দাবার চাল - অধ্যায় ২৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-10418-post-1366965.html#pid1366965

🕰️ Posted on January 3, 2020 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 401 words / 2 min read

Parent
৮.৬ সিন্ডিকেটের অবস্থা নড়বড়ে শেয়ার অনুযায়ী মালিকেরা তেমন একটা লাভোবান হচ্ছেনা ৷ ওদিকে জাবের ইব্রাহীম আড়ালে থেকেই বারবার সিন্ডিকেট কিনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে, সবাই রাজী হলেও সুধু জাবেদেই বাদসেধেছে, তার বাবার তীল তীল করে বানানো সিন্ডিকেট সে যার তার হাতে দিবে না ৷ এমন যখন অবস্থা তখন সকল মালিকেরা বৈঠক ডাকলো, আলম সাহেব আগ বাড়িয়েই সেনো কথা শুরু করে দিলেন  জাবেদ—আপনারা সবাই আজ সিন্ডিকেট বিক্রী করতে চাচ্ছেন, তবে একবারও ভেবেদেখেছেন কি, এটা বিক্রী করে আপনারা বেকার হয়ে যাবেন ৷ আলম সাহবে বলে উঠলেন, —আর কত, লাভের মুখ দেখতেই আজকাল কষ্ট হয়ে গিয়েছে, আরড়দ্বার জেলেদের টাকা দিয়ে আমাদের কতই বা মিলে! তারউপর চেয়ারম্যানের ২%  জামিল উদ্দীন— আমার কথাও আলম ভাইর মতই ৷ জাবেদ—তাহলে আপনারা চাচ্ছেন সিন্ডিকেট কোনোএক অচেনা লোকের কাছে বিক্রী করে দিতে! —হ্যাঁ এরপর সিন্ডিকেটের সদস্যের ভোট হলো, ৫০%শেয়ার জাবেদের দখলে ছিলো বাকিরা সবাইচায় সিন্ডিকেট ছেড়ে দিতে ৷ জাবেদ—আপনারা চাইলে আপনাদের শেয়ার ঐ জাবের ইব্রাহীমের কাছে বিক্রী করে দিতে পারেন, কিন্তু আমি এখানেই থাকতে চাই  এসবের মাঝেই আমার বেড়েউঠা আমি এসব ছাড়তে পারবো না ৷ জাবেদ আসন ছেড়ে উঠে পড়লো ৷ জাবেদ সমুদ্রের পাড়ে হাটছে .......... ওসি মুকবুল এসেছে তাদের অফিসে তার তদন্তের খাতিরে, জাবেদ একটু অবাক হলো, এখনো তাকে বহাল থাকতে দেখে, —কেমন আছো জাবেদ? —আছি, তা কি মনে করে! —কাজে ছাড়াতো আর এমনিতে আসবোনা, দাওয়াততো আর দেওনি! —তো কাজের কথায় বলেন ৷ —আমি মুমেন শেখ আর মির্জা গ্রুপের ব্যাপারে তদন্ত করেছি কিন্তু তাদের বিরুদ্দে কোনো প্রমান পেলাম না, তবে তোমার বাবার ব্যাপারে সম্পূর্ন ইনফরমেশনেই হাতে এসেছে ৷ —তো, কি করতে চাচ্ছেন? —আমি ওয়ারেন্টের অপেক্ষা করছি  —পাবেন না, মুখবুল জাবেদের কথায় কেমন যেনো গাম্ভীজ্যতা লক্ষ করছেন! এই ছেলে অনেক পরিবর্তীত হয়ে গেছে! —চ্যালেঞ্জ করছো? — কি মনে হয়? —শব্দের খেলা আমার সাথে খেলে লাভ হবে না ৷ আমি তাতে এক চাল আগে থাকি ৷ — না, মুখবুল সাহেব এটা দাবা, আর রানী এখন আমার! মুখবুলের ফোন বেজে উঠলো, তাকে এখনই তলব করা হয়েছে উপর মহল থেকে, জাবেদ মুচকি হাসলো ........ সূর্যটা অস্ত যাচ্ছে ....... ওদিকে খাগড়াছড়ীতে,  আখতার নাজনীনের সামনে বসে আছে, —তোমার নামওকি নাজনীন? —জ্বী —তোমার কষ্টের জন্যে,ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷ —না না ক্ষমা কেনো চাইবেন  —এই যে আমার জন্যে তুমি এমন একটা অবস্থায় আটকা পড়ে গিয়েছো ৷ —আসলে, আমি নিজ ইচ্ছেতেই এখানে আছি,জাবেদ আর আপনাকে আমি আমার পরিবারের মতোই ভেবে নিয়ছি তাই আপনি যখন আমাকে বিয়ে করতে চাইলেন আমি আপত্তি করিনি ৷ — তুমি, আমাকে বা জাবেদকে কতটুকু চিনো? —অনেক ভালো করে চিনি,  — মানুষ সারাজীবন একছাদের নিচে থেকেও কেউ কাউকে সেভাবে চিনতে পারেনা, আর আমাদের তো ক্ষনিকের পরিচয়!
Parent