গোধূলি আলো'র গল্পগুচ্ছ - অধ্যায় ৯৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-62343-post-6012269.html#pid6012269

🕰️ Posted on August 18, 2025 by ✍️ Godhuli Alo (Profile)

🏷️ Tags:
📖 378 words / 2 min read

Parent
সেদিন দুপুরের ঘুম থেকে উঠে বিকেলবেলা বাইরে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। এমন সময় বাবা ঘরে ঢুকে বললেন, বেরোচ্ছিস নাকি কোথাও? আমি বললাম, হ্যাঁ। বাইরে বের হবো এখন। বাবা মৃদু হেসে বললেন, ঠিক আছে। কিন্তু সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসিস। বিয়ের শপিংয়ে যাবো তোকে নিয়ে। আমি অবাক হয়ে বললাম, কার বিয়ে? বাবা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন, কেন তোর বিয়ে। তোর সামনেই তো বিয়ের কথা হলো আজ সকালেই। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। কিছু সময় স্তম্ভিত থেকে বললাম, তাহলে আপনারা সবাই সেটা সিরিয়াসলি নিয়েছেন? বাবা এবার ক্ষুণ্নস্বরে বললেন, না নিয়ে উপায় কী বল্? তোর মায়ের জীবন মরণ নিয়ে প্রশ্ন। আমি বললাম, কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? আর এমনটা করলেই যে মা সুস্থ হয়ে যাবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? বাবা বললেন, যা যা করার ছিল সব তো করেছি। এবার এটা করে দেখাই যাক্ না। নিজেদের পরিবারের ভেতর থাকবে। কেউ তো কিছু জানবে না। করার পর তোর মা যদি মারা যায় তাহলে সবকিছু আবার আগের মতোই চলবে। কিন্তু এটা না করে যদি তোর মা মারা যায় তাহলে সারা জীবন একটা আক্ষেপ থেকে যাবে। আমি কিছু সময় চিন্তা করে বললাম, আচ্ছা। আমি না হয় মানলাম। কিন্তু মা কি মানতে পারবে? বাবা বললেন, তাকেও জানানো হয়েছে। শুরুতে সে মানতেই চায় নি। বলেছে যে এর চেয়ে আমার মরণ‌ই ভালো। কিন্তু আমি, তোর আপু আর ভাবি মিলে সারা দুপুর বুঝিয়েছি। তারপর সে কিছুটা নরম হয়েছে। বলেছে যে তুই রাজি থাকলে তার অমত নেই। নিজের মায়ের জীবন বাঁচাতে তুই অমত করতে পারবি না ভেবে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম যে এই বিয়ে পাকা। সামনের শুক্রবার দিন‌ও স্থির করে ফেলেছি। পীর সাহেবকে ফোন করে জানিয়েছি। এখন তুই অমত করলে সব ভেস্তে যাবে। আমি কিছু সময় চুপ থেকে বললাম, না। আমি অমত করছি না। সবাই মিলে যখন এটাই ঠিক করেছেন আর মায়ের‌ও যখন অমত নেই তখন আমিও রাজি। সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসবো আমি। বাবা খুশি হয়ে বললেন, এই তো ছেলের মতো ছেলে। তাহলে চলে আসিস তাড়াতাড়ি। আমি, তোর ভাইয়া আর তুই মিলে তোর জিনিসপত্র কিনবো আর তোর আপু আর ভাবি মিলে তোর মায়ের জিনিসপত্র কিনবে। তোর মায়ের তো আর মার্কেটে যাবার মতো অবস্থা নেই এখন। তবে কাল থেকে তুই প্রতিদিন নিয়ম করে তোর মায়ের ঘরে গিয়ে নির্জনে, একান্তে কথাবার্তা বলবি, তার অসুস্থতার খোঁজ খবর নিবি। চেষ্টা করবি সম্পর্কটা মা ছেলের থেকে বন্ধুত্বের দিকে নিতে যাতে বিয়ের সময় বা বিয়ের পরে কোনো অস্বস্তি কাজ না করে। আমি বাধ্য ছেলের মতো মাথা নেড়ে বললাম, জ্বী আচ্ছা।
Parent