একটি ভুল! প্রায়শ্চিত্ত থেকে প্রনয় - অধ্যায় ৫

আপডেট : শওকত মুন্সী কিছুক্ষণ তাদের কার্যকলাপ দেখে নিচে চলে গেলো। শাহনাজ বেগম আর স্বপনের কথাবার্তা আর কিছুক্ষণ চলার পরে, শাহনাজ বেগম হাই তুলতে তুলতে নিচে যাওয়ার কথা বললো। স্বপন উঠে দাঁড়িয়ে শাহনাজ বেগমের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। শাহনাজ বেগম কিছু একটা চিন্তা করে স্বপনের হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো।স্বপন শাহনাজ বেগমের হাত ধরে বললো তোমার হাত কি মোলায়েম একদম শিমুল তুলার মত নরম। শাহনাজ বেগম লজ্জা পেয়ে বললো ভাই এসব বলা ঠিক না। ,,তুমি যতটা রুপসী ঠিক ততোটাই মোলায়েম একদম তুলার মত তোমার হাত ধরতে পেরে আমি ধন্য। ,যার হাত ধরার কথা তিনি দ্বীনের সেবা করতে করতে বাড়িতে আসতেই সময় পায় না,আপনি ধন্য হলে কি হবে।কথাটা বলেই শাহনাজ বেগম বুঝতে পারলো যে কথা বলা উচিত না তা বলে ফেলছে। ,,তোমার কদর মৌলbi কি বুঝবে? তুমি যদি আমার বউ হইতা তাইলে তোমাকে সব সুখ দিতাম, রাজরানী করে রাখতাম। এমন বস্তাবন্দি করে রাখতাম না। ,স্বপন ভাই এসব কি বলতেছেন আপনি? ,,তোমার কি জীবন উপভোগ করতে মন চায় না? ,দুনিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র, আখেরাতে সব সুখ উপভোগ করবো। ,,দুনিয়াতেও অনেক কিছু আছে উপভোগ করার। ,জীবন তো প্রায় শেষ ই এখন আর কি উপভোগ করবো এক পা অলরেডি কবরে চলে গেছে। ,,তুমি জানো না এখনো তুমি ২০, ২২ বয়সী যুবতী মেয়েদের কেও টেক্কা দিয়ে হারিয়ে দিবা। ,কালকে শাড়ি পরে নিজেকে আয়নায় দেখে নিজেকে জাজ কইরো, আমি বললে তো বলবা বেশি বলে ফেলি আমি। ,,কালকের টা কালকে দেখা যাবে এখন চলেন রুমে অনেক রাত হয়ে গেছে, এখন না ঘুমাইলে ফ**র এর সময় উঠতে পারবো না। স্বপন শাহনাজ এর হাত না ছেড়েই দুজনে সিড়ি বেয়ে নিচে চলে আসলো।এখন তো হাত ছাড়েন,হাত ধরে রাখলে রুমে যাবো কিভাবে? ,হাত ছাড়তে মন চাচ্ছে না মনে চাচ্ছে তোমাকে বুকে জড়িয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে রাখি। ,,এসব কথা বইলেন না ভাই পাপ হবে। শাহনাজ জোর করেই হাত ছুটিয়ে স্বপনকে ঘুমাতে বলে নিজের রুমে চলে গেলো।এরপরে যে যার মত করে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে শাহনাজ বেগম ইবাদাত বন্দেগী করে ৭ টার দিকে রুম থেকে বের হয়ে নাস্তা বানাতে লাগলো।নাস্তা বানাতে বানাতে স্বপন শওকত দুজনেই ডাইনিং টেবিলে এসে বসে কথা বলতে লাগলো। ,,,তা মামা ঘুম কেমন হইছে রাতে? ,,অনেক ভালো ঘুম হইছে,রাত কখন কেটে গেলো টের ই পাইনি ,,,"শালা টের পাবি কেমনে আম্মার মত সুন্দরী রমনীর সান্নিধ্য পাইলে সময়ের হুশ থাকে মনে মনে বললো শওকত " তা কোর্টে কখন যাবেন? ,,এইতো নাস্তা করে বের হবো, তুমি মাদ্রাসা থেকে ফিরবে কখন? ,,,আজকে মনে হয় দেরি হবে মাসিক বোর্ডিং এর খরচের বাজেট করতে হবে"মনে মনে শালা একা বাসায় আম্মাকে নিয়ে মস্তি করা, তোর মস্তি করা বের করবো। দুজনের কথার ফাকে শাহনাজ বেগম নাস্তা নিয়ে আসলো।শওকত * পড়া অবস্থায় আম্মাকে দেখে মনে মনে বললো আম্মা হলেও তুমি পাক্কা মাগী। তারপর দুজনে নাস্তা করে যে যার কাজে চলে গেলো।শাহনাজ বেগম ও নাস্তা করে বাসন কোসন পপরিস্কার করে তারাতাড়ি রেডি হয়ে বাসার পাশে রেডিমেড কাপড়ের দোকানে চলে গেলো ছায়া ব্লাউজ কিনার জন্য।দোকানের মালিক মহিলা হওয়াতে শাহনাজ বেগমের জন্য সুবিধাজনক হলো।ওসমান মুন্সীর বউ হিসেবে শাহনাজ বেগমকে দোকানী মহিলা আলাদা সম্মান দিয়ে সালাম দিয়ে জানতে চাইলো ভাবিসাহেবা কি লাগবে আপনার? ,সায়া ব্লাউজ লাগবে আমার জন্য। -সায়া তো দেওয়া যাবে কিন্তু ব্লাউজ তো রেডিমেড আপনার মাপে হবে না ,সে কি কেন? -ভাবি সাহেবা কিছু মনে কইরেন না আপনার বুকের মত বুক লাখে একটা হয় কি না সন্দেহ আছে।বিদেশীরা বুক সার্জারী করেও আপনার বুকের মত বুক বানাইতে পারে না।আপনাকে আ***হ এম্নেই এতো সুন্দর করে বানাইছে ফিগারের সাথে আপনার বুক কি আকর্ষণীয় লাগে।আমাদের দেশের মানুষের এভারেজ বুক আর বুকের নিচের অংশ(bust r underbust)৩৬/৪০ হয় কিন্তু আপনার টা মনে হয় ৩২/৪০ রেডিমেড ব্লাউজ এই মাপে হবে না ভাবিসাহেবা।রেডিমেড নিলে নিচে দিয়ে ঢোলা হবে দেখতে খারাপ লাগবে।আপনি মাপ দিয়ে যান আমরা আপনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কালকেই বানিয়ে দিবো। ,কিন্তু আমার যে জরুরি ব্লাউজ লাগবে আজকে। -ভাবিসাহেবা আপনি তো আমাকে বিপদে ফালাইয়া দিলেন।আচ্ছা মাফ নেই আধা ঘন্টা বসেন এখনি মেপে কেটে সুন্দর করে বানিয়ে দিবো।ভাই সাহেব কে বইলেন আমাদের জন্য একটু দোয়া করতে। ,আমার খুব উপকার হবে আমিও দোয়া করবো আপনার ভাই সাহেব কেও বলবো। -আপনি একটু বসেন আমি এখনি বানিয়ে দিচ্ছি। অইদিকে স্বপন কোর্টের কাজ শেষ করে ফিকির করতে লাগলো কিভাবে শাহনাজ বেগমের বাড়িতে কিছু দিন থাকা যায়, শাহনাজ বেগমের কাছাকাছি যাওয়া যায়