দাবার চাল - অধ্যায় ৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-10418-post-547806.html#pid547806

🕰️ Posted on June 16, 2019 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 440 words / 2 min read

Parent
৬.২ সারমিন বাসায় আসতেই দুলাভাইয়ের সাথে দেখা,আখতারুজ্জাম চৌধুরী ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখছিলেন, দুলাভাই কে সালাম দিলো, আখতার তার শালিকার সালাম নিয়ে স্ত্রীকে ঢাকতে লাগলেন, কৈ জাভেদের মা দেখো কে এসেছে! —ভেতরের দিকে যাও ৷ নাজনীন আক্তার তার বোনকে দেখে বেজায় খুশী ৷ ছোটো অপর্ণা তার অন্টিকে দেখে,দৌড়ে তার কোলে উঠে গেলো, —মিষ্টি একটা,মেয়ে হয়েছে তোর ৷ আপু তোমারটার মতো মিষ্টি হয়নি! শারমিন বলতে লাগলো, —কি যে বলিস না! তা আমাদের জাবেদ কই? তোমার মেয়েটা কই বুড়িটা কি করছে?   —ছেলেটা গিয়েছে ভার্সিটিতে আর অন্যজন ঘুমিয়েছে জাগাস না, এখন ৷  এই পিঠে গুলো বানিয়েছি তোমাদের জন্যে ৷ ফ্রীজে রেখে দেও ৷ শারমিন বোরখা খুলে ফেললো, বুবু যা গরম পড়ছে না, —হুম,  এসিটা বাড়িয়ে দিয়ে রুমে গিয়ে রেস্ট কর, দু বোন নিজেদের নিয়ে মেতে উঠলো, জাবেদের মা, একটু এদিকে আসবে?  নাজনীন কথা থামিয়ে  স্বামীর ঢাকে তাড়াতারি সেখানে উপস্থিত হলো, —আমি নতুন টিলাটা দেখতে যাবো,তোমরা দুবোন থাকো, আর কিছু লাগলে আমায় ফোন করো, বাবলু কে দিয়ে পাঠিয়ে দিবো ৷ —আচ্ছা ঠিকাছে, তবে আসার সময় মনে করে একঘটি মিষ্টি দৈ নিয়ে আসবেন ৷ —খোদাহাফেজ, নাজনীন স্বামীকে দুয়ার পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন, হাসানের বুঝি আর জিরিয়ে নেওয়া হলোনা,সবে মাত্র আসলেন তারপর বড় মালিক আবার গাড়ি স্টার্ট দিতে বললেন, ছোট মালিক নাকি  নতুন একটা টিলা কিনেছেন, তা দেখতে যাবে, দেখতে যাওয়ার কি আছে, কিনছে তো কিনছেই, মানুষের টাকা থাকলে কত্ত কি করে! শুনেছি ছোট মালিক নাকি সেখানে একটা বাংলো করবেন ৷ এতো বাড়ি দিয়ে কি করবেন তিনি? বাপের এক ছেলে কক্সবাজারেও একটা বাড়ি আছে তাদের,এখন আরেকটা বানাবে!  তবে দুজনই বড় মনের মানুষ, যেমন বাবা তেমনি তার ছেলে ৷ হাসান মিয়ার আজ চৌদ্দ বছর থেকে তাদের ড্রাইভার ৷ কিন্তু কখনো বুজতে দেয়নি তিনি তাদের কর্মচারী সবসময়ই তাকে পরিবারের সদস্যের মতোই ট্রেট করেছে, হুম যদিও হাসান মিয়া আম্মাজান কে এতো বছরে বোরখা বেতিরেখে তেমন একটা দেখে নি, তারপরেও বুঝতে পারেন উনিও মানুষ খারাপ না, হয়তো পর্দার ব্যাপারে একটু বেশীই সতর্ক! তারপরেও হাসানের বৌ কিন্তু কয়েকবার তাদের বাসায় এসেছে,তার থেকে শুনে এটুকু বুঝেছেন, আম্মাজান আসলেই অনেক ভালো মানুষ ৷ তার বড় মেয়ের বিয়ের সব স্বর্ন আম্মাজানই দিয়েছেন, আর টাকা যা লেগেছে বড় মালিক ব্যাবস্থা করেছে, নিজের মেয়ের মতো করেই হাসানের মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ৷ এসব ভাবলে হাসান মিয়ার সব কষ্টই তুচ্ছ মনে হয়,এ পরিবারের জন্যে সে যতটুকুই করেনা কেনো সবি যেনো খুবই তুচ্ছ ! নিজের জীবন দিয়েও হয়তো এঋন তিনি শোধ করতে পারবেন না ৷ —হোসেন, তুই কি চিনিস!! টিলাটা রাস্তার ঠিক কোন পাশে? —না, মালিক ৷ —ছেলেটা বারবার করে বলে গেলে গিয়ে দেখে আসার জন্যে কিন্তু লোকেশনটাইতো তিনি ঠিক মতো জানেন না, উত্তরে বলেছিলে না কি পশ্চিমে? আর পাশাপাশি এতো টিলা কোনটা কার! ছেলেকে ফোন দিবো? না থাক, হয়তো ক্লাসের মাঝে আছ ৷ , তুই চালাতে থাক, ঘেরে গিয়ে শফিকেকে প্রয়োজনে সাথে নিয়ে আসবো, অনেকদিন চিংড়ী ঘেরে যাইনি ৷
Parent