দাবার চাল - অধ্যায় ১২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-10418-post-571163.html#pid571163

🕰️ Posted on June 24, 2019 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 427 words / 2 min read

Parent
৬.৭ —বদ্দা তরাতরি ফুলছড়ি আয়ন, অনেগো গাড়ি খাদের মইধ্যে পাওয়া গিয়েদে, ভিত্রে অনের আব্বা আর হাসান কাকার লাশ! —পুলিশকে ফোন দিয়েছিলি ? —ওনো ন দি, —আচ্ছা,অপেক্ষা কর, আমি এখনি আসছি ৷ জাবেদ মায়ের দরজায় টোকা দিতেই, নাজনীন ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলেন, সদ্য নামাজ পড়ে শেষ করা, নাজনীনের মুখমন্ডল থেকে বেহেস্তের হুরদের মতো আভা বের হচ্ছিলো,  গোলাপী ঠোট দুটো দেখলেই  চুষে দিতে ইচ্ছে করে,  —মা, আমি গেলাম  —এখন আবার কোথায় যাচ্ছিস,কোনো সমস্যা হলো নাকি? —না,ব্যাবসা সমিতির মিটিং আছে, তাই —আচ্ছা, ঠিকাছে তাহলে  ৷ নাজনীন ছেলেকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন, খোদা হাফেজ  —খোদা হাফেজ ৷ ফোন করেছিলো সেখানের স্থানীয় মং হুজিয়া ৷ তারা একটা ডেরা বেধে পাহাড়ে থাকে ৷ জাভেদের আবার সেখানকার পাহাড়ীদের সাথে ভালোই যোগাযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীক কাজে প্রতীদন্দীদের উপর হামলা করাতে এদের সে ব্যবহার করে, খুবই ভরসা যোগ্য ৷ অন্যান্য বাঙ্গালীদের নিকট যখন তারা অগৃহীত,সেখানে জাবেদ প্রায় তাদের টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগীতা করে থাকে, ব্যপারটা আক্তারুজ্জামন চৌধুরী জানলেও ছেলের বদান্যতায় তিনি কিছুই বলেনি, তবে তাদের দিয়ে করানো ক্রাইম সম্পর্কে আক্তার বিন্দুমাত্র অবগত ছিলেন না ৷ জাবেদের ফুলছড়ি পৌছাতে সময় লাগলো ৷ গাড়ী থেকে নামতেই যেনো যে পড়ে যাচ্ছে, দু জন হুজিয়া তাকে ধরলো, তাদের বৌদ্ধ টাইপ একজন জাবেদকে সান্তনা দিয়ে বললো,  —সাহেব, দুঃখ ন করিয়েন, চৌধুরী সাহেব এনো জীবিত আছেন!!!  একথা শুনে, বিস্ময়ে জাবেদের চোখ কপালে উঠে যাবার দশা হলো, কিন্তু সে নিজেকে সামলে নিলো ৷  তারা জানালো,  হোসেনকে ঈশ্বর নাকি বাঁচিয়ে রাখেনি, সে মারা গিয়েছে একটা বুলেট তার পিঠে আরেকটা তার মাথায় একেবারে বিধে গিয়েছিলো! হয়তো কোনো নরপশুর কাজ ! হুজিয়া গোষ্ঠীর সর্দার জাবেদ কে সান্তনা দিতে এগিয়ে আসলেন ৷ তাদের বিপদের দিনে, জাবেদ সবসময়ই তাদের পাশে ছিলো এখন তারাও জাবেদের পাশে আছে , সর্দার জাবেদকে জড়িয়ে ধরে তা জানান দিলেন ৷ জাবেদ মাটির ঘরের ভিতরে গেলো তার বাবাকে দেখার জন্যে! হুম এখনো শ্বাস চলছে!! কি অবাক করা ব্যাপার,মেপে মেপে শর্ট নিয়েছিলো তারপরেও কি করে! — সর্দার রিচিং, এমুহুর্তে বাবার এ অবস্থার কথা আমি কিছুতেই পরিবারে জানাতে পারবোনা,মা কে তো একেবারেই না ৷ তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না ৷ এদিকে জীবিত থাকার কথা প্রকাশ করলেও সমস্যা ৷ যে সব শত্রুরা বাবার উপর হামলা করেছে তারা আবার আক্রমণ করবে ৷ —ইবা তবে ছঠিক, কতা হইলেন ৷ তো অহন কি হরা যায় সাহেব ? —আমি বাবাকে নিয়ে অন্য কোনো খানে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখবো, আর আমার চলে যাবার পর তোমরা পুলিশে খবর দিবে ৷ বাকিটা তারাই সামলাবেন ৷ জাবেদ জানে, হুজিয়ারা কখনই তার কাথা অমান্য করবেনা ৷ তাদের সে বিশ্বাস এবং ভরসা সে বহু আগ থেকেই তিলতিল করে যুগিয়ে নিয়েছে ৷ জাবেদের কথামতো তারা অসুস্থ আখতারুজ্জাম কে জাবেদের গাড়িতে উঠিয়ে দিলো,আর হাসানের লাশকে আগের জায়গায় রেখে আসলো ৷ —আমি বলার পরই কিন্তু পুলিশে খবর দিবেন ৷
Parent