একটি ভুল! প্রায়শ্চিত্ত থেকে প্রনয় - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70313-post-6040742.html#pid6040742

🕰️ Posted on September 22, 2025 by ✍️ mlover69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1596 words / 7 min read

Parent
আপডেট : পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে  শাহনাজ বেগম ইবাদাত বন্দেগী করে বিছানায় একটু গা এলিয়ে দিতেই চোখ লেগে আসে।ঘুম ভাংগে সকাল সাতটার দিকে।ঘুম থেমে উঠে রুমের বাহিরে এসে দেখে শওকত কিচেনে সকালের নাস্তা বানাচ্ছে।শওকত কে কিচেনে দেখে শাহনাজ বেগম বললো আব্বা তোমার কিচেনে কি?শওকত হাসি দিয়ে বললো তোমার শরীর খারাপ তাই ভাবলাম আজকে নাস্তাটা আমি বানিয়ে নেই।এইটুকু মাথা ঘুড়ালে কিছু হয় না শাহনাজ বেগম জবাব দিলো।না হোক আপনি গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসেন আমি নাস্তা নিয়ে আসছি।ঠিক আছে আব্বা বলে শাহনাজ বেগম মুচকি হাসি দিয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলো।কিছুক্ষণ পরে শওকত নাস্তা নিয়ে এসে আম্মার প্লেট সাজিয়ে আম্মাকে নাস্তা দিলো। ,আগে ঘরের পুরুষদের খেতে হয় এরপর নারীরা খায় বুঝতে পারছেন আব্বা তাই আগে আপনি খান পরে আমি খাবো। ,,,এইগুলো বজ্জাত পুরুষ রা আগে আগে বাছা বাছা খাবার খেয়ে নেওয়ার জন্য নিয়ম বানাইছে নিজের সুবিধার জন্য।  ,এইগুলা বলে না আব্বা পাপ হবে। ,,,পাপ হইলে হোক আপনি বসেন তো আম্মা একসাথে খাই।দেখবেন খেতেও ভালো লাগবে একা একা খাওয়ার থেকে। ,তোমার কি হইছে আব্বা গতকাল থেকে এত পরিবর্তন?  ,,,আম্মা আপনি আমার সাথে কথা বলেন নাই দেখে আপনার গুরুত্ব কতটা আমার জীবনে আমি এই কয়দিনের শূন্যতা থেকে বুঝতে পারছি।তাই আপনাকে ভালো রাখার জন্য আমাকে যা করতে হয় আমি তাই করবো।আপনি ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি। ,শাহনাজ বেগম উঠে গিয়ে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। ,,,বসেন আম্মা একসাথে খাই। ,তোমার জন্য আমার এতদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ,,,একসাথে খেয়ে দেখেন আম্মা খেতেও মজা লাগে। শাহনাজ বেগম আর শওকত একসাথে খেতে বসে পড়লো। শওকত কিছু বলতে গেলে শাহনাজ বেগম থামিয়ে দিয়ে বললো খাওয়া হচ্ছে ইবাদতের মত তাই খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই।দুজন চুপচাপ খেয়ে নিলো।খাওয়া শেষ করে প্লেট নিয়ে শাহনাজ বেগম কিচেনে যেতে নিচ্ছিলো শওকত বাধা দিয়ে বললো সে নিয়ে যাবে।শাহনাজ বেগম জি হুকুম বলে চুপচাপ বসে পড়লো। শওকত প্লেট বাটি কিচেনে নিয়ে ধুয়ে রেখে গিয়ে শাহনাজ বেগম কে বললো আম্মা দুপুরে রান্না করতে হবে না আমি আশার সময় খাবার নিয়ে আসবো।শাহনাজ বেগম চুপচাপ মেনে নিলো।মনে মনে বললো জানিনা ছেলের এই মধুর অত্যাচার কতদিন সহ্য করতে হবে।  শওকত রুমে গিয়ে মাদরাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রেডি হয়ে গেলো।রেডি হয়ে বাইরে বের হয়ে আম্মাকে বললো আম্মা আমি যাচ্ছি। ,ঠিক আছে আব্বা।  বের হওয়ার আগে শাহনাজ বেগম ডাক দিয়ে বললো আব্বা আজকে না ডাক্তার এর কাছে আবার যেতে বলছে, কখন নিয়ে যাবা। ডাক্তারের কথা শুনে শওকতের বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো,পিছন ফিরে তাকিয়ে বললো বিকেলে ওনি বসে ইবনে সিনাতে। বিকালে নিয়ে যাবো আম্মা। শওকত বাসা থেকে বেরিয়ে মাদরাসায় চলে গেলো।শাহনাজ বেগম গুনগুন করে গজল গাইতে লাগলো মনের সুখে।ভাবলো ছেলেটা তাকে কত যত্ন করে, ভালোবাসে।ইস একটু যদি ওসমান মুন্সীও ভালোবাসতো তাইলে আমার মত সুখী কেউ হতো না।ওসমান মুন্সী আমাকে কেন ভালোবাসে না, আমি কি দেখতে খারাপ? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে দেখে বললো কি করলে ওসমান মুন্সী আমাকে ভালোবাসবে? চিকন হতে হবে? কিন্তু আমার পেটে তো একটুও চর্বি নেই উরু পাছা বুকে শুধু থলথল করে। কিন্তু পুরুষ রা তো এইরকম শরীর ই পছন্দ করে! ওসমান মুন্সী আমাকে পছন্দ করে না কেন?পরক্ষণে আবার  ভাবে হুজুর রা হয়তো এমনি হয় দিন দুনিয়ায় খেয়াল থাকে না আখেরাতের চিন্তায়।কিন্তু অন্য হুজুরদের তো দেখি কতগুলো বাচ্চা হয়! হয়তো আমারি কোনো দোষে ওসমান মুন্সী আমার কাছে আসে না। শাহনাজ বেগম দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলো।ঘুম ভাংলো শওকতের কলিংবেলের শব্দে। ঘুম থেকে উঠেই শাহনাজ বেগম ভাবতে লাগলো হায় আ*** আমাকে শয়তান ঘুমের মধ্যে রেখে কিভাবে নামাজের ওয়াক্ত পার করে দিচ্ছিলো।এসব ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে দেয়।শওকত রেস্টুরেন্ট থেকে আনা খাবার টেবিলে নিয়ে রাখে।শাহনাজ বেগম রুমে যেতে যেতে বললো আব্বা একটু অপেক্ষা করো আমি নামা* টা পড়েই আসতেছি।শওকত ঠিক আছে আম্মা বলে জবাব দিলো।শওকত বসে বসে ভাবতে লাগলো আম্মা যখন প্রেগন্যান্সির ব্যাপারে জানবে তখন কি করবে? নিশ্চয়ই বাচ্চা ফেলে দিবে।দুরে কোথাও ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা নস্ট করতে হবে।যাতে কেও কখনো জানতে না পারে।কেউ জানলে মানুষ আমাদের থুতু দিবে।শওকত যখন এসব ভাবতেছিলো  শাহনাজ বেগম না*** শেষ করে এসে শওকতের পাশে বসলো।দুইজন মিলে খাবার খেয়ে নিলো। খাবার শেষ করে শওকত প্লেট ধুতে চলে গেলো।শাহনাজ বেগম ছেলের জন্য বসে বসে দোয়া করতে লাগলো ছেলের এত যত্নের জন্য। প্লেট ধোয়া শেষ করে শওকত বললো আম্মা আমি রুমে যাই আপনার কিছু লাগলে ডাক দিয়েন। ,আব্বা ডাক্তারের কাছে কখন নিয়ে যাবা আজকেও দুইবার মাথা ঘুড়াইছে। শওকত মনে মনে বললো আমার বোকা আম্মা দুটি সন্তান আপনি কিভাবে জন্ম দিছেন? আপনি এখানো বুঝতেছেন না আপনার কেন মাথা ঘুড়ায়! নিয়ে যাবো আম্মা একটু পরে বলে শওকত রুমে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর শওকত আম্মা কে বললেন রেডি হতে। শাহনাজ বেগম রেডি হওয়ার পর দুজনে উবার ডেকে হাসপাতালে চলে গেলো।আগে থেকে সিরিয়াল দিয়ে রাখার কারণে যাওয়ার সাথে সাথেই ম্যাডামের চেম্বারে ঢুকে গেলো। ডাক্তার ম্যাডাম শাহনাজ বেগমের কাছে  কি সমস্যা জানতে চাইলো। শাহনাজ বেগম সমস্যার কথা বলার পরে পিরিয়ড কত দিন হয় না কতদিন থেকে মাথা ঘুড়ায় এসব জানতে চাইলো।শাহনাজ বেগম জবাব দেওয়ার পর ডাক্তার ম্যাডাম জানতে চাইলো বেবি টেস্ট করছে কি না? শাহনাজ বেগম জবাব দিলো বেবি টেস্ট কি করতে করবে? ডাক্তাররা এইসব উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুনে অভ্যস্ত তাই আর কিছু না জানতে চেয়ে কয়েকটা পরীক্ষা লিখে দিলো শাহনাজ বেগম আর শওকত চেম্বার থেকে বের হয়ে ক্যাশ কাউন্টার এ টাকা জমা দিয়ে পরীক্ষার রিসিট নিয়ে নিলো।রক্ত আর প্রস্রাবের সেম্পল জমা দেওয়ার পর আল্ট্রা রুমের ওয়েটিং রুমে এসে অপেক্ষা করতে লাগলো। ডাক্তার ম্যাডাম কয়েকটা রুগী দেখে আল্ট্রা করাতে আসবে কয়েকজনের একসাথে। শওকতের জানে পানি নাই আম্মা কিভাবে রিয়েক্ট করবে ভেবে।কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার ম্যাডাম আল্ট্রা করাতে আল্ট্রা রুমে আসলেন দ্বিতীয় সিরিয়ালে শাহনাজ বেগম ছিলো।শাহনাজ বেগম কে নার্স ডেকে নিয়ে তলপেট বের করে শুয়ে পড়তে বলার পর শাহনাজ বেগম অবাক হলেন মাথায় সমস্যার জন্য তলপেট কেন চেক করবে।  ডাক্তার ম্যাডাম আল্টাসাউন্ড করে শাহনাজ বেগমের গর্ভের ভ্রুন দেখিয়ে বললেন এইজন্য বেবি টেস্ট এর কথা জিজ্ঞেস করছি।শাহনাজ বেগন হতবিহ্বল হয়ে রইলেন। ডাক্তার ম্যাডাম এর পরে প্রেসক্রিপশন লিখে শাহনাজ বেগমের হাতে দিলেন।শাহনাজ বেগম পাগলের মত দিন দুনিয়ায় বেখবর হয়ে দরজা দিয়ে বের হয়ে হাটতে লাগলেন। সাথে কে আছে কে নাই, সে কই যাচ্ছে কিছুই সে জানে না। শওকত শাহনাজ বেগমের পিছু পিছু হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেলো।এর একটা সিএনজি ডেকে কোনমতে টেনেটুনে শাহনাজ বেগম কে সিএনজি তে তুলে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলো। শাহনাজ বেগমের দুচোখ দিয়ে বিরতিহীন ভাবে পানি গড়িয়ে পড়তেছে কিন্তু কোন কান্নার শব্দ হচ্ছে না।সে নিজের মৃত্যু ও কামনা করতে পারতেছে না জায়েজ নেই বলে।বাসায় পৌঁছে শাহনাজ বেগম শওকতের পাঞ্জাবীর কলার  ধরে হাউমাউ করে চিৎকার দিয়ে  বললো অইদিন আমাকে মেরে ফেললি না কেন?  কেন আমাকে এতবড় শাস্তি তুই দিলি? তোর কি ক্ষতি আমি করছি? ,,,আম্মা শান্ত হন প্লিজ! ,তুই আমার প্রশ্নের জবাব দে আমাকে মেরে ফেললি না কেন?আমি তোর কি ক্ষতি করছি তুই আমাকে এইভাবে ধ্বংস করে দিলি? ,,,সব ঠিক হয়ে যাবে আম্মা আপনি শান্ত হোন। ,কি ঠিক হবে?  একটা কাজ কর তুই আমাকে মেরে ফেল। ,,,আম্মা চুপ করেন।  ,শাহনাজ বেগম নিজের মাথা দেয়ালের সাথে বারি দিতে লাগলো।শওকত শাহনাজ বেগম কে জোর করে বুকে জরিয়ে নিলেন।  ,,,আম্মা অপরাধ আমি করছি আপনি নিজেকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন?  আপনি আমাকে মারেন কাটেন যা ইচ্ছা করেন।  ,নাহ ভুল আমার ছিলো কিন্তু আমাকে এই শাস্তি না দিয়ে মেরে ফেললি না কেন? কেন আমার এত বড় সর্বনাশ করলি?  ,,,আম্মা আ**** কসম তখন আমার হুস ছিলো না আমি কি করতেছি।যখন হুশ ফিরছে তখন সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছিলো। এরপর আমি আপনার এই অবস্থা দেখে পাগলের মত হয়ে গেছিলাম। ,আমি কেন যে স্বপনের সাথে এত বড় পাপ করতে গেলাম। সব আমার পাপের শাস্তি এইগুলো।  ,,,আম্মা যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন শান্ত হোন প্লিজ। ,কিভাবে শান্ত হবো? আমার ইজ্জত সম্মান সব শেষ করে দিছস তুই। ,,,অই ঘটনার পরে যদি দুইদিন আপনি নাওয়া খাওয়া বন্ধ না করতেন তবে আজকে এইদিন দেখতে হতো না।আমি পরের দিন ই আপনার খাবারের সাথে গর্ভ রোধক  পিল মিশিয়ে দিয়েছিলাম। ,এত জঘন্য ঘটনা কারো সাথে ঘটলে নাওয়া খাওয়া করতে পারে কেউ? ,,,যা হওয়ার হয়ে গেছে আম্মা এখন ঠান্ডা মাথায় ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি করা লাগবে। আম্মার কান্না কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।শওকত পাজাকোলে করে আম্মাকে রুমে নিয়ে বিছানায় শোয়াইয়া দিলো।শাহনাজ বেগম খাটের রেলিং এর সাথে নিজের মাথা বাড়ি দিতে লাগলো।শওকত আম্মার পাগলের মত আচরণ দেখে বিছানার সাথে চেপে ধরে সে ও আম্মার সাথে শুয়ে পড়লো। শাহনাজ বেগম ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করতে লাগলো আর বলতে লাগলো কেন আমার এতবড় সর্বনাশ করলি। শওকত শাহনাজ বেগমকে বুকের সাথে চেপে ধরে রাখলো।শওকতের বুকে কান্না করতে করতে শাহনাজ বেগম হয়রান হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। শওকত আম্মাকে বুকে জরিয়ে রেখে শুয়ে রইলো। শাহনাজ বেগমের ঘুম ভাংলো আসরের আজানের পর।ঘুম থেকে উঠে নিজেকে শওকতের বুকে দেখে শাহনাজ বেগম নিজেকে শওকতের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে নিলো।দুরে সরে গিয়ে শওকত কে বললো আমার রুম থেকে বের হ তুই। ,,,কেন আম্মা কি করবেন? ,* খুলবো নামা** পড়বো।তোকে সব কিছুর জবাব দিতে হবে? শওকত শাহনাজ বেগমের পা জরিয়ে ধরে বললো আম্মা আপনি ওয়াদা করেন নিজেকে আর আঘাত করবেন না।আপনার যদি মারতে মনে হয় আমাকে মারেন কাটেন যা ইচ্ছা করেন। ,আমি এই জীবন রাখবো কি করতে?  সমাজে মুখ দেখাবো কি করে?ওসমান মুন্সীকে কি জবাব দিবো? ,,,কাউকে কিছু জবাব দিতে হবে না। আমরা দুরে কোথাও ক্লিনিকে গিয়ে এবোর্শন করাই আসবো। কেউ কিচ্ছু জানতে পারবে না। ,এই কয়দিনে যা পাপ করছি তার জবাব ই তো ঠিক মতো দিতে পারবো না,বাচ্চা নস্ট করে আমি কি নিজের হাতে নিজেকে জাহান্নামি বানাবো?দুনিয়া আমাকে যে শাস্তি দেওয়ার দেক আমি বাচ্চা নস্ট করবো না।আমি কাউকে খুন করতে পারবো না। ,,,আম্মা আপনি ঠান্ডা মাথায় ভাবেন বিষয় টা! ,আমি ভেবে নিছি দরকার হলে রাস্তায় থাকবো তবুও বাচ্চা আমি জন্ম দিবো।আমাকে একটা প্রাণ হত্যা করার অধিকার আ*** দেয় নি।এই বাচ্চা আমার পেটে যেভাবেই হোক আসছে এখন এটা আমার দায়িত্ব দুনিয়াতে নিয়ে আসা। ,,,আপনার যদি এই সিদ্ধান্ত তো হয় তবে আমি আপনার পাশে থাকবো।বাচ্চার কাছে তো আমিও দায়বদ্ধ।  ,জারজ সন্তানের বাবার কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না।আমার বাচ্চার জন্য যা করার আমিই করতে পারবো। শওকত ভাবলো এখন আম্মাকে ঘাটালে উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে বসতে পারে তাই চুপচাপ রুম থেকে বের হয়ে গেলো।  শওকত বের হয়ে যাওয়ার পরে শাহনাজ বেগম * খুলে * পড়ে নিলো তারপর অযু করে না*** বসে গেলো।নামাজ শেষে মুনাজাতে চোখের পানি ফেলে কান্নাকাটি করতে লাগলো।অনাগত বাচ্চার জন্য যা ভালো হয় শাহনাজ বেগমের জীবন সেই রাস্তায়  যেনো আ*** নিয়ে যায় সেই ফরিয়াদ করলো।তারজীবনের যা হয় হোক তার কোনো আফসোস থাকবে না।সে সুস্থভাবে বাচ্চাকে জন্ম দিতে পারে সেই তৌফিক যেনো আ*** দেয় এই দোয়া করলো।
Parent