দাবার চাল - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-10418-post-536095.html#pid536095

🕰️ Posted on June 11, 2019 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 427 words / 2 min read

Parent
৬.১ চাল গুলো আগে থেকেই ঠিক করা আছে, আজ সুধু বাস্তবে চালতে হবে! সকালে নাস্তা করে, হাসান চাচাকে বলে দিলাম যাতে করে আন্টিকে নিয়ে আসে, আর বাবাকে বললাম  টেকনাফ গিয়ে যেনো টিলা টা একবার দেখে আসে, এরপর মাবাবাকে সালাম করে জাবেদ প্রাইভেট কারটা নিয়ে চলেগেলো ভার্সিটির উদ্দেশ্যে, দেখলে জাভেদের মা, ছেলেটা আমার কেমন দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে, জাভেদের কারনেই আপতত আমাকে কোনো টেনশন নিতে হয়না  ৷ —কিন্তু আপনার মনে হয়না, ছেলের উপর বেশী চাপ হয়ে যাচ্ছে? পড়ালেখার পাশাপাশি এতো কিছু সামলানো ৷ —আমার ছেলে পারবে সে, ছোটো থেকে তাকে আমিই গড়ে তুলেছি, নাজনীন,কিচেনে যেতে যেতে বললো, ছিলেটা কিন্তু আমারো, একথা বলতেই, নাজনীনের গত রাতের অতর্কিতভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা মনে পড়ে গেলো, কি বিশ্রী ভাবেই না ছেলের সাথে ধাক্কাটা লাগলো! এর জন্যে নাজনীন গতরাতে নামাজ পড়ে তওবাও করেছে, যুবক ছেলের সাথে এমন ঘনিষ্ঠ হওয়া অবশ্যই গুনার কাজ  ৷ তবে নাজনীন যেনো ছেলের বুকের উষ্ণতা এখনো টের পাচ্ছে! কি চওড়া ছাতি জাবেদের ৷ না, মা হয়ে এসব ভাবা একদমই ঠিকনা ৷ কিন্তু তারপরও নাজনীন যখন গতরাতে স্বামী সহবাসে লিপ্ত ছিলো, কেনো যেনো স্বামীর স্পর্শে একবার ক্ষনিকের জন্যে জাভেদের চেহারাটা সামনে চলে এসেছিলো  ৷ নাজনীন এমন ভ্রমকে পাত্তা দিলো না, মন দিয়ে নিজের রান্নার কাজ করতে লাগলো, ছোট বোন আসবে, যাদের জন্যে এতো কান্ডঘটে গেলো, দুবোন অনেকদিন পর একসাথ হবে ৷ ওদিকে হাসেন মিয়া গাড়ি নিয়ে বাঁশখালী গেলেন, বাজারের উত্তর পাশেই মুন্সী বাড়ি,  পূর্ব যাতায়ত থাকায় হাসানের চিনতে কোন অসুবিধে হয়নি,বাড়ির প্রথমের একতলা অর্ধ সমাপ্ত বাসাটায় ছোট খালাদের,  "মোসাম্মত্ শারমীন আক্তার " নাজনীনের ছোট বোন, জাবেদের ছোট খালা, খালুাজানের কদমতলী কাপড়ের একটা মাঝারি দোকান আছে, একবার আগুন লেগে যাওয়ার পর থেকে ব্যবসায় উঠে দাড়াতে হিমসিম খাচ্ছেন, জাবেদের বাবা অবশ্য তাকে কিছু টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিলেন,যদিও তা আর ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি ৷ আখতার সাহেবই আসলে চাননি! ছোট খালা আর তার মেয়ে অপর্ণা কে নিয়ে একাই থাকেন, খালু সকালে বাসে করে কদমতলী যান এবং রাতে ফিরেন,আর কাজ করার জন্যে বাড়ীর এক ননদ জমিলা বেগম তাকে সাহায্য করে , ছোট খালা নিজে একটা বোরখা চাপিয়ে নিলো আর তার ৩ বছরের মেয়ে অপর্ণাকেও জামা পরিয়ে  প্রায় তৈরী হয়েই ছিলো, মাইক্রোর হর্ন শুনে অপর্ণা চঞ্চল হয়ে উঠলো, —আম্মু আম্মু গাদি গাদি!  —বাবা কেমন করছে দেখো মেয়েটা দাড়া তোর খালামনির জন্যে যে পিঠাগুলো বানিয়েছি নিয়ে নিই,জাবেদের আবার পিঠার খুবই শখ ৷ এর ফাকে হাসান ভেতরে এসে বসলো, জমিলা বেগম, তাকে কিছু পিঠা আর একগ্লাস পানি দিয়ে গেলো, হাসানের খাওয়ার ফাকে শারমিন পিঠে টিঠে প্যাক করেনিলো, এরপর বাসায় তালা দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো, শারমিন বাসার চাবি নিজের বেগে নিয়ে নিলো, কারন তার স্বামী রাতে এদিকে আর আসবে না একসাথে বোনের বাড়িতেই যাবেন, জমিলার থেকে বিদায় নিতেই হোসেন দরজা আটকে দিয়ে, গাড়ি স্টার্ট দিতেই তাদের যাত্রা শুরু হলো ৷
Parent