একটি ভুল! প্রায়শ্চিত্ত থেকে প্রনয় - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70313-post-6031139.html#pid6031139

🕰️ Posted on September 9, 2025 by ✍️ mlover69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1227 words / 6 min read

Parent
গল্পটা একজন মায়ের, একটি ভুল কিভাবে একজন মায়ের জীবন নরক হয়ে যায়,সেই নরক থেকে আবার সেই ভুলের কারনেই তার জীবন স্বর্গ হয়ে যায়।।  আট দশটা সাধারণ পরিবারের মতই একটি পরিবার মুন্সী পরিবার।স্বামী, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে নিয়ে হাসিখুশি সুখী একটা পরিবার মুন্সী পরিবার। পরিবারের প্রাথমিক পরিচয় পর্বে প্রথমেই আসবে ওসমান মুন্সীর নাম। ওসমান মুন্সী একজন নামকরা বয়োজ্যেষ্ঠ মৌলবি, সারাদেশে  ওয়াজ নসিহত করে মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকেন। আসলে এইখানে যতটা না দ্বীনের জন্য সারাদেশ চষে বেড়ান তার থেকে বেশি চষে বেড়ান অর্থের জন্য, কারণ প্রতিটি দ্বীনের প্রোগ্রাম থেকেই লক্ষাধিক টাকা হাদিয়া পাওয়া যায়।তাছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত একটা মাদরাসাও আছে।তাই বলাই যায় ওসমান মুন্সীর দিনরাত মাদ্রাসা আর সারাদেশে ওয়াজ নসিহত করেই পার হয়ে যাচ্ছে। এরপরে যার পরিচয় দেওয়া জরুরি তিনি হলেন ওসমান মুন্সীর সহধর্মিণী মোসাম্মদ শাহনাজ বেগম। যিনি একজম আপাদমস্তক গৃহিণী  এবং একজন ধর্মভীরু মহিলা।শাহনাজ বেগমের বয়স চল্লিশ ছুইছুই।৩৫ বছর বয়স হলেও শাহনাজ বেগমের শারিরীক গঠনের কারণে ওনাকে ২৬/২৭ বছরের যৌবনে ভরপুর রমনীর মত লাগে। শাহনাজ বেগমের হরিণী চোখ, লম্বা নাক, পানপাতার মত গোল মুখ দেখে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। মনে হবে যেন স্বর্গের কোন অপ্সরা, সাথে আছে উন্নত বক্ষ একদম পাহাড়ের মত মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে একটুও ঝুলে পরে নি।মাংসল পাছা,হাটলে সমুদ্রের মত টেউ খেলে যায়।তারসাথে মেদহীন পেট শাহনাজ বেগম কে করেছে স্বর্গের অপ্সরার মত সুন্দরী।  শাহনাজ বেগম এবং ওসমান মুন্সীর একমাত্র ছেলে শওকত মুন্সী। ঊনিশ  বছরের টগবগে তরুণ। গায়ের রঙ কুচকুচে কালো একদম নিগ্রোদের মত।ওসমান মুন্সীর দাবি শওকত তার দাদার মত হইছে।শওকত মুন্সীর দাদা ছিলো পালোয়ান, এলাকায় সবাই একনামে কালু পালোয়ান নামে চিনতো।  কালু পালোয়ান এর ছেলে ওসমান মুন্সী হইলো দুর্বল ছোট খাটো কিন্তু নাতি হলো ঠিক কালু পালোয়ানের মতই। যদিও শাহনাজ বেগম বা শওকত কেউ ই কালু পালোয়ান কে দেখে নি কারন ওসমান মুন্সীর সাথে শাহনাজ বেগমের বিয়ের আগেই কালু পালোয়ান মারা গিয়েছিলো। পরিবারের সর্বশেষ সদস্য হলেন বুসরা মুন্সী।মাত্র কিছুদিন হলো যৌবনে পদার্পণ করেছেন।মায়ের মতই রুপসী,চেহারা অবিকল শাহনাজ বেগমের মত। শাহনাজ বেগমের যুবতী ভার্সন হলো বুসরা মুন্সী।  এইহলো মুন্সী পরিবারের পরিচিতি পর্ব।  আপনারা এতক্ষণে সকলেই যেনে গেছেন যে মুন্সী একজন নামকরা মৌলবি, যিনি দুইহাতে টাকা কামাই করেন ওয়াজ মাহফিল মাদরাসার নাম করে। যিনি সারাদেশে নীতিকথা শোনায় তিনি নিজের ঘরের হক ঠিকমতো আদায় করার সময়, ইচ্ছা কোনটাই পাচ্ছে না।  শাহনাজ বেগম যিনি রান্নাবান্না,ঘরের যাবতিয় কাজকর্ম করে দ্বীন পালন করে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। ভুলের সুত্রপাত হয় হঠাৎ কলিং বেল এর শব্দে।শাহনাজ বেগম কলিং বেল শুনে স্বামী অথবা সন্তান ভেবে ঘরের কাপড়েই দরজা খুলে দেখেন তার এক দুর সম্পর্কের চাচাতো ভাই সামনে দাঁড়ানো।শাহনাজ বেগম দরজা খুলে চাচাতো ভাই কে দেখে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে যান। কিন্তু ততক্ষণে চাচাতো ভাই স্বপন যা দেখার আশা কল্পনাতেও করেন নি। তা স্বচক্ষে গিলে গিলে দেখে নিয়েছেন।কারণ শাহনাজ বেগম কে কোনো বেগানা পুরুষ বয়সন্ধী কাল পার হওয়ার পর কেউ দেখেনি।শাহনাজ বেগমের বাবা শাহনাজ বেগম কে ওসমান মুন্সীর প্ররোচনায় অল্প বয়সেই ওসমান মুন্সীর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।স্বপন শাহনাজ বেগমকে  দেখে মনের ভিতর সয়তানি চিন্তা নিয়ে ভাবে শাহনাজ বেগম কে ভোগ করার জন্য তিনি যা করার তাই করবেন।স্বপন ঢাকায় এসেছিলো মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য,কিন্তু এখন তার উদ্দেশ্য শুধু শাহনাজ বেগম।এসব ভাবতে ভাবতেই স্বপন বসার ঘরে গিয়ে সোফায় বসে।ততক্ষনে শাহনাজ বেগম * পরে স্বপনের জন্য নাসতা এনে টেবিলে রেখে আড়ালে চলে গেল।স্বপন শাহনাজ বেগম কে কুশলাদি বিনিময় করে, শাহনাজ বেগম ও স্বপনের খোজ খবর নেয় এবং তার বাড়ির খোজ খবর নেয়।স্বপন নাস্তা করতে করতে শাহনাজ বেগমের সাথে আলাপচারিতা চালাতে থাকে।আলাপচারিতা এক ফাঁকে স্বপনের ঢাকায় আসার উদ্দেশ্য বলে। অসহায় ভাব নিয়ে শাহনাজ বেগমের নিকট জানতে চায় তার ব্যাপারে দুলাভাই কোনো সহযোগিতা করবে কি না,কারণ সারাদেশের সব ধর্মপ্রাণ মানুষ ই ওসমান মুন্সী কে সম্মান করে।শাহনাজ বেগম বলেন ওসমান মুন্সী এসব ব্যাপারে সুপারিশ করে না।স্বপন আক্ষেপ নিয়ে বলে তাহলে অনেকদিন কোর্টের চক্কর কাটতে হবে। এই কথা বলে স্বপন উঠে দাঁড়িয়ে শাহনাজ বেগম কে বলে আজ তাহলে চলি কোর্টে যেতে হবে,পরের ডেটে আবার আসবো।শাহনাজ বেগম খাবার খেয়ে যাওয়ার জন্য বলে।স্বপন বলে না খাবার খাইতে গেলে দেরি হয়ে যাবে।শাহনাজ বেগম বলে কোর্ট থেকে কাজ সেরে  এসে খাবার খেয়ে যাইয়েন তবে। স্বপন এই সুযোগে শাহনাজ বেগমের নাম্বার চেয়ে নেয়, বলে তাইলে তোর নাম্বার টা দে কোর্টের কাজ সেরে যদি আসার সময় পাই তাইলে তোকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেবো।আর তাছাড়া ফোন দিতে আসলে তোকেও এইরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।স্বপনের শেষ কথাটা শুনে শাহনাজ বেগম লজ্জায় লাল হয়ে যায়।এরপর শাহনাজ বেগম স্বপন কে নিজের নাম্বার দিয়ে সর্বনাশের দিকে পা বাড়ায়। স্বপন শাহনাজ বেগমের বাসা থেকে বের হয়ে ফোন নাম্বার টা সেভ করে নেয়  তারপর সে তার কাজে চলে যায়।শাহনাজ বেগম স্বপনের বিদায়ের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে মাফ চায়। বেপর্দাভাবে পরপুরুষ এর সামনে চলে যাওয়ার জন্য।মুনাজাতে চোখের পানিতে তার আপেল এর মত টসটসা গাল দুটো ভিজে যায়।এরপর শাহনাজ বেগম তার দৈনিক কাজকর্মের রুটিনে ফিরে যায়।দুপুরে শাহনাজ বেগমের ছেলে শওকত  মাদ্রাসা থেকে বাসায় আসে।শওকত মাদরাসায় মাওলানা পাস করে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়।আসলে মাওলানা পাসটাও বাপের চাপা চাপিতে নিজের মাদ্রাসা থেকে কোনরকম টেনে টুনে পাস করেছে। এখন কেরানি হিসেবে মাদরাসায় সময় দিচ্ছে। আসল কাজ টা অন্য একজন করে শওকত শুধু আদায়কৃত টাকা ব্যাংকে জমা রাখে, কোন খাতে ব্যয় করতে হলে টাকা ব্যাংক থেকে উত্তলন করে দেয়। শওকতের কাজ জাস্ট এতটুকুই। মাদ্রাসা থেকে এসে মা ছেলে মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে শওকত নিজের রুমে চলে যায় আর শাহনাজ বেগম বাসন কোসন পরিস্কার করার কাজে লেগে পরে। ওসমান মুন্সী দুপুরের খাবার মাদ্রাসার বোর্ডিং থেকেই খেয়ে নেন কদাচিৎ বাসায় এসে খাবার খান দুপুরের হোক বা রাতের খাবার হোক। বাসন কোসন পরিস্কার করার আগেই শাহনাজ বেগমের ফোন বেজে উঠলো,শাহনাজ বেগম গিয়ে দেখলো একটা অচেনা নাম্বার। শাহনাজ বেগমের ফোনে সাধারণত অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে না কারণ শাহনাজ বেগমের নাম্বার আত্মীয় ছাড়া কাউকে দেয় না।শাহনাজ বেগম ফোন রিসিভ করে কানে রাখতেই ওপাস থেকে বলে উঠলো আমি স্বপন।স্বপ্নের নাম শুনে শাহনাজ বেগম জানতে চাইলো কোর্টের কাজ শেষ হয়েছে কি না।স্বপন বললো কাজ শেষ কিন্তু আবার তারিখ দিয়েছে আবার আসতে হবে এক সপ্তাহ পর।শাহনাজ বেগম বাসায় আসতে বললেন। স্বপন বললো এখন আর আসবে না সামনের সপ্তাহে আসবো এখন তারাতাড়ি বাড়ির জন্য বাস ধরতে হবে রাস্তায় বিরতিতে কোন হোটেলে খেয়ে নিবো।শাহনাজ বেগম আপসোস করলো ততক্ষণে দুপুর গরিয়ে বিকেল হয়ে যাবে বলে।স্বপন আপসোস শুনে মনে মনে বললো তোকে খেতে পারলে সারাদিন না খেয়ে থাকলেও পেটে খুদা লাগবে না মাগি।স্বপন শাহনাজ বেগমকে পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দিলো।শাহনাজ বেগম ফোন রেখে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো। অইদিকে শওকত নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে পর্ন দেখতে দেখতে হাত মেরে মাল ফেলে ঘুমিয়ে পড়লো।শাহনাজ বেগম কাজ করতে করতে বিকেল হয়ে গেলো। প্রতিদিন বিকাল ৫ টা বাজে শাহনাজ বেগমের মেয়ে বুসরা মাদ্রাসা থেকে ফোন করে ১০, ১৫ মিনিটের মত মায়ের সাথে কথা বলে।বুসরা ওসমান মুন্সীর বন্ধুর মহিলা মাদ্রাসায় বোর্ডিং এ থেকে কিতাব খানায় পড়াশোনা করে।দাওড়া পাস করতে আর একবছর এর মত লাগবে বুসরার। বুসরা পড়াশোনায় ভালো হলেও ওসমান মুন্সীর মেয়েকে বেশি পড়াশোনা করানো নিয়ে আগ্রহ নেই। ওসমান মুন্সীর মতে মেয়েদের বেশি পড়াশোনা করানো ভালো না। অল্প পড়াশোনা করিয়ে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া মেয়েদের জন্য উত্তম।বুসরার সাথে কথা শেষ করে শাহনাজ বেগম কিছুক্ষণ জিকির আজগার করে সময় কাটায় তারপর মাগরিবের নামাজের আযান পড়লে নামাযে বসে পরে। শাহনাজ বেগম প্রতিদিন মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত এবাদাত বন্দিগী করে, তারপর এশার নামাজের পরে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। ভোররাতে তাহাজ্জুদ এর ওয়াক্তে উঠে তাহাজ্জুদ ফজর আদায় করে জায়নামাজ থেকে উঠে।রাতের খাবার খেয়ে নিজের রুমে যাওয়ার আগেই শাহনাজ বেগমের ফোন আবার বেজে উঠলো, মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলো স্বপনের নাম্বার। শাহনাজ বেগম ফোন রিসিভ করে সালাম দিলেন। স্বপন সালামের জবাব দিয়ে জানালো সে সহিহ সালামতে বাড়িতে পৌছে গেছে।দুপুরের খাবার খাইছিলো কি না জানতে চাইলো শাহনাজ বেগম। স্বপন সিম্প্যাথি নেওয়ার জন্য মিথ্যা বললো।শাহনাজ বেগম আপসোস করলো এবং বললো আবার ঢাকা আসলে অবশ্যই তার বাসায় দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।স্বপন এরপরে খুব ক্ষিদা লাগছে বলে ফোন কেটে দিলো।শাহনাজ বেগম মনে মনে আপসোস করতে করতে শুয়ে পড়লো।ঘুমানোর আগে স্বপনের নাম্বার টা মোবাইলে সেভ করে নিলো।
Parent