একটি ভুল! প্রায়শ্চিত্ত থেকে প্রনয় - অধ্যায় ৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70313-post-6034907.html#pid6034907

🕰️ Posted on September 14, 2025 by ✍️ mlover69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 902 words / 4 min read

Parent
আপডেট : ,ভাই রাখেন তো ব্যাথার তাড়নায় আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ,,আমার মাথা ঠিক আছে বলেই তোমাকে নিয়ে ভাবছি। ,ভাবতে হবে না আপনি ঘুমান,আমাকেও একটু ঘুমাতে দেন।  শাহনাজ বেগম জবাব না শুনেই ফোন কেটে দিলো।দিয়ে ভাবতে লাগলো আসলে ওসমান মুন্সীর সাথে বিয়ের পর শাহনাজ বেগম কি পেলো?দুটি সন্তান?  সন্তান তো রাস্তার পাগলেরও হয়ে যায়।সে কি কোনো সুখানুভূতি পায়? শওকত জন্মের সময় আমার বয়স ই বা কত ছিলো?তখন তো ভয়েই আমি কাবু হয়ে থাকতাম। শওকত জন্মের কয়েক বছর পর তো ওসমান মুন্সী আমার কাছেই আর আসে নি। যদিও তখন ওনাকে নিয়ে সারাদেশে এত মাতামাতি ছিলো না।বেশিরভাগ রাত মাদরাসায় কাটালেও মাঝে মাঝে তো বাসায় ই রাত কাটাতো।তারপরেও কেন আমার কাছে আসে নি?আত্মীয় স্বজনরা দ্বিনের লাইনের লোক হয়েও শওকত ৬ বছরের হয়ে যাওয়ার পরও দ্বিতীয় বাচ্চা না নেওয়ার জন্য না কথা শোনানো শুরু করলে আবার দুই তিন রাত একসাথে ছিলাম।২০ বছরের সংসার জীবনে ১০ দিন ও তো স্বামীর আদর সোহাগ পেলাম না।শাহনাজ বেগমের দুচোখ বেয়ে অঝোরে পানি পড়তে লাগলো।স্বপনের কথা তো ঠিক নিজের ও তো কিছুটা সুখ দরকার আছে। ছি:ছি: আমি এসব কি ভাবছি! এসব কথা ভাবলেও আ***হ নারাজ হবে।এসব শয়তানের ধোকা। জিন্দেগী কয় দিনের, দুনিয়াতে নিজেকে হেফাজত করতে পারলে আখেরাতে সব সুখ পাওয়া যাবে।দাম্পত্য জীবনের কস্টের কান্না এখন নিজের ভুলভাল ভাবনার জন্য অপরাধবোধের কান্নায় রুপান্তর হয়ে গেলো।আ***হর কাছে মাফ চাইতে চাইতে কাদতে কাদতে বালিশ ভিজিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে সে নিজেও জানে না।অইদিকে স্বপন মনে মনে ভাবে আস্তে আস্তে শাহনাজ বেগম তার কাছাকাছি আসতেছে এইভাবে লেগে থাকলে শাহনাজ বেগম কিছুদিনের মধ্যেই তার নিচে থাকবে। এসব ভেবে খুশিমনে সেও ঘুমিয়ে পড়লো। শাহনাজ বেগমের ঘুম ভাংলো আসরের আ***নের শব্দে।সে ঘুম থেকে উঠে না***জ পরে রুম থেকে বের হয়ে কিচেনে গেলো বিকেলের হাল্কা নাস্তা বানানোর জন্য।ততক্ষণে শওকত ও মা***জিদ থেকে না***জ পড়ে বাসায় চলে আসলো,স্বপন তখনো ঘুমাচ্ছিলো। শাহনাজ বেগম শওকত কে বললো তোমার মামাকে ডেকে তুলে জিগাও ড্রয়িং রুমে আসতে পারবে কি না। শওকত শাহনাজ বেগমের দিকে নজর দিয়ে দেখে আম্মার দুই চোখ লাল হয়ে ফুলে আছে।আম্মা আপনার চোখে কি হইছে? ,কি হইছে? ,,,লাল হয়ে আছে? ,অহ কিছুক্ষন ভেবে চুলকানি হইছিলো, চুলকানোর কারনে হয়তো লাল হইছে। আচ্ছা আমি মামাকে ডেকে আসি বলে শওকত গেস্ট রুমে চলে গেলো।গিয়ে স্বপন কে ডেকে তুললো। জিগ্যেস করলে ড্রয়িং রুমে যেতে পারবেন নাস্তা করার জন্য?  স্বপন মনে মনে ভাবলো এখানে থাকলে শাহনাজ নাস্তা নিয়ে আসবে তাই বললো মামা পায়ে খুব ব্যাথা তোমার আম্মাকে বলো এইখানেই নাস্তা দিতে।  শওকত রুম থেকে বেরিয়ে আম্মাকে বললো মামা নাকি রুমেই খাবে। শাহনাজ বেগম শওকত কে বললো আব্বা একটু কস্ট করে মামার নাস্তা টা দিয়ে আসো।আম্মার * থাকলে আমিই দিতে যেতাম।  শওকত আম্মার কান্না করে চোখ লাল করার কারণ খুজে পেলো।আমার সতী আম্মার তাইলে অপরাধবোধ হইছে, আ**হর কাছে কেন্দে কেটে চোখ লাল করে ফেলছে।তারমানে কি আমার স্বপ্নও এখানেই মাটি দিতে হবে? এত সহজেই হাল ছাড়ছি না।আপনাকে আম্মা আমার হতেই হবে। আপনি হবেন আমার বান্ধা বেশ্যা আম্মা।শওকত এসব ভাবতে ভাবতেই মামার জন্য নাস্তা নিয়ে গেলো।স্বপন শওকত কে দেখে কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ হলো।মনে মনে ভাবলো হতেই পারে হয়তো শওকত বাসায় আছে বলেই দুরে দুরে আছে।যতোই দুরে যেতে চাও না কেন,তোমাকে আমি দুরে যেতে দিচ্ছি না শাহনাজ বেগম ।এসব ভেবে স্বপন নাস্তা করতে লাগলো। শওকত ও ড্রয়িং রুমে বসে নাস্তা করতে লাগলো।শওকত নাস্তা করে রুমে চলে গেলো একটা বিড়ি টানার জন্য।শওকত নাস্তা শেষ করে যাওয়ার পরে শাহনাজ বেগম ও নাস্তা করে নিলো।শওকত বিড়ি টেনে বাইরে এসে বলে আম্মা আমি বের হচ্ছি রাতের খাবারের আগে ফিরবো, একটু জোরে বললো যেনো স্বপন ও শুনতে পায়।শওকত বের হতে হতে ভাবলো দেখা যাক মামা আম্মার অনুশোচনা ভেংগে আম্মাকে নিজের জ্বালে আটকাতে পারে কিনা। আটকাতে পারলেই আম্মাকে আমার করে নিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।ওসমান মুন্সী আজকে আসরের পরে গাড়ি নিয়ে বের হলো না। ওসমান মুন্সীর খাস খাদেম ওসমান মুন্সী আজকে রাতে মাদরাসায় থাকবে বলে প্রফুল্ল হয়ে উঠলো।গুন গুন করে মনের সুখে গান গাইতে লাগলো।ওসমান মুন্সী নামা**র পরে মস**দে বসেই খাদেম সজল কে ডেকে পাঠালো। সজল হলো ওসমান মুন্সীর খাস খাদেম।ওসমান মুন্সী যখন মাদরাসায় রাত কাটায় তখন ওসমান মুন্সীর রুমে শুধু সজল ই যেতে পারে খেদমত করার জন্য।সজল এডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে।আজকাল উচ্চবিত্ত দের মধ্যে একটা ছেলে মাদরাসার লাইনে দেওয়ার ঝোক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।তাদের ধারণা একটা ছেলে ধার্মিক হলে তাদের অবৈধ আয়,পাপাচার সেই ছেলের উছিলায় মাফ পেয়ে যাবেন।সেই ভাবনা থেকেই হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ছেলে সজলকে ওসমান মুন্সীর মাদরাসায় দেন। ১২ বছর আগে প্রথম যেদিন হাবিব সাহেব সজল কে মাদরাসায় নিয়ে আসে তখন ওসমান সজল কে দেখে বলছিলো কি মাসুম বাচ্চা একে আমি নিজের হাতে করে গড়ে তুলবো দ্বীনের খেতমতের জন্য।হাবিব সাহেব ওসমান মুন্সীর কথা শুনে যানপরানই খুশি হন ওসমান মুন্সীর মত বুজুর্গ তার ছেলের দায়িত্ব নিয়েছে তার তো আর কোন টেনশনের কারন নেই। সেই থেকে সজল ওসমান মুন্সীর খাস খাদেম।আর এক বছর সজল ওসমান মুন্সীর সান্নিধ্যে থাকতে পারবে কারন সজল দাওরায়ে হাদিস বর্ষে আছে।সজল মস**দে গিয়ে ওসমান মুন্সীর কাছে গেলেন ওসমান মুন্সী সজলের কানে কানে কিছু একটা বললেন সজল খুশি হয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলো। সজল ওসমান মুন্সীর রুমে গিয়ে সুগন্ধি যুক্ত বখুর জ্বালিয়ে দিলো।বখুর মধ্যপ্রাচ্যের একটা দামি সুগন্ধি কিছুটা আগরবাতির মত কিন্তু এইটা কাঠের টুকরো  জ্বলন্ত কয়লার সাথে দিলে আস্তে আস্তে পুরে সুগন্ধি ছড়াতে থাকে।বখুর গুলো ওসমান মুন্সীকে একজন সৌদি প্রবাসী মসজিদে ব্যবহার করার জন্য হাদিয়া দিয়েছিলো।ওসমান মুন্সী মসজিদে ব্যবহার না করে নিজের রুমে ব্যবহার করে।সজল বখুর জ্বালিয়ে হালকা স্প্রিডে ফ্যান ছেড়ে দিলো সুগন্ধি পুরো রুমে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য সাথে রুমের ডিম লাইটগুলো ছেড়ে দিলো।বিছানায় একটা নতুন বেডসীট আলমারি থেকে নামিয়ে বিছিয়ে দিলো।ওসমান মুন্সীর রুম রেডি কর‍তে করতে মাগরিবের ***** দিয়ে দিলো।সজল রুম বন্ধ করে মসজিদে চলে গেলো।  মাগরিবের ****** পর ওসমান মুন্সী এশার আগ পর্যন্ত মসজিদের মুসুল্লি দের কে দ্বিনের কথা শোনালেন।এইটা ওসমান মুন্সীর অভ্যাস যখনি মাদ্রাসায় থাকেন মাগরিবের পরে ওয়াজ নসিহত করেন। একবারে এশা পড়ে নিজের রুমে যায়।
Parent