দাবার চাল - অধ্যায় ৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-10418-post-547809.html#pid547809

🕰️ Posted on June 16, 2019 by ✍️ Premik57 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 461 words / 2 min read

Parent
৬.৩ —নিয়াজ,শুন ফাস্ট পিরিওডের ক্লাসটা বোধয় ধরতে পারবো না, প্রেজেন্টটা ম্যানেজ করে দিস, —তুই ভাবিস না, দিয়ে দিবো,  —অতো দূর থেকে গিয়ে ক্লাস করি, বুঝিসিই তো, তার উপর আমার প্রেজেন্ট পারসেন্টিজও এবার লো ৷ —হ্যা হ্যা ঠিকাছে, বদ্দা তুই টেনশন ন লইয়ো ৷ ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো নিয়াজ, জাবেদ জানে নিয়াজ ঠিকই তার উপস্থিতি দিয়ে দিবে, ওয়ারহাউজে বসে বসে সে,তার বাইকের নাম্বার প্লেট পাল্টাচ্ছে, প্লেট পাল্টে ,ড্রয়ার থেকে  P18c টা বের করে তাতে সাইলেন্সার লাগাতে লাগলো, তার ভেতরের জানোয়ারটা যেনো জেগে উঠেছে ৷ হাতে গ্লাভস পরে সে তার রিভালবারটা কোর্টের পকেটে নিয়ে নিলো, জাবেদ মাদ্রাসায় পরার দরুন সবসময় পাঞ্জাবি আর পাজামায় পরতো, ভার্সিটিতে সে পাঞ্জাবির উপর দিয়ে কোর্ট পরে যেতো ৷ আইনের ছাত্র হিসেবে কালো কোর্টে তাকে দারুণ মানাতো, দেখেই উকিল উকিল ভাব! টিলার পাশের রাস্তায় অনেক্ষন ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে সে, অবশেষে গাড়ির হর্নে যেনো তার অধীর অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটলো ৷ ড্রাইভার হাসান মিয়া জাবেদকে দেখে গাড়ি থামালো, এদিকের আঁকাবাঁকা রোডগুলো অনেকটাই নির্জন ও ফাকা থাকে,আশেপাশে বসতি গড়ে উঠেনি বোলে জনমানব শূন্য থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু অনেকসময় ঘন্টার পর ঘন্টায়ও কোনো যানবাহন যায় না ৷ আখতারুজ্জামান গাড়ি থেকে নেমে ছেলেকে দেখে অবাক হলেন, —কিরে, ভার্সিটি গেলি না ৷ —না বাবা,আজ ভার্সিটিতে ক্লাস হবে না, স্টুডেন্ট লীগ, আর ছাত্র ফোরামের মধ্যে গন্ডগোল বেধেছে ৷ —তাই নাকি, তাহলে ভালোই করেছিস ৷  তুই থাকাতে সুবিধাই হলো, নতুন কোন টিলাটা কিনছিস, আমি তো জানিই না, আর হাসান মিয়াও নাকি চিনে না ৷ —সমস্যা নেই, বাবা আমি তো আছি, আমিই সব সামলে নিবো! জাবেদ তার বাবাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলো,খানিক পথ যেতেই তাড়া রাস্তা থেকে আড়াল হয়ে গেলো, হাসান মিয়া গাড়ি রাস্তার পাশে পার্ক করাতে ব্যাস্ত ৷ হঠাতই এক মৃদু শব্দের পর, মালিকের আহ্ আওয়াজে সে তাড়াতাড়ি সেদিকে গেলো, —হাসান চাচা এদিকে এসো জলদি বাবাকে সাপে কেটেছে, হাসান মিয়া দ্রুতবেগে সেখানে যেতেই দেখে,তার মালিকের দেহটা মাটিতে পড়ে আছে আর মাথা থেকে রক্ত ঝরছে! জাবেদ পাশেই দাড়িয়ে ছিলো, হা হা হা হা,  হাসান মিয়ার দিকে তাকিয়ে সে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো, জাভেদের ভয়ানক হাসিতে হাসান মিয়ার দেহ যেনো রক্তশূণ্য হয়ে পড়লো ৷ জীবনে ভয়ে সে কাঁপতে লাগলো,তাও নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলো সে,  ছোট মালিক, এটা আপনে কি করলেন! —দেখিস নি কি করেছি! পথের কাঁটা সরিয়ে দিলাম! এখন রাজ্য আর রানী দুটোই আমার, —কি বলছেন মালিক ?  তোর মাথায় এসব ঢুকবে না, তোর মাথায় সুধু বুলেট ঢুকবে, বুলেট ! হাসান মিয়া পালানোর চেষ্টা করলেন  , কিন্তু  আরেকটা মৃদু শব্দ আর হাসেনের চিতকারের পর সব কিছুই শীতল হয়ে গেলো ৷ 9mm এর একটা বুলেট হাসানের পিঠে বিধলো আর তারপর পরই আরেকটা বুলেট তার মাথার খুলিতে আঘাত করতেই সব শেষ হয়ে গেলো,  জাবেদ তার পরের চালে, হাসান আর বাবার মৃত দেহটাকে মাইক্রোতে তুলে, অটো স্টার্ট দিয়ে গাড়িটা ছেড়ে দিলো,  গাড়িটা ঠিক কত নিচে পড়ছে এসব দেখার সময় জাবেদের হাতে নেই, সে ওয়ার হাউজে গিয়ে, দ্রুত প্লেট পাল্টে বাইকটা রেখে, প্রাইভেট কারে করে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলো ৷
Parent