একটি ভুল! প্রায়শ্চিত্ত থেকে প্রনয় - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70313-post-6039768.html#pid6039768

🕰️ Posted on September 21, 2025 by ✍️ mlover69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1957 words / 9 min read

Parent
আপডেট : এইভাবে করে শওকত আর শাহনাজ বেগমের দিন চলে যাচ্ছে।শাহনাজ বেগম এখন শওকতের কথায় হ্যাঁ হু করে জবাব দেয়।আম্মা যে তার কথায় জবাব দিচ্ছে এতেই শওকত খুশি।শাহনাজ বেগমের মনে কুচিন্তা আসতে লাগলো যখন তার পিরিয়ডের ডেইট দের মাসের মত ওভার হয়ে গেছে।শাহনাজ বেগম মনে মনে ভাবে শওকত কি তবে আমার সবচেয়ে বড় সর্বনাশ টা করেই ফেললো? না না শওকত আমার সাথে এমন টা করতে পারে না!  শওকত তো ছোটবেলা থেকেই আমার কস্ট দেখতে পারে না।ছোটবেলায় একবার তরকারি কাটতে গিয়ে হাত কেটে গিয়ে রক্ত বের হতে দেখে কি কান্নাটাই না করলো।অথচ বুশরা পাশে বসে শওকতের কান্নার জন্য ইয়ার্কি করতেছিলো।অইদিন তো শওকতের আচমকা ধাক্কায় আমার রক্ত বের হয়ে গিয়েছিলো নিশ্চয়ই শওকত তখন থেমে গিয়েছিল। আর আমি বেহুশ থেকে হুশ ফিরে বিছানার পাশে কুসুম গরম পানিও তো দেখছিলাম।এসব ভেবে শাহনাজ বেগম নিজের জন্য সান্ত্বনা খুজে নিচ্ছিলো।গত কয়েকদিন ধরে শাহনাজ বেগমের মাথা ঘুরাচ্ছে মাঝে মাঝে। বিপত্তিটা বাজে আজকে সন্ধ্যার পরে কিচেনে যখন শাহনাজ বেগম মাথা ঘুড়িয়ে পড়ে যায়।সৌভাগ্যবসত শওকত ও তখন বাসায় ছিলো।কিচেনে কিছু একটা পড়ার আওয়াজ শুনে শওকত দৌড়ে কিচেনে গিয়ে দেখে আম্মা ফ্লোরে পরে আছে। শওকত আম্মাকে পাজা কোলে করে আম্মার রুমে নিয়ে শোয়াইয়া একটা পাতলা কাথা গায়ে জরিয়ে দিয়ে দেয়।মুখে কয়েকবার পানির ছিটা দেওয়ার পর শাহনাজ বেগমের হুশ ফিরে।শাহনাজ বেগম হুশ ফিরে নিজেকে বিছানায় দেখে আর এইভাবে কাথা দিয়ে তাকে ঢেকে দেওয়ার জন্য মনে মনে খুশি হয়, ভাবে শওকত তার কত খেয়াল রাখে।অইদিন তার ভুলের জন্যই শওকত রাগে আমাকে অপদস্ত করেছে।শওকত আম্মার রুমেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে  আব্বাকে ফোন করে বলে আম্মার শরীর খারাপ হঠাৎ করে বেহুশ হয়ে গেছে।ওসমান মুন্সী তখন সফরের উদ্দেশ্য গাড়িতে ছিলো। শওকতের কথা শুনে ওসমান মুন্সী বললো ইবিনে সিনা হাসপাতালে কোনো মহিলা ডাক্তার কে দেখাও নিয়ে।শওকত  জ্বি বলে ফোন রেখে দেয়।শওকত আম্মার দিকে তাকিয়ে বলে আব্বা বলছে আপনাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে,রেডি হতে পারবেন আম্মা একা একা নাকি আমি সাহায্য করবো?শাহনাজ বেগম মনে মনে ভাবলো কয়েকদিন ধরে যেহেতু মাথা ঘুড়াচ্ছে আর ওসমান মুন্সী যেহেতু ডাক্তার দেখাতে বলছে যাই দেখিয়ে আসি।শাহনাজ বেগম বললো আমি নিজেই রেডি হতে পারবো।শওকত আম্মার কথা শুনে রুম থেকে বের হয়ে এসে ড্রয়িং রুমে বসে উবার ডাকলো।কিছুক্ষন পরে আম্মা বোড়কা * পড়ে বের হলো রুম থেকে।তখনো উবার এসে পৌছায় নি বাসার সামনে।শওকত শাহনাজ বেগমকে বলে উবার আসতে আরো দশ মিনিট লাগবে, একটু বসেন আম্মা।এইবলে শওকত কিচেনে গিয়ে ফ্রিজ থেকে লেবু বের করে ঠান্ডা পানিতে লেবু চিপে রস বের করে লেবুর শরবত এনে আম্মাকে দিলো।আম্মা এইটা খান লেবুর শরবত ভালো লাগবে।শাহনাজ বেগম মনে মনে খুশি হলেন কিন্তু হাবভাবে কিছুই প্রকাশ না করে চুপচাপ শরবত খেয়ে নিলেন।ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে শাহনাজ বেগম মনে মনে ভাবলো শওকতের সাথে এইভাবে কথা না বলে তাকে কস্ট দিয়ে কি সে ঠিক করতেছে?আমার কাছে তো প্রতিদিন ই মাফ চায়। আ**** তো নিশ্চয়ই তার বান্দাকে এইভাবে প্রতিনিয়ত মাফ চাইলে মাফ করে দেয়।আমি মা হয়ে কি তার প্রতি একটু বেশিই কঠোর হয়ে যাচ্ছি? নাহ আজকে থেকে আস্তে আস্তে কথা বলা শুরু করবো।শাহনাজ বেগম এইসব ভাবতেছে শওকতের ডাকে শাহনাজ বেগমের ভাবনায় ছেদ পড়লো আম্মা চলেন গাড়ি এসে পড়েছে।শাহনাজ বেগম হুম বলে উঠে দাড়ালো। মা ছেলে উবারে করে হাসপাতালে গিয়ে ভাড়া মিটিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালে প্রবেশ করলো।শওকত আম্মাকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে গিয়ে খোজ নিলো মহিলা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কে আছে। খোজ নিয়ে দেখলো যিনি আছেন তার সিরিয়াল পেতে পেতে এক ঘন্টার মত সময় লাগবে।শওকত সিরিয়াল কেটে আম্মাকে গিয়ে বললো এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।শওকত হাসপাতালের সামনের ডাব বিক্রেতা থেকে একটা ডাব কেটে আম্মার জন্য নিয়ে আসলো।শাহনাজ বেগম শওকতের হাতে ডাব দেখে বললো একটু আগে শরবত খেয়ে এসেছি এখন আবার ডাব কেন এনেছ? এতদিন পরে আম্মার হু হ্যাঁ কথা থেকে পুরো একটা বাক্য শুনে শওকতের চোখে পানি চলে আসলো খুশিতে কিছু না বলে ডাব টা এগিয়ে দিলো শাহনাজ বেগমের মুখের সামনে। শাহনাজ বেগম শওকতের চোখের পানি দেখে বুঝলো এইটা খুশির কান্না, এতদিন পর ছেলের সাথে কথা বলছি দেখে ছেলে খুশিতে কান্না করে দিছে।কতটুকু ভালোবাসলে এইটুকুতেই কেউ এত খুশি হতে পারে।শাহনাজ বেগম ছেলের হাত থেকে ডাব নিয়ে *ের ভিতরে স্ট্র ডুকিয়ে মুখে নিয়ে টেনে ডাবের পানি খেতে লাগলো।খাওয়া শেষ করে খালি ডাব টা শওকতের হাতে দিয়ে বললো লেওয়া টে ফেলে দিয়ো না তুমি খেয়ে নিয়ো।শওকত জ্বি আম্মা বলে ডাব বিক্রেতার কাছে গিয়ে কেটে দিতে বললো।কেটে লেওয়া গুলো একটা পলিথিন এ ভরে নিয়ে এসে আম্মার সাথের চেয়ারে বসলো।শাহনাজ বেগম লেওয়া পলিথিনে করে নিয়ে আসতে দেখে বসার সাথে সাথেই বললো তোমাকে না খেয়ে ফেলতে বলছি পলিথিনে করে কেন নিয়ে আসছো?আপনি খান আম্মা আপনি খেলে শক্তি পাবেন।শাহনাজ বেগমের হাতে পলিথিন টা দিলো।শাহনাজ বেগম বললো আমি খাবো না।শওকত একটুকরো লেওয়া নিয়ে বললো আমি খাচ্ছি বাকিটা আপনি খেয়ে নেন আম্মা। শাহনাজ বেগম তার জন্য ছেলের জন্য এত দরদ দেখে মনে মনে নিজেকে বললো আমি কেন আমার মানিকচাঁদ কে এত কস্ট দিলাম?অইদিন তো ভুল আমারো ছিলো,রাগের মাথায় শওকত যা করছে এরপরে তো আর একবারও স্বপনের ব্যাপারে আমাকে কিছু বলে নাই।বারবার শুধু নিজের ভুলের জন্যই আমার কাছে মাফ চেয়ে যাচ্ছে। শাহনাজ বেগমের মনে শওকতের জন্য কিছুটা সহানুভূতি জেগে ওঠেছে আজকের ব্যবহারে পর।যথাসময়ে তাদের ডাক্তারের কেবিনে ডাক পড়লো। তারা ডাক্তারের কেবিনে গিয়ে বসে পড়লো। শওকত ডাক্তারের সামনা-সামনি বসলো আর শাহনাজ বেগম ডাক্তারের পাশের চেয়ারে।কি সমস্যা শাহনাজ বেগম আপনার? কয়েকদিন ধরে আমার মাথাটা মাঝে মাঝে ঘুরাচ্ছে।আজকে মাথা ঘুড়িয়ে পড়ে গিয়ে বেহুশ হয়ে গিয়েছিলাম।  কোনো মেডিসিন নিয়েছেন? না কতক্ষণ পর এম্নিতেই সেরে যায়। ডাক্তার শাহনাজ বেগমের পালস,চোখ,জিহবা দেখে তারপর প্রেসার মেপে দেখলো সবকিছু নরমাল।  পিড়িয়ড হয় না কতদিন?  জ্বি দুই মাসের মত হবে। ডাক্তার আসল ঘটনা বুঝে গিয়ে বললো,আপনারা কালকে একবার এসে আমাদের হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার রুশনারা ম্যাডাম কে দেখিয়ে যাবেন ওনি যা যা লাগে চেকআপ করে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিবে। ডাক্তারের কথা শুনে শওকত ঘটনা কি ঘটছে বুঝে গেলো।শাহনাজ বেগম কিছুই বুঝতে পারলো না।কোন ডাক্তার কোন রোগের জন্য দেখাতে হয় শাহনাজ বেগমের এসবের কোন ধারণা ই নাই।শাহনাজ বেগমের আসলে দুনিয়ার সাথে কোনো পরিচিতি ই নাই।ওসমান মুন্সী গ্রাম থেকে বিয়ে করে শাহনাজ বেগম কে যে রুমে আবদ্ধ করেছে আজ পর্যন্ত রুমেই আবদ্ধ আছে। জেলখানায় ও কয়েদিরা মাঝে মাঝে জেলের ভিতরে এদিক সেদিক ঘুরতে পারে।শাহনাজ বেগম বিয়ের পর থেকে নিজের রুম, কিচেন আর দরকার পড়লে বাইরে বের হতে হলে বোড়কা * পরে বের হয়ে যে কাজের জন্য বের হয়েছে সে কাজ সেরে সোজা আবার বাসায় চলে আসতে হয়।আশেপাশে কি হচ্ছে ধ্যান দেওয়া শাহনাজ বেগমের জন্য নিষেধ ওসমান মুন্সীর কাছ থেকে।শাহনাজ বেগম ও স্বামীর আদেশ নিষেধ মেনে চলে আজ পর্যন্ত জীবন কাটিয়ে এসেছে।শওকত ডাক্তারের কথা শুনে আম্মাকে নিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে আসলেন।হাসপাতাল থেকে বের হতে হতে শাহনাজ বেগম শওকতের কাছে জানতে চাইলো আব্বা আমার কি খুব বড় অসুখ হয়েছে?ডাক্তার কোনো অষুধ দিলো না কেন?শওকত কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না। যেই না আম্মা একটু আমার সাথে স্বাভাবিক কথা বলা শুরু করলো এখন আবার এই খবর পেলে আম্মা কি করবে আ***** ই জানে! শওকত কি করবে ভেবে পাচ্ছে না কিভাবে আম্মাকে বলবে? আর কালকে তো গাইনী ডাক্তার নিশ্চয়ই চেকআপ করে আম্মাকে বলে দিবে। শওকত ভাবলো আমি ই আগে সবকিছু খুলে বলে দেই।চিন্তা করলো বাড়ির বাইরে বিষয়টা জানলে হয়তো বেশি রিয়েক্ট করবে না,লোক জনাজানির ভয়ে। তাই শওকত বলে উঠলো  আম্মা পাশেই লেকের পাড়ে গিয়ে একটু বসবেন লেকের ঠান্ডা হাওয়ায় আপনার ভালো লাগবে, আপনি তো বাসা থেকে বের হওয়ার তেমন সুযোগ ই পাননা।শাহনাজ বেগম মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।শওকত একটা রিক্সা ডেকে আম্মাকে উঠে বসতে বললো।আম্মা মোটা পাছা রিক্সায় রাখার পর অল্প একটু জায়গা বাকি রইলো।শওকত দেখলো সে উঠে বসলে দুজন পাছা দুজনের সাথে লেপ্টে যাবে।সে রিক্সা ওলাকে বললো মামা আমরা দুইজন এতে বসতে পারবো না সিএনজি নিতে হবে, আপনি কিছু মনে কইরেন না। হ মামা আমনেগো দুইজনের মাশাল্লাহ যেই বডি আমি আগেই ভাবছি আমার রিক্সায় দুইজন উঠতে পারবেন না।শাহনাজ বেগম শওকতকে বললো উঠো আব্বা চাপাচাপি করে বসলে যায়গা হবে। ওনি আশা করে আমাদের কে নিতে আসছে, নেমে গেলে ওনি কস্ট পাবে। শওকত আম্মার কথা শুনে রিক্সায় উঠে কোনরকমে বসলো মনে হচ্ছে দুইজনের পাছার এক দাবনা একজনের ভিতরে আরেকজনের টা ঢুকে গেছে।শওকত বললো চলেন মামা একটু আসতে আসতে চালাইয়েন।রিক্সা চলতে শুরু করলো, চাপাচাপি করে বসাতে শওকতের এক দাপনা টা একটু সামনে এগিয়ে বাকা ভাবে বসছে শাহনাজ বেগমের দাপনা একটু পিছে আড়াআড়ি ভাবে।বিপত্তি বাধলো স্প্রিড বেকারে গিয়ে ঝাকি খেয়ে শাহনাজ বেগম একটু আগে ঝুকে গেলো আর শওকত ব্যালেন্স রাখার জন্য পিছনে ঝুকলো। শওকতের কনুই গিয়ে শাহনাজ বেগমের বিশাল দুদে ডেবে গেলো।শওকতের কাছে মনে হচ্ছে গরম কিছু একটার মধ্যে তার কনুই একটুর জন্য ছেকা লাগলো।মনে মনে ভাবলো আম্মার শরীর *র উপর দিয়ে এত গরম উম আর খালি গায়ে যে কত উম হবে।শওকত আম্মাকে জিগ্যেস করলো আম্মা সমস্যা হচ্ছে? শাহনাজ বেগম ভদ্রতার খাতিরে বললো নাহ। এইভাবে মাঝে মাঝেই শরীরের সাথে শরীর ধাক্কা খেতে লাগলো।।শওকতের পাজামার নিজে তার অজগর টা তাকে ভালোই মুসিবতে ফেলে দিচ্ছে। শওকত নিজের মনকে ডাইভার্ট করার জন্য হাবিজাবি চিন্তা করতে লাগলো।লেক পাড়ে গিয়ে মামা রিক্সা থামিয়ে দিলো রিক্সা থামাতেই শওকত তারাতাড়ি রিক্সা থেকে নেমে পড়ে ভাড়া দিতে লাগলো,ততক্ষণে শাহনাজ বেগম ও নেমে  পড়লো।রিক্সা থেকে নেমে একটু পায়ে হেটে সামনে গিয়ে নির্জন জায়গা দেখে দুইজন বসে পড়লো।দুইজনেই চুপচাপ বসে আছে। শাহনাজ বেগমের ছোট বেলার কথা মনে পড়লো।গ্রামে খোলা মাঠ,খাল পাড়,জংগলে বান্ধবীদের সাথে কত দুরন্তপনা করছে।বিয়ের পর সব দুরন্তপনা শেষ হয়ে গেছে ঘরবন্দী হয়ে।মনে মনে শওকতের জন্য দোয়া করতে লাগলো এইখানে নিয়ে আসার জন্য।কতবছর পর শাহনাজ বেগম হিমেল হাওয়ার ছোয়া পেলো,মনটা একদম জুরিয়ে গেলো। শওকত ভাবতে লাগলো কিভাবে আম্মাকে কথা টা বলা যায়! কিন্তু কোনোভাবেই বলার সাহস পেল না।শওকত কথা বলা শুরু করার জন্য বললো আম্মা বাদাম খাবেন?  শাহনাজ বেগম জবাব দিলো না নিজের ভাবনায় ডুবে রইলো।শওকত মনে মনে ভাবলো আম্মা কি আবার রিক্সার ঘটনার জন্য রাগ করলো নাকি? শওকত আবার জিজ্ঞাসা করলো ভয়ে ভয়ে আম্মা বাদাম খাবেন? এইবার শাহনাজ বেগম জবাব দিলো তুমি খাইলে আনো আব্বা।শাহনাজ বেগমের উত্তর পেয়ে শওকত স্বস্তির নিশ্বাস নিলো।উঠে বাদাম আনতে চলে গেলো। বাদাম এনে শওকত আম্মার পাশে এসে বসে পড়লো।নেন আম্মা বাদাম খান,আম্মা এখন * উল্টাইয়া নেন এইখানে কেউ আসবে না, আর অন্ধকার হয়ে গেছে আসলেও কেউ দেখবে না।শাহনাজ বেগম শওকতের কথা শুনে * খুলে নিয়ে কোলের উপর রাখলো।শাহনাজ বেগম বাদাম নিয়ে কয়েকবার টিপ দিয়ে বাদামের খোসা ছড়িয়ে খাচ্ছে।শওকত আম্মাকে কয়েকবার টিপ দিতে দেখে শওকত কয়েকটা বাদামারে খোসা ছড়িয়ে আম্মার হাতে দিয়ে বললো আম্মা আপনি খান আমি খোসা ছড়িয়ে দিচ্ছি।  শাহনাজ বেগম আপ্লূত হয়ে ভাবলো ইশ ওসমান মুন্সী যদি শওকতের মত হতো তাইলে আমি জীবনেও কোনো ভুল করতাম না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। শাহনাজ বেগম বললো তুমিও খাও আব্বা।জ্বি আম্মা খাচ্চি বলে মনে মনে বললো এখনি বলবে নাকি কথা টা? তার আগে শাহনাজ বেগম বলে উঠলো এই কয় মাসে আম্মা তোমাকে অনেক কস্ট দিছি তাই না আব্বা? নাহ আম্মা আপনি আমাকে কোন কস্ট দেন নি,আমি ভুল ই করছি এমন যে আপনি এমন করতে বাধ্য হইছেন। কিন্তু ভুল তো আমিও করছি আব্বা। কিন্তু আমি আপনাকে তখন বাধা দিলেই হইতো, আমার আপনার সাথে খারাপ কাজ করা উচিত হয় নি বলে শওকত কান্না করে দিলো। থাক আব্বা ভুল মানুষের ই হয় আমারো ভুল হইছে,তোমারো ভুল হইছে।  আম্মা একটা ওয়াদা দিবেন?  কি ওয়াদা আব্বা? আপনি কখনো আর আমার সাথে রাগ করবেন না। আপনি রাগ করলে, কথা না বললে আমার অনেক কস্ট হয় আম্মা।আমার মরে যেতে মন চায়, কতবার মরে যেতে চাইছি আত্মহত্যা মহাপাপ দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নিতাম। এই কথা ভুলেও আর ভাববা না আব্বা তুমি আর বুশরা ছাড়া আমার আর কে আছে?  তোমার আব্বা তো আমার খবর ও নেয় না ঠিকমতো।তোমাদের দিকে চেয়ে  ই তো আমার জীবন কেটে গেলো। আম্মার হাত ধরে শওকত বললো আম্মা আপনাকে  আমি আর জীবনেও কস্ট দিবো না।এমন কিছু করবো না যাতে আপনি কস্ট পান।শাহনাজ বেগম বললো চলো আব্বা বাসায় চলে যাই অনেক রাত হয়ে গেছে । রাতে কি খাবেন আম্মা রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু কিনে নেই? তোমার যা ইচ্ছা কিনে নেও। নাকি আম্মা রেস্টুরেন্টে  খেয়ে বাসায় যাবেন?  তোমার ইচ্ছা! চলেন তাইলে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে একবারে বাসায় চলে যাই। শওকত একটা রিকশা ডেকে পাশেই একটা রেস্টুরেন্টে খেতে চলে গেলো। আম্মা অইদিকে মহিলা ওয়াশরুম আছে ফ্রেশ হয়ে আসেন।আম্মা ফ্রেশ হতে চলে গেলে শওকত ও গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আম্মার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।শাহনাজ বেগম ফ্রেশ হয়ে আসার পরে দুজনে একটা কেবিনে ঢুকে বসে পড়লো।  অয়েটার খাবারের মেনু দিলো।শওকত শাহনাজ বেগমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো আপনি কি খাবেন চয়েজ করেন আম্মা। নাহ আব্বা তোমার পছন্দের খাবার ই অর্ডার করো।শওকত মেন্যু দেখে আম্মার পছন্দ মত খাবার ই অর্ডার করলো।শাহনাজ বেগম ছেলের আজকের আচরণে বারবার মুগ্ধ হচ্ছে।দুজনে ভরপেট খেয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলো উবার ডেকে। বাসায় এসে দুজনে দুজনের রুমে চলে গেলো।শাহনাজ বেগম রুম গিয়ে অযু করে এশার না**** আদায় করে ঘুমাতে চলে গেলো।অনেকদিন পর শাহনাজ বেগমের মন টা আজকে অনেক ফুরফুরা। তাই বিছানায় পিঠ লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই শাহনাজ বেগম ঘুমিয়ে পড়লো।
Parent