বন্ধু বন্ধুর মায়ের নাগর। - অধ্যায় ৩৪
আমি বন্ধু আমার মাল তুই নিয়ে নিলি ইস কি আফসোস হচ্ছে আমার কি অবস্থা আমার দুপুরে স্নান করে রুমে গিয়ে একবার খিচে ফেলেছি, আমার কপাল খারাপ। আমার কপালে নেই ভাই। আর সুজোগ হবে বলে মনে হয়না। বাড়ি গেলে চান্স দিবি তো আমাকে।
রফিক দেখ তোকে আগেই বলেছি আমি পেলে তুই পাবি আম্মুর সাথে কথাও হয়ে গেছে দেবে তোকে। তোর মায়ের যা ভাব এখানে সুযোগ দেব কি করে তবে তো দুইভাই মিলে নিতাম বাড়ি চলো কালকেই চল। তুই কিছু বুঝিস কাকির হাবভাব।
আমি নারে ভাই এ বিষয়ে কোন কথা হয়না। কিছুই বলেনা আমাকে তুই কি পাঠিয়েছিস না পাঠিয়েছিস যা বলেছে তোর মা আমার মা কিছুই বলে নাই। মা একপাশে আমি এক পাশে শুয়ে ছিলাম, তোঁকেই দিলনা কেমন করছে দেখতে পাচ্ছিস না তো আমি আশাকরি কি করে আমার আশা আমাকে আর তোকে নিরাশ করল আর কি।
রফিক আমি ভাই চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারলাম না উনি যখন ভালো কথা বলে মনে অয় সব দিয়ে দেবে কিন্তু এখন দেখা গেল আসল রুপ।
আমি এই কি করে কি করলি আমাকে পড়ে বলবি কিন্তু শুনতে ভালো লাগছিল।
রফিক বলা লাগবে কেন তুই নিজেই তো করতে পারবি, আম্মু বলেছে আমাদের দুজনার সাথেই করবে, সত্যি বলতে কি জানিস আমাকে বার বার বলেছে তোকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে আম্মু আর তোর সাইজ শুনে তো আরো ফিদা।
আমি যাক তোর মতন বন্ধু যেন সবাই পায় ভাই।
দোকানদার ডাক দিল এই দাদাস আপনাদের চপ নিন পমপ্লেট ভাজা হয়ে গেছে।
আমি চল বলে গিয়ে টাকা দিয়ে চারটে পমপ্লেট নিয়ে গেলাম। আগে মাকে দিলাম আর আমি নিলাম রফিক ওর মাকে দিয়ে নিজেও নিল। আমি মায়ের পাশে বসলাম আর রফিক ওর আম্মুর কাছে বসে খেতে লাগলাম।
মা না দারুন করছে গরম গরম তো ভালই লাগলো খেতে। আরেকটা আনবি নাকি দারুন টেস্ট তাইনা খাদিজা।
চাচী হ্যা খুব ভালো করা ভাজা তো চিবাতে দারুন লাগল।
আমি মা তবে আরেকটা আনবো সবার জন্য।
মা না ওইদিকে আমরা যেখানে আছি ওখানে পাওয়া যাবেনা।
আমি হ্যা পাওয়া যাবে।
মা তবে রুমে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো রুমে গিয়ে খাবো। এবার আবার আস্তে আস্তে হেটে যাই।
আমি মা বল আর কি খাবে তুমি যা বলবে পেলেই তোমাকে খাওয়াবো।
মা ঠিক আছে যাই ওদিকে এতদুর থেকে নিয়ে কি হবে চলো খাদিজা হেটে হেটে যাই কটা বাজে।
আমি মোবাইল দেখে বললাম ৭টা বাজে মা।
মা বলল বলিস কি তবে যেতে তো ৮ টার বেশী বেজে যাবে। খাবার দাবার পাবি তো। চলো যাই বলে মা উঠে হাটা শুর করল।
আমি চাচী কেমন লাগল দীঘা ভালো লেগেছে তো।
চাচী আমার খুব ভালো লেগেছে আজকে আমাদের গোসোল হলো না কালকে ভালো করে গোসোল করব।
মা বলল হ্যা সে তো আমাদের বললাম না গামছার কথা। প্যনাট ভালনা কোমরে থাকেনা। ঢেউতে খুলে যেতে চায় পারা যায়না। সব ভালো কিনেছিস কিন্তু প্যান্ট ভালো হয়নাই গেঞ্জিটাও ভালো।
চাচী কি সুন্দর পরিবেশ।
রফিক প্রথম বলল আম্মু এখন তো অন্ধকার রাত জস্না হলে আরো ভালো লাগত।
মা সাথে সাথে উত্তর দিল হ্যা ঠিক বলেছে জ্যোৎস্না রাত হলে সত্যি ভালো লাগত।
রফিক কাকি তোমার ভালো লেগেছে তো।
মা হ্যা খুব ভালো লেগেছে এই সময় মানে এই রাতে নদীর পাশ দিয়ে হাটা ভাগ্যের ব্যাপার। কত লোকজন আশা যাওয়া করছে আলো গুলো খুব ভালো লাগছে।
আমি যাক তোমরা দুজনে খুশী হলেই আমাদের আসা সার্থক।
মা না আসলে ভুল করতাম তোর বাবা তো নিয়ে আসলো না তবু তুই নিয়ে এসেছি বলে দেখা হল আমার দীঘা লোকের কাছে কত শুনেছি দেখা হল এই প্রথম। কালকে একটু ভালো করে ঢেউ খেতে পারলেই আমার আসা সার্থক এই আরো তো সাইডে দেখা যায় তাইনা নিয়ে যাবি তো।
আমি হ্যা কালকে তোমাকে নিয়ে যাবো মোহনা মাছের আড়ত দেখাতে তারপর দেখী আর কোথায় যাওয়া যায়।
মা বাবা সত্যি এখন হাটতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর কতদুর রে আসার থেকে ফেরার পথ বড় হয়ে গেল।
আমি না মা এসেগেছি। এখান থেকে খেয়ে যাবে নাকি রুমে নিয়ে যাবো। ৮ টা বাজে এখন।
মা হ্যা আসতেও এক ঘণ্টা লেগে গেল তাইনা। মা এই শোন বলে আমাকে কাছে ডাকল আর বলল খুব প্রসাব পেয়েছে আমার আগে রুমে যাবো।
চাচী বলল আমারো আমিও রুমে যাবো।
আমি তবে চলো দুজনকে রুমে দিয়ে আমি আর রফিক না হয় খাবার নিয়ে যাবো এসে।
মা হ্যা আগে আমাদের রেখে আয়।
চাচী বলল চলো দিদি আমাদের রুমে অলোক আসলে চলে যাবে তোমাদের রুমে। এই রফিক দে চাবী দে আমি আর দিদি চলে যাচ্ছি।
আমি সে তো যাবে কি খাবে মা।
মা ও তাই তোর যা ভালো লাগে নিয়ে আয় যা আনবি তাই খাবো আমি এখন আর কিছু বলব না। এবার তোর চয়েসে খাবো, যা পছন্দ হয় নিয়ে আয়।
আমি গিয়ে মায়ের হাত ধরে বললাম কি গো খাবে নাকি আনবো।
মা কি আস্তে করেই বলল।
আমি মদ একটু খাবে নিয়ে আসবো চাচীকে তো বলেছিলে। খাওয়ার কথা।
মা ওরা খাবে কি একসাথে খাবোনা কিন্তু তুই আর আমি।
আমি ঠিক আছে তবে যাই চল রফিক আমরা যাও তোমরা।
মা আচ্ছা দেরী করিস না। যেন।
আমি না না বেশী সময় লাগবে না। যাও তোমরা গিয়ে ফ্রেস হও আমরা আসছি।
মা আমি রুমে চলে যাই দে আমাকে চাবি দে বলে হাত বারাতে আমি পকেট থেকে দিলাম মা বলল গামছা এন একটা।
আমি আচ্ছা বলে দুজনে আমি আর রফিক হাটা শুরু করলাম আর রফিক কে বললাম মায়ের গামছার জন্য মন কেমন করছে দেখলি আগে গামছা কিনে নেই বলে দুজনে বাজারে ঢুকলাম তারপর গামছা কিনে নিয়ে বললাম কিরে নিবি চাচী খাবে।
রফিক হ্যা বলেছে নিয়ে যাই চল দুজনে দুটো কাকি তো আমাদের সাথে খাবেনা তোর একারা খা আর আমরা খাই।
আমি ভাবিস না ভাই আজকে না হলেও কালকে একসাথে হতে পারবো দেখলি মা তো তোর সাথে কথা বলল।
রফিক হ্যা ভাই চল আগে কি নিবি খাবার।
আমি শুনলি না পমপ্লেট খাবে আরো আগে মাল নিয়ে তারপর নিয়ে যাবো ওইসব। চল ঐযে সামনে কাউন্টার বলে দুজনে দুটো বিপি পাইট নিলাম। বেড়িয়ে কিছু ফল নিলাম কাজু কিসমিস তারপর চিপ্স নিলাম। আর নিলাম স্প্রাইট। বাদাম নিলাম। এরপর মাছের চপ দাড়িয়ে ভাজিয়ে নিলাম। দুজনেই একই জিনিস নিলাম। এরপর তরকা আর রুটি নিলাম। সব নিতে ৩০ মিনিট লাগল।
রফিক বলল ভালো করে খাওয়াবি নেশা ভালো হলে সুযোগ পেলে দিবি কিন্তু।