বন্ধু বন্ধুর মায়ের নাগর। - অধ্যায় ৪৫
মা দাঁরা তোর বাবার সাথে তো কথা বলা হলনা। দেখি বলে আবার ফোন নিয়ে মা বাবাকে কল করল।
বাবা বলল কি হয়েছে ওদের কোন বড় সমস্যা কোথায় ওরা।
মা আর বলনা খাদিজার ছোট জামাই বাইক এক্সিডেন্ট করেছে ওরা এখুনি বেড়িয়ে গেল বাড়ির দিকে আমাদের যাওয়া উচিৎ ছিল এত অল্প সময় কি করব বুঝতে পারার আগেই ওরা কিছু না বলেই চলে গেল।
বাবা বলল ভালো হয়েছে ওদের আমার পছন্দ না একদম তোমরা মেশো ঠিকই কিন্তু আমার ভালো লাগেনা একদম।
মা আমাকে ইশারা করে বলল দরজা আটকা।
আমি শব্দ করে দরজা বন্ধ করলাম।
বাবা আবার বলল ছেলে কই।
মা ওইত ওদের ছারতে গেছে তুমি বলো কি বলবে বলছিলে। আমি একাই আছি বলে আমাকে টেনে কাছে নিল। তোমার মনে কি চলছে বলোতো। ভয় হচ্ছে বউকে নিয়ে এতদিন পড়ে।
বাবা না তা নয় আসলে কালকে তোমার কথা শোনার পর থেকে আমার কেমন যেন লাগছে তারজন্য তুমি তো বোঝ আর ওই যে রফিক ওর তাকানো আমার একদম ভাললাগেনা ওরা খুব খারাপ হয় যদি কারো সাথে বন্ধুত্ব করে হয় তার সম্পত্তি বাঃ নারী কিছু একটা নেবেই ওরা তারজন্য বার বার ভাবি। আর যা কর ওদের সাথে না মিশ্লে ভালো হয়।
মা সে তো বুঝলাম কিন্তু আমি তো জানি ওটা তোমার ভয় না তোমার ভয় এখন ছেলেকে নিয়ে তাইনা। খুলে বলতে পারোনা। এইরকম চিন্তা করলে তুমি কিন্তু বাচবেনা বলে দিলাম ভেবে ভেবে মরে যাবে তুমি। আমাকে আর ছেলেকে কি তোমার সন্দেহ হয় তাই বলো।
বাবা না একটুও না আমার এ নিয়ে কোন ভয় নেই যদিও কর আমি কিছু বলব না কিন্তু ওদের সাথে যেন কিছু না হয়।
মা কি বলছ তুমি সে হুশ আছে।
বাবা দেখ কালকে তোমার সাথে কথা বলার পর যখন আমি বের হয়েছি মুহিদুল কে না দেখে বাইরে গিয়ে দাড়াতে ওদের কথা শুনলাম, মা ছেলে কথা বলছিল মহিদুলের সাথে কান পেতে শুনেছি। তোমাকে ওরা যে করে হোক কিছু একটা করবেই, এটাই ওদের প্লান। রফিক বলে আব্বা ভেবনা মাল লাইনে এসে যাবে আমি পাবো তুমিও পাবে। তারপরে আমাকে দেখতে পেয়ে সব কথা বেমালুম পালটে দিল। তুমি বলো আমি ওকে কাজ দিলাম ও কিনা আমার ঘরে সর্বনাশ করতে চাইছে তাও ছেলে বউকে নিয়ে। রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি।
মা ভালো হয়েছে ওদের এমন বিপদ হয়েছে ঠিক আছে তুমি ভেবনা ওরা চলে গেছে। আমি আর ছেলে আছি এখন এখানে। কি এবার স্বস্থি তো। আমরা এবার স্নান করতে যাবো। কি মশাই এবার তো একটু হাসো বলেছ ভালো হয়েছে না হলে কিসে কি হত কে জানে।
বাবা আমি জানতাম ওরা ছক করেছিলো যাক বাচা গেল। ওরা কিছু ক্রার জন্য আগে নিজেদের মেয়েদের এগিয়ে দেয় বুঝলে।
মা সে একদম সত্যি তোমার ছেলেকে পটিয়ে ফেলেছিল খাদিজা বুঝলে। তোমার ছেলে কত কিছু কিনে দিয়েছে ওকে।
বাবা তুমি ওকে ফেরাও আশা ছেলেকে সামলে রাখো।
মা এই বেশীক্ষণ কথা বলা যাবেনা ছেলে চলে আসবে এবার বলো আমার কি করা উচিৎ, ছেলে তো খাদিজার প্রেমে মশগুল আমার যা মনে হয়। আমার কাছে থাকেনা বার বার ওর কাছে যায়।
বাবা তুমি ওকে ফেরাও, যে করে হোক।
মা বললেই হল নারী দেহের স্বাদ যদি পায় আর ফিরবে নাকি আমার ভয় করে। ছেলেটা না পর হয়ে যায়। ছেলেকে কি করে রক্ষা করব আমি। দেখনা এগিয়ে দিতে গেছে বললাম স্না করতে যাবো বেলা দেড়টা বাজে জোয়ার আসবে আমার আর স্নান হবেনা।
বাবাঃ তুমি ফেরাও যে করে হোক যা করা লাগে করো।
আমি চুপ করে বাবা মায়ের কথা শুনছি।
মা কি করব আমি, আমি কে ছেলেকে শরীর দেখাব নাকি আমি পারবোনা, কিছু না করেই আমাকে তুমি সন্দেহ করেছ।
বাবা না আমি সন্দেহ করিনা তবে জাদি পারো ছেলেকে কাছে রাখো এটাই বলব।
আমি ধুর ভালো লাগেনা আমার জীবনে যে কি হবে না একদম পারিনা কি করে কি করব আমাকে তুমি এমন বিপদে ফেলে দিলে। আমার কি করা উচিৎ খুলে বলতো তুমি যা বলবে তাই হবে।
বাবাঃ ওকে খাদিজার কাছে থেকে যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনো। তারজন্য যা করা লাগবে করবে আমি না করব না।
মা তারমানে কি বলতে চাইছ আমি এখন ছেলের দিকে ঝুকি, তুমি জানোনা তোমার ছেলে কেমন মায়ের দিকে ওই নজরে কখনো তাকাই না তোমার ছেলে। কি করে হবে। আমাকে খুলে বলোতো কি করব। তোমার যেমন ছেলেকে বাচাতে হবে আমারো তেমন বাচাতে হবে। কিন্তু তোমার ছেলে কি ফিরবে।
বাবা ফিরবে তুমি ফেরাতে পারবে। খাদিজার প্রেমে পড়লে কে তোমার প্রেমে পরবেনা।
মা আমি এখন মা হয়ে ছেলের সাথে প্রেম করব তুমি বলছ নিজের ছেলেকে চেন না সে তো কোনদিন এ ভাবতে পারবেনা।
বাবাঃ তুমি সুযোগ দেবে তবেই না বুঝবে। এইত এখন ছেলেকে নিয়ে যাও গিয়ে ওকে জরিয়ে ধরবে আর বলেছিলাম না নিচে কিছু রাখবেনা ছেলে দেখেই না তবে বুঝবে আর ধরলে কিছু বল্বেনা একটু সুযোগ দাও হয়ে যাবে।
মা তোমার তাই ইচ্ছে কি বলছ তুমি আমি মা হয়ে ওর সাথে।
বাবা ছেলেকে ভালো রাখতে এইটুকু করতে হবে না হলে ওরা তোমার ছেলেকে ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে বলে দিলাম। ওদের বিশাল বড় গ্যাং অনেক টাকা ঢালে ওরা এর জন্য। মহিদুল আমার থেকে অনেক কম কামায় কিন্তু দেখ দুটো মেয়ে ছেলে সব নিয়ে দিব্বি চলে যাচ্ছে টাকা পায় কোই।
মা সব বুঝলাম এখন আমি কি করি তুমি পড়ে মেনে নিতে পারবে তো।
বাবা পারবো আমি বাইরে থাকি বাড়িতে তোমরা ভালো থাকলে আমার আর চিন্তা থাকবেনা।