গৃহবধূ : বাড়ির রক্ষাকর্ত্রী - অধ্যায় ৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69944-post-6011349.html#pid6011349

🕰️ Posted on August 17, 2025 by ✍️ Mr. X2002 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 367 words / 2 min read

Parent
পর্ব ১৬ রিয়া একা থাকতে চায়, এ বাসা থেকে একটু দূরে। রিয়া রাতুলকে ফোন দিয়ে জানালে, রাতুল তাকে অনুমতি দেয়। রিয়া দুপুরে স্যুটকেস গুছিয়ে নিল। বুকের ভেতর চাপা কষ্ট, লজ্জা আর অপরাধবোধ নিয়ে সে শ্বাশুড়ির কাছে শুধু বলল— —"মা, কিছুদিন বাবার বাসায় থাকি? একটু মন পাল্টাবে…" নাজমা বেগম প্রথমে অবাক হলেও মেয়েটার চোখের ক্লান্তি দেখে রাজি হয়ে গেলেন।নাজমা রিয়ার কপালে চুমা দেয় আর বলে - যাও মা সাবধানে যেও। এরপর জড়িয়ে ধরে রিয়াকে। রিয়ার মনে হলো, এই বাড়ি থেকে, হরিশের কাছ থেকে, সেই ঝড়ের রাত থেকে দূরে গেলে হয়তো সে আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। ট্যাক্সি এসে পরলে ট্যাক্সিতে উঠে আর নাজমা বেগমকে হাতের ইশারায় বিদায় জানায়। বাবার বাড়ি পুরান ঢাকার একতলা দোতলা মিশ্রিত বড়ো বাড়ি। দোতলার এক পাশে রিয়ার ঘর। মা প্রতিদিন দুপুরে গরম ভাত-ডাল এনে দেয়, বাবা বিকেলে খবরের কাগজ হাতে বসে থাকেন। রিয়ার মনে হচ্ছিল—এটাই নিরাপদ আশ্রয়। দিনের পর দিন সে বাবার বাসায় থেকে ধীরে ধীরে আগের মত হয়ে উঠতে লাগল। রাতুলও বিজেনেস ট্রিপে যাবে, তাই রিয়াও শ্বশুর বাড়িতে আর যায় না। সকালে বারান্দায় বসে বই পড়া, বিকেলে ছাদের বাতাসে হাঁটাহাঁটি—সবই যেন শান্তির আবহ। দু মাস কেটে গেল চোখের পলকে। একদিন সকালে রিয়া রান্নাঘরে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে বসে পড়ল। মা ছুটে এসে তাকে ধরে বললেন— —"কিরে রিয়া? কী হইল?" —"মাথা ঘুরতেছে, মা… আর বমি বমি লাগতেছে।" সেদিন দুপুরে কিছুই খেতে পারল না। পানি খেলেই বমি আসছে। বাবা বললেন, —"চলো, ডাক্তারের কাছে যাই।" ডাক্তারের চেম্বারে যখন রক্ত পরীক্ষা হলো আর রিপোর্ট এল, ডাক্তার শান্ত কণ্ঠে জানালেন, —"অভিনন্দন। রিয়া প্রেগন্যান্ট। আনুমানিক দুই মাস চলছে।" বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গেল রিয়ার। সে জানে, গত দুই মাস ধরে রাতুল তার কাছে আসেনি… তাহলে এই সন্তান কিভাবে? চোখের সামনে হঠাৎ ভেসে উঠল সেই বজ্রপাতের রাত। হরিশের কালো, শক্ত শরীর।হরিশ কিভাবে তাকে ভোগ করে। মনে মনে প্রশ্ন আসল, তবে কি এটা হরিশের বাচ্চা নয়। সে মিলনের সময় বলেছিল যে তার আর আমার সন্তান নেয়ার কথা। এটা ত হরিশের বাচ্চা না, আমি সেই রাতে গর্ভপাতের ঔষধ খেতে ভুলে যাই। তার বুকের ভেতর হু হু করে কেঁপে উঠল। ডাক্তারের ঘর থেকে বের হয়ে মা হেসে বললেন— —"বাবা রে, দাদী হব এবার!আমি ত বুড়ো হয়ে গেলাম।" রিয়ার বাবা বলে, “এবার তবে আমি দাদা। সাবধান সবাই, আমার নাতি আসতাছে।(হাহা)” কিন্তু রিয়ার মুখ শুকনো। মাথার ভেতর শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছে— "এই সন্তান কার?"
Parent