর বললাম হ্যা বলো ঘুমাও নি আমি তো ঘুমিয়ে পরেছিলাম। এটা তোমার মা আমাকে পাঠিয়েছে কি হয়েছে তোমাদের আমাকে জানতে বলল। এসব ই দুই বন্ধু মিলে কি করেছে তোমার মা যাবেনা বলছে।
আমি রফিক এমন কাজ করল এবার কি হবে। গেল তো সব বৃথা হয়ে।
চাচী হবেনা যা তোমরা শুরু করেছ না গেল সব মাটি হয়ে সে আমাকে সাফ বলে দিয়েছে তোমরা গেলে যাও সে যাবেনা। কি করব আমরা সবো নাকি বাদ দেব। তোমরা দুজনে যা শুরু করেছ এতদুর এগিয়ে গেছ দুই বন্ধু মিলে কি বলব তোমাদের এবার দেখ কি হয়। খুব চালাক তোমরা তাই না দুই বধু মিলে এইসব ভেবে রেখেছ। একবার আমদের কথা ভাব্লে না।
আমি না আসো আমি মাকে ঠিক রাজি করাবো ভেবনা তুমি। গল্প কি আর সত্যি হয় নাকি।
চাচী হ্যা সেটা মাকে বলে রাজি করিয়ে নিও আমরা আসবো।
আমি আচ্ছা রাখো তাহলে সকালে মায়ের কাছে যাবো এখন না।
চাচী হ্যা রাখো এবার আমিও রাখলাম।
এইসব কথা শোনার পর কি আর ঘুম আসে আর ঘুমাতে পারলাম না। নিজেই ভাবলাম জীবনে সব কিছু হয়না দেখি মা সকালে কি বলে। এদিক ওদিক করছিলাম ঘুম মোটে আসছিল না। বিছানায় গড়াগড়ি করেই সময় পার হয়ে গেল। চারতের বাজতেই আমি উঠে মাকে ডাক দিলাম মা ওমা ওঠ সকাল হয়ে গেছে।
মা নারে আমি যাবনা তোরা যা আমার ভালো লাগছেনা একদম যেতে পারবনা। তুই ওদের নিয়ে যা।
আমি এমন কেন করছ কি হয়েছে তোমার আমাকে বল। দরকার হলে আমি আর তুমি যাবো ওদের বাদ। কি আমার সাথে যাবে তো।
মা না কারোস আথেই যাবনা, আমার ভালো লাগছেনা তুই যা না ওদের নিয়ে।
আমি তুমি না যাওয়া মানে আমারো যাওয়া হবেনা, তুমি নিজেই তো ওদের নেওয়ার কথা বলেছ আর এখন যাবেনা, কেন কি হয়েছে।
মা না কিছু হয়নি এমনিতেই যাবনা। তুই যা ওদের নিয়ে তোর বাবা আমাকে বারন করেছে যেতে।
আমি ভেবে দেখ মা জীবনে সব সুযোগ বার বার আসেনা অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা খরচা করে সব করলাম আর তুমি এখন যাবেনা বলছ। ওরা কিছু বএলছে নাকি অন্য কিছু।
মা ওরা যাক তুই আমি পড়ে যাবো একদিন পড়ে লাগে টিকিটের টাকা আমি দেবো।
আমি ঠিক আছে ওরা অদের মতন থাকবে আর আমরা আমদের মতন থাকবো তবে তো সমস্যা নেই চলো গিয়ে আমরা আলাদা হোটেল নেব তবে হবে তো। চলো মা এত আশা নিয়ে প্লান করেছি ভেস্তে দেবে ওমা চলোনা। ওদের সাথে চলাফেরা করবনা পর্যন্ত। এবার রাজি হও মা।
মা উঠে বসে পড়ে বলল সত্যি যেতে ইচ্ছে করছে না আমার।
আমি মায়ের হাত ধরে টেনে তুললাম ওঠ মা চলো আমার কথা রাখো তুমি কিছু হবেনা আমি আছি না। ওঠ বাথরুম করে রেডি হয়ে নাও মা প্লিজ।
মা যেতে পারি এক শর্তে আমরা আলাদা হোটেল নিবি মনে থাকবে তো।
আমি আচ্ছা তাই হবে তবু চলো। ওঠ এবার।
মা হ্যা উঠছি বলে উঠে বাথরুমে গেল।
আমি যাক মা রাজি হয়েছে সব কেচকে দিচ্ছিল রফিক।
মা বাথরুম থেকে এসে নে তুই গেছিলি বাথরুমে আমি পড়ে নিচ্ছি তি এসে জামা প্যান্ট পড়ে নে।